ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার ঘটনা ও ক্রসফায়ার নিয়ে সংবাদ করায় দৈনিক ভোরের ডাক-এর সিনিয়র রিপোর্টার তুহিন সানজিদকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যায় র্যাব। তার ওপর ইলেকট্রিক শকসহ নানা ধরনের নির্যাতন করে আবার রাস্তায় ফেলে দিয়ে যায়। এ সময় তাকে বলা হয়, ‘এ ঘটনা যদি কারও সঙ্গে বলিস, তাহলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলব।’ এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তুহিন সানজিদ।
ঘটনার বিষয়ে তুহিন সানজিদ গতকাল রাতে জানান, একটি রিপোর্টের তথ্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষাত্কার নিয়ে অফিসে ফেরার সময় গতকাল বিকাল ৪টার দিকে বাংলা একাডেমীর সামনে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস আমাকে বহনকারী রিকশার গতিরোধ করে। এ সময় মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা ক’জন আমার হাত ধরে টেনে মাইক্রোবাসের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলে।
বেশকিছু সময় চলার পর আমাকে একটি ভবনের রুমে নেয়া হয়। আমার চোখ খুলে দেয়ার পর দেখি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পোশাক পরা এক কর্মকর্তা চেয়ারে বসে আছেন।
তিনি গত ২৪ এপ্রিল দৈনিক ভোরের ডাক বের করে ‘ইলিয়াস আলী নিখোঁজ রহস্য, ফেঁসে যাচ্ছেন সুরঞ্জিত, র্যাব হেফাজতেই আছে ইলিয়াস : দাবি পরিবারের, ঘটনার রাতে র্যাবের সাদা পোশাকের দুটি টিম অংশ নেয়’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির সোর্সের নাম জিজ্ঞাসা করেন। আমি সোর্সের নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি পিস্তল বের করে আমার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে বলেন, ‘সোর্সের নাম বল, না হলে গুলি করব।’ আমি অস্বীকৃতি জানালে দু’দফা ইলেকট্রিক শক দেয়া হয় আমাকে। পরে বলেন, তিন দিন সময় দিলাম, এর মধ্যে ওই সোর্সের নাম না বললে তোর লাশ কেউ খুঁজে পাবে না বলে শাসিয়ে দেন।
এরপরই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ভোরের ডাক-এ প্রকাশিত ‘ক্রসফায়ারের পরিবর্তে গুম, সর্বত্র উদ্বেগ, দেড় বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ গুম ৭৫, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ র্যাবের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্ট দেখিয়ে র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ক্রসফায়ারের পরিবর্তে র্যাব মানুষকে গুম করছে—এ কথা কেন লিখেছিস। ওই রিপোর্টে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের বক্তব্য কেন প্রকাশ করেছি—সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করেন এবং বলেন, তোর এবং অধিকারের নাসিরউদ্দিন এলানকে একসঙ্গে বেঁধে ক্রসফায়ার করব। পরে আমাকে আবারও চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকা মেডিকেলের পাশে নামিয়ে দিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে—‘এ ঘটনা যদি কারও সঙ্গে বলিস, তাহলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলব।’
তুহিন সানজিদ জানান, গত ৪ মে সকালে আমার খিলগাঁও বাসা থেকে অফিসে আসার সময় পৌনে ১১টার দিকে পল্টন থানার বিপরীত দিকে সিটি হার্ট মার্কেটের সামনে পৌঁছানোর পর হঠাত্ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস আমার রিকশার গতিরোধ করে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসের দরজা খুলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত এক কর্মকর্তাসহ তিনজন সদস্য নেমে এসে আমার নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। আমি নাম-পরিচয় দেয়ার পর তারা আমার পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখানোর পর ওই কর্মকর্তা তার হাতে থাকা গত ২৪ এপ্রিল দৈনিক ভোরের ডাক-এ প্রকাশিত রিপোর্টটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ওই রিপোর্টটি আমার লেখা কিনা। উত্তরে হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস আলী অপহরণে ‘ঘটনার রাতে র্যাবের সাদা পোশাকের দুটি টিম অংশ নেয়’—একথা কেন লিখেছি এবং এ তথ্য কে জানিয়েছে। আমি রিপোর্টের সোর্সের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং বলেন, ‘খুব শিগগির তোর লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকবে, তখন দেখি কেমনে র্যাবের বিরুদ্ধে লিখিস।’ পরে আমার জীবননাশের হুমকি দিয়ে তারা মাইক্রোবাসে উঠে চলে যান। এ ব্যাপারে আমি পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করি। জিডি নং-২৩৭। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল গতকাল রাতে আমার দেশকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাকে নির্যাতনের সঙ্গে র্যাবের সংশ্লিষ্টতা নেই। র্যাবকে জড়িয়ে এ ধরনের বক্তব্য ষড়যন্ত্রমূলক।
ঘটনার বিষয়ে তুহিন সানজিদ গতকাল রাতে জানান, একটি রিপোর্টের তথ্যের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেলোয়ার হোসেনের সাক্ষাত্কার নিয়ে অফিসে ফেরার সময় গতকাল বিকাল ৪টার দিকে বাংলা একাডেমীর সামনে একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস আমাকে বহনকারী রিকশার গতিরোধ করে। এ সময় মাইক্রোবাসের ভেতরে থাকা ক’জন আমার হাত ধরে টেনে মাইক্রোবাসের ভেতরে নিয়ে যায়। এরপর কালো কাপড় দিয়ে আমার চোখ বেঁধে ফেলে।
বেশকিছু সময় চলার পর আমাকে একটি ভবনের রুমে নেয়া হয়। আমার চোখ খুলে দেয়ার পর দেখি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পোশাক পরা এক কর্মকর্তা চেয়ারে বসে আছেন।
তিনি গত ২৪ এপ্রিল দৈনিক ভোরের ডাক বের করে ‘ইলিয়াস আলী নিখোঁজ রহস্য, ফেঁসে যাচ্ছেন সুরঞ্জিত, র্যাব হেফাজতেই আছে ইলিয়াস : দাবি পরিবারের, ঘটনার রাতে র্যাবের সাদা পোশাকের দুটি টিম অংশ নেয়’ শিরোনামে প্রকাশিত রিপোর্টটির সোর্সের নাম জিজ্ঞাসা করেন। আমি সোর্সের নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি পিস্তল বের করে আমার মুখের ভেতর ঢুকিয়ে বলেন, ‘সোর্সের নাম বল, না হলে গুলি করব।’ আমি অস্বীকৃতি জানালে দু’দফা ইলেকট্রিক শক দেয়া হয় আমাকে। পরে বলেন, তিন দিন সময় দিলাম, এর মধ্যে ওই সোর্সের নাম না বললে তোর লাশ কেউ খুঁজে পাবে না বলে শাসিয়ে দেন।
এরপরই গত ২৭ ফেব্রুয়ারি দৈনিক ভোরের ডাক-এ প্রকাশিত ‘ক্রসফায়ারের পরিবর্তে গুম, সর্বত্র উদ্বেগ, দেড় বছরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ গুম ৭৫, দেশি-বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার অভিযোগ র্যাবের বিরুদ্ধে’ শিরোনামে প্রকাশিত আরেকটি রিপোর্ট দেখিয়ে র্যাবের ওই কর্মকর্তা বলেন, ক্রসফায়ারের পরিবর্তে র্যাব মানুষকে গুম করছে—এ কথা কেন লিখেছিস। ওই রিপোর্টে মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের বক্তব্য কেন প্রকাশ করেছি—সে ব্যাপারেও জিজ্ঞাসা করেন এবং বলেন, তোর এবং অধিকারের নাসিরউদ্দিন এলানকে একসঙ্গে বেঁধে ক্রসফায়ার করব। পরে আমাকে আবারও চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে ঢাকা মেডিকেলের পাশে নামিয়ে দিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বলে—‘এ ঘটনা যদি কারও সঙ্গে বলিস, তাহলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলব।’
তুহিন সানজিদ জানান, গত ৪ মে সকালে আমার খিলগাঁও বাসা থেকে অফিসে আসার সময় পৌনে ১১টার দিকে পল্টন থানার বিপরীত দিকে সিটি হার্ট মার্কেটের সামনে পৌঁছানোর পর হঠাত্ একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাস আমার রিকশার গতিরোধ করে দাঁড়ায়। মাইক্রোবাসের দরজা খুলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত এক কর্মকর্তাসহ তিনজন সদস্য নেমে এসে আমার নাম ও পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। আমি নাম-পরিচয় দেয়ার পর তারা আমার পরিচয়পত্র দেখতে চান। পরিচয়পত্র দেখানোর পর ওই কর্মকর্তা তার হাতে থাকা গত ২৪ এপ্রিল দৈনিক ভোরের ডাক-এ প্রকাশিত রিপোর্টটি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেন, ওই রিপোর্টটি আমার লেখা কিনা। উত্তরে হ্যাঁ বলার সঙ্গে সঙ্গে ওই কর্মকর্তা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করেন, ইলিয়াস আলী অপহরণে ‘ঘটনার রাতে র্যাবের সাদা পোশাকের দুটি টিম অংশ নেয়’—একথা কেন লিখেছি এবং এ তথ্য কে জানিয়েছে। আমি রিপোর্টের সোর্সের নাম বলতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন এবং বলেন, ‘খুব শিগগির তোর লাশ রাস্তাঘাটে পড়ে থাকবে, তখন দেখি কেমনে র্যাবের বিরুদ্ধে লিখিস।’ পরে আমার জীবননাশের হুমকি দিয়ে তারা মাইক্রোবাসে উঠে চলে যান। এ ব্যাপারে আমি পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করি। জিডি নং-২৩৭। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার এম সোহায়েল গতকাল রাতে আমার দেশকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাকে নির্যাতনের সঙ্গে র্যাবের সংশ্লিষ্টতা নেই। র্যাবকে জড়িয়ে এ ধরনের বক্তব্য ষড়যন্ত্রমূলক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন