২০০৮ সালে সামরিক জান্তার
সাথে ‘আঁতাতে’র মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে। আর
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচন সূত্রে ক্ষমতায় এসে জনমনের ইচ্ছার
বিরুদ্ধে ক্ষমতা আঁকড়ে আছে এরা। এই পুরোটা সময় হত্যা, লুণ্ঠন, ঘুষ, দুর্নীতি তাদের রাষ্ট্র পরিচালনার প্রধান
নিয়ামকে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্রের সাধারণ লক্ষ্য থাকে ঘুষ, দুর্নীতি দূর, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানুষের মৌলিক অধিকার ও জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করা। সরকার এর কোনোটিতেই
মনোযোগ দেয়ার সময় পায়নি। ক্ষমতায় আসীন হয়ে তাদের লক্ষ্য ছিল, কিভাবে রাষ্ট্রের সব সম্পদ লুণ্ঠন করা যায়, কিভাবে দলীয় নেতাকর্মীদের
পকেটে অর্থের জোগান দেয়া যায়, কিভাবে রাজনৈতিক ভিন্ন মতাবলম্বীদের হত্যা-গুমের
মাধ্যমে নিশ্চিহ্ন করা যায়, এর সবই।
সে
লক্ষ্য পূরণের জন্য অনেক খাত এরা বের করে নেয়। এগুলোর একটি রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল
বিদ্যুৎ। আরেকটি পদ্মা সেতু। এরপর ব্যাংক থেকে গচ্ছিত অর্থ লুট। এ ছাড়া
টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি এগুলো ঘটানোর ক্ষেত্রে বলতে গেলে এক ধরনের লাইসেন্স
দেয়া হয়। যাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ কর্মীরা রাতারাতি
বিত্তবান হতে পারে। আর সেই বিত্তের সাহায্যেই হতে পারে বৈধ-অবৈধ অস্ত্রের মালিক।
যখন তখন, প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে বিরোধীপক্ষকে খুন-গুম করতে পারে।
কিংবা এই অস্ত্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আরো অর্থবিত্তের মালিক হতে
পারে।
সে
কারণেই প্রতিদিন সম্ভবত অগুনতি অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছে। সেগুলো এত সঙ্গোপনে
করা হচ্ছে যে, মাসখানেক ধরে চেষ্টা করেও এই সরকারের আমলে কতসংখ্যক অস্ত্রের
লাইসেন্স দেয়া হয়েছে সেটি জানা সম্ভব হয়নি। উপরন্তু আওয়ামী লীগ এখন আওয়ামী লীগেরই
মাংস খুবলে খাচ্ছে বলে গোয়েন্দাদের তরফ থেকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে, আওয়ামী লীগের নেতারা যেন ঘর থেকে একা বের না হন এবং সাথে যেন অস্ত্র রাখেন, আর রাখেন বিশ্বস্ত সঙ্গী ও দেহরক্ষী। অর্থাৎ একজন আওয়ামী নেতার জন্য চার-পাঁচটি
অস্ত্রের অনুমোদন সিদ্ধ করা হচ্ছে। এসব অস্ত্রই আওয়ামী লীগ নেতাদের রক্ষার জন্য
ব্যবহৃত হবে এমন গ্যারান্টি নিশ্চয়ই দেয়া যায় না। এসব অস্ত্রের অপব্যবহার এবং এই
অস্ত্রের মাধ্যমে খুন, গুম, ডাকাতি, অপহরণ অবধারিত হয়ে উঠবে। এখন হচ্ছেও তাই।
র্যাব-পুলিশকে
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার ফলে তাদের অনেকেই এখন বৈধ
অস্ত্রের জোরে খুন, চাঁদাবাজি ও ভাড়াটে খুনি হিসেবে আবির্ভূত
হয়েছে। শত শত ঘটনা ঘটছে নীরবে। কোনো কোনোটা প্রকাশিত হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের ‘সেভেন মার্ডার’, ফুলগাজীর ‘একরাম হত্যা’, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শামীমকে হত্যার চেষ্টা; এর সবই ঘটেছে দলীয় কোন্দলে। এই দলীয় কোন্দলে যারা জড়িত তারা সবাই আওয়ামী
লীগ করেন এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। অস্ত্র সাথে রাখতে বললেন, গানম্যান রাখতে বললেন, বিশ্বস্ত সশস্ত্র সঙ্গী রাখতে বললেন। পারস্পরিক
কোন্দলে জড়িত উভয়ের হাতে আরো অস্ত্র গেল। ফলে নরহত্যাযজ্ঞের আশঙ্কা বাড়ল বহু গুণে।
এই হচ্ছে আওয়ামী সমাধান। ফলে গোটা বাংলাদেশ হতে বসেছে এক মৃত্যুপুরী, মৃত্যুর উপত্যকা।
এ
ক্ষেত্রে আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব হত্যাকাণ্ডের কিনারা করার বদলে সরকার
অবিরাম হত্যাকারীদের পক্ষই অবলম্বন করে যাচ্ছে। যে গেছে সে তো গেছেই, যে রয়ে গেছে তাকে না ঘাঁটিয়ে সরকার তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। বিচার
চাইতে গেলে বিপদ আরো বাড়ছে। প্রতিকার কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। কিছুকাল আগে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিএনপি নেতা শাহ নূরকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল র্যাব। রাতভর
নির্যাতন করে সকালে তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা
করেন। থানা এই মামলা নেয়নি। নিহতের স্বজনেরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার প্রার্থনা
করেছিলেন। আদালত র্যাব সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার জন্য থানাকে নির্দেশ
দিয়েছিলেন। কিন্তু পরদিনই দৃশ্যপট উল্টে যায়। ওই ম্যাজিস্ট্রেটকে সরিয়ে দিয়ে নতুন
ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি আগের আদেশ পরিবর্তন করে ভিন্ন আদেশ দেন। সে
আদেশে বলা হয় অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হোক।
অতিসম্প্রতি
চাঁদার দাবিতে যশোরের দুই ব্যবসায়ীকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। চাঁদা না পেয়ে তাদের
প্রাণে মারেনি বটে, কিন্তু পায়ে গুলি করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। এরা
উভয়েই এখন পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই দু’জনকেই বাঁচাতে তাদের পা কেটে
ফেলতে হবে। সরকারের তরফ থেকে এর কোনো ঘটনা নিয়েই টুঁ শব্দটি করা হয়নি।
সরকার
একটি লোক দেখানো মানবাধিকার কমিশন করেছে। তার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান কখন কী
বলেন তার ঠিক-ঠিকানা নেই। তবু সম্প্রতি এসবের বিরুদ্ধে দু-চার কথা বলতে শুরু
করেছেন। তিনি বলেন, আর তার কণ্ঠস্বর বাতাসে মিলিয়ে যায়। ব্যস, এ পর্যন্তই। আওয়ামী লীগের নেতারা ইস্যু যাই থাক, পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান; এদের বিরুদ্ধে গালিগালাজেই অভ্যস্ত। এসব
খুনখারাবি, অন্যায়-অবিচার কোনো কিছুই তাদের স্পর্শ করে না। সমাজের এসব
ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা কিংবা দিকনির্দেশনা কখনো শুনিনি। ফলে ধারণা করা যায়, সামনের দিনগুলো আরো ভয়াবহতা ও রক্তপাতের জন্য অপেক্ষমাণ।
আর
লুণ্ঠন! এটি মনে হয় আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসা বা ক্ষমতায় থাকার মূল উদ্দেশ্যে
পরিণত হয়েছে। লুণ্ঠনের নিত্যনতুন কৌশল উদ্ভাবন করে চলেছেন এরা। তার মধ্যে প্রধান
ছিল নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বদলে রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতের মাধ্যমে
হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা এবং এর মাধ্যমে আওয়ামী নেতাদের পকেট
ভারী করে তোলা। ইতোমধ্যে এই খাতে সরকার জনগণের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা গচ্চা
দিয়েছে। আর সে টাকা গুনতে হয়েছে সাধারণ মানুষকেই। বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে, সাধারণ মানুষের পকেট কেটে এই
টাকা নেয়া হয়েছে। এখনো নেয়া হচ্ছে। নতুন কোনো স্থায়ী বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এই পাঁচ
বছরে সরকার নির্মাণ করতে পারেনি। দেশের অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বারবার সতর্ক
করেছেন যে, রেন্টাল-কুইক রেন্টালের ওপর এই মাত্রার নির্ভরতার ফলে পৃথিবীর
অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। সুতরাং এটি বন্ধ করা হোক।
এই
দাবি যখন উঠল তখন এই সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রী শ্লেষাত্মক ভাষায় সমালোচনাকারীদের তিরস্কার করলেন এবং বললেন, এসব সমালোচনাকারীর বাসায় বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়া হবে। রেন্টাল-কুইক
রেন্টালে দেশ দেউলিয়াত্বের দিকে গেছে। কিন্তু লোডশেডিং কমেনি। শহরে দিনে দুই-তিন
ঘণ্টা লোডশেডিং হলেও গ্রামাঞ্চলে সারা দিনে বিদ্যুৎ থাকেই মাত্র কয়েক ঘণ্টা। গ্যাস-বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলের মূল্য বাড়ানোর ফলে কৃষি ও শিল্পপণ্যের উৎপাদনব্যয় বৃদ্ধি
পেয়েছে। তার মাশুলও গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই। যে সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, ব্যয় বেড়েছে প্রতিনিয়তই। কিন্তু সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে ভাবার
অবকাশ এই সরকারের নেই। কারণ যে দেশের মানুষ মুজিব হত্যার বিচার করেনি, এ কষ্ট তাদের হওয়াই উচিত।
এরপর
আসা যায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক লুটের কাহিনীতে। বৃহৎ আকারে এই লুট প্রথম ধরা পড়ে
সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায়। হলমার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া
কাগজপত্রে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যায়। এই লুটের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন
প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা, এমন খবরও গণমাধ্যমে এসেছে। তিনি প্রধানমন্ত্রীর
খুব কাছের লোক ছিলেন। কানের ডাক্তার। মইন উদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সামরিক সরকারের আমলে
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যখন বিদেশে পাড়ি জামানোর চেষ্টা করেন তখন এই ডাক্তার ‘অকাট্য’ প্রমাণ তুলে ধরেন যে, বিবি এভিনিউতে গ্রেনেড
হামলার শব্দে শেখ হাসিনার দুই কানই অচল হয়ে গেছে। চিকিৎসার জন্য তার বিদেশে যাওয়া
প্রয়োজন। ওই একই সময়ে সংবাদপত্রে একটি ছবি ছাপা হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছিল যে, শেখ হাসিনা দুই কানে দুই মোবাইল লাগিয়ে কথা বলছেন। যা হোক, ওই ডাক্তারের অবিরাম দাপাদাপিতে শেখ হাসিনা সে সময় বিদেশে পাড়ি জমাতে
পেরেছিলেন। ফলে তিনি তার খুব কাছের লোক।
এ
ক্ষেত্রে ব্যাংকও বোধ হয় নিরুপায় ছিল। প্রধানমন্ত্রীর এত কাছের লোক! তার তদবির না
শুনে উপায় আছে! আবার এই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটের ঘটনা যখন প্রকাশিত হয়ে পড়ল, তখন অর্থমন্ত্রী বললেন, বাংলাদেশের জন্য এই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা
কোনো ব্যাপারই না। অর্থাৎ ইচ্ছে করলে যে কেউ যেকোনো ছলচাতুরীর মাধ্যমে এই অঙ্কের
টাকা আত্মসাৎ করতে পারেন। তাতে দোষের কিছু হবে না। তারপর আস্তে আস্তে থলে থেকে আরো
সব কালো বিড়াল বের হতে শুরু করল। জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, সর্বশেষ বেসিক ব্যাংক থেকে আরো হাজার কোটি টাকা
লুটের খবর বেরিয়ে এসেছে। লুট কী লুট! ব্যাংক যদি কাউকে লোন দেয়, তাহলে তা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক টু ব্যাংক হ্যান্ডেলিং হওয়ার কথা। কিন্তু
বেসিক ব্যাংকের গুলশান শাখায় ঘটেছে আজব ঘটনা। লুটেরারা সন্ধ্যার পর পাজেরো গাড়ি
নিয়ে ব্যাংকে এসেছেন, শত শত কোটি টাকা নগদে গাড়িতে তুলে চলে গেছেন।
ব্যবস্থা
তেমন কিছুই হয়নি। হলমার্কের তানভীর বা জেসমিন জেলে আছেন। এরা সেখান থেকে প্রস্তাব
করেছিলেন আরো কয়েক শ’ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণের। যাতে এরা আগে গৃহীত ঋণ
পরিশোধ করতে পারেন। এ জন্য অন্য কোনো মন্ত্রী-উপদেষ্টা কোনো সুপারিশ করেছেন কি না
জানি না। কিন্তু যে উপদেষ্টার তদবিরে অবৈধভাবে এই সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা
অবমুক্ত হলো, তিনি আছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তাকে কেউ কোনো প্রশ্ন করেনি।
আর
পদ্মা সেতুর কথা না হয় নাই বললাম। সে সেতুর জন্য বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি, আইডিবি খুব সামান্য শর্তে ঋণ প্রস্তাব করেছিল।
সে প্রস্তাবের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রীর অতি প্রিয়ভাজন তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ
আবুল হোসেন সাড়ে তিন শ’ কোটি টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন।
বিশ্বব্যাংক তথ্যপ্রমাণ দিয়ে সরকারকে বলেছিল, অর্থ পেতে হলে এই
দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীকে অপসারণ করতে হবে। এতে ভয়ানক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান বলে ঘোষণা করে তাদের অডিট রিপোর্ট দাবি
করে বসেছিলেন। আর আবুল হোসেনকে ঘোষণা করেছিলেন ‘শ্রেষ্ঠ দেশপ্রেমিক’।
পাদটীকা
: পোশাকশ্রমিক নির্যাতনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চিঠি পাঠানোকে
রাষ্ট্রদ্রোহিতা বলে বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল ইসলামের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ
জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ব্যাপারে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি
হার্ব বলেছেন, এ ধরনের বিবৃতিতে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এটি খুবই জঘন্য এবং
কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। হুমকি অথবা ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে সুশীলসমাজের মুখ
বন্ধ করার চেষ্টা হলে তার দায় সব বাংলাদেশীকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশীদের
জন্য এটি সুখবর নয়।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন