বুধবার, ৭ নভেম্বর, ২০১২

৭ নভেম্বর ও জিয়া



ড. এস. এম. সরোয়ার রহমান, অ্যাডভোকেট
১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামরিক ইতিহাসের একটি অবিস্মরণীয় দিন। সিপাহি-জনতার মধ্যে গড়ে ওঠা ফল্গুধারা হিসেবে ৭ নভেম্বর সর্বসাধারণের কাছে বিশেষভাবে বিবেচিত হয়। সেনাবাহিনীতে ও রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিরোধ তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি জ্বলছিল, তারই উদগিরণ ঘটে ৭ নভেম্বর এবং একই সঙ্গে জনমনে ও সেনাবাহিনীতে সবকিছু স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। তাই ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও দেশরক্ষা দিবস। আজ থেকে ৩৭ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর এক ঐতিহাসিক ও অভূতপূর্ব বিপ্লব সংগঠিত হয়েছিল। আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় এজেন্ট ও ক্রীড়নকদের সব ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত নস্যাত্ করে দিয়ে রক্তে কেনা স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিল সিপাহি-জনতা। রাজপথে সিপাহি-জনতার মিলিত প্রতিরোধে এদিন রক্ষিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও প্রিয় মাতৃভূমি। সমুন্নত হয়েছিল সবুজের মাঝে লাল সূর্যখচিত জাতীয় পতাকা। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাতীয় ঐক্য ও স্বাধীনচেতা মানুষের সম্মিলিত প্রতিরোধে জাতিকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর স্পষ্ট প্রেরণা জুগিয়েছিল। এজন্য ৭ নভেম্বর জাতীয় ইতিহাসে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে আমাদের অস্তিত্ব রক্ষার দিন হিসেবে। জাতীয় ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক হিসেবে জিয়াউর রহমানের ওপর সঙ্কট থেকে উত্তরণ ও জাতীয় উন্নয়নের নেতৃত্ব অর্পিত হয়।
৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লব ছিল এ জাতির জন্য অনিবার্য। এটি ছিল সময়ের প্রয়োজনে ঘটনার ধারাবাহিকতায় একটি স্বতঃস্ফূর্ত বিপ্লব। কারণ স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫-এর ১৪ আগস্ট পর্যন্ত এ দেশের মানুষের মণিকোঠায় নানা জিজ্ঞাসা ঘুরেফিরে উদয় হয়েছিল। খুন-ডাকাতি ও লুণ্ঠনে বাংলাদেশকে মগের মুল্লুকে পরিণত করেছিল তত্কালীন শাসকগোষ্ঠী। রক্ষীবাহিনী ও লালবাহিনীর ঘোড়া দাবড়ানোর কাহিনী, সিরাজ সিকদারসহ দেশপ্রেমিক হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা, মহাদুর্ভিক্ষ, অসংখ্য বেওয়ারিশ লাশ, জঠরের জ্বালায় নিজের বমি খাওয়ার কাহিনী, বাসন্তী নিজের সম্ভ্রম রক্ষা করার কাপড় না পেয়ে জাল পরে লজ্জা নিবারণ করার ঘটনায় এ দেশের সর্বস্তরের মানুষ ছিল উদ্বিগ্ন, দিশেহারা। কবির কণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল—ভাত দে হারামজাদা..., উচ্চারিত হয়েছিল ‘ধরা যাবে না, ছোঁয়া যাবে না, বলা যাবে না কথা/রক্ত দিয়ে পেলাম শালার এমন স্বাধীনতা।’ সেই দুঃসহ দিনগুলোর ইতিহাস মূলত এক অরাজকতার ইতিহাস, লুট-খুন আর গুমের ইতিহাস। শোষণ-বঞ্চনা আর নির্যাতনের ইতিহাস। মোট কথা স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক নেতৃত্বের দেউলিয়াপনায় সমাজে চলছিল অস্থিরতা, তৈরি হয়েছিল অমোচনীয় বৈষম্য। সমাজ মনের গভীরে চলছিল সামন্ত সমাজের নকল নবাবীর পালা, যার পরিণতি আমরা দেখি একদলীয় শাসন আর এক ব্যক্তির আজীবন রাষ্ট্রপতিত্বের লোভাচার, চলছিল বাকশাল নামীয় একটি প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সীমাহীন দুর্নীতি ও দুঃশাসন। এই দুর্নীতি ও দুঃশাসন থেকে বেরিয়ে আসার আকাঙ্ক্ষায় মানুষ যখন হা-হুতাশ করছিল, মসজিদ-মন্দিরে মোল্লা-পুরোহিতরা দু’হাত তুলে যখন প্রার্থনা করছিল—হে খোদা, হে ভগবান, কবে এই একদলীয় নবাবী শাসনের যবনিকাপাত ঘটবে। ঠিক সেই মুহূর্তে সপরিবারে নিহত হন স্বাধীনতা-পূর্ব এই জনপদে গণতন্ত্র তথা স্বাধিকার আন্দোলনের লড়াকু সেনানী শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশীয় এজেন্টরা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টাসহ নানান চক্রান্ত গড়ে তোলে। ৩ নভেম্বর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত হয় এক অভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের সমর্থনে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের মা ও ভাইসহ তার সমর্থকরা রাজপথে নেমে এলে এই অভ্যুত্থান ভারতমুখী হিসেবে সব মহলে পরিচিত হয়। দেশের মধ্যে ভারতীয় এজেন্ট ও চররা নাশকতামূলক অপতত্পরতা চালাতে থাকে। এ সময় বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতের ব্যাপক সৈন্য সমাবেশ ঘটানো হয়। মুক্তিযুদ্ধের মহান ঘোষক মেজর জেনারেল জিয়াকে বন্দি করা হয়। সর্বত্র সন্ত্রাস-আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া হয়। অফিসার-বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে সেনা অফিসারদের হত্যার নীলনকশা করা হয়। সেনা শৃঙ্খলা এবং আইন-শৃঙ্খলা সার্বিকভাবে ভেঙে পড়ে। ৩ নভেম্বর থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে কোনো সরকার ছিল না। এ দেশের মানুষ নির্বাক অবস্থায় দিন গুজরান করে। সবার মনে সমূহ বিপদের আশঙ্কা দানা বাঁধে। জাতীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিবেশী দেশের হাতে তুলে দিয়ে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পঙ্গু করে দেয়া ছিল সেই ষড়যন্ত্রকারীদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী আর প্রতিবাদমুখর জনসাধারণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে চক্রান্তকারীদের সব নীলনকশা ভেস্তে যায়। ৭ নভেম্বর সোবহে সাদিকে মুয়াজ্জিনের আজানের সঙ্গে সঙ্গে দেশপ্রেমিক জনসাধারণ ও সশস্ত্র বাহিনী ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিয়ে রাজপথে বেরিয়ে আসে। সিপাহি-জনতার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথের অপূর্ব মিলন জাতি এই প্রথম গভীর আগ্রহে প্রত্যক্ষ করল। জিয়াকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করে ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু জিয়া প্রথমে এতে অপারগতা জানান, পরে সবার অনুরোধে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। সেদিন সকালে জিয়া সিপাহি-জনতার উদ্দেশে ভাষণ দেন এবং ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান। সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেনাবাহিনীতে চেইন অব কমান্ড ফিরে আসে। তাই ৭ নভেম্বর সেনাবাহিনীর শৃঙ্খলা ও বিজয়ের দিন। এই দিন জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রিত না হলে সেদিন সেনাবাহিনীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির জন্য রক্তগঙ্গা বয়ে যেতে পারত। সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জিয়া নিজের হাতে দায়িত্ব তুলে নিয়ে মারাত্মক যুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছিলেন এই দেশ ও জাতিকে। জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস হিসেবে ৭ নভেম্বরকে চিহ্নিত করার কারণ, সমস্ত জাতি এই দিন জাতীয় বিপর্যয়ের হাত থেকে জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য একাত্মতা ঘোষণা করেছিল। সমগ্র জাতি জিয়াউর রহমানের পাশে এসে না দাঁড়ালে এই বিপর্যয়ের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা অসম্ভব হয়ে পড়ত। ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লব ছিল আধিপত্যবাদ ও সম্প্রসারণবাদের বিরুদ্ধে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার একটি সময়োচিত সফল প্রয়াস। কারণ এ উপলক্ষে জিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে ৩ নভেম্বর ৭৫-এর অভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক শাফায়াত জামিল সাপ্তাহিক হলিডে পত্রিকায় এক সাক্ষাত্কারে বলেছেন, ... ‘প্রকৃত প্রস্তাবে জিয়া জাতিকে সার্বিক নৈরাজ্য থেকে রক্ষা করেছেন। ৭ নভেম্বর রক্ষা করেছেন ভারতের পুলিশ অ্যাকশন থেকে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি সত্যিই জিয়ার অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং দৃষ্টান্তমূলক উদ্যোগ, যা তিনি নভেম্বরের সেসব সঙ্কটময় মুহূর্তে গ্রহণ করেছিলেন, অন্যথায় পুলিশ অ্যাকশনের নামে ভারতের হস্তক্ষেপ দেখা দিতে পারত।’ জিয়া মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে সামরিক বাহিনীর চেইন অব কমান্ডই কেবল ঠিক করেননি, সামরিক শাসনের সিংহাসনে থেকেও গণতন্ত্রের পতাকা উড়িয়েছিলেন। ৭ নভেম্বর সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেনি বাংলাদেশে, ঘটেছিল এমনি একটি চেতনার অভ্যুদয়, যার পেছনে ছিল দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আধিপত্যবাদের অন্ধকার ঠেলে নবসূর্যের সন্তান হিসেবে মুক্ত হয়ে এসেছিলেন মুক্তিযুদ্ধের মহান ঘোষক জিয়া। এ দিনটি বিপ্লবের এ কারণে যে, নতুন রাষ্ট্রচিন্তা, নতুন উত্পাদন চিন্তা, নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছুর বিচার-বিবেচনার সূত্রপাত ঘটেছিল এই দিনে। জিয়া ছিলেন স্বাপ্নিক পুরুষ। দেশ নিয়ে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা নিয়ে, দেশের জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়ন নিয়ে, জনসাধারণের দারিদ্র্য বিমোচন নিয়ে জিয়া যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তা সার্বিক অর্থে বিপ্লবী। দ্বিধাবিভক্ত প্রতিবেশ থেকে জাতীয় চিন্তাকে একই চিন্তাধারায় প্রবাহমানদানের জন্য ৭ নভেম্বরের ভূমিকা অনন্য। তাই ৭ নভেম্বরের বিপ্লব ও সংহতি দিবসকে সামনে রেখে এই দিনের লক্ষ্য ও আদর্শ পূরণের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের তাত্পর্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছেন, ‘সংহতি ও বিপ্লব দিবসের শিক্ষা আমাদের নিবেদিতপ্রাণ জাতীয়তাবাদী ও দেশপ্রেমিক জনগণকে আমাদের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে আমূল পরিবর্তন আনার জন্য নতুন বিপ্লবের উচ্চতর লক্ষ্য অর্জনের প্রেরণার উত্স এবং নতুন মহিমান্বিত বিপ্লবের পূর্ণ সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ পর্যায়ে শৃঙ্খলা, দেশপ্রেম, ত্যাগ ও ঐক্য অপরিহার্য।’
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ আমাদের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা এনে দেয় বটে, কিন্তু স্বাধীনতা হয়ে পড়ে অনিরাপদ। ৭ নভেম্বরের বিপ্লব এই অনিরাপদ স্বাধীনতাকে নিরাপদ করে। অনিশ্চয়তার ঘনঘোর অন্ধকার কেটে যায় ৭ নভেম্বরের ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই। তাই বললে অত্যুক্তি হবে না যে, ৭ নভেম্বর আমাদের স্বাধীনতার নবজন্ম লাভ। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের পর আধিপত্যবাদী ও সম্প্রসারণবাদী গোষ্ঠী এবং তাদের এদেশীয় এজেন্ট বারবার ৭ নভেম্বরের চেতনার ওপর আঘাত আনার চেষ্টা করেছে, তারা আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিতে চায়। বর্তমান বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের দেশকে নিয়ে জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। একটি উদার প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে বিশ্বের দরবারে মৌলবাদী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে ইস্পাতকঠিন ঐক্যের ভিত্তিতে এই অপচেষ্টাকে প্রতিহত করতে হবে। ‘দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের স্বার্থে প্রতিটি নাগরিকই একজন সৈনিক’—শহীদ জিয়ার এই বাণীই যুগ যুগ ধরে এদেশের দেশপ্রেমিক জনগণকে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা করতে উদ্দীপ্ত করবে, অনুপ্রেরণা জোগাবে। শহীদ জিয়ার সৃষ্ট রৌদ্রকরোজ্জ্বল ইতিহাসের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা থাকতেই হবে। যদি আমরা এই দায়বদ্ধতা হারাই, তাহলে ভবিষ্যত্ প্রজন্ম হয়ে উঠবে স্বার্থপর। আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়বে। ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতার বিপ্লবের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম। নভেম্বর বিপ্লবকে স্মরণ করতে গেলেই শহীদ জিয়ার নাম আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে আমাদের সামনে। ১৭৫৭ সালের সিপাহি বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার পর যে পরিণতি নেমে এসেছিল, ’৭৫-এর সিপাহি-জনতার বিপ্লব ব্যর্থ হলেও হয়তো এ দেশ ও জনগণের সেই পরিণতি হতো। ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের গভীর তাত্পর্য এখানেই।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads