প্রধান বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলনের ‘ফাইনাল খেলা’ আরো ছয় মাস প্রস্তুতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে। এই প্রস্তুতি পর্বে কর্মসূচি হিসেবে কিছু ‘প্র্যাকটিস ম্যাচ’ থাকবে বটে, কিন্তু তা টানা আন্দোলনে রূপ নিচ্ছে না। দলের অভ্যন্তরীণ পরিকল্পনা ও কূটনৈতিক চ্যানেলের পরামর্শ অনুযায়ী ২০১২ সালের শেষ পর্যন্ত নির্দলীয় সরকার পুনর্বহালে সমঝোতার জন্য অপেক্ষা করবে বিএনপি; তা না হলে ২০১৩ সালের শুরু থেকেই আন্দোলন দানা বাঁধতে শুরু করবে, যা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে। ২০১৩ সালকে তাই বিএনপি চূড়ান্ত ‘আন্দোলনের বছর’ হিসেবেই দেখছে। এই আন্দোলনের প্রথম লক্ষ্য সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে ‘জনদাবি’ নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা নিশ্চিত করা; দ্বিতীয়ত, আলোচনার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করা। দলের বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলে আন্দোলনের এই নতুন কৌশল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে।
এ দিকে আসছে ঈদু ফিতরের পর চলমান আন্দোলন আরো কিছুটা তীব্র করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তবে তা দাবি আদায়ে যথেষ্ট হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঈদ-পরবর্তী আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতে আগামী ১২-১৩ আগস্ট জোটভুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা; যা ঈদের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে চূড়ান্ত করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে রমজানের শেষ ১০ দিন তিনি সৌদি আরবে থাকবেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করব। আন্দোলন করেই দাবি আদায় করবÑ এটিই দলীয় সিদ্ধান্ত।’ তবে আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা তিনি জানাননি। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে নাÑ এটিই দলীয় সিদ্ধান্ত। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাতিল করার পর থেকেই আমরা এ কথা বলে আসছি।
আন্দোলনের পথে থাকা বিএনপিতে চলছে এখন রমজানের ভ্যাকেশন। আন্দোলনের গতি তাই কিছুটা শ্লথ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে এই শ্লথ গতি থাকবে আরো প্রায় ছয় মাস। আসছে ঈদের পর আন্দোলন কিছুটা তীব্র হবে, তবে তা দাবি আদায়ে সরকারকে নাড়া দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আন্দোলনের দাবি আদায়ে আগামী ছয় মাসকে দেখা হচ্ছে আরো কিছুটা ‘সময় দেয়া কিংবা নেয়া’ হিসেবেও। আচমকা টানা আন্দোলনে নামার আগে মেলানো হচ্ছে সমীকরণ, ভেবে দেখা হচ্ছে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি। বিরোধী দলের পুরো চিন্তাটা জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক হওয়ায় দাবিও একটিÑ নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা বহাল। মেয়াদ পূরণের আগেই সরকারকে এ দাবি পূরণে বাধ্য করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। এ জন্য টার্গেট করা হয়েছে ২০১৩ সাল। ২০১৩ সালের শুরু থেকেই এই আন্দোলন জমাট বাঁধানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ছয় মাসের এই বিরতিতে রাজনৈতিক ভিত আরো শক্ত করার কথা ভাবছে বিএনপি। চলছে কূটনৈতিক তৎপরতাও। দলের পররাষ্ট্রবিষয়ক একটি ‘কোর কমিটি’ প্রতি মাসে অন্তত একবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাথে মিলিত হচ্ছে। দলের চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই এসব কূটনৈতিক বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণে কূটনৈতিক চাপ সামনের দিনগুলোতে একটি বড় ‘অ্যাসেট’ হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি।
২০১২ সালের মধ্যে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা ইস্যুতে একটি সমঝোতায় পৌঁছার ব্যাপারে সরকারের ওপরে কূটনৈতিক চাপও রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘সমঝোতা সংলাপে’ বসতে বারবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১২ সালের মধ্যেই সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব হবে বলে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করে আসছেন।
জানা গেছে, কূটনৈতিক রাজনীতির বাইরে দলের ভেতরকার বন্ধন অটুট রাখার প্রচেষ্টাও চালাচ্ছেন স্বয়ং বিএনপি প্রধান। দলকে আন্দোলনের পথে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বেগম জিয়া বারবার শীর্ষ নেতাদের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো নেতার সাংগঠনিক পারফরম্যান্সে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন তিনি।
ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বিএনপির। বিএনপি নেতারা জানান, ঈদের পর ঝটিকা জেলা সফরে যাবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে কয়েকটি জেলায় জনসভা করবেন তিনি। এরপর শক্ত কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সমঝোতার পাশাপাশি দলকে বড় ধরনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে ব্যাপকভিত্তিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে দলের হাইকমান্ড। এ জন্য খালেদা জিয়ার পাশাপাশি সিনিয়র নেতারা রোজায় ও ঈদের পরও জেলা সফরে যাবেন।
ইতোমধ্যে আন্দোলনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে কোন্দল নিরসন করে জেলাপর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শরীয়তপুর ও নেত্রকোনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। রমজান-পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাকি কমিটিগুলোও গঠন করা হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঈদের পর খালেদা জিয়া রাজবাড়ীসহ ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলায় সমাবেশ করবেন। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলাও অনেক দিন ধরে তার সমাবেশ করার কথা। সেখানেও যেতে পারেন তিনি। বরিশালেও সমাবেশ করার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর তার নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথের জনগণকে ‘সমবেদনা’ জানাতে সেখানে যেতেও তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বিশ্বনাথ সফর করেছে। তারা তাদের রিপোর্টে সিলেট বিএনপির রাজনীতিকে গতিশীল করতে প্রথমে মহাসচিবের সমাবেশ এবং পরে খালেদা জিয়াকে জনসভা করার সুপারিশ করেছেন।
সূত্র মতে, চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে আবারো জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন্দল নিরসনে মাঠে যাবে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ যুগ্ম মহাসচিবরা। এ ছাড়াও ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি দেয়ার আগে গণসংযোগও চালাবে দলটি।
নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ১১ জুন ঢাকার গণসমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া ঈদের পর হরতাল-অবরোধ ও ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেছেন। কর্মসূচি চূড়ান্ত করার আগে তিনি সমমনা রাজনৈতিক দল ও বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে বৈঠক করবেন। অঙ্গসংগঠনগুলোও নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ছাত্রদলের কমিটি রমজান মাসের মধ্যেই দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এরপর পুনর্গঠন করা হবে যুবদল।
এ দিকে আসছে ঈদু ফিতরের পর চলমান আন্দোলন আরো কিছুটা তীব্র করবে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। তবে তা দাবি আদায়ে যথেষ্ট হবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ঈদ-পরবর্তী আন্দোলনের কৌশল ঠিক করতে আগামী ১২-১৩ আগস্ট জোটভুক্ত দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠক হওয়ার কথা; যা ঈদের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডেকে চূড়ান্ত করবেন দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে রমজানের শেষ ১০ দিন তিনি সৌদি আরবে থাকবেন বলে জানা গেছে।
আন্দোলন সম্পর্কে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলন করব। আন্দোলন করেই দাবি আদায় করবÑ এটিই দলীয় সিদ্ধান্ত।’ তবে আন্দোলনের ধরন কী হবে, তা তিনি জানাননি। তিনি বলেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে নাÑ এটিই দলীয় সিদ্ধান্ত। তত্ত্বাবধায়কব্যবস্থা বাতিল করার পর থেকেই আমরা এ কথা বলে আসছি।
আন্দোলনের পথে থাকা বিএনপিতে চলছে এখন রমজানের ভ্যাকেশন। আন্দোলনের গতি তাই কিছুটা শ্লথ। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চূড়ান্ত আন্দোলনে নামার আগে এই শ্লথ গতি থাকবে আরো প্রায় ছয় মাস। আসছে ঈদের পর আন্দোলন কিছুটা তীব্র হবে, তবে তা দাবি আদায়ে সরকারকে নাড়া দিতে পারবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আন্দোলনের দাবি আদায়ে আগামী ছয় মাসকে দেখা হচ্ছে আরো কিছুটা ‘সময় দেয়া কিংবা নেয়া’ হিসেবেও। আচমকা টানা আন্দোলনে নামার আগে মেলানো হচ্ছে সমীকরণ, ভেবে দেখা হচ্ছে প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তি। বিরোধী দলের পুরো চিন্তাটা জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক হওয়ায় দাবিও একটিÑ নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা বহাল। মেয়াদ পূরণের আগেই সরকারকে এ দাবি পূরণে বাধ্য করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর। এ জন্য টার্গেট করা হয়েছে ২০১৩ সাল। ২০১৩ সালের শুরু থেকেই এই আন্দোলন জমাট বাঁধানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
ছয় মাসের এই বিরতিতে রাজনৈতিক ভিত আরো শক্ত করার কথা ভাবছে বিএনপি। চলছে কূটনৈতিক তৎপরতাও। দলের পররাষ্ট্রবিষয়ক একটি ‘কোর কমিটি’ প্রতি মাসে অন্তত একবার বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাথে মিলিত হচ্ছে। দলের চিন্তাভাবনা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতিই এসব কূটনৈতিক বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়। নির্দলীয় সরকারের দাবি পূরণে কূটনৈতিক চাপ সামনের দিনগুলোতে একটি বড় ‘অ্যাসেট’ হতে পারে বলে মনে করছে বিএনপি।
২০১২ সালের মধ্যে নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা ইস্যুতে একটি সমঝোতায় পৌঁছার ব্যাপারে সরকারের ওপরে কূটনৈতিক চাপও রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘সমঝোতা সংলাপে’ বসতে বারবার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। ২০১২ সালের মধ্যেই সমঝোতায় পৌঁছা সম্ভব হবে বলে তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করে আসছেন।
জানা গেছে, কূটনৈতিক রাজনীতির বাইরে দলের ভেতরকার বন্ধন অটুট রাখার প্রচেষ্টাও চালাচ্ছেন স্বয়ং বিএনপি প্রধান। দলকে আন্দোলনের পথে ঐক্যবদ্ধ রাখতে বেগম জিয়া বারবার শীর্ষ নেতাদের তাগিদ দিয়ে যাচ্ছেন। কোনো কোনো নেতার সাংগঠনিক পারফরম্যান্সে ক্ষোভও প্রকাশ করছেন তিনি।
ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বিএনপির। বিএনপি নেতারা জানান, ঈদের পর ঝটিকা জেলা সফরে যাবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। নির্দলীয় সরকারব্যবস্থার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করতে কয়েকটি জেলায় জনসভা করবেন তিনি। এরপর শক্ত কিছু কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দলের একাধিক সূত্র জানায়, রাজনৈতিক সমঝোতার পাশাপাশি দলকে বড় ধরনের আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত করতে ব্যাপকভিত্তিতে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আন্দোলনের পক্ষে জনমত গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে দলের হাইকমান্ড। এ জন্য খালেদা জিয়ার পাশাপাশি সিনিয়র নেতারা রোজায় ও ঈদের পরও জেলা সফরে যাবেন।
ইতোমধ্যে আন্দোলনের জন্য দলকে প্রস্তুত করতে কোন্দল নিরসন করে জেলাপর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে শরীয়তপুর ও নেত্রকোনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। রমজান-পরবর্তী এক মাসের মধ্যে বাকি কমিটিগুলোও গঠন করা হবে। ঢাকা মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে।
জানা গেছে, ঈদের পর খালেদা জিয়া রাজবাড়ীসহ ঢাকার আশপাশের কয়েকটি জেলায় সমাবেশ করবেন। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর জেলাও অনেক দিন ধরে তার সমাবেশ করার কথা। সেখানেও যেতে পারেন তিনি। বরিশালেও সমাবেশ করার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। এম ইলিয়াস আলী গুম হওয়ার পর তার নির্বাচনী এলাকা বিশ্বনাথের জনগণকে ‘সমবেদনা’ জানাতে সেখানে যেতেও তাকে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির একটি প্রতিনিধিদল বিশ্বনাথ সফর করেছে। তারা তাদের রিপোর্টে সিলেট বিএনপির রাজনীতিকে গতিশীল করতে প্রথমে মহাসচিবের সমাবেশ এবং পরে খালেদা জিয়াকে জনসভা করার সুপারিশ করেছেন।
সূত্র মতে, চূড়ান্ত আন্দোলনে যাওয়ার আগে আবারো জেলা বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোন্দল নিরসনে মাঠে যাবে স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ যুগ্ম মহাসচিবরা। এ ছাড়াও ঈদের পর কঠোর কর্মসূচি দেয়ার আগে গণসংযোগও চালাবে দলটি।
নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ১১ জুন ঢাকার গণসমাবেশ থেকে খালেদা জিয়া ঈদের পর হরতাল-অবরোধ ও ধর্মঘটসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার কথা বলেছেন। কর্মসূচি চূড়ান্ত করার আগে তিনি সমমনা রাজনৈতিক দল ও বিএনপিপন্থী বিভিন্ন সংগঠন ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সাথে বৈঠক করবেন। অঙ্গসংগঠনগুলোও নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ছাত্রদলের কমিটি রমজান মাসের মধ্যেই দেয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এরপর পুনর্গঠন করা হবে যুবদল।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন