আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে পুলিশ ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। আলোচিত তারকা সাংবাদিক জুটি সাগর-রুনি হত্যা, সৌদি কূটনীতিক খালাফ হত্যা, ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক গুম, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী দুই ছাত্র গুম এবং সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের এপিএসের গাড়ির চালক নিখোঁজ হওয়ার মতো গুরুতর ঘটনার কোনো কিনারা হয়নি। এরই মধ্যে হত্যা, গুম ও অপহরণ বর্ধিত হারে ঘটে চলেছে। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগী বাহিনীর কেউ এগুলো নিয়ন্ত্রণে সাফল্য দেখাতে পারছে না। মূল দায়িত্ব পালনে তারা যখন একেবারেই ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তখন বিস্ময়করভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে ব্যাপক সফলতার পরিচয় দিচ্ছে তারা।
সমাজে অন্যায়-অনাচার যে বেড়ে চলেছে, নিঃসন্দেহে সে বিষয়ে সবাই একমত হবেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন হলে নিশ্চয় এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। একইভাবে পুলিশের অভ্যন্তরে পুরস্কৃত করার যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে তা পুলিশকে মূল দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করছে না। সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিনকে প্রকাশ্যে রাস্তায় পেটায় পুলিশ। এ সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার যেভাবে তাকে মারধর করে তা সভ্য বিশ্বে আর দেখা যায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত ওই সংসদ সদস্য যখন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দিয়েছিলেন তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। পুলিশ তাকে আবারো আটকে অর্ধমৃত করে। সহযোগী অন্য সংসদ সদস্যদের পুলিশের বর্বরতা চোখে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তারা জয়নুলকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের ঘা খেয়েছেন। ন্যক্কারজনক এ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন। এ ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনা ঘটেনি। কর্মকর্তা হারুনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; বরং সবাইকে অবাক করে দিয়ে অনেক কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এ ধরনের ঘটনায় সমগ্র পুলিশ বাহিনী কী বার্তা পাবে?
তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দলন-নিপীড়নের ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবারের হরতালে রাস্তায় বিরোধী নেতাকর্মীরা পুলিশি আক্রমণের মুখে দাঁড়াতে পারেননি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল অবরুদ্ধ। কয়েকজন স্লেøাগান দিতে চাইলে পুলিশ তাদের মারধর করে। ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনকে রাস্তায় মারধর ও লাঞ্ছিত করে। রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনুকে রাস্তায় ফেলে পেটায় পুলিশ। হরতালে সারা দেশে অপ্রয়োজনে পুলিশি অ্যাকশনের খবর প্রকাশ করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এভাবে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনসাধারণকে অযথা হেনস্তা করার জন্য কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? জনগণের করের টাকায় পরিচালিত বাহিনীকে এভাবে একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পরিণাম কখনোই শুভ হতে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা খুনখারাবি, গুম ও অপহরণ ঠেকাতে পারছে না; অন্য দিকে ঘটনা ঘটার পর তদন্তে সফলতা দেখাতে পারছে না। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা তো অনেক দূরের প্রশ্ন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে তারা যেভাবে সফল হচ্ছে তাতে করে মূল কাজে ব্যর্থতা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাসীনেরা এখন আনন্দে ডুগডুগি বাজালেও এর পরিণতি নিয়ে চিন্তা করছে বলে মনে হয় না। একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না বা তারা বাংলাদেশের শেষ সরকার নয়। সুতরাং ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর এ পুলিশ বাহিনী যে তাদের বিরুদ্ধে বর্বর হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। সরকারকে এ নিয়ে অবশ্যই ভাবা উচিত। পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার না করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করুনÑ যাতে করে হত্যা, খুন, গুম নিয়ন্ত্রণে আসে
সমাজে অন্যায়-অনাচার যে বেড়ে চলেছে, নিঃসন্দেহে সে বিষয়ে সবাই একমত হবেন। দুষ্টের দমন শিষ্টের পালন হলে নিশ্চয় এমনটা হওয়ার কথা ছিল না। একইভাবে পুলিশের অভ্যন্তরে পুরস্কৃত করার যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে তা পুলিশকে মূল দায়িত্ব পালনে উৎসাহিত করছে না। সংসদে বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিনকে প্রকাশ্যে রাস্তায় পেটায় পুলিশ। এ সময় সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসার যেভাবে তাকে মারধর করে তা সভ্য বিশ্বে আর দেখা যায়নি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত ওই সংসদ সদস্য যখন নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য রাস্তায় ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড় দিয়েছিলেন তখন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়নি। পুলিশ তাকে আবারো আটকে অর্ধমৃত করে। সহযোগী অন্য সংসদ সদস্যদের পুলিশের বর্বরতা চোখে দেখা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তারা জয়নুলকে বাঁচাতে গিয়ে পুলিশের ঘা খেয়েছেন। ন্যক্কারজনক এ অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা হারুন। এ ঘটনার পর সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ক্ষমা প্রার্থনার ঘটনা ঘটেনি। কর্মকর্তা হারুনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি; বরং সবাইকে অবাক করে দিয়ে অনেক কর্মকর্তাকে ডিঙিয়ে তাকে পদোন্নতি দেয়া হয়। এ ধরনের ঘটনায় সমগ্র পুলিশ বাহিনী কী বার্তা পাবে?
তারই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের দলন-নিপীড়নের ক্ষেত্রে। বৃহস্পতিবারের হরতালে রাস্তায় বিরোধী নেতাকর্মীরা পুলিশি আক্রমণের মুখে দাঁড়াতে পারেননি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ছিল অবরুদ্ধ। কয়েকজন স্লেøাগান দিতে চাইলে পুলিশ তাদের মারধর করে। ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকনকে রাস্তায় মারধর ও লাঞ্ছিত করে। রাজশাহীর সাবেক মেয়র মিনুকে রাস্তায় ফেলে পেটায় পুলিশ। হরতালে সারা দেশে অপ্রয়োজনে পুলিশি অ্যাকশনের খবর প্রকাশ করে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। এভাবে রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনসাধারণকে অযথা হেনস্তা করার জন্য কেন ব্যবহার করা হচ্ছে? জনগণের করের টাকায় পরিচালিত বাহিনীকে এভাবে একেবারেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের পরিণাম কখনোই শুভ হতে পারে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। তারা খুনখারাবি, গুম ও অপহরণ ঠেকাতে পারছে না; অন্য দিকে ঘটনা ঘটার পর তদন্তে সফলতা দেখাতে পারছে না। দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা তো অনেক দূরের প্রশ্ন। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে তারা যেভাবে সফল হচ্ছে তাতে করে মূল কাজে ব্যর্থতা নিয়ে জনগণের মধ্যে সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করছে। ক্ষমতাসীনেরা এখন আনন্দে ডুগডুগি বাজালেও এর পরিণতি নিয়ে চিন্তা করছে বলে মনে হয় না। একটি দল আজীবন ক্ষমতায় থাকবে না বা তারা বাংলাদেশের শেষ সরকার নয়। সুতরাং ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পর এ পুলিশ বাহিনী যে তাদের বিরুদ্ধে বর্বর হবে না তার নিশ্চয়তা কোথায়। সরকারকে এ নিয়ে অবশ্যই ভাবা উচিত। পুলিশকে জনগণের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে ব্যবহার না করে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করুনÑ যাতে করে হত্যা, খুন, গুম নিয়ন্ত্রণে আসে
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন