শনিবার, ১ জুন, ২০১৩

অনেকেই ‘গোকুলে বাড়িছে’

আমরা জানি, হায়াত, মউত, রিজিক, দৌলত মহান আল্লাহ তায়ালার নির্ধারিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকবার সে কথা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা জন বুঝে ধন দেন। মহান আল্লাহ শেখ হাসিনাকে গ্যাসের ওপর নাকি ভাসিয়ে দিয়েছেন। হঠাৎ নির্বাচনের আগে গ্যাসের ওপর শেখ হাসিনাকে আল্লাহ তায়ালা কেন ভাসিয়ে দিলেন, সেটি চিন্তার বিষয়। চার বছর ধরে শুনে এলাম, গ্যাসের মহাসঙ্কট চলছে। সেই অজুহাতে তিনি এই চার বছর বাসাবাড়িতেও নতুন করে গ্যাস সংযোগ বন্ধ রেখেছেন। বাসাবাড়িতে গ্যাস ছিল না। সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাস ছিল না। দেয়ার মতো এখনো যথেষ্ট গ্যাস নেই। আর গ্যাস নেই বলে আমরা পত্রপত্রিকায় রিপোর্টে দেখেছি, গ্যাসের চুলার পাশে মানুষ মাটির চুলায় রান্নাবান্না শুরু করেছে। অনেকে চুলার বদলে এলপি গ্যাস অর্থাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন। সরকারের এ সিদ্ধান্তে গ্যাস কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় রমরমা হয়েছে। তারা রাতারাতি সিলিন্ডার গ্যাসের দাম দ্বিগুণ করে ফেলেছে। ফলে তিতাসের সাড়ে চার শ টাকার গ্যাস পাঁচ হাজার টাকায় কিনতে মধ্যবিত্তের উঠে গেছে নাভিশ্বাস।

এই যে সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো অবস্থা তৈরি করা হলো, তার পেছনে সরকারি শীর্ষস্থানীয় লোকদের দুর্নীতি এখন সর্বজন আলোচিত বিষয়। এত দিনে এসে সরকার বলছে, বাসাবাড়িতে গ্যাস দেয়া হবে। কিন্তু গাড়িতে, বাসে বা সিএনজিতে গ্যাস সরবরাহের জন্য গ্যাস স্টেশনগুলো এখনো দিনে পাঁচ দিন বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ কারণে সেখানে গাড়ির দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। প্রতিটি গাড়ির আধাঘণ্টা থেকে পৌনে এক ঘণ্টা লাগছে গ্যাস স্টেশনে পৌঁছাতে। এ সময় লাখ লাখ যানবাহনের কোটি কোটি টাকার গ্যাস শুধু লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতেই অপচয় হচ্ছে। এর পরও দীর্ঘ লাইন পেরিয়ে অনেকে গিয়ে দেখতে পান গ্যাস স্টেশন দড়ি আর নোটিশ টাঙিয়ে বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতই যদি গ্যাসের ওপর ভাসতে থাকেন, তা হলে ২৪ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহের যে ঘোষণা দিয়ে সিএনজি স্টেশনগুলো চালু করা হয়েছে, সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না কেন? জনসাধারণের এসব প্রশ্নের জবাব মিলছে না। আর ধন পাওয়া জন হিসেবে এ সরকার কেন গ্যাস ও পেট্রলের দাম বাড়িয়ে এমন আকাশছোঁয়া  করে দিলো? এটিও জনগণের পকেট কাটা ছাড়া আর কিছু নয়। ফলে প্রধানমন্ত্রী ধন পেয়েছেন এ কথা বিশ্বাস করতে চান না কেউ।
বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহে শুরু হলে ডেভেলপাররা খুশিতে আটখানা হয়ে উঠবে। তারা ফ্যাট ক্রয়কারীদের বলতে পারবে যে, আর কটা দিন সবুর করেন, শেখ হাসিনা রসুন বুনেছেন। যদি ছলে-বলে-কৌশলে আগামী নির্বাচনে জেতা যায়, তা হলে জনগণকে বলতে পারবেন আর কটা দিন সবুর করো, রসুন বুনেছি; গ্যাস এলো বলে। তখন পুরনো কৌশল অব্যাহত থাকবে বলে সাধারণ মানুষ আশঙ্কা করছে। এখন সরকার যা বলে তার কোনো কিছুই আর জনগণ বিশ্বাস করে না। বরং তার উল্টোটাই ঘটবে বলে মনে করে। গ্যাস আসবে এ খবর শুনে ফ্যাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের মনে বিপুল আশার সঞ্চার হয়েছে এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। সে রকম লণও দেখা যাচ্ছে না। ডেভেলপারদের চুক্তির শর্তে নিশ্চয়ই গ্যাস সুবিধার কথা উল্লেখ ছিল। গ্যাস সংযোগ প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় বহু ডেভেলপারকে বাড়ি মালিকদের থাকার জন্য বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে। এতে তাদের লোকসানের পরিমাণ বাড়ছে। এ আশার ভিত্তিতে সিলিন্ডার কাঁধে নিয়ে কেউ বাসাবাড়িতে উঠতে চাচ্ছে না। সুতরাং এখানেও সুখবর নেই।
একই সঙ্কটে পড়েছেন দেশের শিল্প-বণিকেরা। তারা দাবি করছেন, তাদের ৫ পারসেন্ট ইন্টারেস্টে ব্যাংক ঋণ দিতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক সে রকম ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কোনো ব্যাংকই তা মেনে নেয়নি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটি মেনে নেয়া বলতে গেলে অসম্ভব ব্যাপার। কারণ এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের পুরো মূলধনই আমানতকারী তুলে নিয়ে যেত। এতে প্রতিটি ব্যাংক দেউলিয়া হতে বাধ্য হতো। বিনিয়োগ শূন্যের কোঠায় পৌঁছাত। কর্মসংস্থানও নেমে যেত অনেক। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিরও ভয়াবহ অবনতি ঘটত। সরকার এমনিতেই বাংলাদেশকে সম্পূর্ণরূপে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তার ওপরে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চরমে পৌঁছলে খুনি আর লুটেরাদের দেশ বলে পরিগণিত হবে।
আওয়ামী নেতা সোহেল রানার ভবন রানা প্লাজা ধসে বারো শতাধিক মানুষের প্রাণহানি সরকার প্রথমে ঢোঁক গিলে এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সেই দিন হরতালকারীরা ভবনের পিলার ও কলাপসিবল গেট ধরে নাড়াচাড়া করেছিল বলেই ভবনটি ধসে পড়ে। অথচ সর্বজনবিদিত ঘটনা এই যে, সেই দিন রানা প্লাজায় হরতালবিরোধী মিছিল বের করার জন্য সোহেল রানা আওয়ামী এমপি মুরাদ জংয়ের প্রতিনিধি হয়ে সেখানে তার লোকজন জড়ো করে হাজির হয়েছিলেন। মিছিলের জন্য দা, কিরিচ, পিস্তল, বন্দুকÑ সবই রানা প্লাজার নিচতলায় সংরতি ছিল। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অস্ত্র বা হত্যা মামলা করা হয়েছিল বলে শোনা যায়নি। জানা যায়, তার বিরুদ্ধে এমন মামলা দায়ের করা হয়েছে, যাতে তার মাত্র চার-পাঁচ বছরের সাজা হয়। যার অবহেলায় বারো শতাধিক নিরীহ, দরিদ্র, কর্মজীবী মানুষের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়, তার সাজা হবে মাত্র তিন থেকে চার বছর। কারণ সে একজন যুবলীগ নেতা।
এসবের কী যে সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া, সেটি ধারণা করার সামর্থ্যও বর্তমান সরকারের নেই। এক একটি লাশ যখন এক একটি গ্রামে গিয়ে পৌঁছেছে কোনো গ্রামের মানুষ আর কিছু না করতে পারলেও এই সরকারের প্রতি সর্বাত্মক অভিসম্পাত বর্ষণ করেছে। সেখানে কী হোটেল-ব্যাংক অব্যাহত আছে? নাকি তার ভোল্ট ভেঙে গুঁড়িয়ে চুরমার হয়ে গেছে?
এরপর আছে পুলিশের বেপরোয়া চাঁদাবাজি। পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা কখনো পুলিশের পোশাকে, কখনো ডিবি লেখা, মুজিব কোট পরে মধ্য রাতে গ্রামগঞ্জে হাজির হচ্ছেন। তার পর নিরীহ মানুষকে দেখিলে চিনিবর বিবেচনায় নির্বিচারে থানায় এনে নির্যাতন করছেন। তাদের আত্মীয়স্বজনকে খবর দেয়া হয়, পাঁচ লাখ টাকা না হলে একে ক্রসফায়ারে হত্যা করা হবে। গ্রামের নিরীহ সাধারণ মানুষ হঠাৎ করেই কোথায় পাঁচ লাখ টাকা পাবেন? তখন তারা থানায় এসে যাকে পান তার হাতে-পায়ে ধরতে থাকেন। যার যা আছে, ৫০ হাজার থেকে দু-তিন লাখে রফা হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষ কতকাল মুখ বুজে সহ্য করবে? না, তারা তা করে না। এই জনপদের মানুষ আজীবন পরস্পরের বিপদে আপদে যূথবদ্ধভাবে লড়াই করে শত্রকে হটিয়ে দিয়েছে। এটি আমাদের দেশের হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য। এখনো পল্লী অঞ্চলে যেসব গ্রাম বন্যায় ডুবে যায়, সেখানে ডাকাত প্রতিরোধ কমিটি গড়ে ওঠে। তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করে। এ জন্যই হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের সমাজ যূথবদ্ধ থাকতে থাকতে একটি জাতিতে পরিণত হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্রে যুদ্ধ করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা বাংলাদেশী তারাই।
তাই দেখা যাচ্ছে, সম্প্রতি বিভিন্ন অঞ্চলে এ চাঁদাবাজির জন্য যখন পুলিশ বা পুলিশের পোশাকধারীরা মধ্য রাতে হানা দিতে যায়, তখন রক্তের সম্পর্কের চেতনায় গ্রামের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিরোধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে মানুষ এমনই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তথাকথিত আসামি ধরতে গিয়েছিলেন তারা ওই গ্রামে। ওই এলাকা থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, বর্তমানে নিগৃহীত বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী। আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী, কিছু পুলিশ ও শ খানেক মোটরসাইকেল আরোহী ক্যাডার ওই গ্রামে আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এসেছে শুনে গ্রামের নারী-পুরুষ নির্বিশেষে চার দিক থেকে পুরো বাহিনীকে ঘেরাও করে ফেলে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, যাকে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সব সময় রাজাকার বলে অভিহিত করে আসছেন, তিনি জামায়াত-শিবিরের জুুজুর ভয়ে চরম আতঙ্কিত। ফলে কোথায় কোনো ঘটনা ঘটলেই তিনি বলতে শুরু করেন, এটি জামায়াত-শিবিরের কাজ। যেন ওই গ্রামের সব লোকই জামায়াতের সদস্য। ধারণা করি, ওই গ্রামে বিএনপি-জামায়াত যেমন আছে, তেমনি আওয়ামী লীগও আছে। কিন্তু কেউই পুলিশের পে অবস্থান নেননি। সবাই একযোগে বলেছেন, পুলিশ সেখানে নির্বিচারে গ্রেফতারবাণিজ্য চালিয়ে আসছিল। সে কারণে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী একযোগে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হয়েছেন। পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ ছিল যে, পুলিশ সেখানে এক রাউন্ড গুলি ছোড়ারও সাহস পায়নি। মাস্তান বাহিনীর শত শত মোটরসাইকেল গ্রামবাসী জ্বালিয়ে দিয়েছেন। গাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছেন আরো ডজনখানেক। এমপি হতে আগ্রহী আওয়ামী নেতা নিজের গাড়ি ফেলে পুলিশের গাড়িতে আশ্রয় নেন। সেই গাড়ি ঊর্ধ্বশ্বাসে বেরিয়ে যায়। তা থেকে পড়ে যায় একজন আওয়ামী ক্যাডার। তাকে প্রাণ দিতে হয়।
এর আগে একই ঘটনা ঘটেছিল আড়িয়াল বিলে। সরকার ওই বিল এলাকা দখলে নিয়ে অকারণে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু সব শক্তি নিয়েও সেখান থেকে সরকারকে পিছু হটতে হয়েছে গ্রামবাসীর সর্বাত্মক প্রতিরোধে। তাতে কোনো গ্রামবাসী প্রাণ না হারালেও কয়েকজন পুলিশের প্রাণ গেছে। সরকারকে বুঝতে হবে, জনতার প্রতিরোধ এমনই।
এরপর হেফাজতে ইসলাম। তাদের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি ছিল গত ৫ মে। তারা নিরীহ-সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষ, যারা ইসলাম রার জন্য ঢাকায় এই নিরস্ত্র ও শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল। বাংলাদেশের মিডিয়ার বেশির ভাগই সেই ঘটনা সম্পূর্ণরূপে চেপে যাওয়ার চেষ্টা করে। বরং অভিযোগ আছে, জনৈক আওয়ামী অঙ্গসংগঠন নেতার নেতৃত্বে বায়তুল মোকাররম বইয়ের দোকান পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, যার মধ্যে কুরআন শরিফও ছিল; এর দায় হেফাজতের ওপর চাপিয়ে  প্রচার করতে থাকে। যে হেফাজতে ইসলাম কুরআন-হাদিস, আল্লাহর রাসূল সা:-এর ইজ্জত রার জন্য ঢাকায় এসে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল, সরকার তাদের ২৪ ঘণ্টাও সহ্য করেনি। দেড় লাখ গুলি, হাজার হাজার সাউন্ড গ্রেনেড, আরো সব অস্ত্রের হামলায় মধ্য রাতে হেফাজত কর্মীদের অনেককেই হত্যা করেছে। হেফাজত দাবি করেছে, সে রাতে তাদের তিন হাজার কর্মী-সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। সরকার বলেছে, হতাহতের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা বলেছে, তিন হাজার লোক কমপে খুন হয়েছেন এবং এই পুরো ঘটনার ভিডিওচিত্র তাদের কাছে আছে।
এ ছাড়াও সরকার বিএনপি-জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে খুন করেছে, গুম করেছে। লাখ লাখ নেতাকর্মীকে কারাগারে পুরেছে। এর মধ্যে শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীরাও আছেন। জামায়াতকে কিছুটা খামোশ করে দেয়া হয়েছে। তার শীর্ষস্থানীয় নেতাদের প্রায় সবাই কারাগারে। কেউ যুদ্ধাপরাধে, কেউ গাড়িতে আগুন দেয়ায়, কেউ উসকানি দেয়াÑ এমন অজুহাত সেখানে প্রাধান্য পেয়েছে।
উপরন্তু বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সতর্ক করে দিয়েছে, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারকে একটি সিদ্ধান্তে উপনীত হতেই হবে। কিন্তু মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক রকম নিষিদ্ধ। মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারিও প্রধানমন্ত্রীর সাাৎকার পাননি। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসঙ্ঘÑ সবাই এখন ঢাকামুখী, ২০০৭ সালেও যেমন তারা অধিকমাত্রায় ঢাকামুখী ছিল।
সত্যি সত্যি সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে। সরকার টেরই পাচ্ছে না যে, কোন গোকুলে কে বেড়ে উঠছে?

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads