গুলশানে নিজ বাসায় খুন হয়েছেন প্রবীণ ব্যবসায়ী আলহাজ ফজলুল হক (৭২)। ঘুমন্ত অবস্থায় কে বা কারা তাকে নির্মমভাবে খুন করে। ভাটারায় সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার হযরত আলীর বাসায় ঢুকে দুর্বৃত্তরা তার লাইসেন্স করা আগ্নেয়াস্ত্র, টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান মালামাল লুট করেছে। প্রতিনিয়ত রাজধানীতে অগণিত ছিনতাই ঘটছে। চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী, ধনাঢ্য ব্যক্তি, বাড়িওয়ালা, এমনকি চাকরিজীবীরাও। চাঁদাবাজিতে রাজধানীর অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মালঞ্চ হোটেল তিন দিন ধরে ছাত্রলীগের চাঁদাবাজির কারণে বন্ধ রয়েছে। মালিকপক্ষ সরকারি দলের বেশ কয়েকজন নেতা এবং প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তাদের সাথে কথা বলেও কোনো সুরাহা করতে পারেনি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টোটা। প্রতিনিয়ত ঘটছে খুন, জখম, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ততই অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে ভুক্তভোগীরা উদ্বিগ্ন।
শয়নকক্ষেও নিরাপদ নয় মানুষ : শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ৫১ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়িতে নিজ শয়নকক্ষে খুন হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল হক। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ওই খুনের কোনো কু বের করতে পারেনি পুলিশ। থানার ওসি বলেছেন, কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু আসল খুনিরা এখনো শনাক্ত হয়নি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, খুনের ঘটনা আগের চেয়ে মোটেই কমেনি। রমজানের আগে যত খুনের ঘটনা ঘটত, এখনো প্রায় একই সংখ্যায় খুন হচ্ছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের বেশি খুন হচ্ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে গিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। রাজধানীর বংশালে রোববার রাতে মামুন (৩০) নামের এক যুবক খুন হন। জানা গেছে, মামুনের দেয়া তথ্যানুযায়ী সম্প্রতি শাহীন নামের এক দুর্বৃত্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শাহীন পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। থানার ইন্সপেক্টর হাসান বলেছেন, কিছুদিন আগে শাহীনকে ধরিয়ে দেয় মামুন। এরপর শাহীন জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ হিসেবে মামুনকে হত্যা করেছে। শাহীনকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিদিন যারা খুন হচ্ছেন তাদের অনেকেই অজ্ঞাত পরিচয়। খুনের হাত থেকে এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রেহাই পাচ্ছেন না। আট দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২০ জুলাই লাশ উদ্ধার হয় বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল খোকন চন্দ্র রায়ের অর্ধগলিত লাশ। ১১ জুলাই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঝালকাঠীর নলছিটির কীর্তনখোলা নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ছয় মাসে খুন হয়েছে দুই হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে ৫২৭ জন। তাদের অনেকেরই নাম-পরিচয় উদঘাটন হয়নি।
চাঁদাবাজিতে দিশেহারা মানুষ : শনিবার রাতের ঘটনা। চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মালঞ্চ হোটেলে হামলা চালায় ও বোমা নিক্ষেপ করে। হোটেল সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর উল্টো ছাত্রলীগ হোটেলের কর্মচারীদের ওপর দায় চাপায়। তারা অজুহাত দেয়, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতির সাথে হোটেলের কর্মচারীরা খারাপ আচরণ করেছে এবং তাতে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘটনা ঘটায়। তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই হামলায় কোনো সাধারণ ছাত্র অংশ নেননি। হামলার পর থেকে ওই হোটেলটি বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর পুলিশ হামলার শিকার দোকান মালিকের সাথে কোনো কথা বলেনি। অথচ হামলাকারীদের দেখতে পুলিশের অনেক কর্মকর্তাই হাসপাতালে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে চাঁদা উত্তোলন হচ্ছে না। জাতীয় ছিন্নমূল হকার্স সমিতির আহ্বায়ক কামাল সিদ্দিকী বলেছেন, চাঁদা দিতে দিতে হকাররা এখন দিশেহারা। তিনি বলেন, পুলিশ ও মাস্তানরা সমানতালে চাঁদা আদায় করছে। হকার নেতা এম এ কাশেম বলেন, চাঁদার টাকার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ুদ্র ব্যবসায়ীরা এখন দিশেহারা।
ধোলাইখালের এক পার্টস ব্যবসায়ী বলেছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে চাঁদাবাজরা ততই সক্রিয় হয়ে উঠছে। ডাকাত শহীদ মারা যাওয়ার পর তারা আশা করেছিলেন চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবেন। কিন্তু এখনো কয়েকটি গ্রুপ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে চলেছে। রাজধানীর কাকরাইল, সেগুনবাগিচা ও এর আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসআই মাহবুব নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
প্রকাশ্যেই চলছে ছিনতাই : গতকাল বেলা ২টার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামান্য দূরে হইচই। দেখা গেল, শত শত লোকের সামনে দিয়ে এক পথচারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে দৌড়াচ্ছে এক দুর্বৃত্ত। চলমান যানবাহনের ফাঁক দিয়ে দৌড়ে সে রাস্তার বিপরীতে বারডেম হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়ল। সূত্র জানায়, এভাবে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ছিনতাইয়ের হাত থেকে সাংবাদিক-শিল্পী কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। সপ্তাহখানেক আগে দৈনিক ডেসটিনির সিনিয়র ফটোসাংবাদিক মুঈদ খন্দকার ও ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক সুবির কুমার ছিনতাইকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। ছিনতাইকারীরা তাদের ক্যামেরা, টাকা, মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।
গত ১৬ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন কণ্ঠশিল্পী পারুল মাহবুব। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন র্যাব সদস্যরাও । সম্প্রতি উত্তরায় এক র্যাব সদস্যকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, রাজধানীতে অন্তত দুই শ’ স্পটে প্রতিনিয়ত ছিনতাই ও পকেটমার চলছে। কোনো কোনো ঘটনার সাথে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আছে।
অকার্যকর পুলিশ-র্যাবের চেকপোস্ট : পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ছিনতাই বন্ধে আধুনিক সরঞ্জাম, কোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ অনেক কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ১৯ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রমজানে রাজধানীতে ৩৫টি চেকপোস্ট, ৩৩৪টি ফুট পেট্রোল টিম, ৮৪টি মোটরসাইকেল পেট্রোল টিম ও ১৫টি মোবাইল পেট্রোল টিম এবং বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যের নজরদারি থাকবে। সম্প্রতি রাজধানীতে রাতের বেলা লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসাচ্ছে। কিন্তু এরপরও ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, রোজার শুরুতেই নানা পরামর্শ সংবলিত একটি লিফলেট বিলি করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হচ্ছে না। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বরাবরের মতোই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সার্বিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে টহল ডিউটি জোরদার করা হয়েছে।
শয়নকক্ষেও নিরাপদ নয় মানুষ : শনিবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের ৫১ নম্বর সড়কের ৮ নম্বর বাড়িতে নিজ শয়নকক্ষে খুন হয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফজলুল হক। গতকাল সোমবার পর্যন্ত ওই খুনের কোনো কু বের করতে পারেনি পুলিশ। থানার ওসি বলেছেন, কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কিন্তু আসল খুনিরা এখনো শনাক্ত হয়নি। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, খুনের ঘটনা আগের চেয়ে মোটেই কমেনি। রমজানের আগে যত খুনের ঘটনা ঘটত, এখনো প্রায় একই সংখ্যায় খুন হচ্ছে। এখন প্রতিদিন গড়ে ১২ জনের বেশি খুন হচ্ছে। এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে গিয়ে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা গেছে। রাজধানীর বংশালে রোববার রাতে মামুন (৩০) নামের এক যুবক খুন হন। জানা গেছে, মামুনের দেয়া তথ্যানুযায়ী সম্প্রতি শাহীন নামের এক দুর্বৃত্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শাহীন পরে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে মামুনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। থানার ইন্সপেক্টর হাসান বলেছেন, কিছুদিন আগে শাহীনকে ধরিয়ে দেয় মামুন। এরপর শাহীন জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ হিসেবে মামুনকে হত্যা করেছে। শাহীনকে আবার গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, প্রতিদিন যারা খুন হচ্ছেন তাদের অনেকেই অজ্ঞাত পরিচয়। খুনের হাত থেকে এমনকি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রেহাই পাচ্ছেন না। আট দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২০ জুলাই লাশ উদ্ধার হয় বরিশাল জেলা পুলিশের কনস্টেবল খোকন চন্দ্র রায়ের অর্ধগলিত লাশ। ১১ জুলাই বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ঝালকাঠীর নলছিটির কীর্তনখোলা নদী থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ছয় মাসে খুন হয়েছে দুই হাজার ৫১ জন। এর মধ্যে গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে ৫২৭ জন। তাদের অনেকেরই নাম-পরিচয় উদঘাটন হয়নি।
চাঁদাবাজিতে দিশেহারা মানুষ : শনিবার রাতের ঘটনা। চাঁদা না পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকার মালঞ্চ হোটেলে হামলা চালায় ও বোমা নিক্ষেপ করে। হোটেল সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর উল্টো ছাত্রলীগ হোটেলের কর্মচারীদের ওপর দায় চাপায়। তারা অজুহাত দেয়, টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রলীগ সভাপতির সাথে হোটেলের কর্মচারীরা খারাপ আচরণ করেছে এবং তাতে ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ঘটনা ঘটায়। তবে স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই হামলায় কোনো সাধারণ ছাত্র অংশ নেননি। হামলার পর থেকে ওই হোটেলটি বন্ধ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এ ঘটনার পর পুলিশ হামলার শিকার দোকান মালিকের সাথে কোনো কথা বলেনি। অথচ হামলাকারীদের দেখতে পুলিশের অনেক কর্মকর্তাই হাসপাতালে গেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এমন কোনো সেক্টর নেই যেখান থেকে চাঁদা উত্তোলন হচ্ছে না। জাতীয় ছিন্নমূল হকার্স সমিতির আহ্বায়ক কামাল সিদ্দিকী বলেছেন, চাঁদা দিতে দিতে হকাররা এখন দিশেহারা। তিনি বলেন, পুলিশ ও মাস্তানরা সমানতালে চাঁদা আদায় করছে। হকার নেতা এম এ কাশেম বলেন, চাঁদার টাকার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। ুদ্র ব্যবসায়ীরা এখন দিশেহারা।
ধোলাইখালের এক পার্টস ব্যবসায়ী বলেছেন, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে চাঁদাবাজরা ততই সক্রিয় হয়ে উঠছে। ডাকাত শহীদ মারা যাওয়ার পর তারা আশা করেছিলেন চাঁদাবাজদের হাত থেকে রেহাই পাবেন। কিন্তু এখনো কয়েকটি গ্রুপ ব্যবসায়ীদের কাছে চাঁদা দাবি করে চলেছে। রাজধানীর কাকরাইল, সেগুনবাগিচা ও এর আশপাশ এলাকার ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এসআই মাহবুব নামের এক পুলিশ কর্মকর্তার চাঁদাবাজিতে তারা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন।
প্রকাশ্যেই চলছে ছিনতাই : গতকাল বেলা ২টার ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামান্য দূরে হইচই। দেখা গেল, শত শত লোকের সামনে দিয়ে এক পথচারীর মোবাইল ফোন ছিনতাই করে দৌড়াচ্ছে এক দুর্বৃত্ত। চলমান যানবাহনের ফাঁক দিয়ে দৌড়ে সে রাস্তার বিপরীতে বারডেম হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে পড়ল। সূত্র জানায়, এভাবে অসংখ্য মানুষ প্রতিনিয়ত ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন। ছিনতাইয়ের হাত থেকে সাংবাদিক-শিল্পী কেউই রেহাই পাচ্ছেন না। সপ্তাহখানেক আগে দৈনিক ডেসটিনির সিনিয়র ফটোসাংবাদিক মুঈদ খন্দকার ও ইত্তেফাকের ফটোসাংবাদিক সুবির কুমার ছিনতাইকারীদের হামলায় গুরুতর আহত হন। ছিনতাইকারীরা তাদের ক্যামেরা, টাকা, মোবাইল ফোন ও হাতঘড়ি ছিনিয়ে নেয়।
গত ১৬ জুলাই রাতে রাজধানীর পল্টন এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন কণ্ঠশিল্পী পারুল মাহবুব। দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নিয়েছে।
ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন র্যাব সদস্যরাও । সম্প্রতি উত্তরায় এক র্যাব সদস্যকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা তার কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। ভুক্তভোগীরা বলেছেন, রাজধানীতে অন্তত দুই শ’ স্পটে প্রতিনিয়ত ছিনতাই ও পকেটমার চলছে। কোনো কোনো ঘটনার সাথে পুলিশ সদস্যদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ আছে।
অকার্যকর পুলিশ-র্যাবের চেকপোস্ট : পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ছিনতাই বন্ধে আধুনিক সরঞ্জাম, কোজ সার্কিট ক্যামেরাসহ অনেক কিছুই ব্যবহার করা হচ্ছে। গত ১৯ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকার পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহম্মেদ বলেছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে রমজানে রাজধানীতে ৩৫টি চেকপোস্ট, ৩৩৪টি ফুট পেট্রোল টিম, ৮৪টি মোটরসাইকেল পেট্রোল টিম ও ১৫টি মোবাইল পেট্রোল টিম এবং বিপুলসংখ্যক সাদা পোশাকের পুলিশ ও গোয়েন্দা সদস্যের নজরদারি থাকবে। সম্প্রতি রাজধানীতে রাতের বেলা লাল-নীল বাতি জ্বালিয়ে পুলিশ চেকপোস্ট বসাচ্ছে। কিন্তু এরপরও ছিনতাই, চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন। সূত্র জানায়, রোজার শুরুতেই নানা পরামর্শ সংবলিত একটি লিফলেট বিলি করা হয় সাধারণ মানুষের মধ্যে। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কোনোই উন্নতি হচ্ছে না। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মাসুদুর রহমান বরাবরের মতোই বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সার্বিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে টহল ডিউটি জোরদার করা হয়েছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন