বিডিআর বিদ্রোহে অভিযুক্তদের যে গণবিচার প্রক্রিয়া চলছে, তা স্বচ্ছভাবে হচ্ছে না বলে অভিযোগ এনে অবিলম্বে এই বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত র্যাবকে কুখ্যাত বাহিনী আখ্যা দিয়ে র্যাবকে ভেঙে দেয়ার জন্য আবারও দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা এবং পরে এর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর সেনাবাহিনী, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আটক অবস্থায় অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভয়ে সেনাবাহিনী এবং র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কিছুই বলে না। বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ক্যান্টনমেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অঘোষিত যেসব আটক কেন্দ্র রয়েছে, অবিলম্বে সেগুলো সরকারকে বন্ধ করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস ‘বাংলাদেশ : জেলে থাকা বিদ্রোহের সন্দেহভাজনদের ওপর অত্যাচার ও মৃত্যুগুলো’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক তেজশ্রী থাপা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাড অ্যাডামস সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেদনের অংশবিশেষ তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ওপর আটক অবস্থায় প্রচণ্ড এবং অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার অভিযুক্তের গণবিচার চলছে। এদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আটক অবস্থায় অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। এই নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে রয়েছে। যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং নির্যাতনে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজন, আইনজীবী এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের যে গণবিচার চলছে, সেখানে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। ২০ থেকে ৩০ জনের জন্য একজন আইনজীবী। অভিযুক্তরা জানেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ। এ পরিস্থিতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আহ্বান, অবিলম্বে এই গণবিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করুন। নতুন একটি টাস্কফোর্স গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক। এ পর্যন্ত যাদের বিচার করা হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের সময় পদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ যে ৭৪ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেন ব্রাড অ্যাডামস।
রিপোর্টে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্তেহভাজনদের ওপর নির্যাতনকারীদের মূলে ছিল র্যাব। অবিলম্বে এই কুখ্যাত বাহিনীকে ভেঙে দিয়ে পুলিশের মধ্য থেকে একটি বেসামরিক বাহিনী গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব অঘোষিত আটক কেন্দ্র রয়েছে—যেখানে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, তা সরকারকে বন্ধ করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রাড অ্যাডামস বলেন, এসব নির্যাতন সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং র্যাবকে চিঠি লিখেছি। কিন্তু তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি এবং এ প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ধরনের কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যে আমরা হতাশ। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর কীভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। ইলেক্ট্রিক সক থেকে শুরু করে হাত-পায়ের নখ পর্যন্ত তুলে নেয়া হয়েছে অনেকের।
ব্রাড অ্যাডামস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেনাবাহিনী, র্যাব, জিডিএফআই, এনএসআইসহ অন্য সংস্থার সদস্যরা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে সরকার ভয়ে কিছু বলে না। বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে টানাপড়েন চলছে। সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। এছাড়া বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সরকার এবং সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছে, তাতে অনেক অমিল রয়েছে।
আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তারা যে বাহিনীর সদস্যই হোক না কেন, তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি আটক প্রত্যেকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা এবং পরে এর বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের পক্ষ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর সেনাবাহিনী, র্যাব, ডিজিএফআই, এনএসআইসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা অমানবিক নির্যাতন চালিয়েছে। আটক অবস্থায় অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভয়ে সেনাবাহিনী এবং র্যাবের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কিছুই বলে না। বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
সংস্থার পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে ক্যান্টনমেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অঘোষিত যেসব আটক কেন্দ্র রয়েছে, অবিলম্বে সেগুলো সরকারকে বন্ধ করতে হবে।
গতকাল রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্রাড অ্যাডামস ‘বাংলাদেশ : জেলে থাকা বিদ্রোহের সন্দেহভাজনদের ওপর অত্যাচার ও মৃত্যুগুলো’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলনে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের গবেষক তেজশ্রী থাপা উপস্থিত ছিলেন।
ব্রাড অ্যাডামস সংবাদ সম্মেলনে বিডিআর বিদ্রোহের বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রতিবেদনের অংশবিশেষ তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের ওপর আটক অবস্থায় প্রচণ্ড এবং অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। প্রায় ৬ হাজার অভিযুক্তের গণবিচার চলছে। এদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আটক অবস্থায় অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের অধিকাংশের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। এই নির্যাতনের তথ্য-প্রমাণ হিউম্যান রাইটস ওয়াচের কাছে রয়েছে। যারা নির্যাতিত হয়েছেন এবং নির্যাতনে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের আত্মীয়স্বজন, আইনজীবী এবং পোস্টমর্টেম রিপোর্ট থেকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছি। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের যে গণবিচার চলছে, সেখানে ন্যায়বিচার সম্ভব নয়। ২০ থেকে ৩০ জনের জন্য একজন আইনজীবী। অভিযুক্তরা জানেন না, তাদের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ। এ পরিস্থিতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আহ্বান, অবিলম্বে এই গণবিচার প্রক্রিয়া স্থগিত করুন। নতুন একটি টাস্কফোর্স গঠন করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হোক। এ পর্যন্ত যাদের বিচার করা হয়েছে, তা পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
বিডিআর বিদ্রোহের সময় পদস্থ সেনা কর্মকর্তাসহ যে ৭৪ ব্যক্তিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তার বিচার অবশ্যই হতে হবে বলে মন্তব্য করেন ব্রাড অ্যাডামস।
রিপোর্টে বলা হয়, বিডিআর বিদ্রোহের সঙ্গে জড়িত সন্তেহভাজনদের ওপর নির্যাতনকারীদের মূলে ছিল র্যাব। অবিলম্বে এই কুখ্যাত বাহিনীকে ভেঙে দিয়ে পুলিশের মধ্য থেকে একটি বেসামরিক বাহিনী গঠন করতে হবে। একই সঙ্গে যেসব অঘোষিত আটক কেন্দ্র রয়েছে—যেখানে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়, তা সরকারকে বন্ধ করতে হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্রাড অ্যাডামস বলেন, এসব নির্যাতন সম্পর্কে জানতে চেয়ে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং র্যাবকে চিঠি লিখেছি। কিন্তু তার কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। গত মঙ্গলবার আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি এবং এ প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়েছি। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ ধরনের কোনো নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই মন্তব্যে আমরা হতাশ। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে, আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর কীভাবে নির্যাতন চালানো হয়েছে। ইলেক্ট্রিক সক থেকে শুরু করে হাত-পায়ের নখ পর্যন্ত তুলে নেয়া হয়েছে অনেকের।
ব্রাড অ্যাডামস সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেনাবাহিনী, র্যাব, জিডিএফআই, এনএসআইসহ অন্য সংস্থার সদস্যরা যে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তার বিরুদ্ধে সরকার ভয়ে কিছু বলে না। বিডিআর বিদ্রোহের পর থেকে সরকার এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে টানাপড়েন চলছে। সেনাবাহিনী ব্যাপক অভিযান চালিয়ে বিদ্রোহ দমন করতে চেয়েছিল, কিন্তু সরকার তাতে রাজি হয়নি। এছাড়া বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে সরকার এবং সেনাবাহিনী যে তদন্ত করেছে, তাতে অনেক অমিল রয়েছে।
আটক বিডিআর সদস্যদের ওপর যারা নির্যাতন করেছে তারা যে বাহিনীর সদস্যই হোক না কেন, তদন্তের মাধ্যমে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করার পাশাপাশি আটক প্রত্যেকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন