পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তে আস্থা রাখতে পারছে না জাপান। তারা এই তদন্তকে আইওয়াশ বা লোকদেখানো হিসেবে বিবেচনা করছে।
নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে জাপান দূতাবাসের একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এ মন্তব্য করেন। দুদক পদ্মা সেতুর দরপত্র প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকসহ চারটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাথে চুক্তি করে। এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি ডলার, জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে। প্রকল্পের ঋণদাতাদের সমন্বয়কারীর বিশ্বব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় চুক্তি সইকারী অন্যান্য সংস্থাও পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের জন্য কানাডীয় একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে বিশ্বব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বাংলাদেশ। এমওইউ অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ন্যূনতম ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগে এই সেতু নির্মাণ করবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টোল আদায় করে সেতুর মালিকানা বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে। কনসোর্টিয়াম ঋণের উচ্চ সুদের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ : পদ্মা সেতুতে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর অর্থায়নের বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদা। বাংলাদেশে দুই দিনের সফর শেষে গতকাল হজরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন ওকাদা।
পদ্মা সেতুর অর্থায়নে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করে ওকাদা বলেন, জাপান এককভাবে এ সেতুর অর্থায়ন করতে পারবে না। অন্যান্য দাতা সাথে নিয়ে অর্থায়নে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসানে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে আলাপ করতে পারে জাপান। তিনি বলেন, জাপানের অর্থায়নে মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওকাদা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে বিষয়টি বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে।
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করা গেলে বাংলাদেশে জাপানের প্রচুর বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের ‘পরিশ্রমী’ আখ্যায়িত করে ওকাদা বলেন, বাংলাদেশ হীরকখণ্ডের মতো সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তবে এই হীরকে যথাযথ পদ্ধতিতে দ্যুতি আনতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাথে প্রাতরাশ : সকালে এফবিসিসিআইয়ের সাথে এক প্রাতরাশ বৈঠকে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক বাধাগুলো ধারাবাহিকভাবে অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। জাপানের বিনিয়োগকারীরা এ দেশের প্রতি আগ্রহী। এই বিনিয়োগ আকর্ষণে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বাংলাদেশ থেকে জাপানে তৈরী পোশাক ছাড়াও অন্যান্য পণ্য রফতানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি জাপানি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আশুলিয়ায় টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শন : এরপর ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় জাপানি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত একটি টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শন করেন ওকাদা। এ সময় বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার পাশাপাশি প্রশাসনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম অন্তরায় বলে ওকাদাকে জানান জাপানি বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ সফরকালে ওকাদা প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সাথে সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
আশুলিয়ায় একটি তৈরী পোশাক কারখানা পরিদর্শন
আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে টঙ্গাবাড়ী এলাকায় জাপানি মালিকানাধীন মাটসুকা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি তৈরী পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াসিরু ছিনতু, কারখানার পরিচালক নরি উকি মাটসুকা এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কারখানাটির বিভিন্ন ফোর ঘুরে ঘুরে দেখেন।
জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ : বাসস জানায়, জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা বাংলাদেশে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিদায় কালে তিনি বাংলাদেশে জাপানের বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিদায়ের প্রাক্কালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের অনেক করপোরেশন বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসায় করছে এবং আরো অনেক কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের স্বল্পতা এবং আরো কিছু সমস্যার কারণে জাপানের বৃহত্তর বিনিয়োগ পিছিয়ে আছে।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে ওকাদাকে বিদায় জানান। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা উপস্থিত ছিলেন
নয়া দিগন্তের সাথে আলাপকালে জাপান দূতাবাসের একজন ঊর্ধ্বতন কূটনীতিক এ মন্তব্য করেন। দুদক পদ্মা সেতুর দরপত্র প্রক্রিয়ায় কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে প্রতিবেদন দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২৯০ কোটি ডলার ব্যয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্বব্যাংকসহ চারটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার সাথে চুক্তি করে। এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ১২০ কোটি ডলার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি ডলার, জাপানের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা জাইকা ৪০ কোটি ডলার এবং ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্বব্যাংক প্রকল্পে অর্থায়ন স্থগিত করে। প্রকল্পের ঋণদাতাদের সমন্বয়কারীর বিশ্বব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় চুক্তি সইকারী অন্যান্য সংস্থাও পিছিয়ে যায়। সর্বশেষ পদ্মা সেতু প্রকল্পে অনিয়মের জন্য কানাডীয় একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে এটিকে কালো তালিকাভুক্ত করে বিশ্বব্যাংক। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদ্মা সেতু নির্মাণে মালয়েশিয়ার সাথে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে বাংলাদেশ। এমওইউ অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন কোম্পানির সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়াম ন্যূনতম ২৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগে এই সেতু নির্মাণ করবে। এরপর একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত টোল আদায় করে সেতুর মালিকানা বাংলাদেশকে হস্তান্তর করা হবে। কনসোর্টিয়াম ঋণের উচ্চ সুদের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা।
জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ : পদ্মা সেতুতে দাতা দেশ ও সংস্থাগুলোর অর্থায়নের বিষয়টি বিশ্বব্যাংকের সাথে আলোচনা করে সমাধানের পরামর্শ দিয়েছেন জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুইয়া ওকাদা। বাংলাদেশে দুই দিনের সফর শেষে গতকাল হজরত শাহজালাল রহ: আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কিছু সমস্যা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন ওকাদা।
পদ্মা সেতুর অর্থায়নে জাপান প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে মন্তব্য করে ওকাদা বলেন, জাপান এককভাবে এ সেতুর অর্থায়ন করতে পারবে না। অন্যান্য দাতা সাথে নিয়ে অর্থায়নে সৃষ্ট অচলাবস্থার অবসানে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে বিশ্বব্যাংকের উচ্চপর্যায়ে আলাপ করতে পারে জাপান। তিনি বলেন, জাপানের অর্থায়নে মেট্রো রেল প্রকল্প বাস্তবায়নে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলীর গুম হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওকাদা বলেন, বাংলাদেশে মানবাধিকার বিষয়ে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে বিষয়টি বাংলাদেশকে অভ্যন্তরীণভাবেই সমাধান করতে হবে।
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান করা গেলে বাংলাদেশে জাপানের প্রচুর বিনিয়োগ সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের শ্রমিকদের ‘পরিশ্রমী’ আখ্যায়িত করে ওকাদা বলেন, বাংলাদেশ হীরকখণ্ডের মতো সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তবে এই হীরকে যথাযথ পদ্ধতিতে দ্যুতি আনতে হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সাথে প্রাতরাশ : সকালে এফবিসিসিআইয়ের সাথে এক প্রাতরাশ বৈঠকে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্যিক বাধাগুলো ধারাবাহিকভাবে অপসারণের উদ্যোগ নেয়া হবে। জাপানের বিনিয়োগকারীরা এ দেশের প্রতি আগ্রহী। এই বিনিয়োগ আকর্ষণে গ্যাস, বিদ্যুৎসহ অন্যান্য অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ বাংলাদেশ থেকে জাপানে তৈরী পোশাক ছাড়াও অন্যান্য পণ্য রফতানির ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার অনুরোধ জানান। তিনি জাপানি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের সম্ভাব্য ক্ষেত্রে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আশুলিয়ায় টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শন : এরপর ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় জাপানি বিনিয়োগে প্রতিষ্ঠিত একটি টেক্সটাইল কারখানা পরিদর্শন করেন ওকাদা। এ সময় বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সাথে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার পাশাপাশি প্রশাসনের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা বাংলাদেশে বিনিয়োগের অন্যতম অন্তরায় বলে ওকাদাকে জানান জাপানি বিনিয়োগকারীরা।
বাংলাদেশ সফরকালে ওকাদা প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার সাথে সাক্ষাৎ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন।
আশুলিয়ায় একটি তৈরী পোশাক কারখানা পরিদর্শন
আশুলিয়া (ঢাকা) সংবাদদাতা জানান, গতকাল সকালে টঙ্গাবাড়ী এলাকায় জাপানি মালিকানাধীন মাটসুকা অ্যাপারেলস লিমিটেড নামে একটি তৈরী পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ সফররত জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সোয়া ৯টায় জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কারখানাটি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়াসিরু ছিনতু, কারখানার পরিচালক নরি উকি মাটসুকা এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কারখানাটির বিভিন্ন ফোর ঘুরে ঘুরে দেখেন।
জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ : বাসস জানায়, জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী কাতসুয়া ওকাদা বাংলাদেশে দুই দিনের সরকারি সফর শেষে গতকাল শুক্রবার বিকেলে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। বিদায় কালে তিনি বাংলাদেশে জাপানের বৃহত্তর বিনিয়োগের জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে বিদায়ের প্রাক্কালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাপানের উপপ্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপানের অনেক করপোরেশন বর্তমানে বাংলাদেশে ব্যবসায় করছে এবং আরো অনেক কোম্পানি বিনিয়োগের আগ্রহ দেখাচ্ছে। গ্যাস ও বিদ্যুতের স্বল্পতা এবং আরো কিছু সমস্যার কারণে জাপানের বৃহত্তর বিনিয়োগ পিছিয়ে আছে।
খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বিমানবন্দরে ওকাদাকে বিদায় জানান। এ সময় অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত শিরো সাদোশিমা উপস্থিত ছিলেন
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন