মঙ্গলবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৩

জনগণ আর কত প্রতারিত হবে


ইংরেজি ভাষায় একটা নীতিকথা বা প্রবচন রয়েছে; যার বাংলা করলে সরল অর্থ দাঁড়ায়Ñ ‘প্রতারণা করো না, প্রতারিত হয়ো না’। সব ধর্মশাস্ত্রে এমন নীতিবাক্য রয়েছে। এর অর্থ নীতিকথাটি কোনো ভাষা বা বিশেষ কোনো ধর্মের নয়, সার্বজনীন। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিলে মনে হবে সবাই নিজেদের জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজের ও জনগণের সাথে প্রতারণা করছেন। আবার এরই কর্মফল হিসেবে নিজেরাও প্রতারিত হচ্ছেন। দুর্ভাগ্য, তার পরও সবাই নিজেদেরকে অতিমাত্রায় বুদ্ধিমান ভাবছেন। তাবৎ জনগোষ্ঠীকে ভাবছেন উজবুক বা বোকা। অথচ জনগণ যার যার অবস্থান থেকে যোগ-বিয়োগ করে একটা উপসংহার টেনে নিচ্ছেন, মনের ক্ষোভ মনের ভেতর চেপে রেখে সময়ের জন্য অপেক্ষা করে আছেন। প্রথম সুযোগেই কড়ায়গণ্ডায় মাশুল আদায় করে নেবেন।

সবচেয়ে কষ্টের কারণ হচ্ছে, আমাদের মিডিয়া বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। মিডিয়ার শব্দ চয়ন, ক্যাডারের মতো আচরণ, দলান্ধ সংবাদ উপস্থাপনা, ভিন্নমতকে ঠাণ্ডা মাথায় এড়িয়ে যাওয়াকে বেশির ভাগ প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ভাবছে, তারা অতিচালাক। তাদের ধারণা বস্তুনিষ্ঠতা ভঙ্গের এ অবস্থা কেউ টের পাচ্ছে না, জনগণ তো বুঝতেই পারছে না। আমাদের মিডিয়া দলনিরপেক্ষ নয়Ñ এ কথা পুরনো। কিন্তু এতটা অন্ধ সেটা জনগণ আগে টের পায়নি। জনগণ সংবাদ পড়ে, দেখে; কিন্তু বিশ্বাস করে নিজে যা দেখেছে তাই এবং দু’পিঠ। স্ফীত পুঁজির দাসরা এ সত্য বুঝলে ভালো, না বুঝলে অনিবার্য পরিণতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে। অনুসন্ধিৎসু পাঠক  ও দর্শক-শ্রোতারা দিনমান যা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় দেখে ও শোনে সকালে তা সত্যায়িত করে নেয় প্রিন্টিং মিডিয়ায় চোখ বুলিয়ে। আবার দলান্ধ ও মতান্ধ মিডিয়ার সত্যতা যাচাই করে নেয় ভিন্নমতের মিডিয়া দেখে ও পড়ে।
বাংলাদেশের মানুষ শুধুই আবেগপ্রবণÑ এমন অভিযোগ সঠিক নয়। বাংলাদেশের মানুষ সত্য-মিথ্যার সহজ সংজ্ঞাটি ভালো করেই জানে। অনেকেই সত্য-মিথ্যা মানে না, কিন্তু জানে নাÑ এ কথা মানা কঠিন। বারবার একটা কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ কিন্তু অসাম্প্রদায়িক। আবার যারা ধর্ম মানে না তারাও ধর্ম নিয়ে কোনো বিদ্বেষ হজম করে না। আল্লাহ-রাসূল নিয়ে কটূক্তি ও ব্যঙ্গবিদ্রƒপ সহ্য করার তো প্রশ্নই ওঠে না। এ দেশের মানুষের স্বভাব হচ্ছেÑ ‘রোজা রাখতে পারিনি এটা গুনাহর কাজ করেছি, তাই বলে ইফতার না করে কাফের হব নাকি।’ ধর্মপ্রীতির এই নমুনা অন্য কোথাও এভাবে নেই। ইসলামের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে গিয়ে এ দেশের মানুষ আরবি ভাষাকেও সম্মান করে। অল্প শিক্ষিত মানুষ আরবিতে গালিকেও দোয়া ভাবে। এটা আরবিপ্রীতি নয়, কুরআনের ভাষা ও রাসূলের ভাষার প্রতি মমত্ববোধ থেকেই এমন আবেগমাখা শ্রদ্ধার জন্ম নিয়েছে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষের শ্রেণিচরিত্র যাই হোক, তারা আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে এখনো ভালো মানুষের দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখে। এ জন্যই দাড়ি-টুপি-পাগড়ি-লম্বা জামা পরা মানুষের ভেতর সামান্য বিচ্যুতি দেখলেই খোঁটা দেয়ার চেষ্টা করে। বলে ওঠেÑ দাড়ি রেখে মিথ্যা বললেন! টুপি দিয়ে অমন কাজটি করতে পারলেন! হুজুর হয়েও এমন কাজ করতে পারলেন! এটা বিদ্রƒপ বা অবজ্ঞার বিষয় নয়। প্রত্যাশার জায়গা থেকে এমনটি বলা হয়। এমন একটি দেশে ধর্মবিদ্বেষ সহজেই হজম করে নেবে জনগণ, এমনটি ভাবা ঠিক নয়। আমাদের তরুণদের যে অংশটি নিজেদেরকে অতিচালাক ও বুদ্ধিমান ভাবছেন, তারা বাংলাদেশের ডেমোগ্রাফি সম্পর্কে কম জানেন। জনগণ ও এই দেশের সামাজিক শক্তির শিকড় সম্পর্কেও তাদের ধারণা নেই। তারা জানেন না, স্বাধীন বাংলা বেতার থেকে সৈয়দ আলী আহসান ইসলামে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে কথিকায় অংশ নিতেন। মা-বোনেরা রোজা রেখে, নফল নামাজ পড়ে যোদ্ধাদের সাফল্যের জন্য দোয়া করতেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বদেশকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্রের কাতারে শামিল করে গেছেন। ভারতের ‘না’সূচক চাপ সত্ত্বেও ওআইসি সম্মেলনে পাকিস্তানে গিয়ে হাজির হয়েছেন।
মওলানা ভাসানী ছিলেন বাংলাদেশের তাবৎ পিকিংপন্থী কমিউনিস্টদের আশ্রয়দাতা। অথচ তিনি খেলাফতে রব্বানী ও খেলাফতে ইলাহিয়ার জন্য আমৃত্যু সাধনা ও চেষ্টা করে গেছেন। একটা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন পূরণে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার তোয়াক্কা করেননি। অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ মস্কোপন্থীদের প্রবীণ রাজনৈতিক মুখপাত্র। বিলম্বে হলেও তিনি বুঝেছিলেন ‘ধর্মকর্ম সমাজতন্ত্র’ ছাড়া গত্যন্তর নেই। আজ যারা তুড়ি মেরে বাংলাদেশের মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে নিয়ে বিদ্রƒপ করেন, খেলা করেন, তাদের সাতবার আসমান ও চৌদ্দবার এ দেশের জমিনের দিকে তাকানো উচিত।
সরকার ক্ষমতার প্রয়োজনে ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বা দ্বৈত নীতি নেবেই। তারা নেকড়ের মতো হিংস্র ও শিয়ালের মতো ধূর্ততা প্রদর্শন করবেই। যদিও এটা নীতি-নৈতিকতার সাথে যায় না। নীতি-নৈতিকতা বর্তমান সরকারের কাছে কোনো আমলযোগ্য বিষয় নয়। তা ছাড়া সরকার বস্তুবাদী দর্শন অনুসৃত রাজনীতি করছে। এ দেশে রাজনীতি মানে ঠগবাজি, প্রতারণা, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, জনগণের জন্য মায়াকান্না প্রভৃতি। বর্তমান মন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের মুখ থেকে এবং সরকারদলীয় ও মহাজোট নেতাদের বক্তব্যে তারই প্রতিধ্বনি শুনতে পেয়ে জনগণ বেশি বিচলিত হয় না, আবার তেমন একটা গুরুত্বও দেয় না। এর কারণ কোনো রাজনীতিবিদকেই জনগণ শতভাগ নীতিনিষ্ঠ, পূতপবিত্র ভাবে না। ষোলো আনা আস্থায় নেয় না। কিন্তু মিডিয়ার সততা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে জনগণের একটা আস্থা ছিল। ভরসা ছিল। এবার মিডিয়া সেটা ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। সস্তা আবেগের কাছে বস্তুনিষ্ঠতা ও ভিন্নমতের সৌন্দর্যকে যেন প্রকাশ্যে বলি দেয়া হলো।
প্রত্যাশার জায়গা থেকে জনগণ এই সরকারের কাছ থেকে আর কিছুই আশা করে না। কারণ সরকারের সামগ্রিক বিতর্কিত অবস্থানে নৈতিক শক্তি এতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে তারা শুধু স্ববিরোধী অবস্থান সৃষ্টি করেনি, সংবিধান, গণতন্ত্র, আইনের শাসন, বিচার-আচার, মানবাধিকার, ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতা প্রদর্শন, জনগণের জানমাল রক্ষা কোনো ক্ষেত্রেই ইতিবাচক নয়। বিএনপি জোটকে ঠেকাতে প্রথমে একমাত্র জামায়াত-শিবিরকে এজেন্ডা বানাতে গিয়ে সরকার বারবার নিজের তৈরি করা ফাঁদে পড়ে যাচ্ছে। অন্যের জন্য গর্ত খুঁড়তে গিয়ে নিজেরা নিজেদের সেই খোঁড়া গর্তে ডুবে যাচ্ছে।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে বিশ্বাসযোগ্য অবস্থানে নিয়ে যেতে সরকারই ব্যর্থ হয়েছে। এটাকে ইস্যু করে রাজনৈতিক নাটক সাজানোর কাহিনীও জনগণ বুঝে ফেলেছে। এখন সরকার যতই ধনুকভাঙা পণ করুকÑ জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করবে, মাহমুদুর রহমানের টুঁটি চেপে ধরবে, ভিন্নমতের মিডিয়া চলতে দেবে না, তাতে কোনো লাভ হবে না। ভীতি-ক্ষতি ও লোভ কোনোটাই মাহমুদুর রহমান ও ভিন্নমতের মিডিয়াকে হতোদ্যম করতে সক্ষম হবে না। মিডিয়ার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। সেই বৈশিষ্ট্যের কারণেই মাথা নত করতে পারে না কিংবা করে না। বাংলাদেশেও মাথানত না করার নজির রয়েছে। নতুন নজির সৃষ্টির সুযোগ সরকারই করে দিলো। মাহমুদুর রহমানকে সরকারই সত্যনিষ্ঠতা ও সাহসের প্রতীক বানিয়ে দিয়েছে। যিনি মরতে প্রস্তুত থাকেন, তাকে হুমকি দিয়ে কী লাভ! যারা এখন তাকে সাংবাদিকতা শিখাতে চান তারাও জানেন বাংলাদেশের মিডিয়ায় বস্তুনিষ্ঠতার কবর দিয়েছে কারা, এখনো দিচ্ছে কোন মহারথিরা।
জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করলেইবা সরকার লাভবান হবে কিভাবে! হাবভাব ও রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখে মনে হয় জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়াকে আশীর্বাদ বিবেচনা করার জন্যই প্রস্তুত হয়ে আছে। যে জামায়াত-শিবিরকে সাফসতুর করে দিয়ে জনগণের কাছাকাছি করে দিয়েছে সরকার, এখন সেই সরকার হঠকারী হতে পারে, দেশের জনগণের কাছে আর কোনো জায়গা পেতে পারে না। আলেম ওলামা, পীর মাশায়েখরা দল বিশেষকে কখনো ডিফেন্ড করে না। সরকার যখন জামায়াতকে টার্গেট করে ইসলাম নির্মূলের হুঙ্কার দিচ্ছে তখনই আলেম সমাজ ফুঁসে উঠল। এ দেশের গ্রহণযোগ্য সব আলেম দ্বিমত পোষণ করাকে ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্যভাবে। আলেমদের মধ্যে মতের দ্বৈধতাকে তারা ইসলামের উদারনৈতিক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ মনে করেন। তারা মনে করেন, মৌলিক বিষয় ছাড়া অন্য বিষয়ে এখতেলাফ কোনো বিতর্কের বিষয় নয়। তাই আলেমদের বিভ্রান্ত করার জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ডিজি কিংবা দরবারি আলেমের মন্ত্রণা তাদের দৃষ্টি ফেরাতে পারবে না।
আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশকে গৃহযুদ্ধের পথে ধাবমান একটি দেশ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। উসকানিদাতা হিসেবে সরকারকেই দায়ী করা হচ্ছে। দেশের মিডিয়া দলাশ্রয়ী ভাবনা থেকে যা প্রচার করছে তা জনগণ হজম করছে না, আবার বিশ্বমিডিয়ায় ঘটনার দু’পিঠ তুলে ধরার কারণে জনগণের কাছ থেকে সত্যটা একেবারে আড়ালও করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকার অনেক নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের প্রমোটর হয়ে বিপদ ডেকে আনছে। সেই বিপদ ঠেকাতে এখন জিরো টলারেন্সের মতো ভাষা প্রয়োগ করতে বাধ্য হচ্ছে। পুলিশের মুখ দিয়ে রাজনৈতিক দলবাজের মতো বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হচ্ছে। এরই ফলশ্রুতিতে শুধু শাহবাগকেন্দ্রিক ঘটনায় ২৩ জন প্রাণ হারাল। পুলিশ গুলি ছুড়ল পাখি শিকারের মতো। জনতার মঞ্চ, তারুণ্যের মঞ্চ, গণতন্ত্র মঞ্চ কোনোটাই রাজনীতির জন্য গুণগত বিষয় নয়। এসব রাজনৈতিক টাউট-টন্নিদের নাটক। অনেক দর্শকই জীবনঘনিষ্ঠ নাটককেও দৃঢ়তার সাথে বিশ্বাস করে। শাহবাগ নাটকও অনেক সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করেছিল। সেই নাটকের যবনিকা ঘটতে বাধ্য। আর কত! আর কত লাশ চাই! রাজনীতি আছে বলে সরকার ও বিরোধী দল এসব থেকে ফায়দা তোলার চেষ্টা করবে। একপক্ষ অন্যপক্ষকে অভিযুক্ত করবে। যে ক’টি যুবক ভাবছে, তারা দু’ধারার রাজনীতির বাইরে থেকে জনগণকে নিয়ে একটা কিছু করে দেখাবেÑ তাদের ইচ্ছাটাকে কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যাবে না। তবে নেতৃত্ব ও পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়। নেতৃত্ব ও পৃষ্ঠপোষকরা যেহেতু রং লুকাতে পারল না তখন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস রাজনীতির লোকসানি পুঁজি হয়ে গতানুগতিক ধারায় মিলিয়ে যাবে।
বারবার বলছি, সরকার কোনো দিনই বিরোধী দলকে সহ্য করতে চাইবে না। কোনো সরকারই বিরোধী দলকে জায়গা করে দেয় না। ভিন্নমতের প্রতি নরম সুর কোনো সরকার প্রদর্শন করতে চায় না, কেউ কর্মটা করে উলঙ্গভাবে, কেউ মুনশিয়ানার সাথে। এরশাদ পুলিশ প্রটেকশনে হরতাল ভণ্ডুল করার চেষ্টা করে সফল হয়নি। বর্তমানেও কেউ হবে না। সরকার পুরো প্রশাসনযন্ত্র কাজে লাগিয়ে বিরোধী দল ও মতকে দমন করতে সচেষ্ট। এখানে গণতন্ত্রের মায়াকান্না, আর্তি আকুতি-আহাজারি, রোনাজারি, মিনতি ও আবেদন-নিবেদন অর্থহীন। বিরোধী দলই শক্তির ও রাজনীতির ভারসাম্য সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি যদি সত্যিকার অর্থে গৃহযুদ্ধাবস্থার দিকে ধাবিত হয় তাহলে দায় শুধু সরকারের ওপর বর্তাবে নাÑ বিরোধী দলকেও সমপরিমাণ দায় নিতে না হলেও কিছু দায় নিতেই হবে।
বর্তমান সরকার ভুলের মাশুল গুনে দেখেছে, তাদের জন্য সামনে দোজখই অপেক্ষা করছে। প্রতিহিংসার কারণে লাখো মানুষ প্রতিশোধস্পৃৃহ হয়ে আছে। এক দিকে মনের বাঘ, অন্য দিকে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ভীতি সরকারকে মরণকামড় হানতে বাধ্য করেছে। তারা ধরেই নিয়েছে যেকোনো ছলেবলেই হোক, আবার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকতেই হবে। নয়তো মই সরে গেলে অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। সব বেপরোয়া আচরণের ভেতর দিয়ে সরকার তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে। অথচ এটা শেষ রক্ষার কোনো পথও নয়, প্রক্রিয়াও নয়। অঘোষিত যুদ্ধ ও ছায়া শত্রুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্য যুদ্ধ না থামালে ভয়াবহ পরিণতি ছাড়া আর কিছুই অপেক্ষা করবে না।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads