ঘরে থাকলে খুন, পথে বেরুলে গুম, এই রকম পরিস্থিতির মুখে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেবিল চাপড়িয়ে, কণ্ঠস্বরকে সপ্তমে চড়িয়ে, সম্ভবত দুই আঙুলে ‘ভি’ চিহ্ন দেখিয়ে বলেছিলেন, আমি সফল, আমি এদেশের সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর পুলিশপ্রধানের প্রণিধানযোগ্য অগ্রগতির গপ্পো তো আছেই। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সরকারের ফুলমন্ত্রী, পাতিমন্ত্রী, দফতরবিহীনমন্ত্রী, খুচরো নেতাকর্মীদের গলাফাটা কোলাহলের কোরাসের জ্বালায় আমজনতা যেন ধরেই নিয়েছিলেন, গুম হওয়া, খুন হওয়ার জন্য সরকার কিংবা তাদের বিশেষ বাহিনী নয়, যারা গুম কিংবা খুন হয়েছে তারাই সত্যিকারের অপরাধী। সরকারের এখানে কিছু করার নেই, কর্তব্যও নেই। বিচারের তো গুড়ে বালি। তদন্ত-ফদন্ত করারও কোনো দায় নেই সরকারের। সে জন্য মহানন্দময় চিত্কার, গলাবাজি আর দুর্নীতির মচ্ছব দেখা ছাড়া কারোর কিছু করার নেই। এই রকম পরিস্থিতিতে সরকারের আরাম-আয়েসের মাথায় ঠাণ্ডা পানি ঢেলে দিয়েছে জাতিসংঘ। যে কারণে তাদের ড্যাম্পকেয়ার ভাবটাও এখন ফিকে হতে শুরু করবে। বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া অনেক গুমের ঘটনা তদন্তের জন্য শিগগিরই ঢাকা আসছে জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দল। সরকারের ওপর এদেশের মানুষের মতো জাতিসংঘও আর নির্ভরশীল থাকা যুক্তিযুক্ত মনে করছে না। অর্থাত্ ঘরে-বাইরে আমাদের সরকার এখন আস্থাহীনতার মুখোমুখি। জাতিসংঘের এই উদ্যোগ এখন সরকারের গাত্রদাহ এবং অস্বস্তির মাত্রা বাড়িয়ে বেতাল করে তুলতে পারে।
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দল আসার সংবাদটি পরিবেশন করেছে বার্তা২৪ডটকম। তাদের পরিবেশিত খবরে দেখা যায়, বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও এ বিষয়ে কয়েকটি ঘটনার জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূতের কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভার গুমবিষয়ক জাতিসংঘের কর্মপরিষদের সদ্যসমাপ্ত ৯৭তম অধিবেশন এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও ২০০টি গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করেছে কর্মপরিষদ। এসব গুমের তদন্তে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে তথ্য চেয়েছিল সংস্থাটি। অধিবেশনে সে সব তথ্য যাচাই করে দেখা হয়। বাংলাদেশের কাছে এরকম তদন্ত প্রতিবেদন সংস্থা চেয়েছিল কিনা, বাংলাদেশ সে সব তথ্য দিয়েছিল কিনা, প্রতিবেদনে অবশ্য তা পরিষ্কার নয়। তবে সংস্থাটির দৃঢ়তা ও সিদ্ধান্ত দেখে মনে হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট নয় তারা। বিশেষ করে একটি ঘটনায় যেখানে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধেই সরাসরি জননেতা ইলিয়াস আলী গুমের অভিযোগ রয়েছে। সে জন্যই মানবাধিকার সংস্থার সচিবালয় ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে তাদের সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে গুম হওয়ার অভিযোগ আছে এমন ব্যক্তিদের পরিবারকে তাকে খুঁজে পেতে বা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে ১৯৮০ সালে ‘গুমবিষয়ক জাতিসংঘ কর্মপরিষদ’ গঠন করা হয়েছিল। এই সংস্থা যে ১৩টি গুমের ঘটনাকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে।
একের পর এক অপকর্ম, অযোগ্যতা, অদক্ষতা, দুর্নীতি ও নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যে কেবল দেশেই ডুবেছে তা নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খুইয়েছে সব সম্মান। শেখ হাসিনা, দীপু মনি আর সাহারা খাতুনরা কেবল নিজেদের দল ও সরকারকেই ডোবায়নি, জাতির মুখেও মেখে দিয়েছে নোংরা কালিমা। তারই একটি দৃষ্টান্ত হলো জাতিসংঘের এই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার স্বভাবসুলভ কেরদানি, উতোর চাপান কিংবা কলহপ্রিয়তা বাদ দিয়ে, জাতিসংঘের তদন্ত দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে কালিমামুক্ত হওয়ার একটা সুযোগ গ্রহণ করবে।
জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত হয়তো সরকারের জন্য কিছুটা বিব্রতকর, কিন্তু মনে রাখতে হবে তাদের পাহাড়প্রমাণ অন্যায় ও অপকর্মের তুলনায় এ নিতান্তই নস্যি। বিশেষ করে, ডজন ডজন গুম ও খুনের ঘটনার প্রতি উদাসীনতা দেখিয়ে, নিরীহ নিরাপরাধ স্কুল ছাত্র লিমনকে ফাঁসানোর জন্য সরকার যেভাবে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। সে জন্যই আলতু-ফালতু উপদেষ্টাদের উপদেশকে পাত্তা না দিয়ে, দেশ, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, পাশাপাশি নিজেদের দগ্ধিভূত ইমেজের ওপর মলম লাগানোর মতো হলেও সরকার কিছুটা কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দেবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা।
জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ দল আসার সংবাদটি পরিবেশন করেছে বার্তা২৪ডটকম। তাদের পরিবেশিত খবরে দেখা যায়, বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও এ বিষয়ে কয়েকটি ঘটনার জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করতে শিগগিরই বাংলাদেশে আসছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দল। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দূতের কার্যালয়ের অধীনে পরিচালিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভার গুমবিষয়ক জাতিসংঘের কর্মপরিষদের সদ্যসমাপ্ত ৯৭তম অধিবেশন এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও ২০০টি গুমের অভিযোগ পর্যালোচনা করেছে কর্মপরিষদ। এসব গুমের তদন্তে বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছে তথ্য চেয়েছিল সংস্থাটি। অধিবেশনে সে সব তথ্য যাচাই করে দেখা হয়। বাংলাদেশের কাছে এরকম তদন্ত প্রতিবেদন সংস্থা চেয়েছিল কিনা, বাংলাদেশ সে সব তথ্য দিয়েছিল কিনা, প্রতিবেদনে অবশ্য তা পরিষ্কার নয়। তবে সংস্থাটির দৃঢ়তা ও সিদ্ধান্ত দেখে মনে হয়েছে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি সন্তুষ্ট নয় তারা। বিশেষ করে একটি ঘটনায় যেখানে বাংলাদেশের সরকারের বিরুদ্ধেই সরাসরি জননেতা ইলিয়াস আলী গুমের অভিযোগ রয়েছে। সে জন্যই মানবাধিকার সংস্থার সচিবালয় ৫ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে তাদের সফরসূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে গুম হওয়ার অভিযোগ আছে এমন ব্যক্তিদের পরিবারকে তাকে খুঁজে পেতে বা প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করতে ১৯৮০ সালে ‘গুমবিষয়ক জাতিসংঘ কর্মপরিষদ’ গঠন করা হয়েছিল। এই সংস্থা যে ১৩টি গুমের ঘটনাকে জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশও আছে।
একের পর এক অপকর্ম, অযোগ্যতা, অদক্ষতা, দুর্নীতি ও নিষ্ঠুর দমন-পীড়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার যে কেবল দেশেই ডুবেছে তা নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও খুইয়েছে সব সম্মান। শেখ হাসিনা, দীপু মনি আর সাহারা খাতুনরা কেবল নিজেদের দল ও সরকারকেই ডোবায়নি, জাতির মুখেও মেখে দিয়েছে নোংরা কালিমা। তারই একটি দৃষ্টান্ত হলো জাতিসংঘের এই সর্বশেষ সিদ্ধান্ত। আমরা আশা করি, বর্তমান সরকার স্বভাবসুলভ কেরদানি, উতোর চাপান কিংবা কলহপ্রিয়তা বাদ দিয়ে, জাতিসংঘের তদন্ত দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে কালিমামুক্ত হওয়ার একটা সুযোগ গ্রহণ করবে।
জাতিসংঘের এই সিদ্ধান্ত হয়তো সরকারের জন্য কিছুটা বিব্রতকর, কিন্তু মনে রাখতে হবে তাদের পাহাড়প্রমাণ অন্যায় ও অপকর্মের তুলনায় এ নিতান্তই নস্যি। বিশেষ করে, ডজন ডজন গুম ও খুনের ঘটনার প্রতি উদাসীনতা দেখিয়ে, নিরীহ নিরাপরাধ স্কুল ছাত্র লিমনকে ফাঁসানোর জন্য সরকার যেভাবে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করছে তা দুর্ভাগ্যজনক। সে জন্যই আলতু-ফালতু উপদেষ্টাদের উপদেশকে পাত্তা না দিয়ে, দেশ, জাতির বৃহত্তর স্বার্থে, পাশাপাশি নিজেদের দগ্ধিভূত ইমেজের ওপর মলম লাগানোর মতো হলেও সরকার কিছুটা কাণ্ডজ্ঞানের পরিচয় দেবে, এটাই জাতির প্রত্যাশা।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন