দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে এলেও গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন নির্বাচন কমিশন। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিমূলক তত্পরতা না দেখে এমন ধারণা করলে কাউকে দোষ দেয়া যাবে না। কমিশন হয়তো অপেক্ষা করছে শীর্ষপর্যায়ের সবুজ সঙ্কেতের। সেটা পাওয়া গেলেই গা ঝাড়া দিয়ে উঠবে ‘স্বাধীন’ এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এর আগেও কর্তার ইচ্ছায় চলেছে নির্বাচন কমিশন। ড. শামসুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন তত্কালীন সরকারের মতোই আপন কীর্তিতে ছিল মহিয়ান! সেই সেনাসমর্থিত অসাংবিধানিক সরকার যেমন তুগলকি কাণ্ড করে দেশের বারোটা বাজিয়েছে, তেমনি তখনকার নির্বাচন কমিশনও সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তারা কীভাবে বিএনপিকে ভাঙার পরিকল্পনা নিয়েছিল, সেটা তো সবার জানা। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের নামাবলী গায়ে দেয়া তখনকার শাসকদের মতোই নির্বাচন কমিশনের অনিয়ম, দুর্নীতিও কম ছিল না। পরবর্তী সরকারের আমলেও সে ভূমিকার পরিবর্তন হয়নি। ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতা সেটাই প্রমাণ করে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় তত্কালীন নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নির্বাচন উপযোগী ইভিএমের বিনির্দেশ ও ব্যবহারবিধি ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন এবং বুয়েটের কাছ থেকে কারিগরি তথ্য নিয়ে প্রণয়ন করার কাজও উপেক্ষা করে এগিয়েছে ড. শামসুল হুদার কমিশন। ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কোনো আপত্তি কানে তোলা হয়নি। বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের বিরোধিতা এবং টেম্পারিং করার অভিযোগও পাত্তা পায়নি। সবকিছু উপেক্ষা করে ইভিএম কিনতে তাদের আগ্রহ দেখে বোঝা গেছে, পেছনে বড় কারণ আছে। সরকারের হুকুম তামিল করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তাই নিয়মবিধি উপেক্ষা করে তিন দফায় তিন ধরনের প্রায় ১২শ’ ইভিএম কিনতে সাড়ে তিন কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হলেও দেখার কেউ ছিল না। দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউকে জবাবদিহি করতেও আগ্রহ দেখাননি সিইসি ড. শামসুল হুদা। এসব জানার পর বলতেই হয়, আগের কমিশনের সব কাজ খতিয়ে দেখা উচিত। সে সময়কার ভোটার তালিকায়ও অনিয়ম থাকা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। অথচ বর্তমান কমিশন অবিচলভাবে আগের ধারাবাহিকতাই বজায় রেখে চলেছে, সেটাও খালি চোখেই দেখা যায়।
শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়, প্রায় সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেই এমন অকার্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। তারা মুখেই স্বাধীন। সবকিছু চলে সুতার টানে। সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নই তাদের আসল লক্ষ্য। কথা ও ভাবভঙ্গিতে স্বাধীন ভূমিকা এবং সাংবিধানিক ক্ষমতার উল্লেখ থাকলেও কাজে এসবের প্রমাণ মেলে না। সরকার হিসাব করেই নিজেদের পছন্দসই ও মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিদের নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তোলে। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে, গণতন্ত্র দুর্বল ও অকার্যকর রেখে ব্যক্তিগত এবং দলীয় ফায়দা লোটার জন্যই যে এমন ব্যবস্থা, সেটা এখন কারও অজানা নেই। ক্ষমতাসীনরা কেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়েই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আগ্রহী, তার পেছনের কারণ একই। এভাবে দলীয় সরকার ও সংসদ বজায় রেখে নির্বাচন করা হলে সেটা হবে নির্বাচনের নামে তামাশা। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের বিকল্প নেই।
যতদিন নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাস্তবে স্বাধীন ও শক্তিশালী করে তোলা না হবে, ততদিন এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালন করে যাবে। এতে করে ব্যক্তি বা দলবিশেষের ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ নিশ্চিত হলেও গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। দেশের অগ্রগতিও নিশ্চিত হবে না, এটা জোর দিয়েই বলা যায়।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালে কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই ইভিএম ব্যবহারের উদ্যোগ নেয় তত্কালীন নির্বাচন কমিশন। এক্ষেত্রে নির্বাচন উপযোগী ইভিএমের বিনির্দেশ ও ব্যবহারবিধি ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালটেশন এবং বুয়েটের কাছ থেকে কারিগরি তথ্য নিয়ে প্রণয়ন করার কাজও উপেক্ষা করে এগিয়েছে ড. শামসুল হুদার কমিশন। ইভিএম ব্যবহার নিয়ে কোনো আপত্তি কানে তোলা হয়নি। বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের বিরোধিতা এবং টেম্পারিং করার অভিযোগও পাত্তা পায়নি। সবকিছু উপেক্ষা করে ইভিএম কিনতে তাদের আগ্রহ দেখে বোঝা গেছে, পেছনে বড় কারণ আছে। সরকারের হুকুম তামিল করাই ছিল আসল উদ্দেশ্য। তাই নিয়মবিধি উপেক্ষা করে তিন দফায় তিন ধরনের প্রায় ১২শ’ ইভিএম কিনতে সাড়ে তিন কোটি টাকারও বেশি ব্যয় করা হলেও দেখার কেউ ছিল না। দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কাউকে জবাবদিহি করতেও আগ্রহ দেখাননি সিইসি ড. শামসুল হুদা। এসব জানার পর বলতেই হয়, আগের কমিশনের সব কাজ খতিয়ে দেখা উচিত। সে সময়কার ভোটার তালিকায়ও অনিয়ম থাকা মোটেই অস্বাভাবিক নয়। অথচ বর্তমান কমিশন অবিচলভাবে আগের ধারাবাহিকতাই বজায় রেখে চলেছে, সেটাও খালি চোখেই দেখা যায়।
শুধু নির্বাচন কমিশনই নয়, প্রায় সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানেই এমন অকার্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। তারা মুখেই স্বাধীন। সবকিছু চলে সুতার টানে। সরকারের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নই তাদের আসল লক্ষ্য। কথা ও ভাবভঙ্গিতে স্বাধীন ভূমিকা এবং সাংবিধানিক ক্ষমতার উল্লেখ থাকলেও কাজে এসবের প্রমাণ মেলে না। সরকার হিসাব করেই নিজেদের পছন্দসই ও মেরুদণ্ডহীন ব্যক্তিদের নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান সাজিয়ে তোলে। জনগণকে ধোঁকা দিয়ে, গণতন্ত্র দুর্বল ও অকার্যকর রেখে ব্যক্তিগত এবং দলীয় ফায়দা লোটার জন্যই যে এমন ব্যবস্থা, সেটা এখন কারও অজানা নেই। ক্ষমতাসীনরা কেন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থার বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনকে দিয়েই নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আগ্রহী, তার পেছনের কারণ একই। এভাবে দলীয় সরকার ও সংসদ বজায় রেখে নির্বাচন করা হলে সেটা হবে নির্বাচনের নামে তামাশা। এর হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে অবশ্যই সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের বিকল্প নেই।
যতদিন নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বাস্তবে স্বাধীন ও শক্তিশালী করে তোলা না হবে, ততদিন এসব প্রতিষ্ঠান সরকারের আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালন করে যাবে। এতে করে ব্যক্তি বা দলবিশেষের ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ নিশ্চিত হলেও গণতন্ত্র শক্তিশালী হবে না। দেশের অগ্রগতিও নিশ্চিত হবে না, এটা জোর দিয়েই বলা যায়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন