অবশেষে দিন বদল হলো বার কাউন্সিলের। এলো নতুন নেতৃত্ব। স্বাধীনতার পর এই প্রথম আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক এই সংস্থাটির নেতৃত্ব পেল বিএনপি-জামায়াত জোট সমর্থিতরা। দীর্ঘ তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে বার কাউন্সিল আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের দখলে ছিল। এ সময়ে আওয়ামীপন্থীদের স্বেচ্ছাচারিতা, আইনজীবীদের অধিকার রক্ষায় নিষ্ক্রিয়তা, বিচার বিভাগের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপে নীরব সমর্থন ও দলীয় বিবেচনায় আইনজীবী নিবন্ধন প্রভৃতি কারণে এবার তাদের নেতৃত্ব হারাতে হয়েছে বলে সাধারণ আইনজীবীদের অভিমত। নবনির্বাচিত কমিটি দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আগামী সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল বার কাউন্সিল ভবনে নবগঠিত কাউন্সিলের প্রথম সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০টি কমিটির প্রধান ও সদস্য নির্বাচন করা হয়। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্যানেল নেতা সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি এ কমিটির দায়িত্ব গ্রহণকে ‘সোনালী যুগের সূচনা’ উল্লেখ করে বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল’ দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর ছিল। আমরা সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এটিকে সচল করব। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা, কাউন্সিল পরিচালনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি রোধ করা। তিনি বলেন, অতীতে আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে একটা হুজুগ ছিল। অসচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবো আমরা।
তিনি বলেন, আমরা আইনজীবীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা দেশের ৪০ হাজার আইনজীবী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করব। আগামী নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয় এ লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখব। যারা এ আন্দোলন করবে তাদের পাশে থাকব। যে দলই দেশ পরিচালনা করুক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা করব। বিচার বিভাগে যে কোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেন এ বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী নেতা।
১০টি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন যারা
নীল প্যানেলের প্যানেল নেতা সিনিয়র আইনজীবী ও ক্যারিশমেটিক লিডার খন্দকার মাহবুব হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক অ্যাটর্নি জনোরেল এজে মোহাম্মদ আলীকে। এ ছাড়া এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এ এম মাহবুব উদ্দীন খোকন এমপি, ফাইন্যান্স কমিটির সানাহউল্লাহ মিয়া, লিগ্যাল এডুকেশন ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল কমিটির গোলাম মোস্তফা খান, ল’রিফর্ম কমিটির এ কে এম হাফিজুর রহমান, হাউস কমিটির খন্দকার মাহবুব হোসেন, রিলিফ কমিটির মো. ইসহাক, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন কমিটির মো. কাইমুল হক এবং কমপেল্গইন অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মো. কবির চৌধুরীকে। এ দিকে কমিটি গঠনের পর পুরো বার কাউন্সিল ভবন ঘুরে দেখেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তারা প্রথমে আইনজীবীদের থাকার জায়গা রেস্ট হাউজে যান। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন হাউজে কি কি সমস্যা রয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় এসে রেস্ট হাউজে অবস্থান করা আইনজীবীদের কি কি সুবিধা নিশ্চিত করা হয় তা জানাতে রেস্ট হাউজের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন খোকন এমপি বলেন, আইনজীবীদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অতীতে নানা অনিয়ম হয়েছে। আমরা মেধার ভিত্তিতে এ কাজটি করব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না । ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সানাহউল্লাহ মিয়া বলেন, বার কাউন্সিলের ফান্ড নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আমরা ফান্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ৬৪টি বারসহ ৭৭টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৪টি পদের ৯টিতে জিতে এবারই প্রথমবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্যানেল। ২৪ জুলাই পদাধিকার বলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন। তিন বছর অন্তর অন্তর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল বার কাউন্সিল ভবনে নবগঠিত কাউন্সিলের প্রথম সভায় ভাইস চেয়ারম্যান ও ১০টি কমিটির প্রধান ও সদস্য নির্বাচন করা হয়। পরে এক সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি প্রধানদের নাম ঘোষণা করেন নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্যানেল নেতা সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি এ কমিটির দায়িত্ব গ্রহণকে ‘সোনালী যুগের সূচনা’ উল্লেখ করে বলেন, একটি বিশেষ গোষ্ঠীর স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ বার কাউন্সিল’ দীর্ঘদিন ধরে অকার্যকর ছিল। আমরা সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে এটিকে সচল করব। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে আইনজীবীদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করা, কাউন্সিল পরিচালনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা এবং দুর্নীতি রোধ করা। তিনি বলেন, অতীতে আইনজীবী নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে একটা হুজুগ ছিল। অসচ্ছতা ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনবো আমরা।
তিনি বলেন, আমরা আইনজীবীরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা দেশের ৪০ হাজার আইনজীবী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সহায়ক ভূমিকা পালন করব। আগামী নির্বাচন যাতে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে হয় এ লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখব। যারা এ আন্দোলন করবে তাদের পাশে থাকব। যে দলই দেশ পরিচালনা করুক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারকে সহযোগিতা করব। বিচার বিভাগে যে কোনো হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার ঘোষণা দেন এ বয়োজ্যেষ্ঠ আইনজীবী নেতা।
১০টি কমিটির চেয়ারম্যান হলেন যারা
নীল প্যানেলের প্যানেল নেতা সিনিয়র আইনজীবী ও ক্যারিশমেটিক লিডার খন্দকার মাহবুব হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সর্বসম্মতিক্রমে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে সাবেক অ্যাটর্নি জনোরেল এজে মোহাম্মদ আলীকে। এ ছাড়া এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে এ এম মাহবুব উদ্দীন খোকন এমপি, ফাইন্যান্স কমিটির সানাহউল্লাহ মিয়া, লিগ্যাল এডুকেশন ও হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড লিগ্যাল কমিটির গোলাম মোস্তফা খান, ল’রিফর্ম কমিটির এ কে এম হাফিজুর রহমান, হাউস কমিটির খন্দকার মাহবুব হোসেন, রিলিফ কমিটির মো. ইসহাক, রোল অ্যান্ড পাবলিকেশন কমিটির মো. কাইমুল হক এবং কমপেল্গইন অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান করা হয়েছে মো. কবির চৌধুরীকে। এ দিকে কমিটি গঠনের পর পুরো বার কাউন্সিল ভবন ঘুরে দেখেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। তারা প্রথমে আইনজীবীদের থাকার জায়গা রেস্ট হাউজে যান। এ সময় খন্দকার মাহবুব হোসেন হাউজে কি কি সমস্যা রয়েছে, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঢাকায় এসে রেস্ট হাউজে অবস্থান করা আইনজীবীদের কি কি সুবিধা নিশ্চিত করা হয় তা জানাতে রেস্ট হাউজের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন। এনরোলমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন খোকন এমপি বলেন, আইনজীবীদের নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অতীতে নানা অনিয়ম হয়েছে। আমরা মেধার ভিত্তিতে এ কাজটি করব। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেয়া হবে না । ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সানাহউল্লাহ মিয়া বলেন, বার কাউন্সিলের ফান্ড নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আমরা ফান্ডের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করব।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ৬৪টি বারসহ ৭৭টি কেন্দ্রে বার কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৪টি পদের ৯টিতে জিতে এবারই প্রথমবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্যানেল। ২৪ জুলাই পদাধিকার বলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করেন। তিন বছর অন্তর অন্তর এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন