শুক্রবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১৩

স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা জিয়া



মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন

বাংলাদেশকে স্বনির্ভর করার মহাপরিকল্পনা ও ভিশন নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। এ লক্ষ্যে তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। আর এ তিনটি খাত হলো—কৃষি, জনশক্তি ও তৈরি পোশাক শিল্প। জনশক্তিকে কাজ লাগাতে এবং শিল্প বিকাশে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করার উদ্যোগ নেন জিয়া। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত পররাষ্ট্রনীতি এবং পরিকল্পনা ও ভিশন অনুযায়ী অর্থনীতির উত্স বলে খ্যাত মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়।
শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি প্রেরণ ও ইউরোপ-আমেরিকায় তৈরি পোশাক রফতানি। আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃিপণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প ও জনশক্তি রফতানি। এ দুটি খাতের কারণেই বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত না করলে এটি সম্ভব হতো না। আজ ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনুকূলে নয়, মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক রফতানি প্রায় বন্ধ। অন্যদিকে গার্মেন্ট শিল্পেও আমেরিকা জিএসপি সুবিধা তুলে নেয়ার চিন্তা করছে।
সত্তর দশকের শেষদিকে ইউরোপ-আমেরিকা জাপান, কোরিয়া ও হংকং থেকে গার্মেন্ট পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয় এবং কোটা বেঁধে দেয়। ওই সময় এ দেশগুলো ছিল গার্মেন্টের সূতিকাগার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোটা বেঁধে দেয়ার ফলে অন্য দেশেরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। এই সুযোগ কাজে লাগান জিয়া। ১৯৭৭ সাল থেকে বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের প্রভূত বিস্তার ঘটতে থাকে। এই তৈরি পোশাক শিল্প এখন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সর্ববৃহত্ খাত হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও ভিশন ছাড়া একটি শিল্পখাত উন্নতির সর্বোচ্চ শিখরে উঠতে পারে না, একজন স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেই এটি সম্ভব হয়েছে; আর এ স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন জিয়াউর রহমান।
১৯৭৮ সালে সৌদি আরবে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এরপর একে একে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের জনশক্তির বাজার সম্প্রসারণ হতে থাকে। বর্তমানে এ খাতটি বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃিপণ্ড। প্রায় ১ কোটির মতো বাংলাদেশী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কর্মরত। এখানেও একটি সুস্পষ্ট পরিকল্পনা ও ভিশন কাজ করেছে। ভিশন ছাড়া কোনোভাবেই এটি এতদূর যেতে পারত না।
বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ আলোচিত হচ্ছে বিশ্বপরিমণ্ডলে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আশাতীতভাবে বাড়ছে, এটি জিয়ার লাগানো গাছের ফল; আর এই ফল ভোগ করছে বর্তমান সরকার। কিন্তু তাদের ভুল নীতির কারণে ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে দেখা দিচ্ছে অনিশ্চয়তা। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি একপ্রকার বন্ধই বলা যায়। অন্যদিকে আমেরিকায় তৈরি পোশাক রফতানির ওপর ‘জেনারালাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স’ জিএসপি সুবিধা নিয়ে দেখা দিয়েছে সঙ্কট।
জিয়ার ভিশন ও পরিকল্পনার আরেকটি নিদর্শন হলো বিএনপি প্রতিষ্ঠা। বিএনপির মাধ্যমে জিয়া একটি রাজনৈতিক বলয় সৃষ্টি করেন, যেটি জাতীয়তাবাদের পতাকা সমুন্নত রাখছে। বর্তমানে বিএনপি দেশের গণমানুষের একটি দল। ১৯ দফা কর্মসূচি ধারণ করে ক্রমান্বয়ে বিকশিত হয়ে বিএনপি বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ নয়, এ উপমহাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপির নেতৃত্বে পাঁচবার সরকার গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের শুভ ও মঙ্গলজনক সব বড় বড় অর্জন বিএনপির হাত ধরেই হয়েছে, বিএনপির রাজনীতিই বিশ্বে এদেশের মানুষকে একটি নতুন পরিচয়ে পরিচিত করেছে। তাই জিয়ার বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসের পৃষ্ঠাকে অনেকটা উজ্জ্বল করে রেখেছে।
হানাহানি, অনৈক্য ও বিভাজন চতুর্দিক দিয়ে দেশকে যখন গ্রাস করেছিল, ঠিক তখন জিয়ার বিএনপি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিল, রাজনীতিবিদদের মধ্যে তৈরি করেছিল দেশ গড়ার এক অনবদ্য সোপান। নৃতাত্ত্বিক এবং আদর্শিক চেতনা মিশ্র স্বতন্ত্র রূপ ও পরিচয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে জিয়া প্রবর্তন করেন নতুন রাজনৈতিক দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। এটি বিএনপির রাজনীতির প্রধান স্তম্ভ। এটি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইতিহাসবোধ, অনুভূতি ও বিশ্বাসকে নাড়া দিয়েছে এবং প্রতিনিয়ত দিচ্ছে।
তাছাড়া স্বনির্ভর দেশ গড়তে এবং মানুষের জীবনে অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে জিয়া ঘোষণা করেন ‘১৯ দফা’ কর্মসূচি। এটিও বিএনপির রাজনীতির আরেকটি অন্যতম স্তম্ভ। জিয়া বিএনপির মাধ্যমে এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মাঠে-ঘাটে, পথে-প্রান্তরে। আমাদের কৃষিভিত্তিক সভ্যতার নিজস্ব স্বকীয় রূপ ফুটে উঠেছিল জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে। তিনি গ্রামের পর গ্রাম, মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন। নিজের হাতে কোদাল তুলে নিয়েছেন, খনন করেছেন খাল; তার দুই হাতের ছোঁয়ায় ফসলে ফসলে মাঠ ভরপুর হয়ে উঠেছিল, ঘটেছিল কৃষিবিপ্লব। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’র উপাধি পাওয়া দেশ পরিণত হয়েছিল ফুল, ফল ও ফসলে ভরপুর এক দেশে, মানুষ পরিণত হয়েছিল কর্মমুখী মানুষে; গ্রামে গ্রামে সৃষ্টি হয়েছিল সামাজিক নেতৃত্ব। স্বনির্ভর গ্রাম ও স্বনির্ভর দেশ গড়তে জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অনিবার্য দিকনির্দেশনা হয়ে আছে এবং থাকবে।
জিয়াউর রহমান বিএনপির জন্য রেখে গেছেন এক স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস। তার আদর্শ, সততা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তা-চেতনা মিলেমিশে একাকার হয়ে আছে আমাদের জাতীয় জীবনে। জাতিকে বড় করার সব গুণ জিয়ার মধ্যে ছিল। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন বড় কিছু করতে। তার চিন্তা ছিল সুদূরপ্রসারী। জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতির গতিপথ পরিবর্তন করেন। জিয়ার কর্মতত্পরতাতেই গ্রামে গ্রামে, পাড়ায় পাড়ায় গড়ে ওঠে সমষ্টিগত শক্তি, সামাজিক শক্তি ও সামাজিক নেতৃত্ব। ফলে বিচ্ছিন্ন, দ্বিধাবিভক্ত ও শক্তিহীন মানুষ সমষ্টিগত শক্তিতে পরিণত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে যার যার কাজে। বৃদ্ধি পায় ক্ষেতে-খামারে ও কল-কারখানায় উত্পাদন, খাদ্য সঙ্কটের দেশ পরিণত হয় খাদ্য রফতানির দেশে। বাংলাদেশ রূপান্তরিত হয় উন্নয়নশীল ও সম্ভাবনাময় দেশে। শক্তিশালী এবং সত্-সামাজিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমেই একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত ও নেতৃত্বশূন্য বাংলাদেশকে অল্প সময়েই কাঠামোগতভাবে সুসংহত রাষ্ট্রে পরিণত করেন জিয়া; যার সুফল আজ ভোগ করছে পুরো জাতি। আজ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়া সফরে যান, যে রাশিয়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য কোনো ভূমিকা রাখার ক্ষমতা রাখে না। আসলে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্রনীতি সেই সত্তরের দশকেই ফিরে গেছে। এখান থেকে তলাবিহীন ঝুড়ির খেতাব পাওয়া ছাড়া বাংলাদেশ আর কিছু পাবে বলে মনে হয় না।
জিয়া সুস্পষ্ট দর্শনের ভিত্তিতে একটি প্রজন্মকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তাই তাদের বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আজকের প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করা সম্ভব হয়েছে। ব্যাপক ও পরিকল্পিত অপপ্রচার চালিয়ে আজকের প্রজন্মের মাঝে বিএনপির প্রতি নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়া হয়েছে। নতুন প্রজন্মকে এ থেকে বের করে আনতে হবে, লেখালেখির মাধ্যমে তাদের মাঝে জিয়ার রাজনৈতিক ও আদর্শিক দিক বেশি করে তুলে ধরতে হবে। ঘনায়মান অন্ধকার পেরিয়ে সুন্দর ও নান্দনিক রাষ্ট্র বিনির্মাণে জিয়ার কর্মস্পৃহা অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।
জিয়ার আদর্শ ও দিকদর্শন বিএনপি নেতাকর্মীদের হাতে-কলমে শিক্ষা দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি রাজনৈতিক শিক্ষালয়ও। রাষ্ট্রকে জানতে হলে, চিনতে হলে এবং ভালোবাসতে হলে বিএনপির রাজনীতির গভীরে যেতে হবে। শুধু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য জিয়া এই দলের জন্ম দেননি; এর আলোকে জাতি গঠন, ত্যাগী, কর্মঠ ও দক্ষ মানুষ তৈরি এবং মানুষকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করাও বিএনপির অন্যতম লক্ষ্য।
পৃথিবীতে তথ্যপ্রযুক্তি ও গণমাধ্যম এখন অন্যতম শক্তি। তথ্যপ্রযুক্তিতে যারা এগিয়ে থাকবে, আগামীতে তারাই বিশ্ব শাসন করবে। তথ্যপ্রযুক্তিতে যারা পিছিয়ে থাকবে, তাদের কোথাও কোনো শ্রেষ্ঠত্ব থাববে না। তারা রাজনীতি ও অর্থনীতির মূল স্রোত থেকে অবধারিতভাবেই ছিটকে পড়বে। ছাত্রলীগের সাবেক বহু সদস্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নীতিনির্ধারণী পদে দায়িত্ব পালন করছেন। অনুরূপ দায়িত্ব পালন করছেন ছাত্রশিবিরেরও অনেক সদস্য। কিন্তু বাংলাদেশের সর্ববৃহত্ ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ক’জন সদস্য মিডিয়ায় চালকের আসনে আছেন, এটি ভেবে দেখতে অনুরোধ করব বিএনপির নীতিনির্ধারণী মহলকে।
নেতিবাচক রাজনীতির পেছনে দেশের রাজনৈতিক দলগুলো যে টাকা খরচ করে, সে টাকা দিয়ে প্রশিক্ষণ ও গবেষণামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। যাতে দলীয় নেতাকর্মীরা লেখালেখি, গবেষণা ও সৃজনশীল কাজের ওপর প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোতে কাঙ্ক্ষিত লেখক, গবেষক ও সৃজনশীল মানুষ তৈরি হবে। এই মানুষদের গবেষণা করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক কর্মকৌশল তৈরি করলে তা দলের জন্য যেমন ভালো ফল বয়ে আনবে, তেমনি দেশের জন্যও ভালো হবে। এই রাজনৈতিক দলের জনপ্রিয়তাও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে।
রাজনৈতিক দলের কর্মী হওয়ার জন্য রয়েছে যুিক্ত ও ভিত্তি। আর এ যুিক্ত ও ভিত্তিটা হলো অপরাপর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দর্শনকে যথাযথভাবে যুক্তি ও কর্মসূচিসহ মোকাবিলা করে স্বীয় জীবনবোধের আলোকে সমাজ ও জাতিকে গড়ে তোলা। তাতে মানুষের মধ্যে একটি সুষ্ঠু-সুন্দর চেতনাবোধ তৈরি হয়, তৈরি হয় যুগোপযোগী চিন্তা-চেতনা। দলের প্রত্যেকটি কর্মীকেই তার মতো করে গড়ে তুলতে সদাসর্বদা সচেষ্ট ছিলেন জিয়া। এটি জিয়ার একটি সুদূরপ্রসারী স্বপ্নও ছিল। জিয়ার এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মধ্য দিয়েই তার এবং তার রেখে যাওয়া দলের প্রতি যথাযথ সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা সম্ভব।
জিয়া মহাকালিক মহাসড়কের চিরঞ্জীব প্রতিভূ। যোগ্যতা, শ্রম ও একাগ্রতা আর অধ্যবসায়ের মেলবন্ধনে তিনি সব বিঘ্নের প্রাচীরকে চূর্ণ করে শেষ পর্যন্ত পৌঁছে গেছেন সাফল্যের শীর্ষতম বিন্দুতে। জনপ্রিয়তা আর জিয়া পরিণত হয়েছিলেন এক ও অভিন্ন সত্তায়। জনপ্রিয়তার সঙ্গে সঙ্গে উত্কৃষ্ট সৃষ্টিশীলতার সংমিশ্রণ জিয়ার প্রধানতম কৃতিত্ব। ইতিহাস জিয়াকে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছে, ব্যক্তির অস্তিত্ব অতিক্রমী জিয়াও তেমনিভাবে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। দারিদ্র্য, রাজনৈতিক সঙ্কট, আর্থ-সামাজিক ঝড় পেরিয়ে জিয়া যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন—সেটা বিশ্বজয়ের চেয়ে কম রোমাঞ্চকর নয়।
লেখক : কলামিস্ট ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
belayet_1@yahoo.com

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads