প্রধানমন্ত্রীর আবেগ ও অর্থমন্ত্রীর যৌক্তিকতার দোলাচালে দুলছে পদ্মা সেতু। বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণচুক্তি বাতিলের পরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির ঘোষণা দিয়ে ফান্ড গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে বাস্তবতা বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিশ্বব্যাংকের ঋণচুক্তি পুনর্বিবেচনায় আশাবাদ ব্যক্ত করে তাদের শর্তপূরণে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ঝুঁকছেন মালয়েশিয়ার দিকে। পদ্মা সেতু নিয়ে সরকারের এই ত্রিমুখী অবস্থানে দেশের জনগণ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে খোদ সরকারের মধ্যকার লোকজনও অন্ধকারে রয়েছেন।
দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্টো বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর দিয়ে এ সেতুর অর্থ জোগানে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথানত করে না। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পারলে একটা পদ্মা সেতু কেন নির্মাণ করতে পারব না। এসব আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘সস্তা জনপ্রিয়তা’ অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের বেতন-ভাতার অংশ পদ্মা সেতুর ফান্ডে জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে অনেক লোকসানি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বড় অংকের অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সেতু ফান্ডে টাকা উত্তোলন করা চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহতও হয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেতু ফান্ডের টাকা গ্রহণে দুইটি ব্যাংক হিসাব খোলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগের পর থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খানিকটা চুপ রয়েছেন। যদিও তিনি পদত্যাগী আবুল হোসেনকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণার পরও বাস্তবতা বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখনও বিশ্বব্যাংকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি এখনও আশা করছেন বিশ্বব্যাংক এ সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসবে। এমনকি বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণে তিনি সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যার অংশ হিসেবে ‘অভিযুক্ত’ মন্ত্রী আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। সেতু প্রকল্পে অপর দাতা সংস্থা জাইকার প্রেসিডেন্টকে দুতিয়ালী করে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে রাজি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অর্থমন্ত্রীর মতে, এত বড় প্রজেক্ট আমাদের মতো ছোট দেশের পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব নয়। এটা করতে গেলে সবধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ বড় ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি পতিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বার বার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেও যৌক্তিকতা চিন্তা করে অর্থমন্ত্রী যে চারটি বিকল্প চিন্তা করেছেন তার মধ্যে সর্বশেষটি হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়ন। প্রথম তিনটি ব্যর্থ হলেই কেবল তিনি নিজস্ব অর্থায়নের কথা ভাববেন। বিকল্পগুলোর মধ্যে অর্থমন্ত্রীর প্রথম টার্গেট হচ্ছে বিশ্বব্যাংককে সেতু প্রকল্পে ফিরিয়ে আনা। সেটা না হলে বাকি দাতাগোষ্ঠীর মাধ্যমে সেতু নির্মাণ। তার ৩ নম্বর বিকল্প হচ্ছে পিপিবি’র মাধ্যমে মালয়েশিয়া কিংবা অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে সেতু নির্মাণ করা।
এদিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন নিজস্ব অর্থায়নে কোনোভাবেই এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে মানুষের মধ্যে কেবল জাগরণ সৃষ্টি করা যেতে পারে। কিন্তু এই আবেগ দিয়ে সেতু করা সম্ভব হবে না। এটা করতে গেলে প্রবৃদ্ধির হার ব্যাপক হারে নেমে আসবে। দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উল্টো বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। নিজের মোবাইল ও ই-মেইল নম্বর দিয়ে এ সেতুর অর্থ জোগানে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালি জাতি কারও কাছে মাথানত করে না। আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পারলে একটা পদ্মা সেতু কেন নির্মাণ করতে পারব না। এসব আবেগঘন বক্তৃতা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ‘সস্তা জনপ্রিয়তা’ অর্জনের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাদের বেতন-ভাতার অংশ পদ্মা সেতুর ফান্ডে জমা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীকে খুশি করতে অনেক লোকসানি সরকারি প্রতিষ্ঠানও বড় অংকের অর্থ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর সেতু ফান্ডে টাকা উত্তোলন করা চাঁদার ভাগাভাগি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রলীগ নেতা নিহতও হয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেতু ফান্ডের টাকা গ্রহণে দুইটি ব্যাংক হিসাব খোলারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন পদত্যাগের পর থেকে পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী খানিকটা চুপ রয়েছেন। যদিও তিনি পদত্যাগী আবুল হোসেনকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক বলে আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণার পরও বাস্তবতা বিবেচনা করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এখনও বিশ্বব্যাংকের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি এখনও আশা করছেন বিশ্বব্যাংক এ সেতু নির্মাণে এগিয়ে আসবে। এমনকি বিশ্বব্যাংকের শর্ত পূরণে তিনি সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যার অংশ হিসেবে ‘অভিযুক্ত’ মন্ত্রী আবুল হোসেন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন। সেতু প্রকল্পে অপর দাতা সংস্থা জাইকার প্রেসিডেন্টকে দুতিয়ালী করে অর্থমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে রাজি করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। অর্থমন্ত্রীর মতে, এত বড় প্রজেক্ট আমাদের মতো ছোট দেশের পক্ষে নিজস্ব অর্থায়নে করা সম্ভব নয়। এটা করতে গেলে সবধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ বড় ধরনের সঙ্কটের মুখোমুখি পতিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বার বার নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিলেও যৌক্তিকতা চিন্তা করে অর্থমন্ত্রী যে চারটি বিকল্প চিন্তা করেছেন তার মধ্যে সর্বশেষটি হচ্ছে নিজস্ব অর্থায়ন। প্রথম তিনটি ব্যর্থ হলেই কেবল তিনি নিজস্ব অর্থায়নের কথা ভাববেন। বিকল্পগুলোর মধ্যে অর্থমন্ত্রীর প্রথম টার্গেট হচ্ছে বিশ্বব্যাংককে সেতু প্রকল্পে ফিরিয়ে আনা। সেটা না হলে বাকি দাতাগোষ্ঠীর মাধ্যমে সেতু নির্মাণ। তার ৩ নম্বর বিকল্প হচ্ছে পিপিবি’র মাধ্যমে মালয়েশিয়া কিংবা অন্য কোনো দেশের মাধ্যমে সেতু নির্মাণ করা।
এদিকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে একমত পোষণ করে বিশেষজ্ঞরাও মনে করেন নিজস্ব অর্থায়নে কোনোভাবেই এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে মানুষের মধ্যে কেবল জাগরণ সৃষ্টি করা যেতে পারে। কিন্তু এই আবেগ দিয়ে সেতু করা সম্ভব হবে না। এটা করতে গেলে প্রবৃদ্ধির হার ব্যাপক হারে নেমে আসবে। দেশ ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন