বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে গণমামলা, গ্রেফতারি পরোয়ানা ও জামিন না দেয়ার ঘটনাকে ঘিরে গত ক’দিন ধরে নিম্ন আদালতে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ইতিহাসে বিরোধী দলের এত বিপুলসংখ্যক নেতার বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ও জামিন নামঞ্জুরের ঘটনা ঘটেনি। এ দেশে গত ৪১ বছরে বহু হরতাল হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু একটি গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিরোধী দলের শীর্ষপর্যায়ের প্রায় অর্ধশত নেতাকে জেলে ঢোকানোর মতো ঘটনার কোনো নজির নেই।
হরতাল শেষে রাতের বেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কিভাবে গাড়িতে আগুন লাগল কিংবা কে বা কারা আগুন লাগাল তার হদিস কিন্তু পুলিশ বা অন্য কোনো শৃঙ্খলাবাহিনী দিতে পারেনি। অথচ সাথে সাথেই বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে একটি ককটেল বিস্ফোরণের মামলায়ও ওই সব নেতাকে জড়িত করা হয়েছে। শুধু মামলা দায়ের নয়, নজিরবিহীন দ্রুততায় পুলিশ মামলার তদন্ত করে চার্জশিটও দাখিল করেছে।
অতীতে এমন মামলায় দুয়েকজন নেতাকে জড়ানো হলেও তারা জামিন পেয়েছেন। মামলাগুলোও শেষ পর্যন্ত টেকেনি। ধরেই নেয়া হয়, সব সরকারই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে চাপে রাখতে এমন মামলা দায়ের করে থাকে। কিন্তু এবারই দেখা গেল ব্যতিক্রম। সরকার শুধু মামলা দায়ের করেই ক্ষান্ত হয়নি, সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে বিরোধীদলীয় নেতাদের জেলে বন্দী রাখতে। এ ঘটনা চলমান রাজনৈতিক উত্তাপে নতুন করে ঘি ঢেলেছে। সেই উত্তাপ আদালত প্রাঙ্গণকেও ছুঁয়েছে, যা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
১৮ দলীয় জোটের নেতাদের জামিনের জন্য প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হকসহ বহু সিনিয়র আইনজীবী নিম্ন আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের আবেদন নাকচ হওয়ায় বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ জানান, বিক্ষোভ করেন। সরকার সমর্থক আইনজীবীরাও পাল্টা প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু পুলিশ বিরোধী দলের সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়েছে। ধরপাকড় করেছে অনেককে। ঢাকা বারের বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ ২৯ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন তাদের গ্রেফতারে চলছে অভিযান। এসব ঘটনার প্রতিবাদে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন। আদালত অঙ্গনের এসব ঘটনা বিচার বিভাগের জন্য মোটেই শুভ নয়। আমরা মনে করি, আদালতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জনগণের হতাশার মাত্রাই শুধু বাড়বে। এ জন্য সব পক্ষেরই সংযমী হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই সর্বাধিক। এ জন্য আইনজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের
হরতাল শেষে রাতের বেলায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্যে কিভাবে গাড়িতে আগুন লাগল কিংবা কে বা কারা আগুন লাগাল তার হদিস কিন্তু পুলিশ বা অন্য কোনো শৃঙ্খলাবাহিনী দিতে পারেনি। অথচ সাথে সাথেই বিরোধীদলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে এবং গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয়েছে। সচিবালয়ে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে একটি ককটেল বিস্ফোরণের মামলায়ও ওই সব নেতাকে জড়িত করা হয়েছে। শুধু মামলা দায়ের নয়, নজিরবিহীন দ্রুততায় পুলিশ মামলার তদন্ত করে চার্জশিটও দাখিল করেছে।
অতীতে এমন মামলায় দুয়েকজন নেতাকে জড়ানো হলেও তারা জামিন পেয়েছেন। মামলাগুলোও শেষ পর্যন্ত টেকেনি। ধরেই নেয়া হয়, সব সরকারই প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলকে চাপে রাখতে এমন মামলা দায়ের করে থাকে। কিন্তু এবারই দেখা গেল ব্যতিক্রম। সরকার শুধু মামলা দায়ের করেই ক্ষান্ত হয়নি, সর্বশক্তি নিয়োজিত করেছে বিরোধীদলীয় নেতাদের জেলে বন্দী রাখতে। এ ঘটনা চলমান রাজনৈতিক উত্তাপে নতুন করে ঘি ঢেলেছে। সেই উত্তাপ আদালত প্রাঙ্গণকেও ছুঁয়েছে, যা দেশবাসীকে উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
১৮ দলীয় জোটের নেতাদের জামিনের জন্য প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল-হকসহ বহু সিনিয়র আইনজীবী নিম্ন আদালতে উপস্থিত হয়েছিলেন। তাদের আবেদন নাকচ হওয়ায় বিরোধী দল সমর্থক আইনজীবীরা আদালত প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ জানান, বিক্ষোভ করেন। সরকার সমর্থক আইনজীবীরাও পাল্টা প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু পুলিশ বিরোধী দলের সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়েছে। ধরপাকড় করেছে অনেককে। ঢাকা বারের বর্তমান ও সাবেক সভাপতিসহ ২৯ জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখন তাদের গ্রেফতারে চলছে অভিযান। এসব ঘটনার প্রতিবাদে আইনজীবীরা আদালত বর্জন করেছেন। আদালত অঙ্গনের এসব ঘটনা বিচার বিভাগের জন্য মোটেই শুভ নয়। আমরা মনে করি, আদালতে কোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে জনগণের হতাশার মাত্রাই শুধু বাড়বে। এ জন্য সব পক্ষেরই সংযমী হওয়া বাঞ্ছনীয়। আর এ ক্ষেত্রে সরকারের দায়িত্বই সর্বাধিক। এ জন্য আইনজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন