মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০১৪

কিছু অনাকাক্সিক্ষত বিতর্ক


অপরের মুখ ম্লান করে দিতে গেলে কখনও কখনও নিজের মুখই যে ম্লান হয়ে আসতে পারে এই সাধারণ বুদ্ধিরও বিলোপ ঘটতে বসেছে। কবি জীবনানন্দ দাশ বোধকরি আমাদের সম্পর্কে সঠিকভাবেই বলেছিলেন যে, ‘অপরের ম্লান করে দেওয়া ছাড়া উহাদের প্রিয় কোনো সুখ নেই।’ কার্যত আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদের অবস্থা তেমনই দাঁড়িয়েছে। নিজেদের যে কৃতিত্ব তারা জাহির করতে পারেন, তার সবই ভুয়া। গোয়েবলসীয় তাদের ধারণা, অবিরাম মিথ্যা কৃতিত্ব জাহির হতে থাকলে এক সময় মানুষ তা সত্য বলে বিশ্বাস করবে। সরকারের এসব প্রচারণায় কখনও কখনও মনে হয়, তারা যেন হেলিকপ্টার নিয়ে মঙ্গল বা বৃহস্পতি গ্রহে চলে গেছে। কৃতিত্বের এমনই মাত্রা! আর সরকারের নেতৃস্থানীয় লোকজন এমনভাবে কথা বলেন যে, তাতে বাচ্চারাও হাসতে বাধ্য। সেসব কথায় তাদের জেদ বা ফুটানীর বহিঃপ্রকাশ এমনভাবে হয় যে, তার দ্বারা দুনিয়া চলে না। শিষ্টাচার চলে না। কূটনীতিও চলে না। তাদের ধারণাই নেই যে, কূটনীতি বা শিষ্টাচার কাকে বলে। সে কারণে কখনও কখনও জাতি হিসেবে নিজেদের একেবারে অসভ্য মনে হয়। সেটা ব্যক্তি আমাদের কারণে যতোটা নয়, তার চাইতে নেতাদের কারণে অনেক বেশি।
এই সমাজে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য মনে হয় একেবারে আদাজল খেয়ে লেগেছে আওয়ামী লীগের কিছু শিক্ষা-দীক্ষাহীন নেতা-নেত্রী। এদের বেশির ভাগই হাইব্রিড। হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনা এমন হাইব্রিড নেতা-নেত্রীকে পছন্দ করেন। পাস করা শিক্ষার কোনো মানদ- নয়, শিক্ষার মানদ- জ্ঞানার্জন। জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো ডিগ্রীর প্রয়োজন হয় না। সেই জ্ঞান থেকে আওয়ামী লীগের অবস্থান বহু দূরে। যারা কিছুটা শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন করেছে, তারা নির্বাসিত। কিংবা আওয়ামী লীগে উপেক্ষিত। যারা গালিগালাজে সিদ্ধহস্ত আওয়ামী লীগে এখন তাদের কদর অনেক বেশি। ফলে নতুন নতুন মিথ্যুক ও চাপাবাজের আবির্ভাবও ঘটতে দেখেছি। মানুষ যখন যুক্তিতে একেবারেই কাবু হয়ে যায়, তখন গালি দেয়। আওয়ামী লীগও এমন গালিবাজ পার্টিতে পরিণত হয়েছে। হাইব্রিডরা তো আছেনই। জনগণ সবসময় তাদের লাফাঙ্গা মনে করে। কিন্তু এদের সঙ্গে যখন যুক্ত হন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতারা তখন আর দুঃখের অবধি থাকে না।
সম্প্রতি এমন বিতর্ক উঠলো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে নিয়ে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক কি ঘোষক নয়, এমন তর্কাতর্কি বহু আগেই মীমাংসিত। এদেশের সর্বস্তরের মানুষ জানেন যে, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ জিয়াউর রহমান নিজ উদ্যোগে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণা করেন। সে যুদ্ধে নিজে যেমন ঝাঁপিয়ে পড়েন, তেমনি দেশবাসীকেও সেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। এতে আওয়ামী লীগের কী সমস্যা হলো সেটি বোঝা ভারি দায়। সম্প্রতি বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষকই ছিলেন না, তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্টও ছিলেন। তাতে কোন মহাভারত অশুদ্ধ হলো এটা আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না। কিন্তু আওয়ামী লীগ হাইব্রিড নেতা থেকে শুরু করে মন্ত্রিত্ব রক্ষায় কোনো কোনো প্রবীণ নেতাও সেই হল্লাচিল্লায় নির্লজ্জভাবে যোগ দিলেন। তারেক রহমানকে নির্বোধ, মূর্খ, আহাম্মক, অর্বাচিন বালক, অশিষ্ট, বেয়াদব প্রভৃতি ভাষায় গালাগাল শুরু করলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কেউই প্রকৃত ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকাতে চাইলেন না।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সত্য পরাভূত, বিতাড়িত। এটা সবসময়ই হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সেই সত্য উদঘাটনে তারেক রহমান সম্প্রতি একটি গ্রন্থ সংকলন করেছেন। যার শিরোনাম ‘জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক’। এই বইয়ের প্রকাশকাল ৩০ মে ২০১৪। তার আগেই তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে শারমিন আহমদ ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’Ñ শিরোনামে একটি বই রচনা ও প্রকাশ করেছেন। যার প্রকাশকাল এপ্রিল ২০১৪। তাতে তিনিও এমন সব বিষয়ের অবতারণা করেছেন যে, সেসব বিষয়ে জিয়াউর রহমান বা অন্যসব বুদ্ধিজীবীকে গালিগালাজ করা সম্ভব হলেও তাজউদ্দীন আহমদকে সেভাবে গাল দিতে পারেনি আওয়ামী লীগ। বরং এই বইটির তথ্য-উপাত্ত যখন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হতে শুরু করে তখন আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নেয় যে, এই সম্পর্কে চুপচাপ থাকাই ভালো। জিয়াউর রহমান বা তারেক রহমানকে যে ভাষায় গালি দেওয়া যায়, সে ভাষায় সম্ভবত তাজউদ্দীন আহমদ বা শারমিন আহমদকে গালি দিলে হিতে বিপরীতও হতে পারে।
তারেক রহমান তার সম্পাদিত বইয়ে নিজে থেকে কার্যত কিছুই বলেননি। তিনি কিছু ঐতিহাসিক দলিলপত্র তুলে ধরে প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক ছিলেন। আর শেখ মুজিবুর রহমান যে প্রেসিডেন্ট থেকেও দুইদিনের মাথায় তাজউদ্দীন আহমদকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিলো না। অতএব তা ছিলো অবৈধ। তার শেষ কথাটি নতুনভাবে এলো। কিন্তু বহু আগে মীমাংসিত বিষয় ছিলো যে, ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ রাতে জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে নিজেকে বাংলাদেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মির চীফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্র’ গ্রন্থের তৃতীয় খ-ে সে ঘোষণা লিপিবদ্ধ আছে। ঘোষণাটি নিম্নরূপ :
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
প্রিয় সহযোদ্ধা ভাইয়েরা,
আমি, মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রভিশনাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মির চীফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন, সামর্থ্য অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। আমাদের যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানী বাহিনীকে দেশছাড়া করতে হবে।
ইনশাআল্লাহ্, বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’
সে সময় মুক্তিযুদ্ধের তিন নং সেক্টর কমান্ডার মেজর কেএম শফিউল্লাহ (বীর উত্তম), যিনি পরে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি তার ‘বাংলাদেশ অ্যাট ওয়ার’-বইয়ে লিখেছেন যে, ‘মেজর জিয়া ২৫ মার্চের রাত থেকেই পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে স্বদলবলে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তার কমান্ডিং অফিসার জানজুয়া ও অন্যদের প্রথমে গ্রেফতার এবং পরে হত্যা করে পাকিস্তানী বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। পরে ২৬শে মার্চ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানী সামরিক বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য সকলকে আহ্বান জানান। এতে তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধানরূপে ঘোষণা করেন। ২৭ মার্চ মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে আর একটি ঘোষণায় বলেন, বাংলাদেশ মুক্তি বাহিনীর সামরিক সর্বাধিনায়করূপে আমি মেজর জিয়া শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা করছি।’
প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের রাজনৈতিক সচিব মঈদুল হাসান তার ‘মূলধারা ৭১’ বইয়ে লেখেন, ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় আট ইবি’র বিদ্রোহী নেতা মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। মেজর জিয়া তার প্রথম বেতার বক্তৃতায় নিজেকে ‘রাষ্ট্রপ্রধান’ ঘোষণা করলেও পরদিন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পরামর্শক্রমে তিনি শেখ মুজিবের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার কথা প্রকাশ করেন। --- মেজর জিয়া শেখ মুজিবের নির্দেশে যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার কথা বললেও নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে আগেকার ঘোষণা সংশোধন করেননি।
মুক্তিযুদ্ধের এক নং সেক্টর কমান্ডার, পরে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম) তার ‘এ টেইল অফ মিলিয়নস’ বইয়ে লিখেছেন, ‘২৭শে মার্চের বিকেলে তিনি (মেজর জিয়া) আসেন মদনা ঘাটে এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। প্রথমে তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে ঘোষণা করেন। পরে তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’
আওয়ামী লীগের আর এক এমপি মেজর সুবিদ আলী ভূঁইয়া তার ‘মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস’ বইয়ে লিখেছেন, ‘এখানে মেজর জিয়াউর রহমানের সেই ঐতিহাসিক ভাষণ সম্পর্কে কিছু বলা প্রয়োজন। আমি পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, বেতার কেন্দ্র থেকে যারা মেজর জিয়ার ভাষণ শুনেছিলেন তাদের নিশ্চয় মনে আছে, মেজর জিয়া তার প্রথম দিনের ভাষণে নিজেকে হেড অফ দি স্টেট অর্থাৎ রাষ্ট্রপ্রধানরূপে ঘোষণা করেছিলেন।’ কর্নেল ড. অলি আহমদ তার পিএইচডি অভিসনদর্ভে (রাষ্ট্রবিপ্লব : সামরিক বাহিনীর সদস্যবৃন্দ এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ) লিখেছেন, ‘২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে মেজর জিয়া রিভল্ট করেন এবং পরে নিজের নামে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।’ ভারতের সাংবাদিক জ্যোতি সেনগুপ্ত তার ‘হিস্টোরী অফ ফ্রিডম মুভমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ বইয়ে লিখেছেন, ‘মেজর জিয়া ও তার বাহিনী ২৬শে মার্চ ভোররাতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন এবং ঐদিন সন্ধ্যায় বেতারের মাধ্যমে সর্বপ্রথম নিজের নামে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেন।’
মুক্তিযুদ্ধের উপ-প্রধান সেনাপতি পরে আওয়ামী লীগের মন্ত্রী ও এমপি এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) এ কে খন্দকার তার ‘মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর’ বইয়ে লিখেছেন, ‘মেজর জিয়া কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে এসে প্রথমে যে ঘোষণাটি দিলেন, সে ঘোষণায় তিনি নিজেকে বাংলাদেশেষর রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন। ... জিয়ার ২৭শে মার্চের ঘোষণা শোনার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে যারা ছিলেন, তাদের মধ্যে যে একটা প্রচ- উদ্দীপনার সৃষ্টি হয় সে সম্পর্কে কারও সন্দেহ থাকার কথা নয়। ... আমার স্মরণশক্তিতে যেটুকু আছে সেটুকু বলবো, এই ঘোষণা সংক্রান্ত ব্যপারে একটু আগে যা বললাম, তার বাইরে কোনো কিছু কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আর শোনা যায়নি। কেউ চট্টগ্রামে এ সংক্রান্ত সংবাদ পাঠিয়েছিলো বা জহুর আহমদ চৌধুরীর কাছে পাঠয়েছিলো এমন কোনো সংবাদ সে সময় আমরা শুনিনি। এ সম্পর্কে কথা বলা হয় স্বাধীনতার পর। ... আমি নিজে জানি, যুদ্ধের সময় জানি, যুদ্ধের পরবর্তী সময়েও জানি যে, মেজর জিয়ার এই ঘোষণাটি করার ফলে সারাদেশের ভেতরে এবং সীমান্তে যতো মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, তাদের মধ্যে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সাংঘাতিক একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মানুষ বিশ্বাস করতে শুরুর করলো যে, হ্যাঁ এবার বাংলাদেশ একটা যুদ্ধে নামলো।
এছাড়া আবুল মাল আব্দুল মুহিত, অলি আহমদ, মেজর জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মেজর জেনারেল কাজী নুরুজ্জামান, বদরুদ্দীন উমর, ড. রফিকুল ইসলাম, জেএন দীক্ষিত, ইন্দিরা গান্ধী, সঞ্জিব রেড্ডি, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট থেকে দেখা যায় যে, তারা সকলেই একবাক্যে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, জিয়াউর রহমানই ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক ও প্রথম রাষ্ট্রপতি। তারপরও একথা বললে বা এই দাবি করলে কোনো গালি দিতে হবে? বস্তুত সেটি হয়ে গেছে আওয়ামী লীগের কালচার। কিন্তু সত্য বা ‘বাস্তব কথা কঠোরই হয়।’
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads