রাজনীতিতে সিদ্ধান্তহীনতা অচল সঠিক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারলে, রাজনীতিবিদদের চরম মূল্য দিতে হয়। আর রাজনীতিবিদদের জন্য ‘জেল’ হচ্ছে পরম সৌভাগ্যের। সত্য কথা বলতে ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে এবং ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে যদি কোনো রাজনীতিবিদকে জেলে যেতে হয়, তাহলে সেই জেল অবশ্যই সৌভাগ্যের। ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এই উপমহাদেশে বড় বড় রাজনীতিবিদ ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে গিয়ে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ‘জেলে’ কাটিয়েছেন।
কোন কাজটি আজ, এই মুহূর্তে করতে হবে, কোনটার জন্য করতে হবে অপেক্ষা—সেটি উপলব্ধি করাও রাজনীতিতে জরুরি। উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ওঠে, তখনই নেতৃত্ব প্রকাশ করার সময়। এই সময় নেতৃত্বের আত্মগোপন রাজনীতিতে অবধারিত পরাজয় ডেকে আনে। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিতে পারেন, তারাই নেতৃত্বের কঠিন পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন; ইতিহাস তাদের গলায় নেতৃত্বের মালা পরায়।
একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে দেশের চলমান রাজনীতি। জাতীয় নেতাদের পাইকারি হারে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করার নগ্ন কৌশল দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণ দুর্বল করতে চাচ্ছে, যাতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা কোনো কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের গত সাড়ে তিন বছর মেয়াদে বিরোধী জোট প্রায় ১৪টি হরতাল করেছে। এই হরতালগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, হরতালগুলো ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ। হরতালে ককটেল ফোটেনি সচিবালয়ের অভ্যন্তরে, গাড়ি পোড়ানো হয়নি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে! কিন্তু গত রোববারের হরতালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ মোট ৭১ শীর্ষ নেতাকে আসামি করে, যা ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিস্মিত হওয়ার মতো ঘটনা; কেননা এর আগে এত শীর্ষ নেতাকে আসামি করে মামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনও ঘটেনি! গত ৪০ বছরেও কোনো রাজনৈতিক দলের মহাসচিবকে মামলায় জড়ানো হয়নি।
ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতার বাসায় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়!
কথায় বলে, নিজের সম্মান বা মর্যাদা না থাকলে অন্যকেও সম্মানিত করা যায় না; সরকারের ইজ্জত-সম্মানবোধ থাকলে, এ ধরনের ন্যক্কারজনক আচরণ প্রতিপক্ষ শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ওপর করার আগে তারা অন্তত শতবার চিন্তা করত।
তবে সরকারের এই আচরণ বিরোধী দলের জন্য হতে পারত ‘সাপের’, যদি তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে তাত্ক্ষণিক ‘কারাবরণ’ করত। তারপর দেখা যেত সরকার কোথায় যায়, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়; সরকারের ভেতর ‘লেজে-গোবরে’ অবস্থার সৃষ্টি হতো, শেষ পর্যন্ত সরকার চরম বেকায়দায় নিপতিত হতো। যে গর্ত তারা অন্যের জন্য খুঁড়েছিল, সেই গর্তে তারা নিজেই পড়ে মরত। কিন্তু বিরোধী রাজনীতিবিদরা এই সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাননি। এজন্য তারা এখন উল্টো বেকায়দায় পড়েছেন। তারা এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা তাদের মধ্যে কাজ করছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। কেননা এ অবস্থায় আন্দোলনের গতি ধরে রেখে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তোলা বিরোধী জোটের জন্য নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ!
সরকার আন্দোলন দমাতে চূড়ান্ত কৌশল হিসাবে ন্যক্কারজনকভাবে মামলার আশ্রয় নিয়েছে। এখানে তাদের জন্য একটা যুক্তি আছে। মানুষ শেষ রক্ষার জন্য অনেক কিছুই করে। কিন্তু বিরোধী দলের মামলার ভয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। কেননা দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট তাদের পক্ষে। কোনো পিকেটিং ছাড়া একের পর এক সফল হরতাল তার প্রমাণ! আত্মগোপনে যাওয়াতে আওয়ামী লীগ নেতারা বলার সুযোগ পেয়েছেন, ‘মাত্র দুই মামলাতেই আন্দোলন ঠাণ্ডা।’
আন্দোলনের গতিকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে জেলে যাওয়ার কৌশলই ছিল সরকারকে উল্টো বেকায়দায় ফেলার কৌশল। এটি ছিল তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, এই কৌশল অবলম্বন করলে আন্দোলনও আরও চাঙ্গা হতো, নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেত, মানুষের সেন্টিমেন্ট পক্ষে থাকত—সর্বোপরি সরকারের ভাবমূর্তিও দেশের বাইরে-ভেতরে মারাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন হতো।
আওয়ামী লীগ সময়-সুযোগ বুঝে রাজনীতিতে
অভিনব কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। একটার পর একটা ইস্যু তারা তৈরি করে রাজনীতিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। তাতে সাময়িকভাবে হলেও তারা
উপকৃত হয়। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যু ও মাধ্যমে রাজনীতিকে চরম বিপদগ্রস্ত করে তাদের শেষ রক্ষা হবে বলে মনে হয় না।
আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিবাদী দলের কাছ থেকে কোনো রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে হলে দলটিকে রাজনৈতিক চাপে না ফেলে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চুল পরিমাণ ছাড়ও শাসকদল বিএনপিকে দিচ্ছে না! উল্টো হামলা-মামলা, গুম-গ্রেফতার করে এবং বিভিন্ন নন-ইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে সারাক্ষণ বিএনপিকে তটস্থ ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছে শাসকদল। বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়েও বাঁচতে পারছেন না! বাঁচতে পারছেন না জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও! এ অবস্থায় ‘কারা বরণ’ করে সরকারকে বড় ধরনের নৈতিক চাপে ফেলাই হবে সঠিক রাজনৈতিক কৌশল। এই চাপের প্রয়োগের রাস্তা শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করে সরকার নিজেই তৈরি করে দিয়েছে। এতে সরকারের একটা চরম শিক্ষা হবে, তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হবে। নয়তো এমন কাজ তারা ভবিষ্যতে আরও করতে পারে।
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
কোন কাজটি আজ, এই মুহূর্তে করতে হবে, কোনটার জন্য করতে হবে অপেক্ষা—সেটি উপলব্ধি করাও রাজনীতিতে জরুরি। উত্তেজনা যখন তুঙ্গে ওঠে, তখনই নেতৃত্ব প্রকাশ করার সময়। এই সময় নেতৃত্বের আত্মগোপন রাজনীতিতে অবধারিত পরাজয় ডেকে আনে। প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে যারা নেতৃত্ব দিতে পারেন, তারাই নেতৃত্বের কঠিন পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হন; ইতিহাস তাদের গলায় নেতৃত্বের মালা পরায়।
একটি কঠিন সময় অতিক্রম করছে দেশের চলমান রাজনীতি। জাতীয় নেতাদের পাইকারি হারে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করার নগ্ন কৌশল দেশের বিরাজমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার দমন-পীড়ন চালিয়ে বিরোধী দলকে সম্পূর্ণ দুর্বল করতে চাচ্ছে, যাতে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে তারা কোনো কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের গত সাড়ে তিন বছর মেয়াদে বিরোধী জোট প্রায় ১৪টি হরতাল করেছে। এই হরতালগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো, হরতালগুলো ছিল স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ। হরতালে ককটেল ফোটেনি সচিবালয়ের অভ্যন্তরে, গাড়ি পোড়ানো হয়নি প্রধানমন্ত্রীর অফিসের সামনে! কিন্তু গত রোববারের হরতালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে পৃথক দুটি মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ মোট ৭১ শীর্ষ নেতাকে আসামি করে, যা ছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিস্মিত হওয়ার মতো ঘটনা; কেননা এর আগে এত শীর্ষ নেতাকে আসামি করে মামলা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কখনও ঘটেনি! গত ৪০ বছরেও কোনো রাজনৈতিক দলের মহাসচিবকে মামলায় জড়ানো হয়নি।
ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি, মির্জা ফখরুলসহ বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ নেতার বাসায় পুলিশ তল্লাশি অভিযান চালায়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে রীতিমত তোলপাড় সৃষ্টি হয়!
কথায় বলে, নিজের সম্মান বা মর্যাদা না থাকলে অন্যকেও সম্মানিত করা যায় না; সরকারের ইজ্জত-সম্মানবোধ থাকলে, এ ধরনের ন্যক্কারজনক আচরণ প্রতিপক্ষ শীর্ষ রাজনীতিবিদদের ওপর করার আগে তারা অন্তত শতবার চিন্তা করত।
তবে সরকারের এই আচরণ বিরোধী দলের জন্য হতে পারত ‘সাপের’, যদি তারা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়ে তাত্ক্ষণিক ‘কারাবরণ’ করত। তারপর দেখা যেত সরকার কোথায় যায়, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেয়; সরকারের ভেতর ‘লেজে-গোবরে’ অবস্থার সৃষ্টি হতো, শেষ পর্যন্ত সরকার চরম বেকায়দায় নিপতিত হতো। যে গর্ত তারা অন্যের জন্য খুঁড়েছিল, সেই গর্তে তারা নিজেই পড়ে মরত। কিন্তু বিরোধী রাজনীতিবিদরা এই সুবর্ণ সুযোগটি কাজে লাগাননি। এজন্য তারা এখন উল্টো বেকায়দায় পড়েছেন। তারা এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছেন না। এক ধরনের সিদ্ধান্তহীনতা তাদের মধ্যে কাজ করছে, যা বর্তমান পরিস্থিতির জন্য কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। কেননা এ অবস্থায় আন্দোলনের গতি ধরে রেখে রাজনৈতিক ফসল ঘরে তোলা বিরোধী জোটের জন্য নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জ!
সরকার আন্দোলন দমাতে চূড়ান্ত কৌশল হিসাবে ন্যক্কারজনকভাবে মামলার আশ্রয় নিয়েছে। এখানে তাদের জন্য একটা যুক্তি আছে। মানুষ শেষ রক্ষার জন্য অনেক কিছুই করে। কিন্তু বিরোধী দলের মামলার ভয়ে আত্মগোপনে যাওয়ার কোনো যুক্তি নেই। কেননা দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট তাদের পক্ষে। কোনো পিকেটিং ছাড়া একের পর এক সফল হরতাল তার প্রমাণ! আত্মগোপনে যাওয়াতে আওয়ামী লীগ নেতারা বলার সুযোগ পেয়েছেন, ‘মাত্র দুই মামলাতেই আন্দোলন ঠাণ্ডা।’
আন্দোলনের গতিকে একটি যৌক্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে জেলে যাওয়ার কৌশলই ছিল সরকারকে উল্টো বেকায়দায় ফেলার কৌশল। এটি ছিল তাত্ক্ষণিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার, এই কৌশল অবলম্বন করলে আন্দোলনও আরও চাঙ্গা হতো, নেতাকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি পেত, মানুষের সেন্টিমেন্ট পক্ষে থাকত—সর্বোপরি সরকারের ভাবমূর্তিও দেশের বাইরে-ভেতরে মারাত্মক প্রশ্নের সম্মুখীন হতো।
আওয়ামী লীগ সময়-সুযোগ বুঝে রাজনীতিতে
অভিনব কৌশল প্রয়োগ করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা অব্যাহত রাখে। একটার পর একটা ইস্যু তারা তৈরি করে রাজনীতিকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। তাতে সাময়িকভাবে হলেও তারা
উপকৃত হয়। কিন্তু বিভিন্ন ইস্যু ও মাধ্যমে রাজনীতিকে চরম বিপদগ্রস্ত করে তাদের শেষ রক্ষা হবে বলে মনে হয় না।
আওয়ামী লীগের মতো একটি ফ্যাসিবাদী দলের কাছ থেকে কোনো রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে হলে দলটিকে রাজনৈতিক চাপে না ফেলে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চুল পরিমাণ ছাড়ও শাসকদল বিএনপিকে দিচ্ছে না! উল্টো হামলা-মামলা, গুম-গ্রেফতার করে এবং বিভিন্ন নন-ইস্যুকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে সারাক্ষণ বিএনপিকে তটস্থ ও প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রেখেছে শাসকদল। বিএনপির নেতাকর্মীরা পালিয়েও বাঁচতে পারছেন না! বাঁচতে পারছেন না জোটের অন্যান্য দলের নেতাকর্মীরাও! এ অবস্থায় ‘কারা বরণ’ করে সরকারকে বড় ধরনের নৈতিক চাপে ফেলাই হবে সঠিক রাজনৈতিক কৌশল। এই চাপের প্রয়োগের রাস্তা শীর্ষ নেতাদের নামে মামলা করে সরকার নিজেই তৈরি করে দিয়েছে। এতে সরকারের একটা চরম শিক্ষা হবে, তারা ব্যাপক সমালোচনার মুখোমুখি হবে। নয়তো এমন কাজ তারা ভবিষ্যতে আরও করতে পারে।
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন