প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চট্টগ্রাম আসছেন। চার বছর আগে উদ্বোধন করা চট্টগ্রাম এলজিইডি ভবন ফের উদ্বোধন করবেন তিনি। উদ্বোধনের পর থেকে এ ভবনের দশটি ফ্লোরে পুরোদমে অফিস করছিলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। চার বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহারের ফলে এই ভবনের রংও এরই মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। পুরনো হয়ে গেছে আসবাবপত্র।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে ফের নতুন করে রং করা হয়েছে ভবনটি, তবে আসবাবপত্র আগের গুলোই রয়ে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বিএনপি সরকারের সময়, ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম এলজিইডির ১০ তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালের শেষ দিকে এটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০০৮ সালের ২ আগস্ট। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্কালীন প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি উদ্বোধনেরও ৬ মাস আগে থেকে ওই ভবনে অফিস চালু হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, গত বছর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দিয়ে আরেকবার ভবনটি উদ্বোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রী এর আগে এটি আরেকবার উদ্বোধন হয়েছে জানতে পেরে প্রোগ্রাম বাতিল করে দেন। এবার প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে চার বছর আগের পুরনো ভবন উদ্বোধন করাতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চট্টগ্রামে এটি ছিল গতকাল ‘টক অব দ্য টাউন’।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বর্তমান সরকারের আমলে নজরে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় আগের পুরনো ভবন রং করে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
চার বছর আগে উদ্বোধন হওয়া ভবন দ্বিতীয় দফা উদ্বোধন, তা-ও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে—এ খবর জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
নগরীর মুরাদপুরে এলজিইডি ভবনে বসেই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হালদা রাবার ড্যাম প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরের প্রথমেই নগরীর বন্দর এলাকায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন। ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর পর তিনি ওই এলাকার সল্টগোলা ক্রসিংয়ে নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি কাম বাণিজ্যিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণ করবে।
আজ চট্টগ্রামে ১৪ দলের মহাসমাবেশ : আজ চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ১৪ দলের মহাসমাবেশ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতৃবৃন্দ একমঞ্চে বসে সিদ্ধান্ত নেন। ১০ লাখ লোক সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। মহাসমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তবে জনসমাগম ১০ লাখ হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মহাজোট। গত ৯ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এই পলোগ্রাউন্ড ময়দানেই সমাবেশে ভাষণ দেন।
এদিকে, পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির মহাসমাবেশকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতারা একযোগে কাজ করছেন। নগরীর নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা নিজ এলাকার বিভিন্ন বস্তি থেকে সমাবেশের জন্য মানুষ জোগাড়ে নেমেছে। নগরীর লালখান বাজার মতিঝরনা এলাকায় সমাবেশে যোগ দিতে পুরুষদের জন্য মাথাপিছু ৫শ’ টাকা এবং মহিলার জন্য একটি শাড়ি ও ৫শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।আমারদেশ ২৮ মার্চ ২০১২
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করবেন বলে ফের নতুন করে রং করা হয়েছে ভবনটি, তবে আসবাবপত্র আগের গুলোই রয়ে গেছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত বিএনপি সরকারের সময়, ২০০৩ সালে চট্টগ্রাম এলজিইডির ১০ তলা ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০০৭ সালের শেষ দিকে এটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ২০০৮ সালের ২ আগস্ট। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্কালীন প্রধান প্রকৌশলী মো. শহিদুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এটি উদ্বোধনেরও ৬ মাস আগে থেকে ওই ভবনে অফিস চালু হয়ে যায়।
সূত্র জানায়, গত বছর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে দিয়ে আরেকবার ভবনটি উদ্বোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু মন্ত্রী এর আগে এটি আরেকবার উদ্বোধন হয়েছে জানতে পেরে প্রোগ্রাম বাতিল করে দেন। এবার প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে চার বছর আগের পুরনো ভবন উদ্বোধন করাতে যাচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। চট্টগ্রামে এটি ছিল গতকাল ‘টক অব দ্য টাউন’।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রামে বর্তমান সরকারের আমলে নজরে পড়ার মতো তেমন কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না হওয়ায় আগের পুরনো ভবন রং করে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উদ্বোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
চার বছর আগে উদ্বোধন হওয়া ভবন দ্বিতীয় দফা উদ্বোধন, তা-ও প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে—এ খবর জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
নগরীর মুরাদপুরে এলজিইডি ভবনে বসেই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুরে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হালদা রাবার ড্যাম প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রশাসন সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরের প্রথমেই নগরীর বন্দর এলাকায় ৮২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বন্দর ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করবেন। ডিসেম্বরে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এর পর তিনি ওই এলাকার সল্টগোলা ক্রসিংয়ে নারী শ্রমিকদের জন্য ডরমেটরি কাম বাণিজ্যিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মাণ করবে।
আজ চট্টগ্রামে ১৪ দলের মহাসমাবেশ : আজ চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড ময়দানে ১৪ দলের মহাসমাবেশ। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। সমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম চেম্বার আয়োজিত পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা নির্ধারিত সময়ের চারদিন আগেই শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়। সমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উত্তর ও দক্ষিণ জেলার নেতৃবৃন্দ একমঞ্চে বসে সিদ্ধান্ত নেন। ১০ লাখ লোক সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। মহাসমাবেশ নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তবে জনসমাগম ১০ লাখ হবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় মহাজোট। গত ৯ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এই পলোগ্রাউন্ড ময়দানেই সমাবেশে ভাষণ দেন।
এদিকে, পলোগ্রাউন্ডে বিএনপির মহাসমাবেশকে চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতারা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতারা একযোগে কাজ করছেন। নগরীর নিজ নিজ ওয়ার্ড থেকে বিপুলসংখ্যক নারী-পুরুষ নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে সিটি করপোরেশনের আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলরদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা নিজ এলাকার বিভিন্ন বস্তি থেকে সমাবেশের জন্য মানুষ জোগাড়ে নেমেছে। নগরীর লালখান বাজার মতিঝরনা এলাকায় সমাবেশে যোগ দিতে পুরুষদের জন্য মাথাপিছু ৫শ’ টাকা এবং মহিলার জন্য একটি শাড়ি ও ৫শ’ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।আমারদেশ ২৮ মার্চ ২০১২
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন