বৃহস্পতিবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৩

শিক বনাম ছাত্রলীগ


মুহাম্মদ যাকারিয়া

শিকতা পেশায় যোগদানের আগে সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় একটি জাতীয় দৈনিকের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করার কারণে স্বাভাবিকভাবেই তৎকালীন ছাত্রনেতাদের সাথে জানাশোনা ছিল। সাংবাদিকতা পেশা ছেড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর আত্মীয়-স্বজন, সাংবাদিক-সহকর্মী ও পরিচিত অনেককে খবরটি জানাই। ছাত্রলীগের বাহাদুর-অজয় নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক দফতর সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরীকে (বর্তমানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক) ফোন করলে তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, ‘শিকতা পেশায় এখনো সম্মান ও মর্যাদা আছে। অন্যান্য পেশার প্রতি মানুষের মনোভাব যা-ই থাকুক না কেন, শিকদের প্রতি সব মহলের শ্রদ্ধাবোধ এখনো অটুট আছে।’ ছাত্রনেতাদের মধ্যে আমার পছন্দের একজন ব্যক্তিÑ খালিদ ভাই আমাকে আরো বলেছিলেন, শিক্ষকতা পেশায় থেকেও আমি যেন যেকোনো প্রয়োজনে তার সাথে যোগাযোগ করি। আমি বিশ্বাস করি, তাদের মতো আওয়ামী লীগের অনেক নেতার চোখে শিক্ষকেরা শ্রদ্ধার পাত্র। তাহলে খালিদ ভাইদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মÑ ছাত্রলীগের বর্তমান নেতাকর্মীদের হাতে জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগরÑ শিক্ষকসমাজ এভাবে একের পর এক ন্যক্কারজনক হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হওয়ার কারণ কী?
বিদায়ী বছরের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধের দিন সকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান, দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাসকে ছাত্রলীগের কর্মীরা রডের আঘাত ও চাপাতির কোপে নৃশংসভাবে হত্যা করে।  বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড সারা দেশে একটি ‘এজেন্ডা’ সেট করেছিল। দেশের সব গণমাধ্যমে ঘটনাটি ফলাও করে প্রচার করা হয়। পত্রিকার সম্পাদকীয় ও উপসম্পাদকীয় কলামে ও টিভির টক শোতে সরকার ও ছাত্রলীগের তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে। অথচ ছাত্রলীগ একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনÑ   মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালি জাতির বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে যার ছিল গৌরবময় ভূমিকা। কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগের যে ভূমিকা থাকার কথা তা আমরা দেখছি না। উল্টো এর নেতাকর্মীরা বর্তমান সরকারকে বারবার বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি করছে। চার বছর আগে মহাজোট মতাসীন হওয়ার পর এর প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন ছাত্রলীগ সাংঘাতিক রকমের বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাদের দুর্দমনীয় আচরণ ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় সময়ে সময়ে তাদের নিরস্ত করার বিভিন্ন উপায় ও ফর্মুলা উদ্ভাবন করা হয়; কিন্তু এসবে কোনো কাজ হয়নি। একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের ‘সাংগঠনিক নেত্রী’র পদ থেকে পদত্যাগও করেছিলেন। তারপরও ছাত্রলীগের ধারাবাহিক অপতৎপরতা দেখে মনে হয় না, এ থেকে সংগঠনটি কোনো শিা গ্রহণ করেছে। অতীতে দেশ ও জাতির বিভিন্ন দুর্দিনে কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালন করলেও ঐতিহ্যবাহী এ ছাত্র সংগঠনটির আদর্শ-নৈতিকতা গত দুই দশক ধরে দিন দিন ক্ষয়িষ্ণু বলেই মনে হচ্ছে। উপরন্তু, ’৯১ সালে দেশে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালুর পর থেকে ছাত্ররাজনীতি কার্যত দলীয় লেজুড়বৃত্তি ও পেশিশক্তিনির্ভর বর্তমান ধারা ক্রমশ জোরালো হওয়ায় দেশে এর প্রয়োজনীয়তাও আজ প্রশ্নবিদ্ধ। ছাত্ররাজনীতির এমন কলুষিত অবস্থায় ‘বিরোধী দলের আন্দোলন প্রতিহত করতে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে কাজ করতে হবে’Ñ স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্যÑ ছাত্রলীগকে মানুষ হত্যায় প্ররোচিত করবে, না-কি গঠনমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ করবেÑ তা সহজেই বোধগম্য। ‘নেতার আদেশ শিরোধার্য’ মেনে ছাত্রলীগ দ্বিগুণ উৎসাহে হত্যা-সন্ত্রাস-অপকর্মে লিপ্ত হবেÑ এটিই স্বাভাবিক। এমপিওভুক্ত হওয়ার দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর সরকার যদি স্বল্পশিক্ষিত পুলিশ বাহিনীকে পেটোয়া বাহিনীর মতো লেলিয়ে দেয়, তাহলে ছাত্রলীগ কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর চড়াও হবেÑ এতে অবাক হওয়ার কী আছে! তাই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা করলেও এসব ঘটনার দায় রাষ্ট্রযন্ত্র তথা সরকারের মন্ত্রী, নীতিনির্ধারকেরা কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।
আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের নেতারা গণতন্ত্রের নামে অনেক বড় বড় বুলি আওড়ালেও নিজেদের সংগঠন পরিচালনায় যেমন গণতন্ত্র চর্চা করেন না, তেমনি কর্মীদের নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও শৃঙ্খলার প্রশিক্ষণ দিতে নেই কোনো পদক্ষেপ। নেতাকর্মীদের আচার-ব্যবহার কেমন হওয়া উচিতÑ এ নিয়ে কী সরকার, কী বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠনের কোনো উদ্যোগ বা প্রচেষ্টা দেখা যায় না। ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা কোনো কুকর্মে লিপ্ত হলে কয়েক দিন লোকদেখানো হুমকি-ধমকি দিয়েই মুরুব্বি সংগঠনের নেতারা ক্ষান্ত হন। তাও আবার সব নেতার চোখ রাঙানি, শাসানিকে ভয় পায় না তারা। ক্ষমতাধর, পেশিশক্তি ও অর্থশক্তিতে বলীয়ান নেতাদেরকে বেপরোয়া কর্মীরা কিছুটা তোয়াক্কা করে। জ্যেষ্ঠ, কিন্তু অপেক্ষাকৃত নিরীহ নেতাদেরও তারা তেমন মূল্যায়ন করে না। ক্যাম্পাসে সাংবাদিকতা করার সময় দেখেছি, যেসব নেতাদের গ্রুপ আছে, অতীতে অনেকের জন্য আতঙ্ক ছিল, বিভিন্ন আলোচিত সন্ত্রাসী ঘটনার হোতাÑ কেবল তাদেরই উচ্ছৃঙ্খল কর্মীরা সমীহ, ভয় ও শ্রদ্ধা করে। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার মতো তাদের পেছনে আঠার মতো কর্মীদের ভিড় লেগে থাকে। বড় ছাত্রসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সামান্য স্বার্থের দ্বন্দ্ব দেখা দিলে নিজ দলের কর্মীদের হত্যা করতে দ্বিধা করে না তারা। এ ধরনের নৈতিকতা বিবর্জিত নেতাকর্মীরাÑ যাদের পেশা-নেশা হচ্ছে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কিংবা মারপিট করাÑ তারা নিজেদের অভিভাবকতূল্য শিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে দ্বিধা-সঙ্কোচ করার কথা নয়।
রংপুর বেগম রোকেয়া ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার ঘটনার ব্যাপকতা, তাৎপর্য ও প্রভাব অনেক। এ ধরনের বর্বরোচিত ঘটনার সংবাদ-মূল্য থাকায় গণমাধ্যমে কম-বেশি প্রচারিত হয়; এবং আমরাও সম্যক অবহিত হই। কিন্তু দেশের বিভিন্ন কলেজ, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় তো বটেÑ অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকেরা প্রতিনিয়ত ‘নীরব’ হয়রানি আর নিগ্রহের শিকার হচ্ছেন, পদে পদে ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে তাদের সম্মান ও মর্যাদাÑ যেসব খবর সবার অগোচরে থেকে যায়। ছোট্ট একটি উদাহরণ দিচ্ছি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শহর থেকে অনেক দূরে হওয়ায় নাগরিক সুবিধা পেতে আবাসিক শিক-কর্মকর্তাদের প্রায়ই শহরে যেতে হয়। শহর ও ক্যাম্পাসে যাতায়াত করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘শপিং বাস’ নামে পরিবহন সুবিধা দেয়া হয়। এসব বাস কেবল শিক-কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সংরতি থাকলেও প্রায়ই কিছু ছাত্র জোরপূর্বক এসব বাসে উঠে পড়ে। এদের কারণে অনেক শিক বাসে সিট না পেয়ে দাঁড়িয়ে শহর থেকে ক্যাম্পাস পর্যন্ত এসেছেনÑ এমন ঘটনাও ঘটে। এসব ছাত্রের বেশিরভাগই ক্যাম্পাসে মুখচেনাÑ সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠনের কর্মী। দু-একজন শিক মাঝেমধ্যে প্রতিবাদ করলে উল্টো তাদেরকে নাজেহাল ও অপদস্ত হতে হয়। আত্মসম্মানের কথা ভেবে বেশিরভাগ শিক তাই চুপ থাকেন। সাত-পাঁচ ভেবে প্রভাবশালী শিকেরাও অনেক সময় টুঁ শব্দটি পর্যন্ত করেন না। এমন ঘটনাও ঘটেছে শিকবাস আটকে রাখা হয়েছে ছাত্রদের উঠতে না দেয়ার কারণে। হলগুলোতে ছাত্রসংগঠনের কর্মীদের ‘বেয়াদবির ভয়ে’ শিকদের অনেকেই এখন আর আবাসিক শিকের দায়িত্ব নিতে চান না। মেডিক্যাল কলেজে পাসের হার বাড়াতে ছাত্রলীগ নেতারা প্রিন্সিপালকে চাপ দিচ্ছেনÑ এমন খবরও গণমাধ্যমে এসেছে! উপস্থিতির হার কম হওয়ায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের কয়েকজনকে বিভাগীয় শিকেরা পরীা দেয়ার অনুমতি না দেয়ায় সাড়ে তিন মাস ধরে ঝুলে ছিল শতাধিক শিার্থীর পরীা। কাস না করেও পরীায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয় বিভিন্ন বিভাগের সভাপতিকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আওয়ামী ঘরানার একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে দেশের বিভিন্ন শীর্ষ দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে বর্তমান সরকারের গঠনমূলক সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শও দিয়ে থাকেন। ছাত্রলীগের অপকর্ম নিয়ে লেখার কারণে তার বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করে ছাত্রসংগঠনটির নেতাকর্মীরা; অবমাননাকর স্লোগান ও হুমকি-ধমকিও দেয়া হয় মিছিল থেকে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র যে এর চেয়ে আশাব্যঞ্জক তা নয়। এভাবে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকদের ওপর প্রকাশ্যে-নীরবে নিগ্রহ-হুমকি-লাঞ্ছনার যেসব ঘটনা ঘটছেÑ তার খোঁজ হয়তো সংশ্লিষ্ট ও ভুক্তভোগীরা ছাড়া কেউ জানতেও পারেন না।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তির কারণে শিকদের মধ্যে দলীয় বিভক্তি দিন দিন তীব্রতর হচ্ছে। শিকসমাজ আজ রাজনৈতিক মতাদর্শগত আনুগত্যে যেমন অন্ধ হয়ে গেছেন, তেমনি দুর্বলও হয়ে পড়েছেন; আর এর সুযোগ নিচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। তা না হলে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিকদের ওপর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়ে কেন ঢাকাসহ বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক ও শিক সমিতির নেতৃবৃন্দ একটা বিবৃতি পর্যন্ত দিলেন না! নিজ সম্প্রদায়ের ওপর ছাত্র নামধারী সন্ত্রাসীদের চরম ধৃষ্টতাপূর্ণ আঘাত আসার পরও দলীয় সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে ওঠা যাবে নাÑ দলপ্রীতির এমনই নমুনা এখন শিকদের! প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের শিকদের সাথে ছাত্রসংগঠনের নেতাদের একটা প্রত্য ও পরো যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক থাকে। অনেক সময় ছাত্র সংগঠনের নেতারা শিক নেতাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে। দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার পরিকল্পনা কি আওয়ামী লীগ তথা উপাচার্য সমর্থিত শিকেরা কেউ জানতেন নাÑ এ কথা কি তারা হলফ করে বলতে পারবেন? জানলেও তারা কি ছাত্রদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছেন? সম্প্রতি দু’টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিকদের ওপর হামলার যে দু’টি জঘন্য দৃষ্টান্ত আমরা দেখলাম, তা অব্যাহত থাকলে শিকতা পেশার সাথে ন্যূনতম সম্মান ও মর্যাদাবোধের যে নিবিড় সম্পর্ক আছে, তাও আর থাকবে না। একজন শিক তার মুক্তচিন্তা, চেতনা ও মননে নিজস্ব স্বকীয়তা ও স্বাধীনতা হারাবেন।
সবশেষে বলতে চাই, শিকদের ওপর হামলার মতো বর্বরোচিত ঘটনার দায় সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না। ইসলামী ও রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত উপাচার্যদের না সরিয়ে সরকার কেন তাদের প্রতি সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা অব্যাহত রেখেছে? সেখানে আন্দোলনরত শিকদের জন্য কেন পর্যাপ্ত পুলিশি নিরাপত্তা দেয়া হয়নি? কেন জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সবাইকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি? বিদ্যমান অসহিষ্ণু রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে সরকার ও প্রশাসনের এমন নীরব ভূমিকায় ভবিষ্যতে আরো কত ঘৃণ্য ঘটনার জন্ম হবেÑ তা কে জানে! যেখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৯ নভেম্বর শিকদের ওপর হামলার তদন্ত কমিটি গঠিত হওয়ার এক দিনের মাথায় আবার শিকদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ!
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads