চট্টগ্রাম সরকারি নার্সিং কলেজে মুসলিম ছাত্রীদের ইসলামি বিধানমাফিক পোশাক পরিধানের ওপর কর্তৃপক্ষ অলিখিত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। গতকাল নয়া দিগন্তে প্রকাশিত এক রিপোর্ট থেকে জানা যায়, কলেজ অর্ডিন্যান্সে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে, ধর্মীয় পোশাক বা হিজাব পরলে এই কলেজে পড়ার অযোগ্য ঘোষণা করা হবে বলে হুমকি দেয়া হয়েছে। গত সোমবারও হিজাব পরিহিতা বেশ ক’জনকে শাস্তি হিসেবে রুমে আটকে রাখা হয়েছিল। তদুপরি তাদের নামাজের জায়গাটিও বন্ধ করে দেয়া হয়। ভুক্তভোগী বহু শিক্ষার্থী সাথে সাথেই এসবের প্রতিবাদ জানান। ছাত্রীদের বক্তব্য, কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু দিন ধরে হিজাবধারীদের অপমান করে আসছে। সোমবার কয়েকজনকে আটকে রেখে চাপ দেয়া হয় হিজাব ত্যাগের জন্য। তা ছাড়া ফেলে দেয়া হয় ইসলামি বইপত্র। হিজাব পরলে পরীক্ষা দিতে পারবে না বলে জানানো হয়। এ অবস্থায় অনেকে আর এ কলেজে পড়বেন না বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষ বলেছে, ছাত্রীদের সনদপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ফিরিয়ে দেয়া হবে না। সরেজমিন দেখা গেছে, ড্রেসকোডের ধুয়া তুলে হিজাব নিষিদ্ধ করা হলেও সে কোডও মানা হচ্ছে না। অথচ তা নিয়ে কর্তৃপক্ষের মাথাব্যথা নেই।
আমাদের দেশে অতীতেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তবে এটা ছিল বিচ্ছিন্ন ব্যাপার এবং সরকারের ঊর্ধ্বতনপর্যায়ে এসব বিষয়ের প্রশ্রয় দেয়া হতো না। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইসলামি ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে একটি মহলকে খুবই তৎপর দেখা যাচ্ছে। তারা হিজাবসহ ইসলামের বিধিবিধানকে হেয় এবং মহানবী সা:-এর প্রতি অবমাননাকর উক্তি করছে। সারা দেশে এই মারাত্মক অশুভ প্রবণতা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী সংবিধানের সাম্প্রতিক সংশোধনী পাসের পর যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ বিলোপ করা হয়।
সর্বশেষ, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট ছাত্রীরা কারো ওপর হিজাব চাপিয়ে দিচ্ছেন না। আর ধর্মীয় বিধান কখনো সাম্প্রদায়িকতা বলে গণ্য হতে পারে না। আদালত কারো ওপর হিজাব চাপাতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু হিজাব নিষিদ্ধ করেননি। শুধু মুসলমান কেন, যেকোনো ধর্মাবলম্বীর ধর্মের আদেশ-নিষেধ মানা তার অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা লঙ্ঘন করা মৌলিক মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল স্বীকার করেছেন, হিজাব পরার ওপর কলেজের আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও বাধা দেয়ার রহস্যটা কী? কলেজ পরিচালকের আপত্তি, ‘হিজাব পরে সেবা করা যায় না রোগীদের।’ কোনো কোনো মুসলিম দেশে তো বটেই, আমাদের দেশেও কিছু হাসপাতালে নার্সরা হিজাব মেনে চলেন। সেখানে সেবার মান কম বলে কেউ অভিযোগ করেনি। চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে ছাত্রীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হিজাবের পক্ষপাতী। কর্তৃপক্ষ এতে নাকি চিন্তিত। অথচ এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার না দেয়ার মতো অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেয়া শুধু ধর্মবিদ্বেষীদের পক্ষেই সম্ভব। আরো উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পূর্বোক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও এক অমুসলিম শিক্ষিকার ইসলামবিরোধী চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তি। হিজাব পরায় বাধাদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ার দোহাই দিচ্ছে। মনে রাখা দরকার, এই সরকার যে নেতার অনুসারী বলে বড়গলায় দাবি করে থাকে, সেই বঙ্গবন্ধু বারবার বলতেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।
আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ বাড়াবাড়ি না করে সুবিবেচনার পরিচয় দেবে এবং ছাত্রীদের ধর্মীয় অধিকারপরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো হঠকারিতার আশ্রয় নেবে না। তা ছাড়া, ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সবারই সংযম ও সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।
আমাদের দেশে অতীতেও কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তবে এটা ছিল বিচ্ছিন্ন ব্যাপার এবং সরকারের ঊর্ধ্বতনপর্যায়ে এসব বিষয়ের প্রশ্রয় দেয়া হতো না। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষতার দাবিদার বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশের ইসলামি ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের বিরুদ্ধে একটি মহলকে খুবই তৎপর দেখা যাচ্ছে। তারা হিজাবসহ ইসলামের বিধিবিধানকে হেয় এবং মহানবী সা:-এর প্রতি অবমাননাকর উক্তি করছে। সারা দেশে এই মারাত্মক অশুভ প্রবণতা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামবিদ্বেষী গোষ্ঠী সংবিধানের সাম্প্রতিক সংশোধনী পাসের পর যেন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ‘সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস’ বিলোপ করা হয়।
সর্বশেষ, চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের ঘটনা খুবই উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট ছাত্রীরা কারো ওপর হিজাব চাপিয়ে দিচ্ছেন না। আর ধর্মীয় বিধান কখনো সাম্প্রদায়িকতা বলে গণ্য হতে পারে না। আদালত কারো ওপর হিজাব চাপাতে নিষেধ করেছেন, কিন্তু হিজাব নিষিদ্ধ করেননি। শুধু মুসলমান কেন, যেকোনো ধর্মাবলম্বীর ধর্মের আদেশ-নিষেধ মানা তার অবিচ্ছেদ্য সাংবিধানিক অধিকার। কোনো সভ্য ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা লঙ্ঘন করা মৌলিক মানবাধিকারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজের প্রিন্সিপাল স্বীকার করেছেন, হিজাব পরার ওপর কলেজের আইনে নিষেধাজ্ঞা নেই। তবুও বাধা দেয়ার রহস্যটা কী? কলেজ পরিচালকের আপত্তি, ‘হিজাব পরে সেবা করা যায় না রোগীদের।’ কোনো কোনো মুসলিম দেশে তো বটেই, আমাদের দেশেও কিছু হাসপাতালে নার্সরা হিজাব মেনে চলেন। সেখানে সেবার মান কম বলে কেউ অভিযোগ করেনি। চট্টগ্রাম নার্সিং কলেজে ছাত্রীদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হিজাবের পক্ষপাতী। কর্তৃপক্ষ এতে নাকি চিন্তিত। অথচ এ ক্ষেত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের অধিকার না দেয়ার মতো অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপ নেয়া শুধু ধর্মবিদ্বেষীদের পক্ষেই সম্ভব। আরো উদ্বেগজনক বিষয় হলো, পূর্বোক্ত কলেজের অধ্যক্ষ ও এক অমুসলিম শিক্ষিকার ইসলামবিরোধী চরম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কটূক্তি। হিজাব পরায় বাধাদানের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ার দোহাই দিচ্ছে। মনে রাখা দরকার, এই সরকার যে নেতার অনুসারী বলে বড়গলায় দাবি করে থাকে, সেই বঙ্গবন্ধু বারবার বলতেন, ধর্মনিরপেক্ষতা মানে ধর্মহীনতা নয়।
আমরা আশা করি, কর্তৃপক্ষ বাড়াবাড়ি না করে সুবিবেচনার পরিচয় দেবে এবং ছাত্রীদের ধর্মীয় অধিকারপরিপন্থী সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো হঠকারিতার আশ্রয় নেবে না। তা ছাড়া, ধর্মের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করার ক্ষেত্রে সবারই সংযম ও সতর্কতা অবলম্বন আবশ্যক।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন