শনিবার, ৭ জুন, ২০১৪

খুনি-লুটেরা চিরজীবী হোক


আমার এই প্রার্থনার কারণ অনেক। রাষ্ট্র নিজেই যেভাবে খুনি-লুটেরাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে, নির্লজ্জভাবে তাদের পক্ষে সাফাই গাইতে শুরু করেছে, যেভাবে খুনের ঘটনা আড়াল করতে চাইছে, তাতে এ দেশের একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার প্রার্থনা এর বাইরে আর কিছু হতে পারে না। সাম্প্রতিক কিছু উদাহরণ এর প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা এবং মন্ত্রী হতে ইচ্ছুক আওয়ামী নেতারা এমনভাবে খুনি-লুটেরাদের পক্ষ অবলম্বন করছে যে, সাধারণ মানুষ তার নিজের জীবন, পরিবার ও সম্পদ রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছে। এই উদ্বেগ প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়ত না, যদি রাষ্ট্র দেশে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হতো। কিন্তু এর লেশমাত্র কোথাও দেখা যাচ্ছে না, বরং কোনো কোনো মিডিয়া যখন এসব বিষয়ে রাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছে, তখন সরকারের নেতৃত্ব দানকারীরা তাদের তীব্র সমালোচনা করছে। যেন মিডিয়া ওইসব খুনি-লুটেরার রাজনৈতিক গুরুত্ব বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। 

বেশ আগে ফেনীর গডফাদার হিসেবে পরিচিত জয়নাল হাজারীর অপকর্ম সম্পর্কে যখন সংবাদপত্রগুলো লিখতে শুরু করল, তখন প্রধানমন্ত্রী তার পক্ষ অবলম্বন করে বলেছিলেন, একজন নিবেদিতপ্রাণ আওয়ামী লীগ নেতাকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য সংবাদপত্রগুলো এ ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। অর্থাৎ আমরা মিডিয়ার লোকেরা রাজনীতিবিদহিসেবে জয়নাল হাজারীর প্রকৃত মূল্যায়ন করতে পারিনি। জয়নাল হাজারীর লোকেরা সত্য প্রকাশের দায়ে স্থানীয় সাংবাদিক টিপু সুলতানকে পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে রাস্তার পাশে ফেলে রেখেছিল। তখনো ঘটেছিল একই ঘটনা। দেশে সংবাদপত্রগুলো ওই সাংবাদিকের পক্ষে দাঁড়িয়েছিল এবং এর প্রতিকার দাবি করেছিল। এরপর তহবিল সংগ্রহ করে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠিয়েছিল। তখনো শেখ হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এসব শোরগোল সরকারকে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল হাজারী সম্পর্কে সরকারের তরফ থেকে সতর্কতামূলক কোনো ব্যবস্থাই নেয়া হয়নি। এখনো সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে সরকারি দলের অন্য নেতারাও ওই সাংবাদিকের পক্ষাবলম্বনকারী মিডিয়ার বিরুদ্ধে সুযোগ পেলে বিষোদগার করে যাচ্ছে।

এর প্রায় এক যুগ পরে আরো এক ঘটনা ঘটল। তা সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে নিয়ে। আবুল হোসেন যে কত বড় মূল্যবান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মিডিয়া যেন তা উপলব্ধিই করতে পারল না। বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতু নির্মাণের সূচনালগ্নেই আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ আনল এবং তথ্যপ্রমাণসহ সরকারকে জানাল, তখন একেবারে তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছিলেন, আবুল হোসেন খুবই ভালো কাজ করছে। আর সে কারণে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। আর প্রচারমাধ্যমগুলো নাহক অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, আবুল হোসেন খাঁটি দেশপ্রেমিক। আর দুর্নীতিবাজ বিশ্বব্যাংক নিজেই। তিনি এতটাই ক্রুদ্ধ হয়ে উঠেছিলেন যে, তার কাছে বিশ্বব্যাংকের অডিট রিপোর্ট পেশ করার দাবি জানিয়েছিলেন। পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক একাই ২৩৫ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল। এরা বলেছিল, দুর্নীতিগ্রস্ত ওই মন্ত্রী আবুল হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি না দিলে, তারা পদ্মা সেতুতে কোনো ঋণ দেবে না।

এই ঋণ ছিল খুব সহজতম শর্তে। এর গড়পড়তা সুদের হার ছিল শূন্য দশমিক পঁচাত্তর (০.৭৫) শতাংশ। এতে গ্রেস পিরিয়ড ছিল ১০ বছর। এরপর পরবর্তী ৪০ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করতে হতো। আবুল হোসেনকে মূল্যায়ন করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের এত বড় ক্ষতিকেও গ্রাহ্য করেননি। এত সহজ শর্তে আর কোথাও থেকে ঋণ পাওয়া সম্ভব নয়। পদ্মা সেতু প্রকল্পে ঋণদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল জাপানি সংস্থা জাইকা ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বিশ্বব্যাংক সরে যাওয়ার পর এরাও সরকারকে জানিয়ে দেয় যে, পদ্মা সেতু প্রকল্পে এরা কোনো বিনিয়োগ করবে না। অর্থাৎ একজন সম্মানিত খাঁটি দেশপ্রেমিকের সম্মান রক্ষার জন্য পদ্মা সেতু প্রকল্প ভণ্ডুল হওয়া সম্ভবত ছিল সরকারের কাছে অতি সামান্য মূল্য।

একইভাবে আসে শামীম ওসমান প্রসঙ্গ। দীর্ঘকাল ধরে নারায়ণগঞ্জের গডফাদার হিসেবে পরিচিত শামীম ওসমান। তার কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর পত্রিকায় সপ্রমাণ রিপোর্ট ছাপা হয়েছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ভাষায় তার সবই ছিল ভুয়া। তিনি জাতীয় সংসদের পবিত্র অঙ্গনে দাঁড়িয়ে শামীম ওসমান পরিবার সম্পর্কে তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই আছেন, যারা বারবার আঘাতের লক্ষ্যে পরিণত হন। ক্ষেত্রবিশেষে সামান্য কিছু হলেও বড় করে লেখা হয়। অনেকে অনেক বড় অপরাধ করে, কিন্তু কেউ তা দেখে না। তাদের (শামীম ওসমান) পরিবারের ছোট অপরাধগুলো সব সময়ই বড় করে দেখানো হয়। কিন্তু স্বার্থান্বেষী মহল বড় অপরাধগুলো এড়িয়ে যায়।তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে আছেন দেশে এমন পরিবার কমই আছে, যারা কোনো অপরাধ করেন না।এর অর্থ কি এই দাঁড়াল না যে, রাজনীতিতে একটি নির্দিষ্ট মাত্রার অপরাধ স্বাভাবিক ঘটনা? প্রধানমন্ত্রী কি সেটাই বললেন? তিনি বলেন, ওসমান পরিবার ইয়াহিয়া খানের আমল থেকেই নির্যাতনের শিকার। আওয়ামী লীগ এমপি শামীম ওসমানের বড় ভাই জাতীয় পার্টির এমপি মরহুম নাসিম ওসমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কিন্তু জাতিকে খেয়াল রাখতে হবে যে, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যেন কোনো পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করা না হয় এবং ধ্বংস করে দেয়া না হয়। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে ওসমান পরিবারে। জোহা কাকা (শামসুজ্জোহা, শামীম ওসমানের বাবা) রাজনীতির নীতি-আদর্শ নিয়ে চলতেন। এই পরিবারের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক সব সময় ছিল। যদি তাদের প্রয়োজন হয়, দেখাশোনা করব।’ 

প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে যা বলেছেন তার অর্থ দাঁড়ায়, এই পর্যন্ত তার সম্পর্কে সংবাদপত্র যা লিখেছে সেজন্য তাদের শামীম ওসমানের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। এবং উপলব্ধি করা উচিত যে, শামীম ওসমান কত বড় দেশপ্রেমিক। কিন্তু নারায়ণগঞ্জবাসীর মনে হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েই যাচ্ছে। গত বছর ত্বকী হত্যা, ২৭ এপ্রিল সাত হত্যা এবং বিভিন্ন অবৈধ কাজের সাথে ওসমান পরিবারের নাম সব সময় জড়িত। ত্বকী হত্যার তদন্ত যত দূর এগিয়েছে তাতে দেখা যায়, এতে জড়িত আছে ওসমান পরিবারের সদস্য। নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি নূর হোসেনকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন শামীম ওসমান। তার অডিও রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এর সবই কি নারায়ণগঞ্জের বিখ্যাত রাজনৈতিক পরিবারকেহেয় করার ষড়যন্ত্র? কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শামীম ওসমানকে দাঁড় করিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু তিনি সেলিনা হায়াৎ আইভির কাছে বিপুল ভোটে হেরে যান। কারণ নারায়ণগঞ্জবাসী এই পরিবারের হাত থেকে মুক্তি চেয়েছে। তবে কি নারায়ণগঞ্জবাসীও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গিতে এই পরিবারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করল

এরপর আসা যায় বিদেশী বন্ধুদের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দেয়ার পদক প্রশ্নে। এই সম্মাননা তাদের দেয়া হয় স্বাধীনতাযুদ্ধে অবদানের জন্য। সেখানে এক ভরি অর্থাৎ ১৬ আনা সোনা থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র তিন আনা সোনা। সম্পূর্ণ সরকারের তত্ত্বাবধানে এই মেডেলগুলো তৈরি করা হয়। কিন্তু ওই স্বর্ণচোরদের ধরার বদলে প্রধানমন্ত্রী বলে বসলেন, ‘মুখ্য বিষয় হলো, আমরা তাদের সম্মাননা দিয়েছি। কিন্তু সোনার পরিমাণ নিয়ে লিখে আমরা নিজেদের জন্য অসম্মান ডেকে এনেছি।এখানে তিনি জামায়াতের সংশ্লিষ্টতারও আশঙ্কা করেছেন। এখানে দেখা যাচ্ছে, সরকারি অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি কোনো উদ্বেগের ইস্যু নয়। আর প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য মতে, এটাকে ইস্যু তৈরি করে মিডিয়া অত্যন্ত বাজে কাজ করেছে। আর স্বর্ণ যারা চুরি করেছে তারা নিরাপদেই থাকছে। 

এ কথা সত্য, র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বিএনপি আমলেই। এবং তাদের হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তখনো সংঘটিত হয়েছে। দেশের মিডিয়া এবং সুশীলসমাজ তখনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিল। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে সাত খুনে র‌্যাবের সংশ্লিষ্টতা এখন প্রমাণিত। র‌্যাব কর্মকর্তারাই স্বীকার করেছেন, এরা কিভাবে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছেন। এর বিরুদ্ধে সুশীলসমাজ এখন প্রতিবাদে সোচ্চার। এবং র‌্যাব বিলুপ্তির দাবি জানাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, ২০০৪-০৫ সালে র‌্যাব নাকি এক হাজার লোককে হত্যা করেছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তো অনেক দিন ক্ষমতায় আছেন, সেটি যদি সত্য হতো, তাহলে প্রকৃত ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিচ্ছেন না কেন? তা না করে বরং আদালত কেন র‌্যাবের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলোÑ সেজন্য তিনি উষ্মা প্রকাশ করে বলেছেন, তদন্ত তো চলছিলই, তারপরও আদলতই যদি সব করে তাহলে সরকারের কী করার আছে। তার সাথে যোগ দেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, বিচারকদের সীমানা অতিক্রম করা উচিত নয়। তাদের এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে করে বিচারিক নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়। 

এরপর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার প্রসঙ্গ। বিএনপি নেতা শাহনূর হোসেনকে র‌্যাব ধরে নিয়ে যায়। সারা রাত নির্যাতনের পর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শাহনূরের ভাই মামলা দায়ের করলে থানাকে হত্যা মামলা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন নবীনগর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার। তার এক দিন পর গত বুধবার নাজমুন নাহারকে আমলি আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। অর্থাৎ র‌্যাবের বিরুদ্ধে আনীত হত্যার অভিযোগগুলো বিচার না করে বরং সরকার তাদের প্রতি প্রশ্রয়মুখী দৃষ্টিভঙ্গি নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যেই দুইজন র‌্যাব কর্মকর্তা সাত হত্যার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এবং আরো কারা সংশ্লিষ্ট তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। আদালত যদি আদেশ না-ই দিতেন, তাহলে কি এটা সম্ভব হতো

জাপান থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, কিছু লোক আছে যারা পার্মানেন্ট গভর্নমেন্ট পার্টি। এরা সব সময় সরকারি দলের সাথে থাকে। এরা তাদের অপরাধমূলক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলে যোগদান করে। নূর হোসেন সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রথমে সে ছিল জাতীয় পার্টি, তারপর যোগ দিয়েছিল বিএনপিতে ১৯৯১ সালে, পরে আওয়ামী লীগে আসে ১৯৯৬ সালে। তাই যদি হয়, তাহলে এত পার্টি ঘুরে সে যখন আওয়ামী লীগে যোগ দিতে এলো, তখন কেন তাকে সাদরে বরণ করে নেয়া হয়? এরপর ১৮ বছর ধরে তাকে লালন করে দলীয় পদমর্যাদা দেয়া হলো কেন? তবে কি তাকে আওয়ামী লীগ অপরাধ করার লাইসেন্স দিলো? একজন সম্পাদক জানতে চেয়েছেন, কত সংখ্যক এ রকম লোককে আওয়ামী লীগ অপরাধের লাইসেন্স দিয়েছে? ওই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেননি যে, তিনি কিভাবে, কী পরিকল্পনায় পার্মানেন্ট গভর্নমেন্ট পার্টিওয়ালাদের শায়েস্তা করবেন। 

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, সরকার যে হারে গুম-খুন-দুর্নীতি-অত্যাচার-নির্যাতনকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাতে আমাদের ধ্বনি তোলার সময় হয়েছে যে, ‘খুনি-লুটেরা চিরজীবী হোক

ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী


 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads