বার্তা২৪ডেস্ক
বাংলাদেশে কমপক্ষে দুটি গোয়েন্দা সংস্থা দেশটির ক্ষমতাসীন দলকে গণঅভ্যুত্থানের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে। শুধু বিদ্যুত্ সঙ্কটের কারণেই ঘটতে পারে এ গণঅভ্যুত্থান। ভারতের আসামের দৈনিক টাইমস অব আসাম-এ গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
‘বাংলাদেশ রুলিং পার্টি ফেইলস ইন রিসলভিং ইলেকট্রিসিটি ক্রাইসিস’ শিরোনামে শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়, বিদ্যুত্ সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত প্রায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ সঙ্কট শুধু জনগণের জীবন বিপর্যস্ত করছে না, দেশটির অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডও ভেঙে দিচ্ছে। বিদ্যুত্ সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি বা অনেকগুলো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি। চলমান বিদ্যুত্ সঙ্কট থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘বিদ্যুত্ সঙ্কটকে ইস্যু করে দেশটির বিরোধী দল সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে পারে এবং নিঃসন্দেহে এতে বিপুল জনসমর্থন পাবে। বিরোধী দলকে সেই জনগোষ্ঠী সমর্থন করবে, যারা ইতোমধ্যে সরকারের আচরণ নিয়ে হতাশ ও বিরক্ত।’
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বিদ্যুত্ সঙ্কটের করুণ দশা দেখে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই -ইলাহী চৌধুরী ইতোমধ্যে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। কোনো গণমাধ্যমের মুখোমুখিও হচ্ছেন না তিনি। নিজের ক্রমাগত ব্যর্থতা অনুধাবন করে বেশ মুষড়ে পড়েছেন তিনি। দেশের রাজনীতিতে এ ঘটনা বিশেষ প্রভাব ফেলবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এদিকে ক্ষমতাসীন দলকে কোণঠাসা করতে বিরোধী দল বিএনপি বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। অন্য বিরোধী দলগুলো দেশব্যাপী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘বিদ্যুত্ সমস্যা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতা ও জনগণের অর্থ লুট করে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নাম করে যে ছলনা করে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে জনগণকে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চলমান নানা সঙ্কট ও অসুবিধা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করতে পারে দেশটির ভুক্তভোগী জনগণকে দিয়ে। সেক্ষেত্রে বিএনপি অর্থায়নও করতে পারে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্দোলনের জন্য এর চেয়ে উত্তম পন্থা বিরোধী দলের কাছে নেই। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারবে বিএনপি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে এখন প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে না। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে বেশিরভাগ সময়, অর্থাত্ ১৮-২০ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে না। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২০১২ সাল নাগাদ বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু বিদ্যুত্ সরবরাহের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে।’
পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উত্পাদন শিল্পে আঘাত হেনেছে বিদ্যুত্ সঙ্কট। এবং সবক্ষেত্রে জেনারেটর ও আইপিএসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। ড্রাইসেলের মাধ্যমে জেনারেটর চলে, এটি শুধু শব্দই উত্পাদন করে না— ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণও করে, যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে কয়েক ডজন বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যারা কি-না এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। অথচ ২০১১ সালের আগস্ট মাসে নেয়া এই পরিকল্পনাগুলোও ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলেও এই পন্থা বেশ সমালোচিত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, এটাকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের অর্থ আয়ের উপায় বলা যেতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে দেশটির সরকার ক্র্যাশ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। লক্ষ্য ছিল একটি— বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী প্লান্ট স্থাপন করা। প্রতি বছর যেটি ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ ঘাটতি পূরণ করবে। শুধু তা-ই নয়, ৩৩টি বিদ্যুত্ প্লান্ট স্থাপনের জন্যও বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সে চুক্তির আওতায় বেসরকারি কোম্পানিগুলোর উত্পাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত্ সরকার নয় দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ২২ টাকা হারে কিনে নেবে।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, চলমান বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধানের জন্যই এসব পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এসব প্রজেক্টের কারণে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এসব প্রজেক্টের কারণে মেঘনা ঘাট থেকে ১০০ মেগাওয়াট, খুলনা থেকে ১১৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল থেকে ৭৮ দশমিক ৫ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জে (গ্যাসচালিত) ৮০ মেগাওয়াট, কেরানীগঞ্জ থেকে ১০০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট, নোয়াপাড়া ৪০ মেগাওয়াট, আমনুরা ৫০ মেগাওয়াট, জুলধা ১০০ মেগাওয়াট, সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ ও কাটাখালী ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারছে। বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পাদনের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। এটি দেশের সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কিন্তু এ ধরনের তড়িত্ বিদ্যুত্ উত্পাদনের বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না দেশটির বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ প্রকল্পেই পুরনো সেকেন্ড হ্যান্ড যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়ার বদলে সমস্যাই বেশি হবে। তারা যুক্তি দেখান যে, এসব প্রকল্প স্থাপন না করে সরকার বরং পুরনো প্রকল্পগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করতে পারে। কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলে বদলে যেতে পারে চিত্রটি।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘প্রতি মাসে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে সরকারি কোষাগার থেকে লুট করে নেয়া হচ্ছে কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলার। লুট করা অর্থের ঘাটতি পূরণ করতে সরকার বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বলা যায়, বিদ্যুত্ সঙ্কট সমাধানের নামে জনগণের অর্থ কেড়ে নিচ্ছে সরকার। শুধু অবাধে অর্থ লুটে নেয়াই নয়, দেশের বাইরেও পাচার হয়ে যাচ্ছে এসব অবৈধ অর্থ।’
‘বাংলাদেশ রুলিং পার্টি ফেইলস ইন রিসলভিং ইলেকট্রিসিটি ক্রাইসিস’ শিরোনামে শুক্রবার প্রকাশিত সংবাদটিতে বলা হয়, বিদ্যুত্ সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশের জনজীবন বিপর্যস্ত প্রায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এ সঙ্কট শুধু জনগণের জীবন বিপর্যস্ত করছে না, দেশটির অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডও ভেঙে দিচ্ছে। বিদ্যুত্ সঙ্কট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। একটি বা অনেকগুলো গণঅভ্যুত্থানের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি। চলমান বিদ্যুত্ সঙ্কট থেকে উত্তরণের কোনো সম্ভাবনা এখনও দেখা যাচ্ছে না।’
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘বিদ্যুত্ সঙ্কটকে ইস্যু করে দেশটির বিরোধী দল সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু করতে পারে এবং নিঃসন্দেহে এতে বিপুল জনসমর্থন পাবে। বিরোধী দলকে সেই জনগোষ্ঠী সমর্থন করবে, যারা ইতোমধ্যে সরকারের আচরণ নিয়ে হতাশ ও বিরক্ত।’
ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ‘বিদ্যুত্ সঙ্কটের করুণ দশা দেখে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই -ইলাহী চৌধুরী ইতোমধ্যে লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে গেছেন। কোনো গণমাধ্যমের মুখোমুখিও হচ্ছেন না তিনি। নিজের ক্রমাগত ব্যর্থতা অনুধাবন করে বেশ মুষড়ে পড়েছেন তিনি। দেশের রাজনীতিতে এ ঘটনা বিশেষ প্রভাব ফেলবে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘এদিকে ক্ষমতাসীন দলকে কোণঠাসা করতে বিরোধী দল বিএনপি বেশ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েই চলেছে। অন্য বিরোধী দলগুলো দেশব্যাপী সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্য আন্দোলনের আহ্বান জানিয়েছেন।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘বিদ্যুত্ সমস্যা নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতা ও জনগণের অর্থ লুট করে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নাম করে যে ছলনা করে যাচ্ছে, তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে জনগণকে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল চলমান নানা সঙ্কট ও অসুবিধা নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করতে পারে দেশটির ভুক্তভোগী জনগণকে দিয়ে। সেক্ষেত্রে বিএনপি অর্থায়নও করতে পারে এবং বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আন্দোলনের জন্য এর চেয়ে উত্তম পন্থা বিরোধী দলের কাছে নেই। এ পদ্ধতি অনুসরণ করে ক্ষমতাসীন দলকে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করাতে পারবে বিএনপি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের শহরাঞ্চলে এখন প্রতিদিন প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে না। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে বেশিরভাগ সময়, অর্থাত্ ১৮-২০ ঘণ্টা বিদ্যুত্ থাকে না। যদিও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ২০১২ সাল নাগাদ বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধান করবে। কিন্তু বিদ্যুত্ সরবরাহের অবস্থা খারাপ থেকে খারাপতর হচ্ছে।’
পত্রিকাটি লিখেছে, ‘ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের উত্পাদন শিল্পে আঘাত হেনেছে বিদ্যুত্ সঙ্কট। এবং সবক্ষেত্রে জেনারেটর ও আইপিএসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পরিবেশ দূষণ। ড্রাইসেলের মাধ্যমে জেনারেটর চলে, এটি শুধু শব্দই উত্পাদন করে না— ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণও করে, যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে কয়েক ডজন বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যারা কি-না এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। অথচ ২০১১ সালের আগস্ট মাসে নেয়া এই পরিকল্পনাগুলোও ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহলেও এই পন্থা বেশ সমালোচিত হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, এটাকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালীদের অর্থ আয়ের উপায় বলা যেতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে দেশটির সরকার ক্র্যাশ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। লক্ষ্য ছিল একটি— বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী প্লান্ট স্থাপন করা। প্রতি বছর যেটি ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ ঘাটতি পূরণ করবে। শুধু তা-ই নয়, ৩৩টি বিদ্যুত্ প্লান্ট স্থাপনের জন্যও বেসরকারি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সে চুক্তির আওতায় বেসরকারি কোম্পানিগুলোর উত্পাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুত্ সরকার নয় দশমিক ৭৫ টাকা থেকে ২২ টাকা হারে কিনে নেবে।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, বিদ্যুত্ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) জানিয়েছে, চলমান বিদ্যুত্ সমস্যার সমাধানের জন্যই এসব পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। এসব প্রজেক্টের কারণে প্রায় এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এসব প্রজেক্টের কারণে মেঘনা ঘাট থেকে ১০০ মেগাওয়াট, খুলনা থেকে ১১৫ মেগাওয়াট, ঘোড়াশাল থেকে ৭৮ দশমিক ৫ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জে (গ্যাসচালিত) ৮০ মেগাওয়াট, কেরানীগঞ্জ থেকে ১০০ মেগাওয়াট, আশুগঞ্জ ৫৩ মেগাওয়াট, নোয়াপাড়া ৪০ মেগাওয়াট, আমনুরা ৫০ মেগাওয়াট, জুলধা ১০০ মেগাওয়াট, সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ ও কাটাখালী ৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন করতে পারছে। বিদ্যুত্ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্রজেক্টের মাধ্যমে বিদ্যুত্ উত্পাদনের গতি ত্বরান্বিত হয়েছে। এটি দেশের সঙ্কট কাটিয়ে ওঠার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘কিন্তু এ ধরনের তড়িত্ বিদ্যুত্ উত্পাদনের বিষয়টিকে ভালো চোখে দেখছেন না দেশটির বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ প্রকল্পেই পুরনো সেকেন্ড হ্যান্ড যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে বিদ্যুত্ উত্পাদন বাড়ার বদলে সমস্যাই বেশি হবে। তারা যুক্তি দেখান যে, এসব প্রকল্প স্থাপন না করে সরকার বরং পুরনো প্রকল্পগুলোর অবস্থার উন্নয়ন করতে পারে। কিছু কাঠামোগত পরিবর্তনের ফলে বদলে যেতে পারে চিত্রটি।’
টাইমস অব আসাম লিখেছে, ‘প্রতি মাসে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের নামে সরকারি কোষাগার থেকে লুট করে নেয়া হচ্ছে কয়েকশ’ মিলিয়ন ডলার। লুট করা অর্থের ঘাটতি পূরণ করতে সরকার বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বলা যায়, বিদ্যুত্ সঙ্কট সমাধানের নামে জনগণের অর্থ কেড়ে নিচ্ছে সরকার। শুধু অবাধে অর্থ লুটে নেয়াই নয়, দেশের বাইরেও পাচার হয়ে যাচ্ছে এসব অবৈধ অর্থ।’
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন