মানুষ আওয়ামী লীগকে আর খামাখা ফ্যাসিবাদী বলে না। নিজেদের কাজকর্মের মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে ফ্যাসিবাদী প্রমাণিত করে। সরকার নিজেই বলে যে, বাংলাদেশে সংবাদপত্র নাকি স্বাধীন। স্বাধীনভাবে তারা নাকি সংবাদ এবং মন্তব্য ছাপতে পারে। এই কথাটি যদি সত্য হতো তাহলে আমাদের চেয়ে আর কেউ বেশী খুশি হতো না। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তার উল্টা। যেসব খবর তাদের পছন্দ হয় না, সে সব খবর সংবাদপত্রে ছাপা হোক অথবা ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সম্প্রচারিত হোক সেটি আওয়ামী নেতৃবৃন্দ চায় না। এ ব্যাপারে তাদের কৌশলটিতে মুন্সিয়ানা রয়েছে। তারা সরাসরি বা অফিসিয়ালি কোন পত্রিকা বা রেডিও টেলিভিশনকে তাদের অপছন্দের খবরটিকে ছাপতে বা সম্প্রচার করতে বারণ করবে না। কিন্তু আকার ইঙ্গিতে বা কথাবার্তায় পরোক্ষ ভঙ্গিতে তারা জানিয়ে দেয় যে, অমুক খবরটি তাদের পছন্দনীয় নয়। ফলে, অনেকগুলো সংবাদপত্র সেই খবরটি ছাপে না। যারাও বা ছাপায়, তারা সেটি ভেতরের পৃষ্ঠায় সিঙ্গল কলামে ছোট করে ছাপায়। ১৯ দলীয় জোট নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির দুই নম্বর নেতা তারেক রহমান সম্প্রতি লন্ডন এবং মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর থেকে অনেক কথা বলেছেন। একাধিক সমাবেশে বক্তৃতা করেছেন। তার বক্তৃতা ও বিবৃতি আওয়ামী-বান্ধব পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনের অনেক গুলোতে ছাপা হয় নাই অথবা সম্প্রচারিত হয় নাই। যারা ছাপিয়েছে তারা অত্যন্ত গুরুত্বহীনভাবে দায়সারা গোছের একটি খবর ছাপিয়েছে। কিন্তু তারেক রহমানকে সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের নেতারা যখন তাকে তুলাধুনা করেছেন, তখন সেই সমালোচনাকে মহা গুরুত্ব দিয়ে ওরা ছাপিয়েছে বা সম্প্রচার করেছে। বিরোধী দলে থাকলে আওয়ামী ঘরানা বাক, ব্যক্তি ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার দাবিতে মুখে ফেনা তোলে। কিন্তু ক্ষমতায় গেলে তারা সেই একই দাবিকে সযতেœ পাশ কাটায় অথবা কৌশলে স্তব্ধ করে।
গত বৃহস্পতিবার ১২ই জুন মালয়েশিয়ায় বিএনপির একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। র্যাব বিলুপ্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তৃতা করেন জনাব তারেক রহমান। অবাক ব্যাপার হলো এই যে, প্রায় অধিকাংশ টেলিভিশন চ্যানেলে তার বক্তৃতার সংবাদ সম্প্রচার করা হয়নি। ঘটনাচক্রে ঐ সময় আমি বাংলাভিশন টিভির নিউজ দেখছিলাম। সেখানে খবরটি দেখলাম এবং তারেক রহমানের বক্তৃতা তার কন্ঠে আংশিক শুনতে পেলাম। কিন্তু অন্যান্য চ্যানেলে দেখলাম তারেক রহমানের বক্তৃতার কোন খবর নাই। সেই বক্তৃতার কঠোর সমালোচনা করে আওয়ামী নেতারা যা বলেছেন সেটি ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে। পরদিন অর্থাৎ শুক্রবার ১৩ই জুন পত্রপত্রিকা দেখলাম। ১৩টি দৈনিক পত্রিকার কোনটাতেই ঐ খবরটি ছাপা হয় নাই। তবে ইন্টারনেটে গিয়ে ‘দৈনিক মানবজমিনে’ সেই খবরটি পড়লাম। মানবজমিনে তারেক রহমানের বক্তব্য যেভাবে ছাপা হয়েছে সেটি একটু পরে উদ্ধৃত করছি।
তার আগে আরেকটি ইন্টারেস্টিং খবর। গত ১২ই জুন অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘নতুন বার্তা ডট কমে’ একটি সংবাদ ছাপা হয়েছে। সংবাদটির শিরোনাম, “গণমাধ্যমে তারেকের বক্তব্য না ছাপানোর আহ্বান হাসানের”। খবরে বলা হয়, “বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘অর্বাচীন’ আখ্যা দিয়ে তার বক্তব্য গণমাধ্যমে না ছাপানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাসান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার দশম জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় (বাজেট) অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাসান মাহমুদ বলেন, “গতকাল এ অর্বাচীনের (তারেক রহমান) একটি বক্তব্য ছাপানো হয়েছে যাতে ইতিহাস বিকৃতি করা হয়েছে। আমি বলব, এ অর্বাচীনের মতো কেউ কথা বললে তাদের বক্তব্য পত্রিকায় ছাপাবেন না। এতে করে জাতি উপকৃত হবে।”
হাসান বলেন, “আমি এ অর্বাচীন সম্পর্কে কোনো কথা বলতে চাই না। তারপরও বলছি, আমরা কিছুদিন ধরে দেখছি, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিদেশে বসে বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি ঘটাচ্ছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ইতিহাস বিকৃত করছেন। এমনকি আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে নানান সময়ে কটূক্তি করছেন।”
জিয়াউর রহমানের হত্যার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী জড়িত বলে অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
হাসান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আড়াই বারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তিনি এ হত্যার বিচার করেননি। কারণ কেঁচো খুঁড়তে সাপ বের হয়ে আসবে জেনে জিয়া হত্যার বিচার করেননি খালেদা জিয়া।”
॥দুই॥
হাসান মাহমুদ বলেছেন যে, জিয়াউর রহমান হত্যায় বেগম খালেদা জিয়া এবং ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী জড়িত ছিলেন। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। অন্তত আওয়ামী লীগ সেটাই দাবি করে। সুতরাং সাবেক ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমন অভিযোগ তুলতেই পারেন। এই ধরনের অভিযোগ উত্থাপনের স্বাধীনতা তার রয়েছে। অভিযোগের সত্য মিথ্যা প্রমাণিত হবে যথাযথ তদন্ত এবং বিচারের পর। আওয়ামী লীগ নেতার যদি এ স্বাধীনতা থেকে থাকে তাহলে অন্যদের এবং বিএনপির এই স্বাধীনতা থাকবে না কেন? তারেক রহমানও অভিযোগ করেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়া হত্যায় শেখ হাসিনা জড়িত আছেন। আমি কিছুক্ষণ আগেই বলেছি যে, তারেক রহমানের এ সর্বশেষ অভিযোগ অনেকেই ব্ল্যাক আউট করেছে। এ সম্পর্কে ‘দৈনিক মানবজমিন’ গত ১৩ই জুন শুক্রবার যে রিপোর্ট ছেপেছে তার অংশবিশেষ নি¤œরূপ- “বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা দেশে ফেরার ১৭ দিনের মাথায়ই জিয়াউর রহমান হত্যাকা- সংঘটিত হয়। জিয়াউর রহমান হত্যা সম্পর্কে শেখ হাসিনা আগেই জানতেন। আর জানতেন বলেই জিয়া হত্যার পর তিনি বোরকা পরে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনাকে রিমান্ডে নেয়া হলেই জিয়া হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসবে।” বুধবার কুয়ালালামপুরে পুত্রা ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দেওয়ান তুন রাজ্জাক-২ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ও স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৩ তম শাহাদত বার্ষিকী’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। মালয়েশিয়া বিএনপি সূত্রে বক্তব্যের বিষয়গুলো জানা যায়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে তারেক রহমান এমন গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন বলেই সম্ভবত দেশের অধিকাংশ সংবাদপত্র এই খবরটি ছাপেনি এবং অধিকাংশ টেলিভিশন এই খবরটি সম্প্রচার করেনি। এই অভিযোগ করেছেন বলেই হাসান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা তারেক রহমানকে অর্বাচীন ও বেয়াদব বলে গালাগাল করেছেন এবং তার বক্তব্য না ছাপানোর জন্য মিডিয়ার প্রতি অনুরোধ করেছেন। হাসান মাহমুদরা স্বয়ং খালেদা জিয়া এবং বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে জিয়ার হত্যাকারী বলে গালিগালাজ করার পরেও যদি অর্বাচীন এবং বেয়াদব না হন তাহলে একই অভিযোগ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উত্থাপন করে তারেক রহমান বেয়াদব হন কিভাবে? খালেদা জিয়া ও বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ যদি উদারভাবে পত্রিকায় ছাপানো যায় তাহলে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছাপানো যাবে না কেন?
॥তিন॥
এবার একটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। সামরিক বাহিনী বা সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আমাদের দেশে কোন আলোচনা করা যায় না। আর্মির কোন কাজের সমালোচনা বা অত্যন্ত সিনিয়র কোন আর্মি অফিসারের বিরুদ্ধে কিছু লেখা এ দেশে বলতে গেলে নিষিদ্ধ বা ট্যাবুর শামিল। এটিকে রাষ্ট্র বিরোধী বলেও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ভারতে আর যাই হোক, নিজেদের মধ্যে তারা সঠিকভাবে গণতন্ত্র চর্চা করে। কংগ্রেস সরকার অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে ভারতীয় সেনা বাহিনীর নতুন প্রধান হিসেবে লে. জেনারেল দলবীর সিং সোহাগকে পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন। বর্তমান সেনাপ্রধান জেনারেল বিক্রম সিং আগামী ৩১ শে জুলাই অবসর গ্রহণ করবেন এবং ঐ দিন নতুন সেনা প্রধান হিসেবে দলবীর সিং দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পূর্বে দলবীর সিং এর নিয়োগ দেশের রাষ্ট্রপ্রধান প্রণব মুখার্জি কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। এর মধ্যে নতুন বিজেপি সরকার ইচ্ছে করলে দলবীর সিং এর নিয়োগ পুনর্বিবেচনা করতে পারে এবং তার পরিবর্তে অন্য কাউকে সেনা প্রধান হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে।
এর মধ্যে একটি ঘটনা ঘটে গেছে। বিক্রম সিংয়ের আগে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সেনা প্রধান ছিলেন ভি কে সিং। অবসর গ্রহণ করার পর জেনারেল ভি কে সিং বিজেপিতে যোগদান করেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি নতুন সরকারে একজন প্রতিমন্ত্রী। ভি কে সিং অভিযোগ করেছেন যে, দলবীর সিং সোহাগ নির্দোষ লোকজনকে হত্যা এবং ডাকাতিতে অংশ নেয়া একটি ইউনিটকে সাহায্য করেছেন। তাই তাকে দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া যায় না। যদিও কংগ্রেস সরকারের মেয়াদ অবসানের মাত্র তিন দিন আগে দলবীর সিং সোহাগকে পরবর্তী সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় তৎসত্ত্বেত্ত ভারতের বর্তমান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি ঐ নিয়োগে কোন পরিবর্তন আনবেন না বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রতিমন্ত্রী এবং সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল ভি কে সিং ২০১২ সালের মে মাসে অবসর গ্রহণ করেন। দায়িত্ব পালনের শেষ দিনে দলবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে ভি কে সিং একটি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। কোন অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার রেকর্ড থাকলে তাকে আর প্রমোশন দেয়া যায় না। কিন্তু বর্তমান সেনাপ্রধান বিক্রম সিং দলবীর সিং এর বিরুদ্ধে ভি কে সিং কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নাকচ করে দিয়েছেন। এর ফলে দলবীর সিংয়ের রেকর্ড পরিচ্ছন্ন রয়ে গেছে এবং তার পক্ষে ভারতের পরবর্তী সেনা প্রধানের দায়িত্ব গ্রহণে আর কোন বাধা নাই। অবশ্য এর মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি অথবা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি ঐ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করেন তাহলে সেটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা।
দলবীর সিং আগামী ৩১ শে জুলাই ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করছেন কি না করছেন সেটি আমাদের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু নয়। এটি ভারতের একান্তই অভ্যন্তরীণ প্রশাসনিক সমস্যা। এ ক্ষেত্রে তারা যা ভাল মনে করবেন সেটাই হবে।
আমাদের বক্তব্য হলো এই যে, জেনারেল দলবীর সিং, জেনারেল বিক্রম সিং-এরা দুজনই এখনও সেনাবাহিনীতে কর্মরত রয়েছেন। জেনারেল ভি কে সিং কয়েকদিন আগেও সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তারপরেও ভারতে এই তিন সেনা প্রধানের কার্যকলাপ নিয়ে আলোচনা এবং সমালোচনা হচ্ছে। সেই আলোচনা এবং সমালোচনা টেলিভিশন, রেডিও এবং সংবাদপত্রে এসেছে। দলবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে যেমন ভিকে সিংয়ের অভিযোগ রয়েছে এবং সে অভিযোগগুলো দেশে বিদেশে আলোচিত হচ্ছে, তেমনি জেনারেল ভি কে সিংয়ের বিরুদ্ধেও ব্যক্তিগত হিংসা চরিতার্থ করার অভিযোগ ভারতীয় মিডিয়ায় উঠেছে। আবার বর্তমান সেনা প্রধান বিক্রম সিং তার অব্যবহিত পূর্বের বস জেনারেল ভি কে সিংকে পছন্দ করেন না, এমন অভিযোগও উঠেছে। আমি মে মাসের ৩য় সপ্তাহে দক্ষিণ ভারতের দুইটি রাজ্যে ছিলাম। তখন সেখানে আমি ভারতের কয়েকটি নামকরা ইংরেজী দৈনিক পত্রিকা পাঠ করতাম। সেখানে দেখেছি, দলবীর সিংয়ের নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিক্রম সিং এবং ভি কে সিংয়ের মধ্যে রেষারেষির কথা। ভি কে সিং যেমন দলবীর সিংয়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে অভিযোগ আনছেন তেমনি বিক্রম সিংও শক্তভাবে দলবীর সিংয়ের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। ঐ সময় যারা ‘দি হিন্দু’, ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’, ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’ প্রভৃতি পত্রিকা পড়েছেন তার দেখেছেন যে এই তিন সিংকে নিয়ে কেমন বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস এবং বিজেপির হাই কমান্ড। সেই সব কথা আবার মিডিয়াতেও স্থান পেয়েছে। এই মুহূর্তে আমার কাছে আছে ২৫ শে মে ‘The new Sunday express’’ এর একটি ক্লিপিং। সংবাদটির শিরোনাম, “ÒArmy chief’s post may Elude Suhag / The hurried decision at the fag end of UPA govt to appoint him as new chief may be reversed by the new dispensation.” বাংলা অনুবাদ, “সোহাগের কপালে সেনাপ্রধানের শিকে ছিঁড়তে নাও পারে / ইউপিএ সরকারের শেষ মুহূর্তে তড়িঘড়ি করে নতুন সেনা প্রধান নিয়োগের সিদ্ধান্ত নতুন সরকার উল্টে দিতে পারে।”
সেনাবাহিনী নিয়ে অথবা সেনা প্রধান নিয়ে পত্রপত্রিকায় বর্তমান সরকারের আমলে এমন খোলামেলা আলোচনা কি সম্ভব?
আসিফ আরসালান
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন