by Abdul Aziz on Tuesday, 29 May 2012 at 05:57 ·
এনেছিলে সাথে করে মৃত্যহীন প্রান মরনে তাই তোমি করে গেলে দান।
জিয়াউর রহমান জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারী, বগুড়া জেলার বাগবাড়ী গ্রামে৷ পিতা মনসুর রহমান ও মাতা জাহানারা খাতুন৷ মনসুর রহমান ছিলেন রসায়নবিদ, মাতা জাহানারা খাতুন ছিলেন গৃহিণী এবং রেডিও পাকিস্তানের প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী৷ জিয়াউর রহমানের ডাক নাম কমল৷ মনসুর রহমান-জাহানারা খাতুন দম্পত্তির পাঁচ পুত্রের মধ্যে জিয়াউর রহমান ছিলেন দ্বিতীয়৷ অন্যান্যরা হলেন- রেজাউর রহমান (বকুল), মিজানুর রহমান, খলিলুর রহমান (বাবলু), আহমদ কামাল (বিলু) ৷
শৈশবের একটা বড় সময় জিয়াউর রহমানের কেটেছে কলকাতার পার্ক সার্কাসে৷ সেখানে তিনি প্রায় বার বছর ছিলেন৷ চার বছর বয়সে তাঁর প্রাথমিক শিা শুরু হয় পার্ক সার্কাসের আমিন আলী এভিনিউতে অবস্থিত শিশু বিদ্যাপীঠে৷ এক বছর ওই স্কুলে পড়ার পর বিশ্বযুদ্ধের কারণে জিয়াউর রহমানের পরিবারকে কলকাতা ছেড়ে বগুড়ার গ্রামের বাড়িতে চলে আসতে হয়।এই সময় তিনি বাগবাড়ী বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এই স্কুলে তিনি বছর দু'য়েকের মতো পড়াশুনা করেন৷ পরে বাবা-মায়ের একান্ত ইচ্ছায় তিনি ১৯৪৪ সালে পুনরায় কলকাতায় চলে যান৷ ওই বছরই কলকাতার কলেজ স্ট্রীটের হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন৷ জিয়াউর রহমানের বড়ভাই রেজাউর রহমানও একই স্কুলে পড়তেন, দুই কাস উপরে৷ সেসময় তাঁদের বাবা মনসুর রহমান কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কলকাতার মিনিস্ট্রি অব সাপ্লাইড এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর অধীনে টেস্ট হাউজে (টেস্টিং ল্যাবরেটরি) রসায়নবিদ হিসেবে কর্মরত ছিলেন৷ মনসুর রহমান ১৯২৮ সাল থেকেই এই সংস্থায় কাজ করতেন।
ভারতবর্ষের রাজনৈতিক অঙ্গনে তখন বৃটিশ বিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে৷ দেশ বিভাগের পথে৷ ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগ হলে মনসুর রহমান পরিবার নিয়ে করাচি চলে যান৷ থাকতেন জ্যাকব লাইনে৷কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যবিত্ত বাঙালি মুসলমানের 'পাকিস্তান' প্রীতি কাটতে খুব বেশি সময় লাগল না৷ 'মুসলমান-মুসলমান ভাই ভাই' বলে যে বুলি চালু করা হয়েছিল তা আসলে পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক পূর্ব পাকিস্তানের শোষণের ভীতকে শক্তিশালী করারই একটা মোম অস্ত্র ছিল৷ এটা বাঙালি বুঝে ফেলে যে, এই অস্ত্র দিয়েই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী প্রথম আঘাত করে বাঙালির মাতৃভাষা বাংলার উপর৷
মনসুর রহমানের পরিবার করাচি অবস্থানকালেই জিয়াউর রহমান ১৯৪৮ সালের ১ জুলাই ভর্তি হলেন করাচি একাডেমী স্কুলে৷ যার বর্তমান নাম তাইয়েব আলী আলভী একাডেমী৷ ১৯৫২ সালে এই একাডেমী স্কুল থেকেই তিনি মেট্রিক পাশ করেন৷ পরে ভর্তি হন ডি.জে. কলেজে৷ এই কলেজে একবছর পড়ার পর ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসাবে যোগ দেন৷ ১৯৫৫ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে কমিশন পান৷ এ সময় তিনি অত্যন্ত কষ্টকর ও ধীরবুদ্ধি সম্পন্ন কমান্ডো ট্রেনিং গ্রহণ করেন৷ ১৯৫৭ সালে জিয়াউর রহমান ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগ দেন৷ ১৯৫৯ সালে তিনি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন৷ ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত অত্যন্ত সততার সাথে তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৬৫ সালে শুরু হয় পাক-ভারত যুদ্ধ৷ এই যুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান ফাস্ট ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি ব্যাটালিয়নের কোম্পানী কমান্ডার হয়ে সামরিক যুদ্ধে অংশ নেন৷ তিনি তাঁর কোম্পানী নিয়ে লাহোরের খেমকারান সেক্টরে সরাসরি শত্রুর মোকাবেলা করেন৷ তাঁর এই কোম্পানীর নাম ছিল 'আলফা কোম্পানী'৷ পাক-ভারত যুদ্ধে অসাধারণ বীরত্বের জন্য 'আলফা কোম্পানী' ব্যাটালিয়নের সর্বোচ্চ পুরস্কার লাভ করে৷ রনাঙ্গণে তাঁর এই বীরত্বের জন্য তাঁকে ১৯৬৬ সালের জানুয়ারী মাসে পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে একজন প্রশিকের দায়িত্বভার দিয়ে পাকিস্তান সামরিক একাডেমীতে পাঠানো হয়৷ দীর্ঘদিন প্রশিকের দায়িত্ব পালন করার পর ১৯৬৯ সালের এপ্রিল মাসে পূর্ব পাকিস্তানের জয়দেবপুর সাব-ক্যান্টনমেন্টের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসাবে তিনি নিযুক্ত হন।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীতে পশ্চিম পাকিস্তানি অফিসার ও বাঙালি অফিসারদের বৈষম্য কারোরই চোখ এড়ায়নি৷ বাঙালি অফিসাররা পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে সব সময়ই অবহেলিত; শোষণ-বঞ্চনার শিকার হতেন তারা৷ জিয়াউর রহমান যখন জয়দেবপুর সাব-ক্যান্টনমেন্টে বদলি হয়ে এলেন সেই ব্যাট্যালিয়নের কমান্ডিং অফিসার ছিলেন লে. কর্নেল আব্দুর কাইয়ুম নামে একজন পশ্চিম পাকিস্তানি৷ তিনি ছিলেন প্রচন্ড বাঙালি বিরোধী৷ 'বাঙালিরা সব সময়ই নীচে ও পদদলিত হয়ে থাকবে'-এটাই ছিল তার নীতি৷ ময়মনসিংহের একটি সমাবেশ লে. কর্নেল আব্দুর কাইয়ুম একদিন সে কথা প্রকাশও করে ফেলেন৷ তিনি বলেন, 'বাঙালিরা দিনে দিনে বড় বাড়াবাড়ি করছে৷ এখনো যদি তারা সংযত না হয় তাহলে সামরিক বাহিনীর সত্যিকার ও নির্মম শাসন এখানে দেখানো হবে৷ তাতে ঘটবে প্রচুর রক্তপাত৷' লে. কর্নেল আব্দুর কাইয়ুমের এই বক্তব্যে জিয়াউর রহমান খুব মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ হন। ১৯৬৯ সালেই জিয়াউর রহমান চারমাসের জন্য উচ্চতর সামরিক প্রশিণের জন্য জার্মানীতে যান।
এদিকে পূর্ব পাকিস্তান জুড়ে গোটা ষাটের দশক উত্তাল রাজনৈতিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে৷ '৬২-র শিক্ষা আন্দোলন, '৬৪-র শ্রমিক আন্দোলন, '৬৬-র ছয় দফা, ছাত্র সমাজের এগার দফা নানা দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ পরিপুষ্ট হয়ে পড়েছে৷ কেউ কেউ স্বায়ত্তশাসনের দাবি বাদ দিয়ে সরাসরি স্বাধীনতার দাবিই উত্থাপন করেন৷ পাকিস্তানের দণ্ডমুণ্ডের কর্তা তখন ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খান৷ তার 'মৌলিক গণতন্ত্রে' এসব 'স্বায়ত্তশাসন' বা 'স্বাধীনতা'র কোনো স্থান নেই৷ পূর্ব পাকিস্তানের জেলখানাগুলো ভরে উঠতে থাকে স্বাধীনতাকামী রাজনৈতিক বন্দিদের আটকের কারণে৷ অন্যদিকে রাজপথেও জ্বলতে থাকে আগুন৷ পাকিস্তানি সামরিক জান্তার নির্মম বুলেটে রাজপথে ঝাঁঝরা হয়ে পড়ে থাকে অগণিত ছাত্র-যুবক-শ্রমিক-পেশাজীবীসহ সাধারণ মানুষের লাশ৷ তবু পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিরা দমবার পাত্র নয়৷ তারা ধীর পায়ে এগিয়ে চলে স্বাধীনতার দিকে৷
জার্মানী থেকে ফিরে আসার পর পরই ১৯৭০ সালের শেষের দিকে জিয়াউর রহমানকে চট্টগ্রামে বদলি করে দেয়া হয়৷ তখন সেখানে সবেমাত্র অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট খোলা হচ্ছিল৷ সেই রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের দায়িত্ব পান তিনি৷ চট্টগ্রামের ষোলশহর বাজারে ছিল অষ্টম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঘাঁটি৷ রেজিমেন্টের কমান্ডার ছিলেন পশ্চিম পাকিস্তানি লে. কর্নেল জানজোয়া৷
১৯৭১ সালের ২৫ ও ২৬ মার্চের মধ্যবর্তী সময়ে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বিদ্রোহ ঘোষণা করে৷ এবং বাংলাদেশের পতাকা সমুন্নত রাখে৷ বিদ্রোহের পর জিয়াউর রহমানের অনুসারি লে. কর্নেল হারুন আহমদ চৌধুরী ২৬ মার্চ রাত সাড়ে তিনটার একটি ঘটনার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, 'আমি যখন চট্টগ্রাম শহর থেকে ৭/৮ মাইল দূরে ছিলাম তখন দেখলাম বেঙ্গল রেজিমেন্টের কয়েকজন সৈন্য পটিয়ার দিকে দৌড়াচ্ছে৷ তাদেরকে জিজ্ঞাসা করে জানলাম- পাক বাহিনী আক্রমণ করেছে এবং মেজর জিয়া সহ ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট বিদ্রোহ করেছে৷ তাঁরা পটিয়াতে একত্রিত হবে৷ আমি আরো কিছুদূর অগ্রসর হলে মেজর জিয়ার সাাত পাই৷' তিনি বললেন, 'আমরা ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট পটিয়ায় একত্রিত হবো, তারপর শহরে এসে আবার পাল্টা আক্রমণ চালাব৷ তিনি আমাকে তাঁর সঙ্গে থাকতে বললেন৷ আমি মেজর জিয়ার সঙ্গে থেকে গেলাম এবং পরবর্তীতে তাঁর কমান্ডে কাজ করি৷'
স্বাধীনতা যুদ্ধ ও দেশ গড়ায় জিয়ার অবদান
১৯৭১-এর ২৫ মার্চ রাতে শেখ মুজিবের গ্রেফতারের সময় সারা বাংলায় চলছিল অকথ্য নির্যাতন, অবর্ণনীয় অত্যাচার, সীমাহীন ধ্বংসলীলা ও হত্যাযজ্ঞ। এই চরম বিভীষিকাময় মুহূর্তে নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষ নেতৃত্বের প্রত্যাশা করছিল। সেই সময় কোনো রাজনৈতিক নেতৃত্ব তাদের সামনে দৃশ্যমান ছিল না, যার মাধ্যমে ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ ভরসা পেতে পারে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আকস্মিক আক্রমণে যে যেখানে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মানুষ সুশৃঙ্খল পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরোধ করার মানসিক শক্তি ও সাহস পাচ্ছিল না। প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজন সামরিক উপকরণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনার।
একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীকে মোকাবিলা করতে দরকার অন্য একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর, দরকার অস্ত্রশস্ত্র ও প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ, দরকার মানসিক শক্তি ও সাহসের—সবগুলো সমন্বয় হলেই একটি যু্দ্ধ করার প্রশ্ন আসে, তৈরি হয় যুদ্ধের পরিবেশ। ঠিক এমনই এক সন্ধিক্ষণে মেজর জিয়া জীবন বাজি রেখে, সপক্ষ ত্যাগ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিদ্রোহ করেন, ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা, শুরু হয় গেরিলা যুদ্ধ।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোর বেলা, সদ্য স্থাপিত চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রের উদ্যোক্তা বেলাল মোহাম্মদ ও তার সঙ্গীরা বেতার কেন্দ্রের নিরাপত্তা চান তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের ক্যাপ্টেন (পরে মেজর) রফিকুল ইসলামের কাছে; কিন্তু তিনি কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেননি। পরদিন বেলাল ও তার বন্ধুরা জানতে পান চট্টগ্রামের পটিয়াতে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা বিদ্রোহ করে অবস্থান নিয়েছে, তাদের অধিপতির নাম মেজর জিয়া; বেলাল ও তার সঙ্গীরা ছুটে জান জিয়ার কাছে।
১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ তার ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা—জিয়াকে খ্যাতির শীর্ষে উঠিয়ে দেয়। জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা ছিল সাহসিকতাপূর্ণ ও সুচিন্তিত প্রচেষ্টার ফসল। জিয়ার ঘোষণা দেয়ার সময় চট্টগ্রামবাসী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খোঁজ পেয়ে যায়। তাছাড়া জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা ভারত কর্তৃক সারা দুনিয়ায় সম্প্রচারিত হয়। এভাবে মেজর জিয়া সর্বত্র এক আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হন।
জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার হয়ে এই সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিদ্রোহ করে একদিক দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছেন, অন্যদিকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি সব অফিসার ও জোয়ানের মনোবল বৃদ্ধি করেছেন। এভাবেই জিয়া একটি সুসজ্জিত সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিরোধ ক্ষেত্র প্রস্তুত করেন। একটি পৃথক রাষ্ট্র তৈরির জন্য আলাদা সেনাবাহিনীর কাঠামো তৈরি হয় এখান থেকেই। এটিই ছিল একটি পৃথক রাষ্ট্র তৈরির জন্য মুক্তিযুদ্ধ শুরুর অত্যন্ত কঠিন ধাপ। জিয়া এই ধাপ অতিক্রম করতে স্বেচ্ছায় দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন, শুরু হয় সর্বব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ। দেশের স্বাধীনতা ঘোষণার গৌরব জিয়াকে মহিমান্বিত করে রাখবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে জিয়া একজন কিংবদন্তির নায়ক হয়ে থাকবেন। জিয়ার সৈনিক জীবনের এসব তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসেও অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বহু দলীয় গনতন্ত্রের প্রবক্তা আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার শহীদ রাস্টপতি জিয়াউর রহমানের ৩১তম শাহাদত বার্ষিকীতে
জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা করি..................আমীন।
২৯/০৫/২০১২
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন