শনিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১২

সুরঞ্জিতের দুর্নীতি আড়াল করতেই ইলিয়াসকে গুম করেছে সরকার : ফখরুল



বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ঘুষ কেলেঙ্কারির ঘটনা আড়াল করার জন্যই সরকার ইলিয়াস আলীকে গুম করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাসী খুনিদের আগলে রেখেছেন। তিনি আজ রোববার সর্বাত্মক হরতাল পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। 
ইলিয়াস আলীর গুম হওয়ার ঘটনা এবং কারাবন্দী সাবেক সংসদ সদস্য নাসিরউদ্দিন আহম্মেদ পিন্টুর মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস কাব মিলনায়তনে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। হাজারীবাগ, লালবাগ, বংশাল, চকবাজার, কোতোয়ালি বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলো এ সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী মতকে স্তব্ধ করতে সরকার দেশে প্রতিনিয়ত গুম-হত্যার ঘটনা ঘটাচ্ছে। তিন বছরে ৯৭ জন রাজনৈতিক কর্মীকে গুম করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস আলী ও তার গাড়িচালক আনসার। এর এক দিন আগে অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
মির্জা ফখরুল বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনার পর দেশের মানুষের মন থেকে শান্তি ও স্বস্তি চলে গেছে। এমন দেশে আমরা বাস করছি, যেখানে মানুষের নিরাপত্তা নেই। রাজনীতি করি বলে আমরা তো কোনো পাপ করিনি। 
ইলিয়াস আলীকে ‘গুম’ করার অভিযোগে বিএনপির ডাকা আজকের হরতাল সফল করার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, হরতাল সর্বাত্মকভাবে সফল করতে সবাইকেই ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদেরও রাষ্ট্রপতি মাফ করে দিয়েছেন। ওই সব সন্ত্রাসী, খুনি, হত্যাকারী ছাড়া পেয়ে এখন আওয়ামী লীগের ভেতরে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘মুরগি যেভাবে বাচ্চাদের আগলে রাখে, ওই দলের নেত্রী সন্ত্রাসী খুনিদের সেভাবে আগলে রাখছেন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ইলিয়াস আলীর গুমের ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী ‘নাটক’ বলেছেন। তার এ রকম বক্তব্যে মনে হচ্ছে- তিনি এক ভয়ঙ্কর শক্তিতে পরিণত হয়েছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নয়া পল্টনে ১২ মার্চ মহাসমাবেশ করার জন্য সীমানা বেঁধে দেয়া হয়েছিল। অথচ যুবলীগ জাতীয় স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রীকে ‘সমুদ্র বিজয়ের নাটকের’ জন্য গণসংবর্ধনা দিয়েছে। বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে জায়গা না থাকলেও সরকারি দলের জন্য আইন ভিন্ন। তারা স্টেডিয়ামে জনসভা করতে অনুমতি পায়।
হাজারীবাগ বিএনপির আহ্বায়ক রমজান আলী হীরুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, স্বনির্র্ভরবিষয়ক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সৈয়দা আসিফা আশরাফি পাপিয়া এমপি প্রমুখ।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads