বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০১৩

‘গ্রেট ইন্ডিয়ান তামাশা’র শাহবাগ সংস্করণ


সাদেক খান

আবার হরতালের মধ্যে লিখছি। দ্বিতীয়বারের মতো বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে ককটেল ছোড়া হলো। তারপর আগেরবারের মতো এবারো উল্টো বিএনপির মিছিল সমাবেশের ওপর হামলা করল পুলিশ, কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ল, গুলি চালাল। আগেরবার ৬ মার্চ কয়েকজন শীর্ষ নেতাসহ লাঠিতে-বুলেটে আহত হয়েছিলেন এক শ’র মতো। তবে বিএনপি কার্যালয়ের মধ্যে যারা আশ্রয় নিতে পেরেছিলেন, তারা ছিলেন নিরাপদ। এবার পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে জবরদস্তি ঢুকে এক এক করে ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দুই ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী ও সাদেক হোসেন খোকা, দুই যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান ও রুহুল কবির রিজভী এবং সংসদীয় বিরোধী দলের চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। টেলিভিশনের ক্যামেরার সামনেই বিএনপি কার্যালয়ে ৩ ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। টেলিভিশন দর্শকেরা স্বচে দেখেছে, কিভাবে নেতাদের টানাহেঁচড়া করেছে পুলিশ, আসবাবপত্র ভাঙচুর করেছে তল্লাশির নামে।
৬ মার্চের পণ্ড সমাবেশ আর ৭ মার্চের হরতালে সংঘর্ষ ও সহিংসতার জন্য হুকুমের আসামি করে বিএনপি মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ঢালাওভাবে গ্যাং কেস করেছিল। সেসব  কেসে অভিযুক্ত বিএনপি নেতারা সবাই হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছিলেন। জামিন বহাল থাকা সত্ত্বেও ১১ মার্চ বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে কেন কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, উপস্থিত সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দেননি পুলিশ কর্মকর্তারা। নেতাদের গ্রেফতারের পর বিএনপি কার্যালয়ের প্রতিটি ঘর তছনছ করে ৩ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালিয়েছে। পরে বলছে, দশটি হাতবোমা খুঁজে পেয়েছে তারা। স্থানীয়রা বলেছে, পুলিশই হয়তো সেখানে হাতবোমা রেখে গ্রেফতারের অজুহাত আর মামলার আলামত তৈরি করেছে। ৬ মার্চ বিএনপির মিছিল সমাবেশে হাতবোমা বিস্ফোরণ সম্পর্কে পুলিশ বলেছিল, বিএনপিকে ৭ মার্চ হরতাল ডাকতে উসকানি দেয়ার জন্য জামায়াত-শিবির ওই বোমা ফেলেছে। বিএনপির সন্দেহ, ওই বোমা ফেলেছিল পুলিশের লোক, যারা প্রতিটি হরতালের আগের রাতে পিকেটের নেতাকর্মীদের নিবর্তনমূলক গ্রেফতারের ছুতো তৈরি করতে গাড়ি ভাঙে, বাসে আগুন দেয় অথচ ধরা পড়ে না; কিংবা ছাত্রলীগের লোক, যারা বিএনপির অবরোধ ঠেকাতে সদলবলে তাড়া করে পুলিশের চোখের সামনে বিশ্বজিৎ নামে এক নিরীহ দর্জিকে দিনের আলোয় কুপিয়ে মেরেছিল।
এবার পুলিশ এবং উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপাতে ওস্তাদ ১৪ দলের আওয়ামী নেতারা বলছেন, আরেকটা হরতাল করার জন্য বিএনপি নেতারা নিজেদের লোক দিয়েই নিজেদের সমাবেশে হাতবোমা ফুটিয়েছে। সেই থিওরির পে পুলিশ হাতবোমা আবিষ্কারও করেছে বিএনপি কার্যালয় থেকে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের ওই হামলা আর এত নেতার একসাথে গ্রেফতার পূর্বপরিকল্পিত, নয়া বাকশালতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ল্েয ‘গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেক’ ঠুকতে সরকার হিংসাত্মক দমননীতির পথ বেছে নিয়েছে। ১২ মার্চ সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়ে জোট নেতারা চরমপত্রের ঘোষণা দিয়েছেন, ১৭ মার্চের মধ্যে আটক নেতাদের মুক্তি না দিলে ১৮-১৯ মার্চ দুই দিন লাগাতার হরতাল হবে।
এই অস্থিরতার পরিপ্রেতি রচনা করেছে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধের বিচার। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্কাইপ কেলেঙ্কারির দলিলে যুক্তিগ্রাহ্য কারণ দর্শিয়ে এবং আন্তর্জাতিক আইনবিদ ইউনিয়নের নানা বিরূপ সমালোচনার বলে জামায়াত-শিবির ট্রাইব্যুনাল ভেঙে দেয়া এবং তাদের নেতাদের মুক্তির দাবিতে যে জোরালো আন্দোলন জানুয়ারি থেকেই গড়ে তুলেছে, ওই মাসে গদিনশিন নয়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেই আন্দোলন দমাতে জামায়াত-শিবির কর্মী রাস্তায় দেখলেই ধরার জন্য পাবলিক অ্যারেস্ট বা বেসরকারি গ্রেফতারের আইনি এত্তেলা দিয়েছিলেন, আর পুলিশকে হুকুম দিয়েছিলেন জামায়াত-শিবিরকে কোথাও সমাবেশ করতে বা রাস্তায় দাঁড়াতে না দিতে, প্রয়োজনে গুলি করতে। পুলিশ সে হুকুম বিশ্বস্তভাবে পালন করেছে, জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের ঢালাও গ্রেফতার করে জেল ভরে ফেলেছে, রাস্তায় দেখলেই বেধড়ক পিটিয়েছে, অপ্রয়োজনেই গুলি করেছে। কিন্তু জামায়াত-শিবিরের সাংগঠনিক শক্তি ও অধ্যাবসায় সম্পর্কে হিসাবে ভুল করেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আকস্মিক মিছিল করে আর পাল্টা পুলিশ পিটিয়ে শিবির কর্মীরা সারা দেশে তাদের উপস্থিতি জানান দিয়েছে। সরকারপরে মিডিয়া সেই উপস্থিতিকে ‘জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডব’ আখ্যা দিলেও সেটা যে পদার্থবিদ্যার সূত্র মোতাবেক ‘পুলিশি তাণ্ডব’-এরই ক্রিয়াপ্রতিক্রিয়া, সে কথা আমলে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। জামায়াতের সাথে সহিংসতা রোধে আলোচনায় বসতে পরামর্শ দিয়েছিলেন সরকারকে। সেই পরামর্শকে অযাচিত, অগ্রহণযোগ্য বলে রৈ রৈ করে উঠলেও সরকার এ কথা বুঝেছিল যে, একটা ‘রাজনৈতিক পাল্টা মার’ না দিলে মতাসীন দল শুধু স্বদেশে নয়, বিদেশেও মানরা করতে পারবে না। তা ছাড়া সরকারের মেয়াদের শেষ বছরে নির্বাচনের আগে তার প্রশাসনিক ব্যর্থতা, দুর্নীতি-দুরাচারের কলঙ্ক থেকে দেশবাসীর দৃষ্টি ফেরানোরও একটা মস্তবড় তাগিদ দেখা দিয়েছিল। এ জন্য প্রথম দিকে, সাফল্যের সাথেই বলতে হবে, ৫ ফেব্র“য়ারি জামায়াতের হরতালের মধ্যে যখন জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় হলো, আসামিপ যেমন সেই রায় ‘ন্যায়বিচার হয়নি’ বলে প্রত্যাখ্যান করল, সরকারপও সেই রায় ‘অপরাধের তুলনায় নমনীয় হয়েছে’ বলে ফাঁসির আদেশের জন্য আপিলের সুযোগ চাইলো। আর তলে তলে হরতালের মধ্যেই ‘নির্দলীয়’ লেবাসে তরুণ প্রজন্মের ‘পবিত্র ঘৃণা’-র অভিব্যক্তি হিসেবে ‘কাদের মোল্লার ফাঁসি চাই’, ‘জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করো’ ইত্যাদি দাবিতে নিরাপত্তা বেষ্টনীর ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা হলো শাহবাগ চত্বরের রাজনৈতিক নাট্যমঞ্চ। মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ভাষ্যকারের ভাষায় : “শাহবাগের আন্দোলন মিসরের তাহরির স্কোয়ার অথবা যুক্তরাস্ট্রের ওয়াল স্ট্রিট দখলের আন্দোলনের অবিকল কিছু নয়; বরং উল্টোটাই দেখা গেছে। খাওয়া-দাওয়া, নানা সুযোগ সুবিধা ছাড়াও নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে ২৪ ঘণ্টা। এ থেকে সরকার ফায়দা তুলতে চেয়েছে। কিছুটা পেয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সরকারের জনপ্রিয়তা তলানিতে চলে গিয়েছিল। এ ঘটনায় মানুষ সাময়িককালের জন্য হলেও হলমার্ক, ডেসটিনি, পদ্মা নিয়ে দুর্নীতি ভুলে গেছে। সরকারের সীমাহীন দুর্নীতির কথা মানুষ এখন আলোচনা করছে না। মেইনস্ট্রিম মিডিয়াও একই সুরে কথা বলছে। ক’দিন আগেও যারা সরকারের সমালোচনায় মুখর ছিল; সরকারের প থেকে বলা হয়েছেÑ এসব মিডিয়া আরেকটা ওয়ান-ইলেভেন তৈরি করতে চাচ্ছে, এখন এই মিডিয়া কোরাস গাইছে এক সুরে।
যেভাবেই মূল্যায়ন করুন না কেন, শেখ হাসিনা যে মস্তবড় এক চাল চেলেছেন তা নিয়ে কি কারো মনে সন্দেহ আছে! যদিও কেউ বলছেন, তাদের মনে হয়Ñ বর্তমান ছক ও কৌশল হাসিনা নির্ণয় করেননি। করলে এতটা জগাখিচুড়ি হতো না। তৃতীয় প ঢুকে পয়েন্ট অব নো রিটার্নে নিয়ে গেছে তাকে।
হিসাবে গোলমাল হয়ে গেল সাঈদীর ফাঁসির রায়ের মধ্য দিয়ে। দেশব্যাপী সহিংসতা পড়ল ছড়িয়ে। ৫০ জনের মৃত্যুর সংবাদ এসেছে। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন। পুলিশও মারা গেছে। এখানেই কি শেষ? বিদেশী সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শুরু হলো মাত্র। সিএনএন বলেছে, স্থিতিশীলতার ঝুঁকিতে পড়তে পারে বাংলাদেশ। এক বাক্যে বাংলাদেশের মানুষ সবাই স্বীকার করবেন, থমথমে অবস্থা। বাংলাদেশ স্তব্ধ হয়ে গেছে। ঘরে ঘরে আতঙ্ক ছড়িয়েছেÑ কোন দিকে যাচ্ছে প্রিয় মাতৃভূমি? জামায়াতবিরোধী ধর্মীয় সংগঠনগুলোও মাঠে। ব্লগার রাজীবের ব্লগের লেখা নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বলছেন, একজন নাস্তিককে নিয়ে সরকার কেন মাতামাতি করছে? সরকারপ্রধান কেন সব কিছু না জেনে তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা করলেন?
আতঙ্ক এমন একপর্যায়ে পৌঁছেছে যে, লোকজন মসজিদে যেতেও ভয় পাচ্ছেন। অনেকে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করছেন। বলছেন, তারা কেন জামায়াতকে সমর্থন দিচ্ছে? যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বলে আসছে, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হলে তারা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে। আর তারা যদি আলকায়েদার পথ বেছে নেয়, তখন অশান্ত হবে বাংলাদেশ। তাদের রয়েছে বুদ্ধি ও শিা। তাদের পেছনে টাকার জোগান থাকবে নিরবচ্ছিন্নভাবে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র আগাম সতর্ক করেছে।”
এটা পয়লা মার্চের কথা। এরই মধ্যে শাহবাগ নাট্যমঞ্চের ‘নির্দলীয়’ নায়কদের আসল চেহারা ধরা পড়তে শুরু করেছে। তাদের ব্লগে নিয়মিত ইসলাম ধর্ম আর মহানবী সা:-এর বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার বিষয়টিও ফাঁস হয়েছে। মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির জন্য তৈরী রায় ভারতের প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছা সফরের আগেই প্রকাশের ব্যবস্থা করে শাহবাগ মঞ্চের আনন্দোল্লাসের বর্ণচ্ছটায় ‘কাকাবাবু’ প্রণব মুখার্জিকে হয়তো তাক লাগিয়ে দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবির আহূত পরপর দুই দিনের হরতালের প্রস্তুতিও শাহবাগ নাটকের ঘোরের মধ্যে গণহারে নির্বিচার হত্যা আর জেল-জুলুম দিয়ে দমন করা যাবে বলে সাব্যস্ত করেছিল সরকার বাহাদুর। কিন্তু সেটা ঘটেনি। ওলামা-মাশায়েখদের ধিক্কারে আর ধর্মপ্রাণ দেশবাসীর প্রত্যাখ্যানে শাহবাগ নাট্যমঞ্চের নায়কেরা চুপসে গেছে। আর বিএনপি নেতৃত্বে ১৮ দলীয় জোট জামায়াতের ৩-৪ মার্চ ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার হরতাল এবং বিএনপির ৫ মার্চ হরতাল ঘোষণা করে সরাসরি অবতীর্ণ হয়েছে ব্যর্থ সরকারের পতনের আন্দোলনে। দেশব্যাপী সরকারের ‘গণহত্যা’র ােভ আর হরতালের সম্মান রার দায়ে ভারতের প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাাতে অপারগতা জানালেন সংসদীয় বিরোধী দলনেতা বেগম খালেদা জিয়া। ভারতীয় মিডিয়া এবং পরোভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতিরও আশীর্বাদপুষ্ট হয়েছে শাহবাগের মোমবাতি জ্বেলে রাত্রিজাগরণ, এক রকম ‘গ্রেট ইন্ডিয়ান তামাশা’। কিন্তু ভারতেও উপলব্ধি ঘটেছে, সেটা এ দেশে কাজে আসবে না। ভারতের দি স্টেটসম্যান পত্রিকার সাবেক সম্পাদক সুনন্দ কে দত্ত রায়ের উপদেশ ভারত সরকারের প্রতি:
“ভারত দাবি করে বাংলাদেশে তালেবানীকরণের জন্য ভারতের নিরাপত্তা বিপন্ন হবে অথবা শাহবাগের আন্দোলনের ফসল তাদের পে যাবে। কিন্তু এইসব গলাবাজি করে ভারতের কোনো লাভ হবে না। শেখ হাসিনার প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে, মতায় টিকে থাকা। বাংলাদেশের সব নেতাই ভারতের কাছে গ্রহণযোগ্যতা প্রত্যাশা করেন। কিন্তু দৃশ্যত তারা ভারতের ক্রীড়নকÑ এমন পরিচিতি চান না। উগ্র ধর্মনিরপেতাকে কখনোই কেবল ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে দেখা হবে না, তা দেখা হবে ভারতের জন্য ইসলামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবে। ….
মুজিবকন্যার অনেক বিষয় আছে যা তিনি কখনো ভুলে যেতে পারেন না। তার পিতা-মাতাকে হত্যাকারীদের পাঁচজনকে অপরাধের ৩৫ বছর পর ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যুদ্ধাপরাধে সহায়তাকারীদের যেমন মা করে দিয়েছিলেন, এখনই সময় তার সেই একই রকম পদপে নেয়া। এর মধ্য দিয়ে রক্তস্নাত অতীতের ওপর যবনিকা ঘটানো উচিত। দণি আফ্রিকার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন যেমন নজির স্থাপন করেছে ভবিষ্যৎকে রা করতে অতীতের শত্রুদের সাথে সমঝোতায় পৌঁছে। শাহবাগের আন্দোলনে ভারতের সমর্থন শেখ হাসিনার কাজকেই শুধু জটিল করে তুলবে।
ভারতকে শুধু একটি বিশেষ গোষ্ঠীর নয়, সব বাংলাদেশীর উচিত বন্ধু হিসেবে দেখা। এখন বাঙালি না মুসলিম হবে তাদের পরিচয়Ñ এই সঙ্কটের সমাধান করতে পারেন একমাত্র বাংলাদেশীরাই। ভারতের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হতে পারে সেই বাংলাদেশ, যে বাংলাদেশ পুরনো ত খুঁচিয়ে চলবে না, বরং অতীতের সাথে সমঝোতা করে শান্তির পথে এগিয়ে চলবে।”
লেখক : বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads