১. সমাজে বিভিন্ন মত ও পথের মানুষ অতীতেও ছিল, বর্তমানেও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। একটি সুসভ্য সমাজ, শান্তিতে বসবাস উপযোগী সমাজ তাই যেখানে মত ও পথের পার্থক্য সত্ত্বেও মানবিক সৌজন্যবোধ, সহনশীল আচরণ বিরাজমান থাকে। আর এ পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের যারা এ সমাজে বাস করি। বাস্তবে শাসকদলের রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নে, দুনিয়াবি হীন স্বার্থ চরিতার্থে কিছু মানুষের কারণে আমাদের সমাজে সে সুন্দর সহনশীল পরিবেশ বাস্তবে নেই। এ কারণে অনেক মানুষ একান্তে আলোচনায় মনের এ ক্ষোভ, দুঃখ প্রকাশ করেন, এ অচলাবস্থা অবসানের কোনো পথ পায় না, কেন যেন ফুলে উঠে একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে না।
২. অতিলোভ, ক্ষমতার মোহ, আত্মপ্রচারণার প্রবল মানসিকতা, কালো টাকার অবাধ প্রবাহ, মৃত্যুর পরেও আর একটা জীবন আছে, সেখানে এ পার্থির জীবনের সকল ভালোমন্দ, ন্যায়-অন্যায় কাজের হিসাব ধনী-গরিব, ক্ষমতাধর-ক্ষমতাহীন, ভয়ঙ্কর শক্তিশালী একেবারে দুর্বল শক্তিহীন, সবাইকেই সকল তৎপরতার শেষ হিসাব দিতে হবে। দিন দিন বিত্তবৈভবের চমকে তা যেন ধোঁয়াটে হয়ে যাচ্ছে, বোধ বিশ্বাসও অনেকের নেই, থাকলেও তা অবচেতন মনের এতে গভীরে চাপা পড়ে গিয়েছে যা জীবিত অনুভূতির (অপঃরাব ংবহংব) পর্যায়ে নেই বলেই মনে হয়।
৩. যদি আমরা কেউ মনে করি মৃত্যুর পরে আর কোনো জীবন নেই, জবাবদিহির তো প্রশ্নই নেই তা হলে তো সবাই ঝামেলামুক্ত চিন্তা নিয়ে একদিন মরতে পারবো হয়তো। কিন্তু যদি থাকে, যা ‘অবশ্যই আছে’, বোধ বিশ্বাস তা বলে মহান সৃষ্টিকর্তা দিনের আলোর মতো তার প্রেরিত কিতাবে বলে দিয়েছেন। তা হলে আমরা যারা গাফেল হয়ে আছি তাদের কী উপায় হবে? আমরা কি এভাবে বিষয়টি চিন্তা করেছি? অনেকেরই পরকাল বা আখেরাতের জীবনের কথা মনের মুকুরে যে একেবারেই আসে না, ব্যাপার কিন্তু তা নয়। জীবনের কোনো এক সময় আসে, কিন্তু পরক্ষণেই নিজের অহমিকা, পদ ও সম্পদের গরমে (ডধৎস) মনের কুসংস্কারে সব আবার বিলীন হয়ে যায়। আখেরাতের কঠিন দিনে বিচারের সময়ের অবস্থা আল্লাহ তায়ালা আল-কুরআনে বর্ণনা করেছেন “আজ আমি তাদের মুখের উপর সীলমোহর মেরে দিব, (আজ) তাদের হাতগুলো আমার সাথে কথা বলবে তাদের পাগুলো (আমার কাছে) সাক্ষ্য দিবে, এরা কি কাজ করে এসেছে।” সূরা ইয়াছিন ৩৬ : ৬৫
৪. ‘ঐশীর’ পরিণতি, তার দাপুটে পিতামাতার করুণ পরিণতি, ‘সাত মার্ডারের’ করুণ, হৃদয়বিদারক ঘটনা, ক্ষমতার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ওস্তাদকে নৃশংসভাবে হত্যার পর পুড়িয়ে মারা সাগরেদদেরও হৃদয়ে নিশ্চয়ই নাড়া দিয়েছে, হয়তো তাদের ‘গডফাদার’দেরও লালিত পাপের যন্ত্রণায় রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। অথচ প্রয়োজন এতে শঙ্কিত হয়ে সতর্ক ও সচেতন হওয়া শিক্ষাগ্রহণ করা। তা কি হচ্ছি?
আইনের শাসনের টালবাহানা, অন্যের ঘাড়ে নিজ অর্জিত পাপের বোঝা চাপানোর অপপ্রয়াস, হাইকোর্টের অর্ডারের পরেও গ্রেফতারে গড়িমসি করা, এতদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে হবে, এতদিনের নির্দিষ্ট সময় না দেয়ার আইনি লোকের বেআইনি বাহানা আইনের অপব্যাখ্যাÑ এগুলো কিসের ইঙ্গিত?
৫. রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অসংখ্য লোককে খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, সাদাপোশাকে ধরে নিয়ে পরে অস্বীকার করা, ধরার পর পায়ে, মাথায় গুলী করা, গ্রেফতার অস্বীকার করে ৫/৭ দিন পর থানায় পাওয়া, ক্রসফায়ারের গল্প ফাঁদা এ সব কী দেশবাসী মোটেই বুঝে না? যারা এ অপকর্ম করে, যাদের অঙ্গুলিহেলনে এ কাজ করা হয় তারাও কী কেয়ামত পর্যন্ত এ দাপট চালু রাখতে পারবে? আর সুশীল সমাজ এ ব্যাপারে ধরি মাছ না ছুঁই পানি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন? সরকারি দলের নেতাকর্মী, সরকারি দলের নেতাকর্মীদের হাতে খুন হওয়ায় সুশীলরা একটু নড়েচড়ে বসছেন, গায়ে যেন একটু একটু তাপ লাগছে, শুধু তাপ নয় ভয়ও যেন ঢুকছে? ক্ষমতাসীনদের কাছে এসবের কোনো সদুত্তর নেই। পেটেন্ট করা ওষুধ, সাক্ষ্য প্রমাণের আগে তৎক্ষণাৎ বলে দেয় বিরোধী দল, জামায়াত-শিবির করছে, অথবা জামায়াত-শিবির নিজ দলে অনুপ্রবেশ করে (চবহরঃৎধঃব) এ কাজ করছে। তাও বাজারে শুধু নয়, নিজ দলের কাছেও বিকাচ্ছে না। কালো বিড়াল মিঁউমিঁউ করে বলছে জামায়াত-শিবিরের কাঁধে দায় চাপিয়ে পার পাওয়া যাবে না।
৬. অতীতে এরকম অনেক স্বৈরাচার ছিল, কেউ কেউ এখন ছোট স্বৈরাচারী হয়ে অউঈ (পার্শ্বচর) হয়েছে মাঝেমাঝে ২/১টি সুন্দর সুন্দর মহাজনি বাক্য উদগীরণ করে তাতে কূল পাওয়া যাবে? এক সময় যারা সমগ্র জাতির দ-মু-ের মালিক ছিল বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিকট মূর্তিমান আতঙ্ক ছিল, এখন তারা কোথায়? মহান রাব্বুল আলামীন সকল ক্ষমতার মালিক অতীতে যেমন ছিলেন, বর্তমানেও তেমন আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন, থাকবেন অনাদিকাল। একদিন শেষ বিচারের মুখোমুখি হতে হবে তাকি মনে আছে?
ইসলামের ভুলে যাওয়া সোনালী ইতিহাস দেখুন। ওমর শত্রুতার অনুগামী থেকে, বেলাল ক্রীতদাস থেকে মহামানব হলেন, কুরআনের কারণে। আর এই কুরআনকেই ঘৃণ্য এক বিচারক বেআইনি করার পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রতিবেশী এক দেশে। অবশ্য সারা পৃথিবীর মানুষের প্রচ- দ্রোহের মুখে সে দেশের সরকারের নির্দেশে মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হলো, ‘জুডিশিয়াল কিলিংয়ের নাটক মঞ্চস্থ হলো না। এরাই সুশীল? না কুশীল।
৬. (খ) আমাদের লেজকাটা সুশীল, কুশীল, বিবৃতিজীবী যারা পিতৃপ্রদত্ত আরবী নামটা বজায় রেখেছে, শুনলে যেন মুসলমান মনে হয়। অথবা ভুল/শুদ্ধ নামে তাদের প্রয়াত পিতা-মাতা নামটা আল্লাহ, রাসূলের নামের সাথে মিলিয়ে রেখেছিলেন। এমনটা কেউ কেউ সৈয়দ/সৈয়দা দাবি করে কিন্তু নিজ নামের এ ঐতিহ্যের গোড়া কোথায় তা কি তারা জানে? এরাই এ লকর ধারণ করে যখন ধর্মের কালোছায়া এদেশ থেকে মুছে দিতে হবে এ দম্ভোক্তি করে তখন সত্যি এদের জন্য করুনা হয়। মহান আল্লাহর অমোঘ বাণী মনে হয় “রাসূল তোমাদের জন্য যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেছেন তা থেকে বিরত থাক। আর আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর : ৭)
৭. অন্যদের কথা বাদ দিয়ে যাদের নামটা অন্তত মুসলিম মনে হয় (বাস্তবে কি তা বুঝা দুরূহ) যখন একজন সৈয়দজাদা বলেন, আমি হিন্দুও নই মুসলমানও নই, তখন তারা মহান রাব্বুল আলামীনের এ আদেশ বা হুকুমটা আল-কুরআনে পড়েছেন বা তখন কি মনে থাকে? তারা মুসলিম হিসেবে অথবা মুসলিম মা-বাপের সন্তান হিসেবে নিজকে বা নিজের বিবেককে জিজ্ঞাসা করতে পারেন না আমি নিজ নামটা মুসলিম আদলে রেখে দুনিয়ার মানুষকে ধোঁকা দিচ্ছি না তো? আমি মুসলমান, মরলে না পুড়ে কবর দিবে (অবশ্য অন্য কোনো অসিয়ত না করলে) মুসলমান অথচ আমার পালনকর্তার নাযিল করা আল কুরআন জানতে বুঝতে চেষ্টা করিনি। কত বিদ্যা-বুদ্ধিইতো তাঁর দেয়া এ মস্তিষ্কে ধারণ করলাম, আসল কাজটা (¯্রষ্টার হুকুমটা) জানলাম না বা জানার চেষ্টা করারও সৌভাগ্য হলো না?
৮। স্বাধীন বিচার বুদ্ধির নামে কেউ যদি প্রকৃত সত্যকে অবহেলা করি, আমার পরিণতি কি হবে? এ ক্ষমতা, দাপট (অবশ্যই তা ক্ষণস্থায়ী) শেষ হলে কোথায় গিয়ে পড়বো এ বিষয়টি কী ভেবেছি? আমার ¯্রষ্টা মহান আল্লাহর গোলামী স্বীকার না করলে সারা সৃষ্টির অনেকের লজ্জাজনক গোলামী যে আমার কপালে জুটবে।
মহান রাব্বুল আলামীন বলেন, “আমি মৃতকে জীবিত করি, যা কিছু তারা নিজদের (কর্মকা-ের) চিহ্ন (হিসেবে এ পৃথিবীতে) রেখে আসে, সেগুলো সবই আমি (যথাযথভাবে) লিখে রাখি, প্রতিটি জিনিস আমি এ সুস্পষ্ট কিতাবে গুণে গুণে (সংরক্ষিত করে) রেখেছি। সূরা ইয়াছিন ৩৬ ঃ ১২
৮ (খ) আমাদের দেশে আর এক সমস্যা বা মানসিকতা পরিদৃষ্ট হয়। কিছু লোক সমাজের কল্যাণ-অকল্যাণ থেকে দূরে থেকে ক্ষমতাসীন সরকারের সুযোগ-সুবিধা (আইনী-বেআইনীভাবে) ভোগ করে। ক্ষমতার সুযোগ-সুবিধা নিজ দায়িত্বে বা দখলে থাকতে বিবেকবোধ প্রায় থাকে না বা বন্ধকে থাকে। থাকে অন্ধ আনুগত্য, হালুয়া রুটি ভোগ, নিজ পদপদবী সুরক্ষা রাখার প্রচ- কসরত। যখন অবসরে যায় অথবা বিদায় ঘণ্টা বাজে (প্রধান বিচারপতি, সিইসি, (ঈঊঈ), কোন পর্যায়ের উপদেষ্টা) এসব সাইন বোর্ড ব্যবহার করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এমন সব বক্তব্য দেন যা তাদের ক্ষমতাকালীন আচার-আচরণের একেবারে বিপরীত, হয়ে যান বিবেকের ফেরিওয়ালা, হয়ে যান সুশীল। এ সুশীল (আসলে কুশীলদের) দেখলে, শুনলে সত্যি অনেকের মন বিষিয়ে উঠে, জমা হয় প্রচ- ক্ষোভের, ঘোলাটে হয়ে উঠে সামাজিক পরিবেশ। (সাবেক ঈঔ, সাবেক ঈঊঈ বঃপ)
৯। সমগ্র বাংলাকে একই ভাষাভাষী হিসাবে ভৌগোলিক দিক দিয়ে এক রাখার চেষ্টা করেছিলেন হিন্দু-মুসলিম মিলনের অগ্রদূত কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রমুখ। কিন্তু প্রতিবেশীদের অসহযোগিতা ও ষড়যন্ত্রের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯০৫ সালে বঞ্চিত, পিছিয়ে পড়া মুসলিম অধিবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে পূর্ব বাংলার সাথে আসামকে একীভূত করে একটি নতুন প্রদেশ গঠিত হয় তার রাজধানী হয় ঢাকায়। ১৯১১ সালে হিন্দুদের সন্ত্রাসী ও সশস্ত্র বিরোধিতার ফলে নতুন গঠিত প্রদেশ ভেঙে দেয়া হয়।
সুশীল বাবুরা বাংলা মায়ের অঙ্গচ্ছেদ মেনে নিলেন না। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও এর বিরোধিতায় শামিল হলেন। শিক্ষাবঞ্চিত ও অধিকারহারা মুসলমানদের নিজ পায়ে দাঁড়াবার এ সুযোগকে স্বীকার না করে বঙ্গভঙ্গ রদের আন্দোলনের বিজয় হলো, সে সময় কবি রবীন্দ্রনাথ যে কবিতা লিখেছিলেন তাই আজ আমাদের জাতীয় সঙ্গীত হলো।
১০। মুসলমান সংখ্যা যে অংশে বেশি তা নিয়েই পশ্চিম পাকিস্তান ও বাংলার এ অংশ নিয়ে পূর্ব পাকিস্তান হলো। পরে বঞ্চিত এ নতুন অংশ অন্যায় ও জুলুমের শিকার হলো। পশ্চিমের পুঁজিপতি ও এ দেশীয় বাঙালি সুবিধাভোগীদের মিলিত ষড়যন্ত্রে ২৪ বছরের মাথায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের মাধ্যমে আলাদা হতে হলো। এ অংশকে আমরা এদেশবাসীরাই মিলেমিশে ঐক্যবদ্ধ চেষ্টার মাধ্যমে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যেতে হবে। অতীতের এ জুলুম থেকে বাঁচতে সবাই মিলে যে সংগ্রাম করতে হয়েছে তা ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে জুলুমের বিরুদ্ধে কিন্তু আজ চেতনাধারীরা নতুন স্লোগান দিচ্ছে ইসলামকে বিদায় করার জন্য। যে ইসলামের ভিত্তিতে দেশের দু’ অংশ এক হলো তাতো অন্তরায় হয়নি। ইসলামের ন্যায়, ইনসাফ ও সাম্য যেন প্রতিষ্ঠিত না হয় তারই অপচেষ্টা চালিয়েছে শাসকগোষ্ঠী ও এদেশের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী।
১১। আজ যখন মানুষ সব তন্ত্রমন্ত্র, চেতনার পক্ষ-বিপক্ষ বাদ দিয়ে সৎ যোগ্য, দুর্নীতিমুক্ত চরিত্রবান নেতৃত্ব ছাড়া বাঁচার উপায় নেই তা বুঝতে চাচ্ছে গ্রহণ করতে চাচ্ছে, তা গ্রহণ করতে দিতে চাচ্ছে না একশ্রেণীর দেশী-বিদেশী পরগাছা, ষড়যন্ত্রকারীও প্রতিহিংসা পরায়ণগোষ্ঠী।
১২। গত ৭ মে বাংলাদেশ নিউজ ২৪.কম পত্রিকায় একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হলো প্রতিবেশী দেশের কুনাল মজুমদার নামে একজন সাংবাদিকের “বাংলাদেশে ইসলামপন্থীরা যেন আর মাথা তুলতে না পারে।” তিনি জি মিডিয়া কর্পোরেশনের সহযোগী সম্পাদক (ডিজিটাল) ভারত।
তিনি শুরু করেছেন পাবনার প্রয়াত সিনেমা শিল্পী সুচিত্রা সেনের বাড়ি নিয়ে। দীর্ঘদিন এ পরিত্যক্ত বাড়িটা কিছু বিদ্যুৎসাহী সরকার থেকে লিজ নিয়ে ছোট বাচ্চাদের একটা স্কুল চালু করেছে ইমাম গাজ্জালী ইনস্টিটিউট নাম দিয়ে।
১৩। প্রথমে তিনি লিখেছেন “ জামায়াতের বিশ্বাস বাংলাদেশের এ অঞ্চলে সুচিত্রা সেন জন্মগ্রহণ করলেও কিংবা তিনি বাংলাভাষী হলেও বর্তমান বাংলাদেশের একইঞ্চি জমি পাওয়ার অধিকারও তার নেই।”
১৪। দ্বিতীয় : লেখক বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির একটা নির্বাচনী বক্তৃতার উল্লেখ করেছেন ‘যারা দুর্গাষ্টমী পালন করেন এবং বাংলায় কথা বলেন তাদের প্রত্যেকেই আমাদের ভারত মাতার সন্তান। যে কোন সাধারণ ভারতীয় নাগরিকের মতোই তারাও একই ধরনের সম্মান পাবেন।”
১৫। তৃতীয় : তিনি উল্লেখ করেছেন “যত মত তত পথে” তিনি বিশ্বাসী। একটি মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সেই বিশ্ববিদ্যালয় যেটিকে কয়েক বছর আগে আপনি (মোদি) জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া অর্থাৎ জঙ্গিবাদের জন্মস্থান হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন, পড়শোনা করতে আমাকে সেখানে কোন সমস্যায় পড়তে হয়নি।”
১৬। ৪র্থ : বাংলাদেশীদের ২ ভাগে ভাগ হয়ে ক্রমাগত লড়াই করতে দেখেছি আমরা। একটি অংশের দাবি হলো দেশটিকে পাকিস্তানের একটি বাংলা অনুলিপিতে পরিণত করা এবং অন্য ভাগের দাবি হলো ভারতকে অনুসরণ করা। এর সাথে শাহবাগ আন্দোলনে তিনিও ছিলেন উল্লেখ করে লিখেছেন, “সে কঠিন আন্দোলন ছিল রাজনীতি থেকে ধর্মকে সরিয়ে নেয়ার জন্য। বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের বিনাশের চেষ্টায় ব্রত হাসিনা তখন আগের সেই মূল সংবিধানকেই পুনর্বহাল করেন।”
১৭। ৫ম : যখন আপনার (মোদির) সমাবেশে আপনি বলেন যে বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দুরা সাম্প্রদায়িক কারণে অশান্তিতে আছে আপনার এমতকেও আমি স্বাগত জানাই। ভারতে যেমন কিছু হিন্দুত্ববাদী লোক ক্রমাগত খৃস্টান চার্চে হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনা বিক্ষিপ্তভাবে চালিয়েই যাচ্ছে, তেমনি বাংলাদেশেও ঐ রকম কিছু লোক থাকতে পারে।
১৮. (৬ষ্ঠ)-“আসন্ন বছরগুলোতে ভারতের বৈদেশিক সম্পর্কের পথে সবচেয়ে বড় সমস্যার নাম হবে বাংলাদেশ। আমাদের এ দেশের তিন দিক ঘিরে রয়েছে, একটি মুসলমান অধ্যুষিত, সদ্য জন্মানো, বেকার ও অশিক্ষিত জনগোষ্ঠীবহুল দেশ বাংলাদেশ। দেশটিতে রয়েছে একটি শক্তিশালী ধর্মীয় গোড়ামীপূর্ণ সাম্প্রদায়িক দল যা দেশটির রাজনীতি ও অর্থনীতি উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণভাবে উপস্থিত রয়েছে।
১৯. (সপ্তম)-বাংলাদেশকে সামনে রাখলে ভারতের যে কোন সরকার ২টি বড় প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হবে। প্রথমত অবৈধ অভিবাসীদের স্থান সংকুলান, ২য় প্রথমে আশ্রয় দেবার পরে আবার ইসলামী মৌলবাদীদের নিশ্চিহ্ন করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে আমরা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সরকার পেয়েছি তাই বাংলাদেশে যেন ইসলামপন্থীরা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে সেটাই নিশ্চিত করতে হবে ভারতের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীকে।
২০. (অষ্টম)-তিনি আরো বলেছেন, “বাংলাদেশীরা অর্থ উপার্জনের জন্য সীমান্ত অতিক্রম করার মত হীন কাজ করতে রাজি নয়। তারা নিজেরাই কর্ম সংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেরাই তাদের জনগণের আয়ের ক্ষেত্র তৈরি করতে হয়।
২১. প্রথম উক্তিটি অসত্য এবং বিদ্বেষপ্রসূত। পাবনার স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী কিছু সমাজ দরদী প্রয়াত সূচিত্রা সেনের পরিত্যক্ত বাড়িটি সরকার থেকে আইন সম্মতভাবে লীজ নিয়ে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ইতোমধ্যে প্রয়াত সুচিত্রা সেনের আত্মীয়-স্বজন স্কুলটি পরিদর্শন করে খুবই খুশি হয়েছেন যে এখানে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের একটা সুন্দর স্কুল পরিচালিত হচ্ছে। ঘটনার এখানেই শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু সমাজবিদ্বেষী লোক সরকারি উসকানিতে কোর্টে মামলা করে জায়গাটি খালি করে দিতে বলেছে। এখন নিশ্চয়ই সরকার এ ছেলেমেয়েদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির ক্ষতিপূরণ ও নতুন একটা জায়গা বন্দোবস্তের ব্যবস্থা করবেন।
এখানে জামায়াতের বিরুদ্ধে সুচিত্রা সেনের এক ইঞ্চি জায়গা পাওয়ার অধিকার নেই। এটা নেহায়েত বিদ্বেষপ্রসূত মানসিকতা মাত্র লেখকের।
২২. ২য় উক্তিতে ভারতে দুর্গাপূজারী জায়গা পাবে কিন্তু যারা ২য় বৃহত্তম জনগোষ্ঠী সে মুসলমানের কোন জায়গা পাবে না, শুধু বছর বছর দাঙ্গার শিকারই হবেন এটিই কি ধর্মনিরপেক্ষতার বাস্তবায়ন।
২৩. (তৃতীয়)- তিনি নিজকে ‘যত মত তত পথে’ বিশ্বাসী বলেছেন। মোদি যেটাকে জঙ্গিবাদের আস্তানা বলেছেন (আমাদের সরকারের যেমন যেখানে ইসলাম মুসলমানের কর্ম কেন্দ্র সেটাই জঙ্গিবাদের আস্তানা বলেন) বাস্তবে সেখানে কুশল বাবুদের কোন সমস্যা হয়নি। তার কথাই সাক্ষী দেয় সেটা জঙ্গিবাদের আস্তানা নয় প্রচারণাটি একেবারে অসত্য।
২৪. (৪র্থ)- বাংলাদেশের ২ ভাগের অনবরত লড়াই, একাংশ দেশকে পাকিস্তানের একটি বাঙলা অনুলিপিতে পরিণত করতে চায়। অথচ এ দেশে এমন কোন প্রতিষ্ঠান বা আন্দোলন বাস্তবে কোথায়ও নেই। এটা লেখকের কল্পনাবিলাসই মাত্র। আর এক অংশের পরিচয় তারা ভারতকে অনুসরণ করতে চায়। এটা তিনি স্পষ্ট বলেছেন। যারা ভারতকে শয়নে স্বপনে রোল মডেল মেনে চলতে চায়, চাওয়ার আগে সবই দিয়ে দেব, আমাদের নদী বাঁধ দিয়ে রাস্তা করে দেয়, তাদের কর্মকা- তো দিবালোকের মতো স্পষ্ট। হয়ত এটাকে ঢাকা দেয়ার জন্য প্রথমটার অবতারণা।
শাহবাগ আন্দোলনের বিজয়ে তিনি আত্মহারা। ইসলামপন্থীরা একেবারে কাবু হয়ে গিয়েছে। বাস্তবে কোথায় শাহবাগীরা? ভাগবাটোয়ারা ও বিলাস বসনে ব্যস্ত। সরকারের প্ররোচণায় বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বোধ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে সরকারি সহযোগিতায় ও প্ররোচণায় যে নাটক অভিনীত হয়েছে তা আজ কোথায়? ভিন্ন স্তরের পুলিশ প্রটোকল পাওয়া শাহবাগীরা এখন সে পুলিশের পিটানিতে ধরাশায়ী হয়ে গিয়েছে।
২৫. (৫ম)- বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ট্রাম্পকার্ড সরকারি দলেরই খেলা এটা সবার কাছে পরিষ্কার। এদেশে থাকলে ভোট ব্যাঙ্ক, গেলে সহায় সম্পদ দখল করা যাবে। এতে এদেশের মানুষের কোন ভূমিকা নেই। দেখুন সংখ্যালঘু ট্রাম্পকার্ড নিয়ে ‘ব্লেম গেইম’ চলছেই তারেকুল ইসলাম, এখন সময় (অন লাইন) নিউইয়র্ক ২১-১-১৪, আরো দেখুন ভারতীয় রাজনীতিকদের ধর্মনিরপেক্ষতা শাহ আহমদ রেজা, আমার দেশ অন লাইন ১২-২-১৪, আরো দেখুন ভারতে সংখ্যালঘু দাঙ্গা, একটি বিশ্লেষণ, অধ্যাপক নূরুল আমীন, বিআইসি ঢাকা, সেমিনার ২০-১০-১২ ভারতের ১৪। অধিবাসী মুসলমানদের বাস্তব অবস্থা কেমন, কুলান বাবু ভারতে থেকে আরো বেশি বাস্তবভাবে দেখেন এবং অনুভব করেন নিশ্চয়ই।
২৬. (৬ষ্ঠ)-বাংলাদেশ বন্ধু দেশ, বন্ধু সরকার। বেকার, অশিক্ষিত, ধর্মীয় গোড়ামীপূর্ণ দেশ। বাস্তবে তা নয় তিনিই বলেছেন, ভারতে গিয়ে চাকরি খোঁজার এ হীন কাজ বাংলাদেশীরা করবে না নিজ দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার চাদর গায়ে দিয়ে কংগ্রেস উগ্র সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এসেছে। এ জন্য সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, কংগ্রেসের ছদ্মবেশী ধর্মনিরপেক্ষতার চেয়ে মোদির ধর্মীয় লেবাস ভালই।
-জনগণের ভোট ছাড়াই অর্ধেক এমপি নির্বাচিত, এরাই কুনাল বাবুর বন্ধু। আপনার দেশে এমন নির্বাচিতরাই কী এবার এমপি হয়েছেন?
২৭. (৭ম)-অভবাসীরা ভারতে ও রাজনৈতিক ট্রাম্পকার্ড। নির্বাচনের সময় এ কার্ড উভয় গোষ্ঠী এবারও ব্যবহার করেছে। মৌলবাদীদের নিশ্চিহ্ন করার আবদার জানিয়েছেন গুজরাট থেকে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসা মোদির নিকট, যারা কংগ্রেস সেক্যুলার রাজনীতির চেয়ে ধর্মীয় প্রচারণাই রাজনৈতিক বাজিমাত করছেন।
২৮. ১২ মার্চ ২০১৪ দৈনিক সংগ্রামের ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ সংখ্যায় প্রখ্যাত সাংবাদিক আবুল আসাদ একটি পুরনো ঘটনা পরিবেশন করেছেন। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ হেড কোয়ার্টার সংলগ্ন ইউএন হোটেল প্লাজায় ২০০৬ সালের ৩০ এপ্রিলে বৃটিশ লেখক ক্রিস ব্লাকবার্গ, সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বাংলাদেশস্থ কাদিয়ানী সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা মীর মোবাশ্বের, প্রয়াত শাহ কিবরিয়ার মেয়ের আমেরিকান স্বামী জেমস এলান লিটল, একটা সেমিনারের ব্যবস্থা করেন। টার্গেট জামায়াতে ইসলামীকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদী হিসেবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশকে বহিঃশক্তির আক্রমণে বা হস্তক্ষেপে উৎসাহিত করা।
২৮. (ক) ৬ষ্ঠ অভিযোগে বেকার অশিক্ষিত জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত বলেছেন এ দেশকে আবার ৮ম অভিযোগে বলেছে যারা ভারতে এসে চাকুরি তালাশ করার মত হীন কাজ করবে না। নিজের কথার বিপরীত কথা তিনি বলেছেন এ পর্যায়ে।
২৯. এরকম আর এক ক্রিস ব্লাকবার্ন জন্ম দিয়েছে হিরনময় কার্লেকার নামে দিল্লীর সরকার। তার প্রকাশিত প্রবেন্ধ ইধহমষধফবংয ঃযব হবীঃ অভমধহরংঃধহ. এখানেও তিনি বিষোদগার করছেন জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে। আর একজন ক্রিসবার্ন হলেন ঈঘঘ-ওইঘ-এর সুমন কে চক্রবর্তী। সুমিত গাঙ্গুলিও এরকম আরো এক ক্রিসবার্ন, আরো আছে একজন ব্ল্যাকবার্ন-ড. আনন্দ কুমার।
৩০. এরা সবাই মিলে একটা সিন্ডিকেট। এদের লক্ষ্য ‘ইসলাম’ একটি শক্তি হিসেবে, মজলুম মানুষের মুক্তিকামী আদর্শ হিসেবে যেন প্রভাব বিস্তার করতে না পারে। আমার দেশ পত্রিকায় ২৭ নবেম্বর ২০০৭ এ রকম আরো একটা রিপোর্ট প্রকাশ হয়েছে যেখানে এক সময় ‘র’-এর কাছে গোপন দলিলপত্র হস্তান্তরের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত মেজর (অব.) সামসুল আরেফীন চিকিৎসার নামে কলিকাতায় রুচি হাসপাতালে ‘র’-এর কয়েকজন সিনিয়র কর্মকর্তার সাথে বৈঠক করেছেন। এদের বিভিন্নজনের নাম, পরিচয়, ধর্ম, বর্ণ আলাদা হলেও রসুনের কোষের মতো গোড়া এক সাথে। এখন এদের সাথে হয়ত নতুন যোগ দিয়েছেন কুনাল বাবু। পুরাতনদের বাজার খুব জমে উঠেনি নতুন রূপে আবির্ভাব। মদ একই তবে বোতল নতুন।
৩১. বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে আদর্শ নীতি নৈতিকতা, ধর্মকে যদি সেক্যুলারিজমের নামে বিদায় দেয়া যায় তখন রাজনীতি হবে ক্ষমতা, পদ পদবি ও অর্থ কেন্দ্রিক যা ইতোমধ্যে আমরা দেখা শুরু করেছি। আধিপত্যকামীরা এ রাজনীতিই চায়। এ সবের দাবি পূরণের বিরাট শক্তি, ক্ষমতা, অর্থভা-ার তাদেরই আছে। তারাই পারে শেখ আব্দুল্লাহ, লেন্দুপ দর্জি সৃষ্টি করতে।
ক্রিসবার্ন, হিরন্ময় কার্লেকার, কুনালবাবু, শাহরিয়ার কবির এদের রং ভাষা, ধর্ম, চেহারা আলাদা আলাদা, গোড়া এক জায়গায়। শুধু ইসলাম, মুসলমান নয় এদের আসর টার্গেট বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ধ্বংস করা জামায়াতে ইসলামী উপলক্ষ মাত্র।
৩২. বাস্তবে ইসলামপন্থীরা যদি মাথা তোলে, তুলতে পারে, অবশ্যই আমাদের মহান পালনকর্তার অনুগ্রহে পারবে তবে এ জাতি, মহান মানবতা দলীয় খুন গুম, লুটতরাজ বিচারবহির্ভূত হত্যা, গণতন্ত্রের ও মানবাধিকারের নামে মানবতার উপরে জুলুম, কোটি কোটি টাকা লোপাট, ধর্ষণ সেঞ্চুরি, গণবাসে ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাবে নির্যাতিত অধিকার বঞ্চিত মানুষ। ইতিহাস সাক্ষী অমুসলিমরা নিজের মানমর্যাদা ইসলামী সমাজ ব্যবস্থাতেই বেশি ভোগ করেছে।
৩৩. এ চিরন্তন সত্যকথাটি অকপটে স্বীকার করেছে বিশিষ্ট সাংবাদিক বাবু সঞ্জয় চৌধুরী। “আমার জন্য সবচেয়ে আনন্দের ব্যাপার হচ্ছে মুসলমানেরা সবচেয়ে ভাল মুসলমান হওয়ার জন্য, অর্থাৎ ইসলাম নির্দেশিত পথে থাকার জন্য সক্রিয়, সোচ্চার ও শপথবদ্ধ হয়েছেন। তারা সফল হলে আমার নিরাপত্তা, আমার ইজ্জতের সুরক্ষা আরো বাড়ার কথা। ১৯১৩ সালের ৬ এপ্রিল দেখিয়ে দিয়েছে মানুষ কত উপরে উঠতে পারে, আবার মানুষ কত নীচে নামতে পারে। আসুন আমরা সবাই মিলে নিচতা পরিহার করি এবং উচ্চতার সাধনায় মগ্ন হই। তাতে ইসলামের হেফাজত হবে, ইনসানের হেফাজত হবে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে।
ইবনে জামান
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন