ঈদ সামনে রেখে রাজধানীতে চাঁদার দাবিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে সন্ত্রাসীরা। কুখ্যাত সন্ত্রাসীর নামে অনেক ব্যবসায়ী ও শিল্পপতির কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে সন্ত্রাসীরা। চাহিদামত চাঁদা দেয়া না হলে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়া হচ্ছে। চাঁদা না দেয়ায় চলতি সপ্তাহেই মিরপুর ও মহাখালীতে দু’ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। রজমান মাস শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত চাঁদার দাবিতে শতাধিক ব্যক্তিকে হুমকি দেয়া হয়েছে কিংবা হামলা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে গোপন বৈঠক করেছে পলাতক ও জেলবন্দি কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগীরা। তারা নিজেদের মধ্যে এলাকা ভাগ করে নিয়েছে। এ সময় অস্ত্রশস্ত্রও হাতবদল হয়েছে। বৈঠককে নির্বিঘ্ন করতে সেখানে সন্ত্রাসীদের কড়া প্রহরা ছিল।
বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগীরা বনানীর এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই ব্যবসায়ীকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হয়। এসএমএস পাঠিয়ে বলা হয়, ‘আমরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম পারলে আমাদের কিছু করেন। আর আমরাও দেখি আপনার কিছু করতে পারি কিনা। ’
শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত নিজ কণ্ঠেই মিরপুরের এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে বলেন, ‘চাঁদা না পেলে হাঁটুর নিচে গুলি করব। তবে গুলি করে তো আমার কোনো
লাভ নেই।’
শাহাদাতের সহযোগীরা আলিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইদুর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তার অফিসে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। সাইদুরের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করলেও এখনও তাকে
হুমকি দেয়া হচ্ছে। সাইদুর জানান, তাদের মার্কেটের অনেককেই এভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের নামেও চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জয় বলেছেন, তিনি এখন আর অন্ধকার জগতের বাসিন্দা নয়। মিরপুরের শাহাদাতের লোকজন, নিহত ডাকাত শহীদের লোকজন এবং মোহাম্মদপুরে জোসেফের ভাই হারিস টাকা উঠাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় গত সপ্তাহেই মহাখালী ও মিরপুরে গুলি করে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুধু রমজান মাসেই চাঁদার দাবিতে এখন পর্যন্ত শতাধিক হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ছিঁচকে সন্ত্রাসীও এখন কুখ্যাত সন্ত্রাসীর নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করছে। তবে অহরহ এসব ঘটনা ঘটলেও তার প্রতিকার করতে পারছে না পুলিশ। অনেকেই এ কারণে পুলিশের শরণাপন্ন না হয়ে নীরবে চাঁদাবাজদের দাবি পূরণ করে চলছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, অনেক সন্ত্রাসী বিদেশে পলাতক আছেন, অনেকে আবার দেশের অভ্যন্তরে আত্মগোপন করে আছেন। যেমন সুব্রত বাইন, জিসান, ক্লেয়ার আব্বাস, রনি, ফ্রিডম রাসু, নিহত ডাকাত শহীদের নামে কিছু চাঁদাবাজির ঘটনা আসছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে যেসব চাঁদা চাওয়া হচ্ছে তার ৯০ ভাগই ভুয়া।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, এভাবে কারও কাছে চাঁদা দাবি করা হলে তা যদি র্যাব বা পুলিশকে না জানানো হয় তবে ভুল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপসে যিনি চাঁদা দিয়ে দিচ্ছেন তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অন্যদিকে তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এতে চাঁদাবাজরা উত্সাহিত হচ্ছে।
সূত্র জানায়, চাঁদাবাজি নির্বিঘ্ন করতে রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে গোপন বৈঠক করেছে পলাতক ও জেলবন্দি কয়েকজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর সহযোগীরা। তারা নিজেদের মধ্যে এলাকা ভাগ করে নিয়েছে। এ সময় অস্ত্রশস্ত্রও হাতবদল হয়েছে। বৈঠককে নির্বিঘ্ন করতে সেখানে সন্ত্রাসীদের কড়া প্রহরা ছিল।
বিদেশে পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনের সহযোগীরা বনানীর এক ধনাঢ্য ব্যবসায়ীর কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই ব্যবসায়ীকে মোবাইলে হুমকি দেয়া হয়। এসএমএস পাঠিয়ে বলা হয়, ‘আমরা আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম পারলে আমাদের কিছু করেন। আর আমরাও দেখি আপনার কিছু করতে পারি কিনা। ’
শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদাত নিজ কণ্ঠেই মিরপুরের এক পরিবহন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবি করে বলেন, ‘চাঁদা না পেলে হাঁটুর নিচে গুলি করব। তবে গুলি করে তো আমার কোনো
লাভ নেই।’
শাহাদাতের সহযোগীরা আলিফ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইদুর রহমানের কাছে চাঁদা দাবি করলে তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর তার অফিসে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়। সাইদুরের অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেফতার করলেও এখনও তাকে
হুমকি দেয়া হচ্ছে। সাইদুর জানান, তাদের মার্কেটের অনেককেই এভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী তানভীর ইসলাম জয়ের নামেও চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জয় বলেছেন, তিনি এখন আর অন্ধকার জগতের বাসিন্দা নয়। মিরপুরের শাহাদাতের লোকজন, নিহত ডাকাত শহীদের লোকজন এবং মোহাম্মদপুরে জোসেফের ভাই হারিস টাকা উঠাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
চাহিদামত চাঁদা না দেয়ায় গত সপ্তাহেই মহাখালী ও মিরপুরে গুলি করে দুই ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। শুধু রমজান মাসেই চাঁদার দাবিতে এখন পর্যন্ত শতাধিক হুমকি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, অনেক ছিঁচকে সন্ত্রাসীও এখন কুখ্যাত সন্ত্রাসীর নাম ব্যবহার করে চাঁদা দাবি করছে। তবে অহরহ এসব ঘটনা ঘটলেও তার প্রতিকার করতে পারছে না পুলিশ। অনেকেই এ কারণে পুলিশের শরণাপন্ন না হয়ে নীরবে চাঁদাবাজদের দাবি পূরণ করে চলছে।
তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র মনিরুল ইসলাম বলেন, অনেক সন্ত্রাসী বিদেশে পলাতক আছেন, অনেকে আবার দেশের অভ্যন্তরে আত্মগোপন করে আছেন। যেমন সুব্রত বাইন, জিসান, ক্লেয়ার আব্বাস, রনি, ফ্রিডম রাসু, নিহত ডাকাত শহীদের নামে কিছু চাঁদাবাজির ঘটনা আসছে। মনিরুল ইসলাম বলেন, শীর্ষ সন্ত্রাসীদের নামে যেসব চাঁদা চাওয়া হচ্ছে তার ৯০ ভাগই ভুয়া।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল বলেন, এভাবে কারও কাছে চাঁদা দাবি করা হলে তা যদি র্যাব বা পুলিশকে না জানানো হয় তবে ভুল করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপসে যিনি চাঁদা দিয়ে দিচ্ছেন তিনি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অন্যদিকে তিনি অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। এতে চাঁদাবাজরা উত্সাহিত হচ্ছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন