শুক্রবার, ৯ নভেম্বর, ২০১২

আজকের প্রেক্ষাপট ও করণীয়

৭ নভেম্বরের চেতনা
শেখ শওকত হোসেন নিলু
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে চালু হয় বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের উদ্যোগে প্রবর্তিত রাষ্ট্রীয় মৌলিক নীতিমালাগুলো।
১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে পদার্পণ করেন এবং নিজেই সরকারপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগ বিভক্ত হয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের স্লোগান তুলে গঠিত হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)। কী লক্ষ্যে সংগঠনটি গড়ে তোলা হয়েছিল, সে সম্পর্কে পরিচ্ছন্ন ধারণা খুব কম নেতাকর্মীর আছে বলে আমার মনে হয়েছে।
১৯৭৩ সালের নির্বাচনে চারটি রাজনৈতিক শক্তি অংশ নিয়েছিল। ১. আওয়ামী লীগ, ২. মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানী ও আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে জাতীয় ফ্রন্ট, ৩. ন্যাপ (মো), ৪. জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
আতাউর রহমান খান, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ব্যারিস্টার কামরুল ইসলাম সালাউদ্দিনসহ নয় জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে আরো ১৫ থেকে ২০ জন বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত হতে পারতেন। শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৪ জন সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। খন্দকার মোশতাক আহমেদের ব্যালটবাক্স কুমিল্লা থেকে হেলিকপ্টারে এনে বঙ্গভবনে বসে নজিরবিহীনভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ড. আলীম আল রাজী, এনায়েত উল্লাহ খান, মেজর (অব:) এম এ জলিলের মতো জনপ্রিয় নেতাদেরকেও পরাজিত দেখানো হয়। সরকারপ্রধানের দায়িত্ব আবার গ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু নিজেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পায় ব্যাপকভাবে। গঠিত হয়েছিল জাতীয় রক্ষীবাহিনী। সে বাহিনীর মূল কাজ ছিল বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের অত্যাচারে বিরোধী দলগুলো গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পরিচালনায় অপারগ হয়ে পড়ে। গুম-খুন নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়। মস্তকবিহীন লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায় নদীর পাড়ে কিংবা মাঠে-ময়দানে। আওয়ামী লীগ জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে দ্রুত। এই পটভূমিতে ত্রিদলীয় ঐক্যজোট গঠিত হয়। আওয়ামী লীগ, মো-ন্যাপ ও সিপিবিকে নিয়ে গঠিত এ জোট অন্য সব গণতান্ত্রিক দলকে দেশের শত্রু বলে আখ্যায়িত করতে থাকে। তারা স্লোগান তোলেÑ ‘চীনের দালাল ভাসানী, বাংলা ছাড় এখনই।’ এভাবেই হিংসার রাজনীতি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী নিগৃহীত হতে থাকেন দিনের পর দিন। তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা সম্পূর্ণ ব্যাহত হয়ে পড়ে। ১৯৭৪ সালের মধ্যেই শাসক দল বুঝতে পারল, তাদের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোঠায়। তাই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে টিকে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা মওলানা ভাসানীকে বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে গ্রেফতার করা হয়। জননেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়া, ভাষাসৈনিক অলি আহাদ, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ক্যাপ্টেন আব্দুল হালিম চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিল ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী আ স ম আবদুর রবসহ হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার হন। হুলিয়া নিয়ে আত্মগোপন করেন কাজী জাফর আহমেদ।
এভাবে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে একদলীয় শাসনব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। আওয়ামী লীগের মধ্যেও এই বাকশালী শাসনপদ্ধতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ওঠে। জেনারেল এম এ জি ওসমানী ও ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাজউদ্দীন আহমদ, মোল্লা জালালউদ্দিন আহমেদ, মিজানুর রহমান চৌধুরী, মতিউর রহমান, নূরে আলম সিদ্দিকীসহ অনেকেই একদলীয় ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন; অবশ্য সংসদ থেকে পদত্যাগ করেননি তারা। সেনাবাহিনীর চাকরিরত সদস্যদেরও বাকশালে যোগ দিতে বলা হয়। কমিউনিস্ট পার্টির আদলে ১৫ সদস্যের পলিটব্যুরো গঠন করা হয়। জাতীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সভাপতি করা হয় যথাক্রমে শেখ ফজলুল হক মনি ও শেখ শহীদুল ইসলামকে। তারা দু’জনই শেখ মুজিবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। কেড়ে নেয়া হয় জনগণের মৌলিক অধিকার। চারটি ছাড়া অন্য সব পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেষ রাতে শেখ মুজিব, আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শেখ ফজলুল হক মনিসহ বঙ্গবন্ধ এবং পরিবারের অনেককেই হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর একটি অংশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রধান নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয় সাথে সাথে। সেনাপ্রধান মেজর জেনারেল শফিউল্লাহ ও বিমানবাহিনীর প্রধান এ কে খন্দকার সরকারের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করেন। তাদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আজকের প্রধানমন্ত্রীর অন্যতম উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ নেতা আবদুল মালেক উকিল কয়েক দিন পরই লন্ডনে বলেন, ফেরাউনের মৃত্যু হয়েছে। মহিউদ্দিন আহমদ বরিশালের নেতাদের বুঝানোর চেষ্টা করেন, সরকারের নীতির কোনো মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। ব্যতিক্রম শুধু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। প্রতিরোধযুদ্ধও তিনিই শুরু করেছিলেন। এভাবেই জটিল ক্ষমতার লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ৮৩ দিন মোশতাকের শাসন পরিচালিত হয়। ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা দখল এবং সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করেন। ৪ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের মায়ের নেতৃত্বে ৩২ নম্বর ধানমন্ডি অভিমুখে শোকমিছিলের আয়োজন করা হয়। এ থেকেই জনমনে প্রতীয়মান হয়, খালেদ মোশাররফের সরকার আওয়ামী লীগ সমর্থক ও ভারতপন্থী।
ক্ষমতার লড়াইয়ে অবতীর্ণ হন কর্নেল তাহের। তার সাথে ছিলেন সিরাজুল আলম খান ও হাসানুল হক ইনুরা। তারা ভর করেন গৃহবন্দী সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের ওপর। ৭ নভেম্বর সূর্যোদয়ের আগেই ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর, সিপাহি-জনতা ভাই ভাই বাকশালীদের বিচার চাই প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে সেনাসদস্য ও জনগণ রাজপথ দখল করে নেয়। নিহত হন খালেদ মোশাররফ। মুক্ত হন জিয়াউর রহমান। এভাবেই সিপাহি-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব সংঘটিত হয়। ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে আবির্ভূত হন জিয়াউর রহমান।
শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কালবিলম্ব না করে সেনাসদস্যদের চেইন অব কমান্ডের মধ্যে নিয়ে আসেন। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়নের রাজনীতি চালু করেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্র পরিচালনা করেছিলেন। এই শাসনকালের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয় জীবনে কতগুলো মৌলিক নীতি প্রবর্তিত হয় : (১) জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনা। রাষ্ট্রপতি ও সংসদ সদস্যরা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত। (২) বিচার বিভাগের স্বাধীনতা। (৩) সংবাদ পরিবেশনের স্বাধীনতা। (৪) বিভেদের রাজনীতি পরিত্যাগ করে জাতীয় ঐক্য। বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, অর্থনীতিতে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে ব্যক্তি উদ্যোগের সূচনা, পররাষ্ট্রনীতিতে সবার সাথে বন্ধুত্ব। কারো আশ্রিত রাষ্ট্রে পরিণত না হওয়া, বিশেষ করে মুসলিম দেশ ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে নিবিড় বন্ধুত্ব। সর্বোপরি, রাজনীতি ও প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত এবং জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গঠন করা। বলতে চাই না যে, ওই সময়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি। কিন্তু দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, বিচারপতি আবদুস সাত্তার, শাহ মোহাম্মদ আজিজুর রহমান, মির্জা গোলাম হাফিজ, ডা: বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ সিনিয়র নেতারা কোনো দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না।
১৯৮১ সালের ৩০ মে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শহীদ হওয়ার পর তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৩৬৫ টাকা। তন্ন তন্ন করে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল সাভারে মাত্র পাঁচ কাঠা জায়গার দলিল। এই সততা আজকের রাজনীতিতে বিরল।
মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বলতে হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ, তাজউদ্দীন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এম মনসুর আলী, জেনারেল আতাউল গনি ওসমানী প্রমুখের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেই। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতি ও অনৈতিক কার্যকলাপ শুরু হয় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনকাল থেকেই, যা আজ সর্বগ্রাসী।
রেন্টাল বিদ্যুতের নামে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলে বর্তমান সরকার বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করেছে ২৩০ শতাংশ। ডেসটিনি নামের প্রতিষ্ঠান তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। হলমার্ক  তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক জালিয়াতি করেছে। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি আর মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনের নিয়োগবাণিজ্য যখন হাতেনাতে ধরা হলো, তখন দুর্নীতি দমন কমিশন সার্টিফিকেট দিয়েছে সরকারের পক্ষে। হরতাল কর্মসূচিতে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক পিকেটিং করার জন্য রাজপথে নেমেছিলেন। পাঁচবার তিনি একাদিক্রমে এমপি  নির্বাচিত হয়েছেন; বর্তমানে তিনি মন্ত্রীর পদমর্যাদার ব্যক্তিত্ব। অথচ পুলিশ তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল, জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলল, দেহ থেকে রক্ত ঝরে রাজপথ লাল হলো। টিভি চ্যানেলগুলো সেই দৃশ্য সরাসরি প্রচার করল। বিশ্ববাসী তা অবলোকন করল। কিন্তু সরকারি প্রতিবেদনে বলা হলো ‘তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি’। হামলাকারী পুলিশ কর্তাদের করা হলো পুরস্কৃত। এই ঘটনার পর সরকারের ওপর দেশবাসীর কি আস্থা থাকতে পারে? গুম হলেন সিলেটের বিশিষ্ট নেতা ইলিয়াছ আলী। আজ পর্যন্ত তার কোনো হদিস নেই। প্রতিদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে সরকারবিরোধী ছাত্রদের ওপর। কিন্তু ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা জনগণের নিরাপত্তা সম্পর্কে অনুভূতিহীন।
২০০৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আমাদের সীমান্ত নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ার লক্ষ্যেই পিলখানায় বহু সেনা অফিসার হত্যা হয়েছে। সীমান্তনিরাপত্তা এতই নাজুক হয়ে পড়েছে যে, ভারতীয় (বিএসএফ) বাংলাদেশী নাগরিকদের বিনা কারণে প্রায় প্রতিদিন গুলি করে মারছে। দুই দেশের আলোচনাকালে ভারতীয় পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা গুলি করে হত্যা করে চোরাকারবারিদের। গায়ে কী লেখা থাকে চোরকারবারি কথাটা? ফালানী কি চোরাকারবারি ছিল? যুবসমাজকে ধ্বংসের লক্ষ্যে সীমান্ত ঘেঁষে  ফেনসিডিলের বহু কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। লাইসেন্স দেয়ার সময় ভারত সরকার জানিয়েছে, উৎপাদিত ফেনসিডিল ভারতে বিক্রয় করা চলবে না। তাহলে এই ফেনসিডিলের বাজার কোথায়? বাংলাদেশ নয় কি?
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে ৭ নভেম্বরের চেতনায় সৎ ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। আসুন, আমরা সেই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে উদ্যোগ নিই।
লেখক : রাজনীতিক

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads