খালেদা জিয়ার
নেতৃত্বে বিরোধী দল আজ সংসদে যাচ্ছে : বিকাল ৪টায় সংসদীয় দলের সভা
দীর্ঘ অনুপস্থিতির পর বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্যরা আজ জাতীয়
সংসদের অধিবেশনে যোগ দিচ্ছেন। বিকালে বিএনপির সংসদীয় দলের সভা ডেকেছেন বিরোধীদলীয়
নেতা খালেদা জিয়া। ওই সভাশেষে তার নেতৃত্বেই বিরোধীদলীয় এমপিরা সংসদ অধিবেশনে যোগ
দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিকাল ৪টায় সংসদে বিরোধীদলীয় নেত্রীর সভাকক্ষে
বিএনপির সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক এ
কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘জনগণের
দাবি নিয়ে কথা বলতেই আমরা সংসদে যেতে চাই। কিন্তু বিরোধী দলকে সংসদে রাখতে
স্পিকারকে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে বিষোদ্গার বন্ধ
করতে হবে।’ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
বিল সংসদে আনারও দাবি জানান তিনি।
এদিকে সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী স্পিকারের অনুমতি ছাড়া একাধারে সংসদে ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্যপদ থাকে না। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই সর্বোচ্চ ৮৩ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। মেয়াদ বাড়ায় চলতি অধিবেশনে সংসদে যোগ না দিলে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমরা সংসদে যাব, তবে সরকার এর আগেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল বিল সংসদের টেবিলে উত্থাপন করে কি-না, তা আমরা দেখতে চাই।’ সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার বলেন, ‘সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলতে চাই। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে সংসদে যোগ দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া (ফেনী-১) এখন পর্যন্ত ৮৩ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। সমানসংখ্যক দিন অনুপস্থিত রয়েছেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ (কুমিল্লা-৩) ও মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (ফেনী-৩)।
এদের মধ্যে কায়কোবাদ অসুস্থ থাকায় স্পিকারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন। সে হিসাবে ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও অনুপস্থিতির জন্য তার সদস্যপদ নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২) আটক থাকায় তিনিও স্পিকারের অনুমতি নিয়েছেন। তার অনুপস্থিতি ১৩০ দিন। ফলে তারও সদস্যপদ হুমকিতে পড়ছে না।
এছাড়া মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান (লক্ষ্মীপুর-৪) অনুপস্থিত রয়েছেন ৮২ দিন। একই সময় ধরে অনুপস্থিত আছেন মোস্তফা কামাল পাশা (চট্টগ্রাম- ১৬)। মোজাহার আলী প্রধান (জয়পুরহাট-১) ৭৯ ও গোলাম মোস্তফা (জয়পুরহাট-২) ৭৮ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে ৭৭ দিন করে অনুপস্থিত রয়েছেন একেএম হাফিজুর রহমান (বগুড়া-২), আবদুল মোমিন তালুকদার (বগুড়া-৩), এম কে আনোয়ার (কুমিল্লা-২), জেডআইএম মোস্তফা আলী (বগুড়া-৪), ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার (বগুড়া-৬), ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বগুড়া-৭), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), আমজাদ হোসেন (মেহেরপুর-২), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা-২), মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ (বরিশাল-৪), মজিবর রহমান সরওয়ার (বরিশাল-৫), শেখ সুজাত মিয়া (হবিগঞ্জ-১), হারুনুর রশিদ (চাঁদপুর-৪), জয়নাল আবেদিন (ফেনী-২), জয়নুল আবদিন ফারুক (নোয়াখালী-২), মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), বরকতউল্লা বুলু (নোয়াখালী-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (লক্ষ্মীপুর-১), আবুল খায়ের ভূঁইয়া (নোয়াখালী-২), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (লক্ষ্মীপুর-৩), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), হাসিনা আহমেদ (কক্সবাজার-১), লুত্ফর রহমান (কক্সবাজার-৩)।
সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আক্তার, রাশেদা বেগম হীরা, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াও ৭৭ দিন করে অনুপস্থিত রয়েছেন।
চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৪) ৭৯ দিন ও হামিদুর রহমান আযাদ (কক্সবাজার-২) ৭৭ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ (ভোলা-১) ৭৭ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ অধিবেশন ৮ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অধিবেশনের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। চলতি অধিবেশনে যোগ না দিলে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের অনেকের পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
এদিকে সংবিধান ও কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী স্পিকারের অনুমতি ছাড়া একাধারে সংসদে ৯০ কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে সংসদ সদস্যপদ থাকে না। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের মধ্যে অনেকেই সর্বোচ্চ ৮৩ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। মেয়াদ বাড়ায় চলতি অধিবেশনে সংসদে যোগ না দিলে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমরা সংসদে যাব, তবে সরকার এর আগেই তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনর্বহাল বিল সংসদের টেবিলে উত্থাপন করে কি-না, তা আমরা দেখতে চাই।’ সংসদ সদস্য শাম্মী আক্তার বলেন, ‘সংসদ অধিবেশনে যোগ দিতে আমরা সবসময়ই প্রস্তুত। জনগণের দাবি নিয়ে কথা বলতে চাই। এ লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে সংসদে যোগ দেয়ার সম্ভাবনার কথা জানান তিনি।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া (ফেনী-১) এখন পর্যন্ত ৮৩ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন। সমানসংখ্যক দিন অনুপস্থিত রয়েছেন কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ (কুমিল্লা-৩) ও মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন (ফেনী-৩)।
এদের মধ্যে কায়কোবাদ অসুস্থ থাকায় স্পিকারের কাছ থেকে ছুটি নিয়েছেন। সে হিসাবে ৯০ দিন পেরিয়ে গেলেও অনুপস্থিতির জন্য তার সদস্যপদ নিয়ে সমস্যা হওয়ার কথা নয়। এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী (চট্টগ্রাম-২) আটক থাকায় তিনিও স্পিকারের অনুমতি নিয়েছেন। তার অনুপস্থিতি ১৩০ দিন। ফলে তারও সদস্যপদ হুমকিতে পড়ছে না।
এছাড়া মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান (লক্ষ্মীপুর-৪) অনুপস্থিত রয়েছেন ৮২ দিন। একই সময় ধরে অনুপস্থিত আছেন মোস্তফা কামাল পাশা (চট্টগ্রাম- ১৬)। মোজাহার আলী প্রধান (জয়পুরহাট-১) ৭৯ ও গোলাম মোস্তফা (জয়পুরহাট-২) ৭৮ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে ৭৭ দিন করে অনুপস্থিত রয়েছেন একেএম হাফিজুর রহমান (বগুড়া-২), আবদুল মোমিন তালুকদার (বগুড়া-৩), এম কে আনোয়ার (কুমিল্লা-২), জেডআইএম মোস্তফা আলী (বগুড়া-৪), ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার (বগুড়া-৬), ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ (বগুড়া-৭), রুমানা মাহমুদ (সিরাজগঞ্জ-২), আমজাদ হোসেন (মেহেরপুর-২), নজরুল ইসলাম মঞ্জু (খুলনা-২), মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ (বরিশাল-৪), মজিবর রহমান সরওয়ার (বরিশাল-৫), শেখ সুজাত মিয়া (হবিগঞ্জ-১), হারুনুর রশিদ (চাঁদপুর-৪), জয়নাল আবেদিন (ফেনী-২), জয়নুল আবদিন ফারুক (নোয়াখালী-২), মাহবুব উদ্দিন খোকন (নোয়াখালী-১), বরকতউল্লা বুলু (নোয়াখালী-৩), নাজিম উদ্দিন আহমেদ (লক্ষ্মীপুর-১), আবুল খায়ের ভূঁইয়া (নোয়াখালী-২), শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী (লক্ষ্মীপুর-৩), জাফরুল ইসলাম চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৫), হাসিনা আহমেদ (কক্সবাজার-১), লুত্ফর রহমান (কক্সবাজার-৩)।
সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য নিলোফার চৌধুরী মনি, রেহানা আক্তার রানু, শাম্মী আক্তার, রাশেদা বেগম হীরা, সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াও ৭৭ দিন করে অনুপস্থিত রয়েছেন।
চারদলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতের আ ন ম শামসুল ইসলাম (চট্টগ্রাম-১৪) ৭৯ দিন ও হামিদুর রহমান আযাদ (কক্সবাজার-২) ৭৭ দিন অনুপস্থিত রয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থ (ভোলা-১) ৭৭ দিন সংসদে অনুপস্থিত রয়েছেন।
গত ২৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ অধিবেশন ৮ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অধিবেশনের মেয়াদ ২৮ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। চলতি অধিবেশনে যোগ না দিলে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্যদের অনেকের পদ ঝুঁকির মুখে পড়বে।
সুত্র- আমার দেশ
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন