শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৩

সর্বব্যাপী সর্বনাশের ঘণ্টা বাজছে


ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী


ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ, শিক্ষা, ইতিহাস-ঐতিহ্য, জাতীয় গৌরব, সর্বত্র সরকার সর্বনাশের ঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে। ফলে অনেক ত্যাগ স্বীকারের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বই আজ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। কিন্তু সবাই যেন আজ এক নীরব দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ। এসব চক্রান্তের বিরুদ্ধে আজ যাদের রুখে দাঁড়ানোর কথা, তারা তরুণসমাজ কিংবা রাষ্ট্রের বুদ্ধিজীবী শ্রেণী। কিন্তু তারা একেবারে চুপ মেরে আছেন। উপযুক্ত শিক্ষার অভাবে তরুণসমাজ অচেতন। তাদের এমন অচেতন করে তোলার আয়োজনও বহু দিনের। সে আয়োজন এখন সাফল্যের পথে। আর উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধিজীবী শ্রেণী যেন আফিমের নেশায় বুঁদ হয়ে পড়ে আছেন। আগে তো দেখেছিলাম মরুভূমির গুল্মের মতো হুটহাট গজিয়ে উঠেছিল এক সুশীলসমাজ। এরা ছিলেন স্বঘোষিত। তাদের দলে নাম লেখানো অন্যদের জন্য অসম্ভব ব্যাপার ছিল। সেখানে মতলব ছিল ভিন্ন। সমাজের কল্যাণ তাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ছিল না। রাষ্ট্রের স্বার্থচিন্তার ভেতরে ছিল না। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের কোনো ভাবনা ছিল না। তাদের মতলব ছিল চারদলীয় জোট সরকার হটিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করে দেশে এক স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করা এবং তার মাধ্যমে ফায়দা হাসিল করে সটকে পড়া। কার্যত তারা করেছিলও তাই।
কোনো দেশের প্রকৃত বুদ্ধিজীবী শ্রেণী এমন মতলব-তাড়িত হতে পারে, এমন নজির বোধকরি কমই পাওয়া যাবে। চারদলীয় জোট সরকারের শেষ দিকে গজায় এই সুশীল শ্রেণী। তাদের মতলব অস্পষ্ট ছিল না। তারা জোট সরকারের বিরুদ্ধে কয়েকটি পত্রিকা আর বিদেশী মতলবিদের ঢালা অর্থে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শুরু করে। তাদের বিবেচনায় রাজনীতিবিদেরা সব চোর। ফলে দেশ থেকে রাজনীতিই উৎখাত করতে হবে। তার বদলে কায়েম করতে হবে তাদের নির্বাচিত ‘সৎ লোকের শাসন’। এ নিয়ে তারা সারা দেশ সফরে বেরিয়ে পড়েছিল। সৎ লোক খুঁজতে শুরু করেছিল। কেমন সৎ লোক? যে লোক তাদের মতো পরজীবী, কোনো রাজনীতির ধার ধারে না, যাদের সমাজের প্রতি দেশের প্রতি কোনো কমিটমেন্ট নেই, তাদের বিবেচনায় সেই সব লোকই ‘সৎ লোকে’র সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্য। সেভাবেই চলছিল। কিন্তু বহু জেলায় তারা ধাওয়া খেয়ে ফিরে আসে ঢাকায়। তাদের সৎ লোকের সন্ধান প্রয়াস তাই খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি। কিন্তু তাদের যে মতলব ছিল সেটা সাময়িকভাবে হাসেল হয়ে যায়। দেশে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করে। আর এই সুশীলেরা চুটিয়ে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে অবিরাম গিবত গাইতে থাকে। তার পুরস্কার হিসেবে সেনা সরকার তাদের দিকে একটু আধটু হাড্ডি ছুড়ে দেয়। আর ওরাও আনন্দে কোঁ কোঁ করতে থাকে।
কিন্তু তাদের আহাদের সামরিক সরকার অচিরেই সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয় এবং সর্বাত্মক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর স্বঘোষিত ওই সুশীলেরা হাল ছেড়ে দিয়ে নিজেরাই ম্যাগটের মতো মিলিয়ে যায়। তারপর থেকেই দেশে ধারাবাহিক স্বৈরশাসন চলছে। রাষ্ট্র ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে। কিন্তু সেই কচ্ছপ সুশীলেরা এখন খোলের ভেতরে মুখ লুকিয়ে নিস্পন্দ পড়ে আছেন। এরা যা চেয়েছিলেন, সেটা অর্জন করা হয়ে গেছে। দেশ থেকে গণতন্ত্র বিতাড়িত করা সম্ভব হয়েছে। আর দেশ ধ্বংসের যে ষড়যন্ত্র তারা করেছিল, তাও সাফল্যের পথে। কী মজা!
তা হলে আর কে থাকে? থাকে এই বৃত্তের বাইরের বুদ্ধিজীবী শ্রেণী। দেখা যাচ্ছে, তারা ফ্যাসিবাদী শাসকদের রুদ্ররোষের ভয়ে কেমন যেন গুটিয়ে আছেন। মাত্র মুষ্টিমেয় কিছু লোক সামান্য প্রতিবাদ তুলতে পারছেন সচেতন মিডিয়ার মাধ্যমে। এটুকুই ভরসা। কিন্তু এরাও সংগঠিত নন। তবু এই সীমিত কণ্ঠস্বর যদি আরো একটু পরিসর বাড়াতে পারে ধীরে ধীরে, সেটাও হবে আশার কথা। তবে লক্ষণীয়, এই যে সীমিত উচ্চারণ, তা অনেকখানি ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ এখানে আশার আলো দেখতে শুরু করেছে। আমরাও আশা করি, এ আলো আরো পরিব্যাপ্ত হয়ে উঠবে।
যে কথা দিয়ে শুরু করেছিলাম, তা হলো সর্বব্যাপী সর্বনাশের দিকে যাচ্ছে দেশ। সরকার সর্বগ্রাসী দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। একের পর এক ঘটছে লুণ্ঠনের ঘটনা। শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি, ভাড়া বিদ্যুৎ কেলেঙ্কারি, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, রেলের বস্তা বস্তা টাকার কেলেঙ্কারি, হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি কেলেঙ্কারির মাধ্যমে সরকার দলের লোকেরা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। কিন্তু এই দুর্নীতির জন্য আজ পর্যন্ত একটি লোকেরও সাজা হয়নি। টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজির মহোৎসব চলছে। সেখানেও সরকার চু বন্ধ করেই আছে। হোক লুট। নিজেদের লোকেরাই তো করছে, করুক। এর সব ক্ষেত্রেই সরকার দুর্নীতিবাজ প্রশ্রয় দিয়েই যাচ্ছে। রেলের কালো বিড়াল সুরঞ্জিৎ সেনগুপ্ত রেলের বস্তা বস্তা টাকা দুর্নীতির দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু দুর্নীতি-বান্ধব সরকার পর দিনই তার মন্ত্রিত্ব ফিরিয়ে দিয়ে জানান দিলো যে, চালিয়ে যাও, চিন্তা করো না। শেয়ারবাজার থেকে সরকারের লোকদের প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠনের একটি তদন্ত করেছিল সরকার। কিন্তু তাতে দোষী সাব্যস্ত লোকদের সরকার জিজ্ঞেস পর্যন্ত করেনি। বরং শেয়ার মার্কেটের ুদ্র বিনিয়োগকারীদের ফটকাবাজ বলে অভিহিত করেছে সরকার। বিনিয়োগকারীদের লাঠিপেটা করেছে। সর্বস্বহারা বিনিয়োগকারীদের কাউকে কাউকে সরকার জেলের ঘানি টানিয়ে এনেছে। কয়েকজন আত্মহত্যা করেছেন। সরকারের হৃদয় কাঁপেনি।
পদ্মা সেতু দুর্নীতিতে অভিযুক্ত যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে বটে, তবে শেষ পর্যন্ত তাকে ডিফেন্ড করে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে। তিনি নিরলস কাজ করে গেছেন, তিনি সাচ্চা দেশপ্রেমিক, এমন সার্টিফিকেট তাকে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সাথে সরকার বিরাট ফ্যাসাদ বাধিয়ে বসেছে। শেখ হাসিনা আবুল হোসেনকে রক্ষার জন্য এমন মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন যে, তিনি বিশ্বব্যাংকের অডিট রিপোর্ট তলব করে বসেছিলেন। এরপর হলমার্ক কেলেঙ্কারি। হলমার্কের তানভীর মাহমুদ সরকারি সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা থেকে এক উপদেষ্টার সহায়তায় আত্মসাৎ করে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা। তানভীর আওয়ামী লীগের লোক। অতএব আত্মসাতের অধিকার তার আছে। আর তাই অর্থমন্ত্রী আবুল মাল প্রায় সাথে সাথে বলে বসলেন যে, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ কোনো ঘটনাই নয়। এটা দেশের অর্থনীতির জন্য কোনো ব্যাপার না। তারপরও তানভীর ও তার স্ত্রীকে লোক দেখানোর জন্য জেলে পোরা হয়। কিন্তু এখন সরকারের সুর বদলেছে। আবুল মাল গত ২৭ মার্চ বলেছেন যে, তানভীর ও তার স্ত্রীকে জামিন দেয়া হবে। জামিনে এসে তারা আবার কারখানায় উৎপাদন শুরু করবে। ফলে তাদের আত্মসাতের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। আর কারখানা চালু করার জন্য তাদের আরো ঋণ দেয়া হবে।
এই না হলে আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী! এর ফলে দুর্নীতির অভিযাত্রা কি ব্যাপক হবে, সে বিষয়ে এই আনাড়ি লোকটার কোনো ধারণা আছে বলে মনে হয় না। হলমার্ক সম্পর্কে এ রকম সিদ্ধান্ত নিলে এ রকম আরো ডজন ডজন চালিয়াত-জালিয়াত সরকারি ব্যাংক থেকে আরো হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নেবে। সরকার সে টাকার গন্তব্য খুঁজবে না। হলমার্ক যে এই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তুলে নিলো, সে টাকা গেল কোথায়? হুন্ডির মাধ্যমে কি বিদেশে পাচার হয়ে গেছে? সেটি কিন্তু সরকার অনুসন্ধান করতে চাইছে না। আবুল মালের ধারণা গেলে গেছে। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোনো ব্যাপারই না। এখন কোনো দুর্মুখ যদি প্রশ্ন করে, হদিসবিহীন টাকা কি তবে আবুল মালের কোনো দেশী-বিদেশী অ্যাকাউন্টে জমা হয়ে গেছে? তাহলে মাল সাহেব তার কী জবাব দেবেন? প্রথম থেকেই তিনি হলমার্কের প্রতি বড় বেশি দুর্বল ছিলেন। এখন তার ভালোবাসা ছলাৎ ছলাৎ করে রঙিন পেয়ালা উপচে বাইরে পড়ে যাচ্ছে।
এই হলো সরকার। যত খুশি দুর্নীতি করো। সরকারের সাথে সুসম্পর্ক রাখো। আর কিছুই ভাবার দরকার নেই। তা শত কোটি, হাজার কোটি টাকা হলেও না। হাজার হাজার কোটি টাকা হলেও না। এমন আজব অর্থমন্ত্রী পৃথিবীতে মেলা ভার। দুর্নীতিকে এভাবে আপন করে নেয়া এবং যৌক্তিক ভিত্তির ওপর দাঁড় করানোর ঘটনা সম্ভবত পৃথিবীর ইতিহাসে আর কখনো ঘটেনি।
এখানে থামতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু ধিকস্য ধিক বলার আরো অনেক কাণ্ড এই সরকার করেছে। আর তা হলো, এ দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ইতিহাস ভুলিয়ে দিয়েছে। ঐতিহ্য-সংস্কৃতি ভুলিয়ে দিয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে তারা যা লিখেছে, তা মুখে উচ্চারণও করা যায় না। কিন্তু তার বিবরণ পত্রপত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সেখানে ষষ্ঠ বা অষ্টম শ্রেণীর কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য যেসব বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে তাতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ও লেখকদের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক নির্লজ্জ দীনতা মুখ ব্যাদান করে বেরিয়ে এসেছে। এরা কারাÑ সে প্রশ্ন এখন সমাজে উচ্চারিত হচ্ছে। এই সরকার সম্ভবত বাংলাদেশের একটি পরিশীলিত সমাজকে আইয়্যামে জাহিলিয়াতের যুগে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করছে।
সরকার পাঠ্যপুস্তকে যা করেছে, তা নিভৃতই ছিল। কিন্তু সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় তার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি। কিন্তু আমি জানি না, সরকারের আট গাড়ি দাবড়ানো এই শিক্ষামন্ত্রীর ছেলেপুলে বা নাতি নাতকুর আছে কি না। এরা যদি ব্লুফিল্ম, পর্নোগ্রাফি, বীর্যপাত, রজঃপ্রবাহ, এসব বিষয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করে তবে তিনি ঠিক ঠিক জবাব দিতে পারবেন বলে মনে হয় না। সরকারের পানিসম্পদ মন্ত্রী জনৈক রমেশচন্দ্র সেন ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ প্রসঙ্গে বলেছিলেন, ভারত আগে বাঁধ দিক। তারপর দেখা যাবে বাংলাদেশের কী ক্ষতি হয় বা না হয়। তারপর প্রতিবাদ করা হবে কি না হবে ভেবে দেখা যাবে। তখন সাবেক পানিসম্পদ সচিব আসাফউদৌল্লাহ বলেছিলেন, ওকে মন্ত্রিসভা থেকে বের করে দেয়া উচিত। শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সম্পর্কে যদি একই কথা কেউ বলে তবে কি তা খুব বেশি দোষের হবে?
এমনি আরো অসংখ্য সর্বনাশের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটেই চলেছে। এই সরকার মাত্র কয়েক দিনে ১৭০ জন মানুষকে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড আমাদের ভিয়েতনামের মাইলাই হত্যাকাণ্ডকে স্মরণ করিয়ে দেয়। ১৭০ জন মানুষকে গুলি করে হত্যার ঘটনাকে বিরোধীদলীয় নেত্রী গণহত্যা বলে অভিহিত করেছেন। শুধু তিনি কেন, আমরাও বলি, এটা গণহত্যাই। কিন্তু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ বুক বরাবর গুলি করার অধিকার রাখে।
অতএব এখন সর্বগ্রাসী, সর্বনাশী সঙ্কটের মধ্যে বাংলাদেশ। কোথায়ও আশার আলো নেই। কোথায়ও ন্যায়বিচারের ব্যবস্থা নেই। যে বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমদ মানিক বাংলাদেশের জাতীয় সংসদকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন, যাকে ইমপিচ করার জন্য স্পিকার রাষ্ট্রপতির কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, তাকেও সরকার আপিল বিভাগের বিচারপতি নিয়োগ করেছেন আর ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হলো এই যে, অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে আবদুল হামিদ অ্যাডভোকেট বিচারপতি শামসুদ্দিন আহমদ চৌধুরী মানিককে আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন। এসব বিবেচনায় নিয়েই আমরা বলছি যে, দেশে এখন সর্বব্যাপী সর্বনাশের ঘণ্টা বাজছে। এই সর্বনাশ থেকে পরিত্রাণের ব্যবস্থা নাগরিকদেরই করতে হবে সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে। এর কোনো বিকল্প আছে বলে মনে হয় না।
লেখক : সাংবাদিক ও সাহিত্যিক

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads