‘বার কাউন্সিল নির্বাচন কি ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভাগ্য বরণ করতে যাচ্ছে’—এমন প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে আদালতপাড়ায়। তৃতীয় বারের মতো তফসিল ঘোষণার পর ৪ জুন নির্বাচন বন্ধে জনৈক আইনজীবীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিচারপতি এম মোয়াজ্জাম হোসেন ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চের আজ রিটের ওপর আদেশ দেয়ার কথা। আদেশ রিটের পক্ষে গেলে ঝুলে যেতে পারে ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিতব্য বার কাউন্সিল নির্বাচন।
আইনজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে বার কাউন্সিলকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। তারা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আদালতের বলিষ্ঠ বিচারিক ভূমিকা কামনা করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর বিষয়টিকে ফের হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা রিট দায়েরের ঘটনাকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে অভিহিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে অনেকটা নীরব আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে গত ক’দিনে বিএনপি জোট ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভন্ন স্থানে ভোট চেয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতি ভবনের দক্ষিণ হল ও উত্তর হলে দু’পক্ষের সমর্থক আইনজীবীরা জয়ের হিসাব-নিকাশ কষছেন। উভয়পক্ষই নির্বাচনে ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ১৮ জুলাইয়ের আগে দু’বার বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও আদালতের রায়ে তা স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৃথক তিনটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মে’র নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্ট বিভাগ। পরে আপিল বিভাগ এক নির্দেশনায় ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের আদেশ দেন। সে সময় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন।
১৮ জুলাই তৃতীয় বার তফসিল ঘোষণার পর তিনি ফের নির্বাচন স্থগিত চয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন। আজ শুনানি শেষে রিটের ব্যাপারে রায় দেয়ার কথা। আদেশ রিটের পক্ষে গেলে আবারও স্থগিত হয়ে যেতে পারে নির্বাচন।
‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বললেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেল : একটি মীমাংসিত বিষয়কে এভাবে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ আইনজীবীরা। রিটকারী আইনজীবীর এমন তত্পরতাকে দুরভিসন্ধিমূলক ও কোনো একটি মহলের ইন্ধনে তিনি এসব করছেন মর্মে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা বলেছেন, ওই আইনজীবী অতিউত্সাহী হয়ে এসব করছে। তাকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি বিশেষ পক্ষ। এ নিয়ে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা অনেকটা নীরব। তবে রিট দায়েরকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রিটটি দায়ের করেছেন বলে আমার দেশ-এর কাছে দাবি করেন।
জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতা সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গত ২০ বছর ধরে বার কাউন্সিল একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি। তাদের অদক্ষতা ও অগণতান্ত্রিক আচরণে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নির্বাচিত সংগঠন একটি অথর্ব ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আইনজীবীদের স্বার্থ, আর্থিক নিরাপত্তা, দেশে আইনের শাসন, ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি তারা; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় ও দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের কাজে। তাই সারাদেশের সচেতন আইনজীবীরা এবার বার কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পরিবর্তন চায়। আমরা মনে করি, ওই গোষ্ঠীর নির্দেশেই জনৈক আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবার বিষয়টিকে হাইকোর্টে নিয়ে গেছেন।
আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল নেতা সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, রিটের ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো। আমি কিছু বললে এ বক্তব্য আবার আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালো। দেখা যাক কী হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বার বার নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তারপরও আদালতের রায়ের ওপর কিছু বলার সুযোগ নেই। আশাকরি আদালত সুবিচার করবেন।
আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী তানিয়া আমির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর ফের রিট দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা সন্দিহান। এ রিটের ওপর আদালতের আস্থা আছে কি নেই, তা আদালত বলতে পারে। আমরা নির্বাচনের জন্য সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি।
রিট দায়েরকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, আগের রিটের সঙ্গে এ রিটের কোনো সম্পর্ক নেই। ভোটার তালিকা অবৈধ ঘোষণা চেয়ে এ রিট করা হয়েছে।
একই বিষয়ে দায়ের করা রিট সর্বোচ্চ আদালতে কিছুদিন আগে নিষ্পত্তি হয়েছে জানালে তিনি বলেন, সে সময় বার কাউন্সিলের নেতারা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন—যা আদালত অবমাননার শামিল। আমি তার প্রতিকার চেয়ে রিট করেছি।
এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯৬০ জন। তিন বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটির মোট সদস্য ১৫ জন। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। নির্বাচিত প্যানেল থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। আগামী ১৮ জুলাই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
আইনজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, আইনের মারপ্যাঁচে পড়ে বার কাউন্সিলকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের ভাগ্য বরণ করতে হতে পারে। তারা নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ আদালতের বলিষ্ঠ বিচারিক ভূমিকা কামনা করে বলেন, নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের নির্দেশনার পর বিষয়টিকে ফের হাইকোর্টে নিয়ে যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা রিট দায়েরের ঘটনাকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে অভিহিত করেছেন। তবে এ ব্যাপারে অনেকটা নীরব আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ।
এদিকে নির্বাচনকে ঘিরে গত ক’দিনে বিএনপি জোট ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের প্রচার ছিল চোখে পড়ার মতো। দেশের বিভন্ন স্থানে ভোট চেয়ে জনসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা। সুপ্রিমকোর্ট বার সমিতি ভবনের দক্ষিণ হল ও উত্তর হলে দু’পক্ষের সমর্থক আইনজীবীরা জয়ের হিসাব-নিকাশ কষছেন। উভয়পক্ষই নির্বাচনে ভালো ফলের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
উল্লেখ্য, ১৮ জুলাইয়ের আগে দু’বার বার কাউন্সিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলেও আদালতের রায়ে তা স্থগিত হয়ে যায়। নির্বাচন স্থগিত চেয়ে পৃথক তিনটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৮ মে’র নির্বাচন স্থগিত করে হাইকোর্ট বিভাগ। পরে আপিল বিভাগ এক নির্দেশনায় ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্নের আদেশ দেন। সে সময় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন।
১৮ জুলাই তৃতীয় বার তফসিল ঘোষণার পর তিনি ফের নির্বাচন স্থগিত চয়ে হাইকোর্ট বিভাগে রিট করেন। আজ শুনানি শেষে রিটের ব্যাপারে রায় দেয়ার কথা। আদেশ রিটের পক্ষে গেলে আবারও স্থগিত হয়ে যেতে পারে নির্বাচন।
‘দুরভিসন্ধিমূলক’ বললেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী প্যানেল : একটি মীমাংসিত বিষয়কে এভাবে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ায় এর গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাধারণ আইনজীবীরা। রিটকারী আইনজীবীর এমন তত্পরতাকে দুরভিসন্ধিমূলক ও কোনো একটি মহলের ইন্ধনে তিনি এসব করছেন মর্মে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত জাতীয়াতাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থীরা। তারা বলেছেন, ওই আইনজীবী অতিউত্সাহী হয়ে এসব করছে। তাকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি বিশেষ পক্ষ। এ নিয়ে আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থীরা অনেকটা নীরব। তবে রিট দায়েরকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে রিটটি দায়ের করেছেন বলে আমার দেশ-এর কাছে দাবি করেন।
জানতে চাইলে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের নেতা সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, গত ২০ বছর ধরে বার কাউন্সিল একটি বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি। তাদের অদক্ষতা ও অগণতান্ত্রিক আচরণে আইনজীবীদের সর্বোচ্চ নির্বাচিত সংগঠন একটি অথর্ব ও ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আইনজীবীদের স্বার্থ, আর্থিক নিরাপত্তা, দেশে আইনের শাসন, ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি তারা; বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থের অপচয় ও দুর্নীতির বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের কাজে। তাই সারাদেশের সচেতন আইনজীবীরা এবার বার কাউন্সিল নির্বাচনের মাধ্যমে একটা পরিবর্তন চায়। আমরা মনে করি, ওই গোষ্ঠীর নির্দেশেই জনৈক আইনজীবী সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে আবার বিষয়টিকে হাইকোর্টে নিয়ে গেছেন।
আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্যানেল নেতা সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, রিটের ব্যাপারে কথা না বলাই ভালো। আমি কিছু বললে এ বক্তব্য আবার আমার বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হতে পারে। তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালো। দেখা যাক কী হয়।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের প্রার্থী সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, বার বার নির্বাচন বন্ধ হওয়ায় আমরা আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। তারপরও আদালতের রায়ের ওপর কিছু বলার সুযোগ নেই। আশাকরি আদালত সুবিচার করবেন।
আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী তানিয়া আমির বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর ফের রিট দায়েরের যৌক্তিকতা নিয়ে আমরা সন্দিহান। এ রিটের ওপর আদালতের আস্থা আছে কি নেই, তা আদালত বলতে পারে। আমরা নির্বাচনের জন্য সারাদেশ ঘুরে বেড়াচ্ছি।
রিট দায়েরকারী আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ বলেন, আগের রিটের সঙ্গে এ রিটের কোনো সম্পর্ক নেই। ভোটার তালিকা অবৈধ ঘোষণা চেয়ে এ রিট করা হয়েছে।
একই বিষয়ে দায়ের করা রিট সর্বোচ্চ আদালতে কিছুদিন আগে নিষ্পত্তি হয়েছে জানালে তিনি বলেন, সে সময় বার কাউন্সিলের নেতারা সর্বোচ্চ আদালতের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন—যা আদালত অবমাননার শামিল। আমি তার প্রতিকার চেয়ে রিট করেছি।
এবারের নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৩৮ হাজার ৯৬০ জন। তিন বছর মেয়াদি কার্যনির্বাহী কমিটির মোট সদস্য ১৫ জন। অ্যাটর্নি জেনারেল পদাধিকার বলে বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। নির্বাচিত প্যানেল থেকে একজনকে ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়। আগামী ১৮ জুলাই নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন