বৃহস্পতিবার, ৫ এপ্রিল, ২০১২

এক হাজারীর পর আরেক হাজারীতে জিম্মি ফেনীবাসী




আদিত্য আরাফাত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ফেনী থেকে ফিরে: জয়নাল হাজারীর প্রতিপত্তির সময় ফেনীকে বলা হতো মৃত্যুউপত্যকা। এককভাবে পুরো ফেনীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন ফেনী আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ জয়নাল হাজারী। ‘এক নেতা এক জেলা’- একথাই চালু ছিল সে সময়।

‘ফেনীর মুকুটহীন সম্রাট’ ও ‘গডফাদার’ খেতাব জড়িয়ে ছিল জয়নাল হাজারীর নামের সঙ্গে। প্রতিটি পাড়া ও মহল্লায় ছিল জয়নাল হাজারীর স্টিয়ারিং কমিটি। জেলাজুড়েই ছিল তার একক নিয়ন্ত্রণ।
সময়ের পরিবর্তনে ফেনীতে জয়নাল হাজারী অধ্যায়ের অবসান হয়। কিন্তু জয়নাল হাজারীর যুগে তৈরি হওয়া আতঙ্ক এখনো যেন নিত্যসঙ্গী ফেনীবাসীর। কারণ, আরেক হাজারীর শাসন এখন ফেনীতে। বর্তমান পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারীর নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে পুরো ফেনী জেলা। এ যেন ফেনীবাসীর ফুটন্ত কড়াই থেকে জলন্ত উনুনে পড়ার অবস্থা। যেন কাটছে না হাজারীর আছর।

জয়নাল হাজারী থেকে নিজাম হাজারী
প্রায় চার দশকের রাজনৈতিক জীবনে জয়নাল হাজারী কখনও লড়েছেন জাতীয় পার্টির নেতা ও সাবেক মন্ত্রী জাফর ইমাম এবং তার টাইগার বাহিনীর বিরুদ্ধে। কখনও বিএনপি ও অধ্যাপক জযনাল আবদীনের (ভিপি জয়নাল) বাহিনীর বিরুদ্ধে।

২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিশেষ অভিযানের মুখে জয়নাল হাজারী ফেনী ত্যাগ করে ভারতে চলে যান। কিন্তু তখন ভারত থেকেই পুরো ফেনীকে নিয়ন্ত্রণ করতেন জয়নাল হাজারী।
আওয়ামী লীগ এতটাই জয়নাল হাজারীর হাতের মুঠোয় পোরা ভরা ছিল যে, ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারির বাতিল নির্বাচনেও ফেনী সদর আসনে তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে বাধ্য হয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। হাজারীর বড় বোন খোদেজা বেগমের মনোনয়ন বিস্ময় জাগিয়েছিল ফেনীর সব মহলেই। তবু আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কমবেশি তা মেনেও নিয়েছিলেন। কারণ, তখন ভারতে অবস্থান করেও দলকে নিয়ন্ত্রণ করতেন জয়নাল হাজারীই।

ওয়ান-ইলেভেনের সময়কাল থেকে হাজারীবিরোধী একটি শক্তি ভেতরে ভেতরে হাজারীর জায়গা দখল করতে তৎপর হয়ে ওঠে।
 
ওয়ান-ইলেভেনের অধ্যায় শেষ হয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর হাজারীও দেশে ফিরে আসেন। ততদিনে ফেনী নদীর পানি অনেক দূর গড়িয়েছে।

হাজারীবিরোধীরা তার এককালের সহযোগী যুবলীগ নেতা নিজাম হাজারীর সঙ্গে হাত মেলান। হাজারীর স্টিয়ারিং কমিটির অনেকেই হাজারীর দল থেকে ছুটে এসে নিজাম হাজারীর দলে ভেড়েন। এর মধ্যে রয়েছেন স্টিয়ারিং কমিটির অন্যতম সচিব ফুলগাজীর উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম, জেলা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির আদেল, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি দাগনভূঞা উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, সাধারণ সম্পাদক শুসেন শীল, জেলা কৃষক লীগ সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর আশরাফুল আলম গিটার, জয়নাল হাজারীর পিএস জয়লস্কর, ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মিলন প্রমুখ।

নিজাম হাজারীর নেতৃত্বে বর্তমানে একটি শক্তিশালী গ্রুপ তৈরি হয় ফেনীতে। পৌর এলাকাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফেনী পৌরসভা নির্বাচনের সময় পুলিশের উপস্থিতিতে নিজাম হাজারীর প্রার্থীরা নিজাম হাজারীর প্রতীক দোয়াত-কলমে সিল মারেন।

ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে ভোটারদের মেয়র পদে সিল মারারই সুযোগ ছিলো না। কেন্দ্রের ভেতরে নিজাম হাজারীর লোকজন থাকতো। তারা ভোটারদের বলতো- ‘মেয়র পদে আপনাদের কষ্ট করে সিল মারতে হবে না, আমরাই মেরে দেবো।’

বর্তমানে নিজাম হাজারী ফেনী পৌরসভার মেয়র হলেও পুরো জেলা নিয়ন্ত্রণ করছে নিজাম হাজারী ও তার লোকজন।

রাহুমুক্ত হয়নি ফেনী
ফেনীর ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, বালুমহাল ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বললে ফেনীর যে চিত্রটি পাওয়া যায় তা আদৌ সুখকর নয়। প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললে তারা সরাসরি কোনো অভিযোগ না আনলেও আকারে-ইঙ্গিতে অসহায়ত্বের কথা জানান। কারও যেন কিছু করার নেই।

ফেনীতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ৮/৯ জনই শুধু টেন্ডার পান এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই মধ্যে অনেক সাধারণ ঠিকাদারই টেন্ডার না পেয়ে পেশা বদল করেছেন।

জানা গেছে, বর্তমানে ফেনীতে নিজাম হাজারী ও তার লোকজনের টেন্ডারবাজি, বালুমহাল লুট, বাসস্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তার দেদারছে চলছে।

ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান ফেনী জেলা  পরিষদ প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আজিজ আহাম্মদ চৌধুরী টেন্ডারবাজি ও লুটপাটের বিরুদ্ধে একাধিকবার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে লিখিতভাবে অবহিত করেছেন। কিন্তু কার্যত কোনো লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে আজিজ আহম্মেদ চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কারো নাম না উল্লেখ করে বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা সভায় একাধিকবার টেন্ডারবাজি কঠোর হস্তে দমন করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি করেছি। প্রশাসনকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পরামর্শ দিয়েছি...।’

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত আড়াই বছরে ফেনীর বিভিন্ন বিভাগে প্রায় দুইশ` কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিন্তু নিজাম হাজারীর পক্ষের ছাড়া কোনো ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নিতে পারেননি।

ফেনীর কয়েকজন ঠিকাদার বাংলানিউজকে জানান,  প্রায় আড়াই বছরে তারা ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও গণপূর্ত বিভাগে টেন্ডার ক্রয় ও দাখিল করতে পারেননি। গত বছরের ১০ অক্টোবর পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রায় ২২ কোটি টাকার ১২টি টেন্ডার দাখিলের নির্ধারিত তারিখ ছিল। এর একদিন আগে টেন্ডার শিডিউল কেনার শেষ তারিখ থাকলেও ওই সিন্ডিকেট ১০ দিন আগে তাদের অনুসারীদের নিয়ে এক বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সব ঠিকাদারকে জানিয়ে দেয়, ৫ জন নির্ধারিত ঠিকাদার ছাড়া আর কেউ টেন্ডার শিডিউল ক্রয় করতে পারবে না। সিদ্ধান্ত হয়, কাজের টেন্ডার ফরম ক্রয় ও তা ড্রপ করবেন ঠিকাদার রতন, জীবন, দিদার, জাহাঙ্গীর চৌধুরী ও ছালেহ বাবুল। এ নির্দেশের পর ঠিকাদারদের পক্ষে আর টেন্ডার ক্রয় করা সম্ভব হয়নি।

অভিযোগ পাওয়া গেছে, পরে সিন্ডিকেট কয়েকজনের কাছ থেকে টেন্ডার মূল্যের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে টাকা নিয়ে কাজ বিক্রি করে দেয়। ঠিকাদাররা জানান, এর আগে দু`তিনবার তারা বিভিন্ন কৌশলে বিভিন্ন দফতর থেকে টেন্ডার শিডিউল ক্রয় করেছিলেন। কিন্তু টেন্ডার ফেলার দিন সকাল থেকে অফিসে ও টেন্ডার বাক্সে সন্ত্রাসী পাহারা থাকায় তারা টেন্ডার জমা দিতে পারেননি।

সংশ্লিষ্ট দফতর টেন্ডার অনুষ্ঠানের দিন পুলিশ মোতায়েন করলেও তাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয়নি।
ফেনীর ঠিকাদাররা জানান, ফেনীতে ঠিকাদারি পেশার সঙ্গে পাঁচ শতাধিক ব্যবসায়ী জড়িত। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপির সঙ্গে জড়িত ও নিরপেক্ষ ঠিকাদার রয়েছেন।

তিন দশক ধরে ঠিকাদারী করছেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত আড়াই বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডি ও গণপূর্ত বিভাগে প্রায় দুইশ` কোটি টাকার কাজ হয়েছে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ বাদে আর কারও পক্ষে ঠিকাদারি কাজ করা কোনো উপজেলায় সম্ভব হয় না। টাকার ভাগ চলে যায় সিন্ডিকেটের হিসাবে।’

শুধু টেন্ডারবাজি নয়, এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ফেনীর বালুমহাল লুট করারও অভিযোগ রয়েছে। ফেনীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শওকত ইকবাল শাহীন জানান, প্রায় আড়াই বছর ধরে ফেনীর সব বালুমহাল ইজারা বন্ধ রয়েছে।

ইজারা বন্ধ থাকলেও একই চক্র বালুমহালের ইজারা প্রদানের ওপর কৌশলে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ নিয়ে রাখে। আদালত বালু মামলার সুরাহা হওয়া পর্যন্ত বালু উত্তোলন স্থগিত করেন। ইজারা বন্ধ থাকার সুযোগে বিনা বাধায় চক্রটি লুট করে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকার বালু।

ফেনীর বালুমহাল ঘুরে ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণে জানা যায়, ১৮টি বালুমহাল থেকে একদিনের জন্যও বালু উত্তোলন বন্ধ হয়নি।

শক্তিশালী সিন্ডিকেট নির্দিষ্ট হারে ট্রাকপিছু মোটা টাকার বিনিময়ে বালুমহাল চালু করে রেখেছে।

ফেনীর সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে ফেনী সরকারি কলেজের একজন প্রভাষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলানিউজকে হাজারী আছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘ফেনী থেকে হাজারী অধ্যায়ের অবসান হয়নি। দাড়িওয়ালা হাজারীর নিয়ন্ত্রণ না থাকলেও গোঁফওয়ালা হাজারীর শাসনে রয়েছে ফেনী।’

কে এই নিজাম হাজারী?
নিজাম হাজারী ছিলেন জয়নাল হাজারীর এক সময়ের সহচর। নিজাম হাজারীর ছাত্রজীবন কেটেছে চট্টগ্রামে। চট্টগ্রামে এক অস্ত্র মামলায় তার ১০ বছরের সাজা হয়। কয়েক বছর কারাভোগের পর তিনি মুক্তি পান। জয়নাল হাজারী ফেনীতে ফিরে আসার আগেই নিজাম হাজারী আওয়ামী লীগের হাজারীবিরোধীদের নিয়ে জোট গঠন করেন। ফেনীতে জয়নাল হাজারী বিরোধীদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। ফেনী-২ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচন করেন। ইকবাল সোবহান চৌধুরীর পক্ষে তখন সক্রিয়ভাবে কাজ করেন নিজাম হাজারী।

পৌর নির্বাচন এলে নিজাম হাজারী আওয়ামী লীগের স্বঘোষিত একক মেয়র প্রার্থী হন। এরপর ফেনী আওয়ামী লীগের সাধারণ সভা আহ্বান করে নিজাম হাজারীকে দলের সদস্য বানানো হয়। নিজাম হাজারীর সঙ্গে একাট্টা হয়ে ফেনী নিয়ন্ত্রণ করতে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক নেতা তার সঙ্গে যোগ দেন। দ্রুত আবার পরিবর্তন হতে থাকে ফেনীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি। নিজাম হাজারীর সঙ্গে এ সময় যোগ দেন যুবলীগ নেতা ও ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল মজুমদার, ছাত্রলীগ নেতা ও পরশুরাম পৌরসভা চেয়ারম্যান সাজেল চৌধুরী। এ কয়েকজন মিলে ফেনীতে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন।

স্থানীয় জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা জানান, ফেনী শহর ও প্রতিটি উপজেলা সদর এবং গ্রামাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে কয়েক হাজার সদস্য রয়েছে নিজাম হাজারীর।

জানা যায়, নিজাম হাজারী তার পাহারার জন্য একটি চৌকস প্রাইভেট বাহিনী গঠন করেছেন। নিজাম হাজারী যেখানে যান সেখানেই সুবিধামতো এ বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে থাকে।

ফেনীতে জালেমের শাসন চলছে: জয়নাল হাজারী 
সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল হাজারী বাংলানিউজকে বলেন, ফেনীতে জালেমের শাসন চলছে। কিন্তু পত্রিকায় একলাইনও লেখা হয় না।

নিজাম হাজারী সম্পর্কে জয়নাল হাজারীর অভিযোগ, নিজাম হাজারী ফেনীবাসীকে জিম্মি করে রেখেছেন। অপরাধ জগতের শীর্ষ কয়েকজনকে নিয়ে নিজাম হাজারী সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন।

সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জয়নাল হাজারী বলেন, ‘সাংবাদিকরা এখন তার (নিজাম হাজারী) বিরুদ্ধে এক লাইন লেখেন না। ফেনীতে হাজার গুণ বেশি টেন্ডারবাজি, বালুমহাল লুট ও চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটছে। পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে না। স্থানীয় প্রশাসনও নিজাম হাজারীর এসব কর্মকাণ্ড দেখেও না দেখার ভান করে আছে।’

হাজারী অভিযোগ করেন, বর্তমান পৌর মেয়রের অস্ত্র মামলায় ১০ বছরের সাজা হয়। উচ্চ আদালতেও তিনি জামিন পাননি বলে হাজারী অভিযোগ করেন।

নিজাম হাজারীর বক্তব্য 
ফেনী পৌর মেয়র নিজাম উদ্দিন হাজারী বাংলানিউজকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।

নিজাম হাজারী ফেনীকে বর্তমানে শান্তির শহর উল্লেখ করে বলেন, ‘ফেনীতে হাজারী আমলের মতো এখন ড্রিল মেশিন দিয়ে কাউকে হত্যা করা হয় না, একদিনে ৩৪ জন নিহত হয়নি, সকালে গোলাগুলির শব্দে মানুষের ঘুম ভাঙ্গে না।’
তিনি বলেন, ‘ফেনীতে শান্তি বিরাজ করছে, তাই কারো কারো সহ্য হচ্ছে না। ফেনীতে কোনো রাজনৈতিক খুনের ঘটনা নেই। বিরোধী দলের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হয় না। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধী দল তাদের কর্মসূচি পালন করছে যা ফেনীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।’

টেন্ডার ও সিন্ডিকেটের বিষয়ে তিনি জানান, ঠিকাদাররা সমঝোতার মাধ্যমে কাজ নিয়ে যান। এটা ঠিকাদারদের নিজস্ব ব্যাপার।

স্থানীয় সাংবাদিকদের সন্তুষ্ট রাখা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার পক্ষে কতজন সাংবাদিককে মাসোহারা দেয়া সম্ভব?’

এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১২
 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads