শনিবার, ১৮ আগস্ট, ২০১২

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল : সময়ের সাহসী সংগঠন



অ্যা ড ভো কে ট শা মি ম উ ল হা সা ন অ পু
১৯ আগস্ট ২০১২ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল গৌরবের ৩৩ বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। পালন করতে যাচ্ছে ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কাছে যদি কোনো সংগঠনের দায়িত্ব অর্পণ করা যায় তাহলে সেই সংগঠন সুদৃঢ় ও মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হবেই—এতে কোনো সন্দেহ নেই। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল তার জ্বলন্ত উদাহরণ। যে কোনো সময়ের চেয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আজ যে শক্তিশালী সংগঠন, তার কারণ এই সংগঠন এখন যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে পরিচালিত। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে সংগঠিত করার জন্য ২০০৯ সালে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সভাপতি এবং ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর সরাফত আলী সপুকে সাধারণ সম্পাদক করে কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেন। এর কিছুদিন পরই সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয় জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিউল বারী বাবুকে। কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল এই তিন যোগ্য নেতার নেতৃত্ব পেয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। বিএনপির অঙ্গসংগঠন হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে শুরু করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। স্বাধীনতার ঘোষক বীর মুক্তিযোদ্ধা, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক, আধুনিক স্বনির্ভর বাংলাদেশের স্থপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সবসময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন, আর্ত মানবতার সেবা এবং মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অত্যাবশ্যক। এই চিন্তা-চেতনার পথ ধরে তিনি ১৯৮০ সালের ১৯ আগস্ট প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। স্বেচ্ছায় সেবা করা অতি মহত্ কাজ—এই চেতনায় লালিত হয়ে ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনাকে বুকে ধারণ করে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, মহামারীসহ যে কোনো জাতীয় দুর্যোগে জনগণের পাশে থেকে সেবামূলক কাজের মাধ্যমে দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের পাশাপাশি দেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে পথচলা শুরু করে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন। সংগঠনটি জন্মলগ্ন থেকে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে আর্তমানবতার সেবায় আত্মনিয়োগের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতির সব ক্রান্তিকালে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে। ঘাতকের তপ্ত বুলেটে এদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের নির্মাতা শহীদ জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালের ৩০ মে শাহাদতবরণের পর তার রেখে যাওয়া জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন তার যোগ্য উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নয় বছর স্বৈরাচারবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সংগঠনটি ’৮৮, ’৯৮ ও ২০০৮ সালের ভয়াবহ বন্যার সময় বন্যাদুর্গত মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ায় এবং দুর্গত মানুষের সেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ১৯৯৩ সালের ১ ও ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের নাম পরিবর্তন করা হয় এবং এই সংগঠনের নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। ১৯৮০ সালের ১৯ আগস্ট জন্ম নেয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আজ দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে অনেক গৌরবগাথা ইতিহাসের জন্ম দিয়েছে এবং রচনা করেছে বহু সোনালি অধ্যায়।
এখন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই সংগঠনের ভিত একদিনে রচিত হয়নি। এই সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য যারা আত্মত্যাগ করেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন, রক্ত দিয়েছেন, জেল-জুলুম-কারাভোগ করেছেন—৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। রাজপথের মিছিল থেকে হারিয়ে যাওয়া নড়াইল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আজিজার হোসেন, শেরপুর জেলার বিদ্যুত, নোয়াখালী জেলার সুমন, ফেনী সদরের কামাল উদ্দিন, সোনাগাজীর ভিপি বাহার, হাজারীবাগের ওসমান, খুলনার খালিশপুরের নজরুল ইসলাম মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক যুবরাজের আত্মাহুতি স্বেচ্ছাসেবক দলকে যেমন ব্যথিত করেছে, তেমনি শোককে শক্তিতে পরিণত করে লড়াই-সংগ্রামের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল তার প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমানকে, যিনি স্বেচ্ছায় শ্রম দিয়ে মানব সেবার উদ্দেশ্য নিয়ে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছিলেন। যিনি উপলব্ধি করেছিলেন, দেশের প্রতিটি মানুষের হাতকে কর্মীর হাতে পরিণত না করতে পারলে আত্মপ্রত্যয়ী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। সেই কারণেই তিনি স্বেচ্ছায় ছুটে গিয়েছেন দেশের প্রতিটি প্রান্তরে। নিজ হাতে কোদাল দিয়ে খাল খনন, রাস্তাঘাট তৈরিসহ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে দেশের মানুষকে স্বেচ্ছাশ্রমে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তারই অনুপ্রেরণার ফসল জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আজ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও দেশের গণতন্ত্রকে অক্ষুণ্ন রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশের জনগণের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এ দেশের জনগণের মুক্তির সনদ ১৯ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল যখন তার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে, তখন এ দেশ ও জাতির ওপর আওয়ামী দুঃশাসনের ভূত চেপে বসে আছে। তাদের হিংস্র নখরে গণতন্ত্র আজ বিপন্ন। গণতন্ত্রের লেবাস ও ছদ্মাবরণে চলছে একদলীয় বাকশাল কায়েমের সুগভীর ষড়যন্ত্র। শুরু হয়েছে বিরোধীদলীয় মত ও দর্শনকে নিশ্চিহ্ন করার চক্রান্ত। একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করে দেশের সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে দেশ ও জাতিকে গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ করে ফেলা হচ্ছে। তত্কালীন সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে এবং বিদেশি প্রভুদের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসে একের পর এক সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে চলেছে। বিচার অঙ্গনে নগ্ন দলীয় হস্তক্ষেপ এবং ফাঁসি ও খুনের আসামির সাজা মওকুফ করার মাধ্যমে আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। দেশকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করে বিরোধী দলকে দমন করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে নগ্নভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। শেয়ারবাজার লুট করার ফলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আজ সর্বস্বহারা। মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যুর আজ কোনো গ্যারান্টি নেই এই আওয়ামী সরকারের শাসনামলে। সারা দেশে আজ গুম ও হত্যা চলছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ইলিয়াস আলীকে গুম করা হয়েছে। এমনিভাবে বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমকেও গুম করে হত্যা করা হয়েছে। বর্তমান মহাজোট সরকার দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত। পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির কারণে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এই সরকার ক্ষুণ্ন করেছে। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আবুল হোসেনসহ মহাজোট সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রীর দুর্নীতির তথ্য বেরিয়ে আসছে। এসব দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীকে রক্ষা করার জন্য আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাদের দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করছেন।
এই সরকারের দুঃশাসন, অপশাসন, অনিয়ম এবং দুর্নীতির কথা লেখার কারণে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ ও হত্যা করা হচ্ছে। সাগর ও রুনির হত্যাকারীদের আজও গ্রেফতার করতে পারেনি এই সরকার। কলমযোদ্ধা মাহমুদুর রহমান, একরামুল হকসহ বহু সাংবাদিককে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে নিজেদের স্বার্থে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করা হয়েছে। কোথায় আজ দশ টাকা কেজি চাল, কোথায় আজ বিনামূল্যে সার, ঘরে ঘরে চাকরির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি জনগণ আজ বুঝতে পেরেছে। বিদ্যুত্ নেই, পানি নেই, গ্যাস নেই। চারদিকে শুধু হাহাকার আর হাহাকার। এই ব্যর্থ, অযোগ্য ও তাঁবেদার সরকারের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদী সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এবং বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপি যখন এই সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে, তখন বর্তমান সরকার বিএনপি এবং জিয়া পরিবারকে টার্গেট করে এদেশের মাটি থেকে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করার গভীর চক্রান্তের জাল বিস্তার করেছে। কারণ জিয়া পরিবারকে ধ্বংস করতে পারলে তাদের দুরভিসন্ধি বাস্তবায়ন করা সহজ হবে। সেজন্য বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এই ব্যর্থ সরকার যখনই বুঝতে পেরেছে আগামীতে ক্ষমতায় যাওয়া তাদের জন্য দুরূহ ব্যাপার, তখনই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে নিজেদের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ ও পাকাপোক্ত করতে চাইছে। তাই দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে এবং দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আপসহীন নেত্রী বৃহত্তর ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এই চলমান আন্দোলনের ভ্যানগার্ড হতে চায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। বর্তমান সরকারের অত্যাচারের স্টিম রোলার চলছে এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর। এই সরকার যেদিন প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেছে সেদিনই নির্মমভাবে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা রাজপথে হত্যা করেছে ঢাকা মহানগর ৫৬ নং ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা নজরুল ইসলামকে।
এই সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির ডাকা প্রথম হরতালের দিন কারারুদ্ধ হয়েছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করা হয়েছে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতাকে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে বার বার কারারুদ্ধ হচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। শুধু দুঃশাসনবিরোধী লড়াই-সংগ্রাম নয়, দুর্দশাগ্রস্ত ও অসহায় পীড়িত মানুষের পাশেও রয়েছে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল। সংগঠনের বর্তমান নেতৃত্ব দায়িত্ব গ্রহণের পর ঘূর্ণিঝড় আইলাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও শীতবস্ত্র বিতরণ থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগরীতে পানির সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে পানি বিতরণসহ বিভিন্ন মানবসেবা দিয়ে আসছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ জিয়ার জন্ম ও মৃত্যু দিবসসহ অন্যান্য দিবস পালন এবং এসব দিবসে আলোচনা সভা, স্মরণ সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্মরণিকা প্রকাশ করে দেশের গণমানুষকে জাগিয়ে তোলা এবং উদ্বুদ্ধকরণের জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে; যা শুধু একটি আদর্শিক সংগঠনই করে থাকে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আনন্দঘন মুহূর্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে হয় এই সংগঠনের পূর্বসূরিদের—কাজী সিরাজ (প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি), এবিএম শাহ আলম ও ইঞ্জিনিয়ার শেখ নজরুল ইসলাম (যুগ্ম সম্পাদক), কাজী আসাদুজ্জামান (সাবেক আহ্বায়ক), রিজভী আহমেদ (সাবেক সভাপতি), ফজলুল হক মিলন (সাবেক সাধারণ সম্পাদক); যাদের মেধা, শ্রম ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল আজ দেশের শ্রেষ্ঠতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। বর্তমানে দেশে যে দমন, দলন, পীড়ন ও নির্যাতন চলছে তাতে অবহেলিত ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে অভয়দান, সেবা প্রদান ও প্রতিবাদের জন্য বিএনপির অন্যতম অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলকে প্রস্তুত হতে হবে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশ, মাটি ও মানুষের কল্যাণের জন্য যে আপসহীন নিরবচ্ছিন্ন সংগ্রাম চলছে, স্বেচ্ছাসেবক দলের বর্তমান সুযোগ্য নেতৃত্ব সেই সংগ্রামকে বেগবান করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে। জীবনের শেষে মৃত্যু হতে হবে গৌরবের—আর সেই গৌরবই বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ। এই বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের চেতনায় শাণিত হয়ে সেবা, শান্তি, ঐক্য ও প্রগতির মূলমন্ত্রকে বুকে ধারণ করে ‘আমাদের প্রত্যয় দুঃশাসনমুক্ত স্বনির্ভর আধুনিক বাংলাদেশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহঙ্কার তারেক রহমানের নেতৃত্বে সময়ের সাহসী সংগঠন জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল দেশ ও জাতিকে বাঁচাতে রাজপথে থাকবে। ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা সেই শপথই গ্রহণ করছে। কারণ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের অকুতোভয় সাহসী যোদ্ধারা দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার, আর্তমানবতার সেবা, মানুষের কল্যাণ ও সব অন্যায়-অত্যাচার-অনাচার-জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
লেখক : সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক
জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, কেন্দ্রীয় কমিটি

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads