গণতান্ত্রিক এই দেশ। এছাড়া এই দেশের জনগণ বরাবরই অধিকার আদায়ে সংগ্রামী ও আপোষহীন। নিজেদের অধিকার অর্থাৎ মায়ের ভাষা রক্ষার্থে এই জাতি যে ত্যাগ ও আত্মহুতি দিয়েছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা অত্যন্ত বিরল একটি ঘটনা যা অন্য কোন জাতির বেলায় ঘটেছে বলে মনে হয় না। যদি ও আমাদের মাতৃভাষা রক্ষার ঘটনা প্রবাহ বেদনা বিদুর লোমহর্ষক। তবে একথা আজ বিশ্ববুকে স্পষ্ট যে, আমাদের ভাষা শহীদদের রক্ত বৃথায় যায়নি। যার বাস্তব প্রমাণ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কারন আমাদের মায়ের ভাষার ব্যঞ্জনার ধ্বনি আর আউল বাউলের একতারার সুর ও দোলের বাহারি ঢং অতি সহজেই বিশ্ববাসীর উজার করা ভালবাসা আর ভাললাগার সুগম পথ তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে। যার ফলে আজ বাংলা ভাষা বিশ্ববাসীর নান্দনিক উচ্চারণ। তবে দুঃখজনক হলে ধ্র“ব তারার মত সত্য যে, কালের পরিক্রমায় জাতি ভুলে যাচ্ছে ৭১ এর রক্তে ঝরা শহীদদের আত্মত্যাগের কথা। তবে এমনটি কথা ছিল না কারণ বিশ্ববুকে শির উচু করে দাড়াতে জাতিকে অনেক ত্যাগ ও আত্মহুতি দিতে হয়েছিল।
ভাবনার অন্ত নেই।মাত্র নয় মাসে কিভাবে সেদিন জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পেরেছিল। তার পেছনে কিন্তু একটি মাত্র কারণই ছিল। যা-ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। তা হল ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও সর্বস্তরে জনতার অংশ গ্রহণ ও গঠনমূলক নেতৃত্ব। তবে নানান চড়াউ উৎরাই পিরিয়ে আমাদের স্বাধীনতার আজ প্রায় ৪১ বছর। এরই মধ্যে বেশ কিছু সরকার এলো আর গেল। কিন্তু সাধারণ জনগোষ্ঠির ভাগ্যের পরিবর্তন না হলে ও কিন্তু বারং বার দেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে। এতে কিন্তু সাধারণ জনতার লাভ না হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব লাভ হচ্ছে। যারা পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কোন সরকারই আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলেনি। যখনই যে দল ক্ষমতায় আসছে সে দলের নেতা কর্মীদের পকেট ভারী হচ্ছে। এমনটি যদি হয় একটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলেন তো সাধারণ জনগণ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।
নির্বাচন আসলেই রাজনৈতিক দলগুলো মজার মজার স্লোগান তৈরী করে সাধারণ জনতার ভোট নিয়ে সরকার গঠন করেন। কিন্তু নির্বাচন পরে তাদের প্রতিশ্র“তি ভুলে যান। ফলে সাধারণ জনগণ বরাবরই তিলে তিলে জ্বলে পুড়ে ছাই হচ্ছেন। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে খুব চমকপ্রদ প্রতিশ্র“তি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে চলমান সরকারের তিন বছর পাঁচ মাসেও নির্বাচনী প্রতিশ্র“তির একটি ওয়াদা পুরোন করতে পারেনি। ফলে চলমান সরকার বিরোধী দল ও সাধারণ জনতার রোষানলে দারুন ইমেজ সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে চলমান সরকার দৈনন্দিন বাজার নিয়ন্ত্রণ শেয়ার কেলেংকারী ও মন্ত্রী এমপিদের দূর্নীতির জন্য বার বার সমালোচনা ও ইমেজ সংকটে ভুগছেন। অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলার অবনতি গোম, হত্যা, খুন, রাহাজানি নিয়ন্ত্রণে দারুন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন সরকার। ফলে বিরোধী দলগুলো নিয়মিত রাজপথে মিটিং মিছিল ও অবরোধ করছেন। এই জন্য সাধারণ জনতা পড়ছে চরম বিপাকে।
আমরা যদি চলমান সরকারের তিন বছর ৫ মাসের শাসন আমল জরিপ করি তাহলে দেখা যায় তাদের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী। কারণ এই মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসতে না আসতে দেশে ঘটে গেল করুন ট্র্যাজেডি বিডিআর বিদ্রোহ এছাড়া ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ বছর কাটিয়ে গেল। নির্বাচিত সরকার হিসাবে চলমান সরকার তাদের কোন প্রকার জবাবদিহিতার আইনানুগ বিহিত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অত:পর দেশে ঘটে গেল বিষাক্ত ১/১১। প্রশ্নবিদ্ধ হলো গণতন্ত্রের ৪১ বছরের ইতিহাস। শুধু নাম বদল আর দিন বদলের কথা বলে বলে সাধারণ জনগণের ধোকা দিয়ে চলেছে। ইত্যাদি নানান অজু হাতে আমজনতা বর্তমান চড়া বাজারের কড়া মাশুল দিয়ে তিলে তিলে জলে পুড়ে ছাই হচ্ছে। অন্যদিকে গোম, হত্যা এতটা বেড়েছে যে, সাধারণ জনতার জীবনের কোন গ্যারান্টি সরকার দিতে পারছেনা। মোট কথায় চলমান মহাজোট সরকার আহামারি তেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি ফলে সমালোচিত হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। অপর দিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ব্যর্থ। যদিও সরকার শিকার করছেনা তবে জনগণের চোখে তা স্পষ্ট চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে নচেত মাশুল দেবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। তার দুই দিনের সফর ছিল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সংক্ষিপ্ত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, নাগরিক সমাজ ও তরুণদের সাথে কথা বলেছেন। জানা গেছে, তার এই সফরে সুশাসন ও নাগরিক সমাজ নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশে টেকসই গণতন্ত্র ও সকল পক্ষের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সকল সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছেন। তবে তার এ সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশে সুশাসন ও টেকসই গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি মার্কিন সরকারের পর্যালোচনায় এসেছে। তাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ সফরে বাংলাদেশের সুশাসন, টেকসই গণতন্ত্র ও আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে গেছেন।
কিন্তু বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে। তাই দেশের প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলেছে তারা তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি দেশের নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীরাও আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে পত্রিকান্তরে জানা গেছে, সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের সংলাপে আগ্রহী নয়।
আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার যদি সংলাপের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের উদ্যোগ না নেয় তাহলে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট আরো জটিলতর হবে। তাই সরকারকে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করে দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা বিশেষ প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই এ ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে । আমরা আশা করি, সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সকলের সাথে সংলাপ করে গ্রহণযোগ্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করবে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এ কামনা করি।
ভাবনার অন্ত নেই।মাত্র নয় মাসে কিভাবে সেদিন জাতি স্বাধীনতার সুফল ভোগ করতে পেরেছিল। তার পেছনে কিন্তু একটি মাত্র কারণই ছিল। যা-ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়। তা হল ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও সর্বস্তরে জনতার অংশ গ্রহণ ও গঠনমূলক নেতৃত্ব। তবে নানান চড়াউ উৎরাই পিরিয়ে আমাদের স্বাধীনতার আজ প্রায় ৪১ বছর। এরই মধ্যে বেশ কিছু সরকার এলো আর গেল। কিন্তু সাধারণ জনগোষ্ঠির ভাগ্যের পরিবর্তন না হলে ও কিন্তু বারং বার দেশের সংবিধান পরিবর্তন হচ্ছে। এতে কিন্তু সাধারণ জনতার লাভ না হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর নিজস্ব লাভ হচ্ছে। যারা পর্যায়ক্রমে ক্ষমতায় আসছে। কিন্তু হতদরিদ্র জনগোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য কোন সরকারই আন্তরিকভাবে কাজ করছে বলে ইতিহাসে প্রমাণ মিলেনি। যখনই যে দল ক্ষমতায় আসছে সে দলের নেতা কর্মীদের পকেট ভারী হচ্ছে। এমনটি যদি হয় একটি দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলেন তো সাধারণ জনগণ কোথায় গিয়ে দাড়াবে।
নির্বাচন আসলেই রাজনৈতিক দলগুলো মজার মজার স্লোগান তৈরী করে সাধারণ জনতার ভোট নিয়ে সরকার গঠন করেন। কিন্তু নির্বাচন পরে তাদের প্রতিশ্র“তি ভুলে যান। ফলে সাধারণ জনগণ বরাবরই তিলে তিলে জ্বলে পুড়ে ছাই হচ্ছেন। বর্তমান মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পূর্বে খুব চমকপ্রদ প্রতিশ্র“তি দিয়ে ছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে চলমান সরকারের তিন বছর পাঁচ মাসেও নির্বাচনী প্রতিশ্র“তির একটি ওয়াদা পুরোন করতে পারেনি। ফলে চলমান সরকার বিরোধী দল ও সাধারণ জনতার রোষানলে দারুন ইমেজ সংকটে পড়েছেন। বিশেষ করে চলমান সরকার দৈনন্দিন বাজার নিয়ন্ত্রণ শেয়ার কেলেংকারী ও মন্ত্রী এমপিদের দূর্নীতির জন্য বার বার সমালোচনা ও ইমেজ সংকটে ভুগছেন। অন্যদিকে আইন শৃঙ্খলার অবনতি গোম, হত্যা, খুন, রাহাজানি নিয়ন্ত্রণে দারুন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন সরকার। ফলে বিরোধী দলগুলো নিয়মিত রাজপথে মিটিং মিছিল ও অবরোধ করছেন। এই জন্য সাধারণ জনতা পড়ছে চরম বিপাকে।
আমরা যদি চলমান সরকারের তিন বছর ৫ মাসের শাসন আমল জরিপ করি তাহলে দেখা যায় তাদের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার পাল্লা ভারী। কারণ এই মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসতে না আসতে দেশে ঘটে গেল করুন ট্র্যাজেডি বিডিআর বিদ্রোহ এছাড়া ৯০ দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৩ বছর কাটিয়ে গেল। নির্বাচিত সরকার হিসাবে চলমান সরকার তাদের কোন প্রকার জবাবদিহিতার আইনানুগ বিহিত ব্যবস্থা নিতে পারেনি। অত:পর দেশে ঘটে গেল বিষাক্ত ১/১১। প্রশ্নবিদ্ধ হলো গণতন্ত্রের ৪১ বছরের ইতিহাস। শুধু নাম বদল আর দিন বদলের কথা বলে বলে সাধারণ জনগণের ধোকা দিয়ে চলেছে। ইত্যাদি নানান অজু হাতে আমজনতা বর্তমান চড়া বাজারের কড়া মাশুল দিয়ে তিলে তিলে জলে পুড়ে ছাই হচ্ছে। অন্যদিকে গোম, হত্যা এতটা বেড়েছে যে, সাধারণ জনতার জীবনের কোন গ্যারান্টি সরকার দিতে পারছেনা। মোট কথায় চলমান মহাজোট সরকার আহামারি তেমন কোন উন্নয়নমূলক কাজ করতে পারেনি ফলে সমালোচিত হচ্ছে ব্যাপক ভাবে। অপর দিকে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ব্যর্থ। যদিও সরকার শিকার করছেনা তবে জনগণের চোখে তা স্পষ্ট চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে নচেত মাশুল দেবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটন বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। তার দুই দিনের সফর ছিল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এ সংক্ষিপ্ত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়াও প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, নাগরিক সমাজ ও তরুণদের সাথে কথা বলেছেন। জানা গেছে, তার এই সফরে সুশাসন ও নাগরিক সমাজ নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে গেছেন। তিনি বাংলাদেশে টেকসই গণতন্ত্র ও সকল পক্ষের অংশগ্রহণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং সকল সমস্যা সংলাপের মাধ্যমে সমাধানের কথা বলেছেন। তবে তার এ সফরে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা।
বাংলাদেশে সুশাসন ও টেকসই গণতন্ত্রের অনুপস্থিতি মার্কিন সরকারের পর্যালোচনায় এসেছে। তাই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার এ সফরে বাংলাদেশের সুশাসন, টেকসই গণতন্ত্র ও আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে গেছেন।
কিন্তু বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি বাতিল করে দিয়েছে। তাই দেশের প্রধান বিরোধী দলসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বলেছে তারা তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া কোনো দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি দেশের নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীরাও আগামী নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনঃপ্রবর্তনের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে পত্রিকান্তরে জানা গেছে, সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতি পুনর্বহালের সংলাপে আগ্রহী নয়।
আমরা মনে করি, বর্তমান সরকার যদি সংলাপের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের উদ্যোগ না নেয় তাহলে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট আরো জটিলতর হবে। তাই সরকারকে সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ করে দেশে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করা বিশেষ প্রয়োজন। কারণ বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বাংলাদেশের নাগরিক সমাজ একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই এ ধরনের পরামর্শ দিচ্ছে । আমরা আশা করি, সরকার দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সকলের সাথে সংলাপ করে গ্রহণযোগ্য একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করবে। সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, এ কামনা করি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন