দেশের প্রথম স্যাটেলাইট উেক্ষপণের জন্য মার্কিন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গতকাল চুক্তি করেছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। ৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-১’ নামে এই স্যাটেলাইট উেক্ষপণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনালের (এসপিআই) সঙ্গে এ চুক্তি হয়।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট উেক্ষপণের পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের কোম্পানি সামিট গ্রুপ। তবে এ ব্যাপারে সামিট গ্রুপের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিটিআরসি কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ এবং এসপিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুশ ক্রেসেলসকি। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা এবং বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণে পরামর্শক চেয়ে দরপত্র আহ্বান করলে প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দেয়। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও ইন্দোনেশিয়ার ৭টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত দর প্রতিযোগিতায় মনোনীত করা হয়। তাদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তাব যাচাইয়ের পর ওই ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এসপিআইকে নির্বাচিত করা হয়। এরপর এসপিআইকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে স্যাটেলাইটটি উেক্ষপণের জন্য পরামর্শক এসপিআই কাঠামো তৈরি, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা, বাজার মূল্যায়ন, স্যাটেলাইট বাজারজাতকরণ এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি সব প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে দিতে হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
বিটিআরসি এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছে কক্ষপথের ১০২ ডিগ্রি পূর্বে স্লট চেয়েছে। তবে বিটিআরসির এই স্লট আবেদনে আপত্তি জানিয়েছে ১৮টি দেশ। এসপিআই এসব দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসে এর সমাধান করবে।
উল্লেখ্য, দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, টেলিফোন, রেডিও বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়ায় ব্যবহার করে। এতে প্রতিবছর ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। এই স্যাটেলাইটটি চালু করা সম্ভব হলে দেশে শুধু বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে না, সে সঙ্গে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো দেশে ভাড়া দিয়ে বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব হবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, ১০২ ডিগ্রি স্লটটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এজন্য এসপিআইকে দেনদরবার করে আমাদের অনুকূলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে হবে। বিটিআরসির বিশেষজ্ঞদের মতে, হাওর-বাঁওড়, পাহাড় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের দ্বীপগুলোসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এখন পর্যন্ত সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক পর্যাপ্ত নয়। তাই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি চালু করা খুবই জরুরি।আমারদেশ ২৯ মার্চ ২০১২
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, স্যাটেলাইট উেক্ষপণের পরামর্শ প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানের কোম্পানি সামিট গ্রুপ। তবে এ ব্যাপারে সামিট গ্রুপের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিটিআরসি কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ এবং এসপিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ব্রুশ ক্রেসেলসকি। ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান হাসানুল হক ইনু এমপি, বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজীনা এবং বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিটিআরসি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উেক্ষপণে পরামর্শক চেয়ে দরপত্র আহ্বান করলে প্রায় ৩৩টি প্রতিষ্ঠান এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট (ইওআই) জমা দেয়। তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স ও ইন্দোনেশিয়ার ৭টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত দর প্রতিযোগিতায় মনোনীত করা হয়। তাদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত প্রস্তাব যাচাইয়ের পর ওই ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এসপিআইকে নির্বাচিত করা হয়। এরপর এসপিআইকে পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়টি মন্ত্রিসভার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদনসহ সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, চুক্তি স্বাক্ষরের পর ৩ থেকে সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে স্যাটেলাইটটি উেক্ষপণের জন্য পরামর্শক এসপিআই কাঠামো তৈরি, গ্রাউন্ড স্টেশন ব্যবস্থাপনা, বাজার মূল্যায়ন, স্যাটেলাইট বাজারজাতকরণ এবং স্থানীয় বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি সব প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করবে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসপিআইকে দিতে হবে প্রায় ৯০ কোটি টাকা।
বিটিআরসি এরই মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) কাছে কক্ষপথের ১০২ ডিগ্রি পূর্বে স্লট চেয়েছে। তবে বিটিআরসির এই স্লট আবেদনে আপত্তি জানিয়েছে ১৮টি দেশ। এসপিআই এসব দেশের সঙ্গে আলোচনায় বসে এর সমাধান করবে।
উল্লেখ্য, দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো, টেলিফোন, রেডিও বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়ায় ব্যবহার করে। এতে প্রতিবছর ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে ১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। এই স্যাটেলাইটটি চালু করা সম্ভব হলে দেশে শুধু বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে না, সে সঙ্গে অব্যবহৃত অংশ নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো দেশে ভাড়া দিয়ে বাড়তি অর্থ আয় করা সম্ভব হবে।
বিটিআরসির এক কর্মকর্তা জানান, ১০২ ডিগ্রি স্লটটি সবচেয়ে উপযুক্ত। এজন্য এসপিআইকে দেনদরবার করে আমাদের অনুকূলে সিদ্ধান্ত নিয়ে আসতে হবে। বিটিআরসির বিশেষজ্ঞদের মতে, হাওর-বাঁওড়, পাহাড় এবং সিলেট ও চট্টগ্রামের দ্বীপগুলোসহ দেশের সব জেলা ও উপজেলায় এখন পর্যন্ত সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক পর্যাপ্ত নয়। তাই স্যাটেলাইট প্রযুক্তি চালু করা খুবই জরুরি।আমারদেশ ২৯ মার্চ ২০১২
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন