বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

মৌসুমী ও প্রতিমার কণ্ঠে সময়ের বার্তা


আমাদের রাজনীতি এবং প্রশাসন যে ঠিক পথে চলছে না তার বড় প্রমাণ কর্ণাই। দিনাজপুর সদর উপজেলার একটি গ্রাম ‘কর্ণাই’। এই জনপদটি এখন একটি আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। ঘটনার শুরু ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। নির্বাচনের দেড় মাস পরেও হিন্দু পরিবারগুলোর মধ্যে আতঙ্ক কাটেনি। ভোটের দিন ওদের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এদিকে ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ‘মহাদেবপুর, ডুমুরতলীসহ এখানকার মুসলমান পাড়াগুলোতে কথা বলার জন্য দুই তিনদিনে কোনো পুরুষ মানুষ পাওয়া যায়নি। তবে নারীরা অভিযোগ করেন, কর্ণাই বাজারে মুসলমানদের দোকানগুলোতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করেছে হিন্দু ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। এছাড়া ভোটের পরদিন রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানের সময় মহাদেবপুরের ৩০টির বেশি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের জন্য হিন্দুদের দায়ী করেন তারা। প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি এলাকায় ঢুকতেই মহাদেবপুর, ডুমুরতলীর মুসলমান পাড়াগুলোতে আতঙ্কের বিষয়টি টের পাওয়া গেলো। দূরের ফসলের মাঠে কর্মরত অনেক নারীর মধ্য থেকে দু’জন পুরুষ প্রাণপণে ছুটে পালাচ্ছেন। কাছে গিয়ে নারীদের জিজ্ঞেস করলে তারা বললেন, মোটরসাইকেলে পুলিশ এসেছে ভেবে তারা পালিয়েছেন। ওই সময় যৌথবাহিনীর নির্বিচার গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে কাঁদতে কাঁদতে তাজকারা বেগম বললেন, ‘সব থোয়ার (রাখার) জায়গা আছে বাপু, ভয় থোয়ার জায়গা নাই। যাক পাচ্ছে তাকই তুলি নি যাচ্ছে। যাদের নামে মামলা হইছে, পুলিশ তাদের ধরুক।’ যৌথ অভিযানের কারণে আতঙ্কের কথা শোনা গেলো দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার কর্মকর্তা (অপরাধ) শেখ হিফজুর রহমানের মুখেও। তিনি বললেন, ‘আমরা জানি যে, এই পাড়াগুলো পুরুষশূন্য। এখানকার সবাই মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি দেখলেই পালাচ্ছেন। ভীতি দূর করতে আমরা দ্রুত সেখানে একটা মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে চাই।’ জেলা প্রশাসনও মতবিনিময় সভা করার কথা বললেও ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে এ ধরনের কোনো সভা হয়নি বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন।
প্রথম আলোর প্রতিবেদনে যে চিত্র স্পষ্ট হলো, তাতে এ কথা বলা যায় যে, আমাদের রাজনীতি এবং প্রশাসন ভুল পথে চলছে। ভোটকে কেন্দ্র করে কেন দুর্বলদের ওপর, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হবে? আবার দুর্বলদের রক্ষার নামে কেন যৌথবাহিনী ভয়াবহ আতঙ্কের সৃষ্টি করবেÑ যাতে মুসলিম পাড়াগুলোর সব পুরুষ পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে? যৌথবাহিনীর নিপীড়নমূলক ও একপেশে আচরণের কারণে কর্ণাই বাজারে মুসলমানদের দোকানগুলোতে হামলা চালিয়ে মালামাল লুট করার সাহস পেয়েছে হিন্দু ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা। এর ফলাফল কেমন হবে? আমরা জানি সব ক্রিয়ারই একটি প্রতিক্রিয়া আছে। ভালোর প্রতিক্রিয়া ভালো হয় এবং মন্দের প্রতিক্রিয়া মন্দ। প্রসঙ্গত, এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, পাবলিক ও পুলিশের আচরণ এক রকম হতে পারে না। পাবলিকের আচরণে ভুল থাকতে পারে, কারণ তারা রাষ্ট্রের প্রশিক্ষিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নয়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উজ্জ্বল আচরণ পাবলিকের জন্য উদাহরণ হতে পারে। কিন্তু কর্ণাইয়ে আমরা কী দেখলাম? যৌথবাহিনী সেখানে যেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্র্ভূত হয়েছে। শুধু তাই নয়, যেন মুসলিমবিরোধী বাহিনী হিসেবে আবির্র্ভূত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতো যাকে ইচ্ছে তাকে ধরতে পারে না, বেপরোয়াভাবে গুলীও চালাতে পারে না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের আইন মেনেই কাজ করতে হয়। সুনির্দিষ্ট অপরাধে সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকেই আইনের আওতায় নিতে হয়। কিন্তু কর্ণাইয়ে আমরা দেখলাম ভিন্ন চিত্র। যে কারণে যৌথবাহিনীর নির্বিচার গ্রেফতারের অভিযোগ তুলে কাঁদতে কাঁদতে তাজকারা বেগম বললেন, ‘সব থোয়ার (রাখার) জায়গা আছে বাপু, ভয় থোয়ার জায়গা নাই। যাক পাচ্ছে তাকই তুলি নি যাচ্ছে। যাদের নামে মামলা হইছে, পুলিশ তাদের ধরুক। এ ছাড়া যৌথ অভিযানের কারণে আতঙ্কের কথা শোনা গেলো দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার তদন্ত কর্মকর্তা (অপরাধ) শেখ হিফজুর রহমানের মুখেও। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি যে, এই পাড়াগুলো পুরষশূন্য। এখানকার সবাই মোটরসাইকেল কিংবা গাড়ি দেখলেই পালাচ্ছেন। ভীতি দূর করতে আমরা দ্রুত সেখানে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করতে চাই।’
গণতন্ত্রে সুনাগরিক যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন সুশাসনও। কোনো সমাজে এর অভাব ঘটলে নাগরিকের জীবনযাপন, দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। যেমনটি আমরা লক্ষ্য করেছি কর্ণাইয়ে। কর্ণাইয়ের মানুষ বাঁচতে চায়। সম্প্রীতি ও সহাবস্থানই তাদের কাম্য বিষয়। প্রথম আলোর রিপোর্টারও উল্লেখ করেছেন, ‘গ্রামটি ঘুরে বোঝা গেলো, সব মানুষই শান্তি ও সহাবস্থান চাইছেন। তাদের ভাষ্য, বর্তমানের এই আতঙ্কিত পরিস্থিতির জন্য ভোটের রাজনীতিই দায়ী। কারণ, দীর্ঘকাল ধরে এখানে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও বিরোধটা এমন পর্যায়ে পৌঁছায়নি। তাই ঐক্যের আর্তি ঝরলো মহাদেবপুরের গৃহবধূ মৌসুমী আক্তারের কথায়। তিনি বলেন, ‘হামরা এর মীমাংসা চাই। ৩৬ জাতি না হলি রাজ্য চলে না। হামরা সবাইরে নিয়া বাঁইচবার চাই।’ হামলার শিকার পিতমপাড়ার অশীতিপর প্রতিমা রায় কাঁদতে কাঁদতে বললেন, ‘একে গরিব তার উপর হিন্দু। এই দ্যাশ কি হামার লয়? হামাক ভারত জাতি হবে ক্যান? এর চাইতে হামাক যদি মারি ফেলাও, তাও ভালো।’
গৃহবধূ মৌসুমী আক্তার ও প্রতিমা রায় যা বললেন তাতে আমাদের রাজনীতিবিদদের শেখার মতো বিষয় রয়েছে। তাদের বক্তব্যে সামাজিক সম্প্রীতি ও মানবাধিকারের বিষয় স্পষ্টভাবেই ঘোষিত হয়েছে। ঘোষিত হয়েছে গণতান্ত্রিক চেতনার কথাও। গণতন্ত্রের কথা আমাদের রাজনীতিবিদরাও অহরহ উচ্চারণ করে থাকেন। কিন্তু গণতন্ত্র যে কোনো প্রহসন বা নাটক নয়, নয় কোনো দানবীয় মতবাদ তা রাজনীতিবিদদের আচরণে প্রতিফলিত হওয়া প্রয়োজন। গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রয়োজন পরমত-সহিষ্ণুতা, ধৈর্য এবং পারস্পরিক সম্মানবোধ। এ বিষয়গুলো আমাদের রজানীতিবিদদের উপলব্ধি করা প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টির প্রশ্নে সরকার ও সরকারি দলের ওপর দায়িত্ব বর্তায় বেশি। সরকার যদি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসে তবে তার ইতিবাচক প্রভাব রাজনৈতিক অঙ্গনেও দেখা দেবে। কিন্তু আমাদের বর্তমান চিত্র সুশাসনের নয়। সুশাসন থাকলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগ নেতারা পিস্তলে গুলী ভরে কেমন করে, মুহুর্মুহু গুলী চালায় কোন সাহসে? ওরা গ্রেফতার হয় না, মামলা হয় আক্রান্তদের বিরুদ্ধে! আমাদের প্রশাসন এবং রাজনীতি যেন দুর্বৃত্তায়নের কবলে পড়ে গেছে। নইলে খুলনা ছাত্রলীগের শীর্ষ ১১ নেতা মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকে কেমন করে? ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ছাত্রলীগের খুলনা মহানগর ও উপজেলা কমিটির অন্তত ১১ জন শীর্ষস্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ উঠেছে সংগঠনের ভেতর থেকে। তাদের সাথে যুক্ত আছেন আরো অনেক নেতাকর্মী। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি ছাত্রলীগের মূলনীতি। কিন্তু খুলনা জেলা, মহানগর ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে আলোচিত হয়, মাদক ব্যবসা, ঠিকাদারি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, লুটÑ এই কটি শব্দ। ছাত্রলীগের বিবদমান নেতারাই পরস্পরের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ তুলছেন, সংবাদ সম্মেলনও করছেন। গত শনিবার মাদক ব্যবসা ও কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এখানে প্রশাসন ও পুলিশ যেন অসহায়। এমন চিত্র সারা দেশেই লক্ষ্য করা যায়। ‘গুলী না করায় ওসিকে মারলেন আ’লীগ নেতা’Ñ খবরের এমন শিরোনাম কি এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ নয়? গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দৈনিক সংগ্রামে মুদ্রিত খবরটিতে বলা হয়, সোনাগাজীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীদের ওপর গুলী না করায় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত শনিবার উপজেলা যুবদল নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পৌর শহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সাথে যুবদল-ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এদিকে হরতাল চলাকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে প্রায় অর্ধশত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
লক্ষণীয় বিষয় হলো, সোনাগাজীতে হরতালের সময় পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে যুবদল-ছাত্রদল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরা প্রায় অর্ধশত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শহরে এক আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। আমরা জানি, এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি সন্ত্রাসমূলক কাজ। তাই সন্ত্রাসের অভিযোগে ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা ছিল পুলিশের কর্তব্য। কিন্তু পুলিশ সেই কর্তব্য পালন করেনি। সরকারি ঘরানার লোকদের বিরুদ্ধে পুলিশ কেন কর্তব্য পালন করে না তা আমাদের জানা বিষয়। কিন্তু সোনাগাজীতে লক্ষ্য করা গেল আরো বিস্ময়কর ঘটনা! সরকারি দলের লোকদের আবদার অনুযায়ী বিরোধী দলের লোকদের ওপর পুলিশ গুলী না করায় আওয়ামী লীগ নেতারা ফুঁসে উঠে এবং সোনাগাজী বাজারের ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে প্রকাশ্যে ওসিকে মারধর করে তারা। এমন দৃশ্যে হতবাক হয়ে যায় মানুষ। প্রশ্ন জাগে, পুলিশ কি রাষ্ট্রের ও জনগণের সেবক; নাকি আওয়ামী লীগের কোনো পোষ্য বাহিনী?
আমরা জানি, পুলিশ কোনো দলের বাহিনী নয়, বরং রাষ্ট্রের বাহিনী। দলমত নির্বিশেষে দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালন পুলিশের কর্তব্য। কিন্তু বর্তমান সময়ে পুলিশকে তেমন ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে না। সরকার ও সরকারি দলের ভ্রান্তনীতির কারণে পুলিশ আজ বিরোধী দলকে ঠেঙানোর বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। এমন অবস্থায় পুলিশের ইমেজ যেমন বিনষ্ট হয়, তেমনি পুলিশ হারায় তার সক্ষমতাও। এ কারণেই সরকারি দলের স্থানীয় নেতারা একজন ওসির ওপর হামলা চালাবার সাহস পায়। জনগণ পুলিশ বাহিনীর এমন অবমাননা দেখতে চায় না। তাই হামলাকারী সরকারদলীয় নেতাদের আসামীর কাঠগড়ায় দেখতে চায়। আওয়ামী লীগ নেতারা কি করে ভাবেন যে, তারা বললেই পুলিশ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুলী করবে? মানুষের জীবনের কি কোনো দাম নেই? গুলী করতে তো কিছু নিয়ম-কানুন লাগে, কর্তৃপক্ষীয় অনুমোদন লাগে? আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা কি সেই কর্তৃপক্ষ? আসলে সুশাসনের অভাবে আওয়ামী লীগ দেশটাকে একটি ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে, যার সাথে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। আওয়ামী লীগ আসলে দেশটাকে কোথায় নিয়ে যেতে চাইছে? গণআকাক্সক্ষার সাথে সরকারি দল ও সরকারের আচরণ মিলছে না, ফারাক বাড়ছে। বিষয়টি কি তারা উপলব্ধি করতে পারছেন না?
আমরা জানি, আওয়ামী লীগ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এই দলের প্রাণপুরুষ ছিলেন জাতির স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ আমাদের কাছে আছে। এই গ্রন্থ আমাদের জন্য এক অনন্য উপহার। এই গ্রন্থে তার সংগ্রামী জীবনের পাশাপাশি উঠে এসেছে রাজনীতি ও প্রশাসনের কথা। শেখ মুজিবুর রহমান যে গণতান্ত্রিক রাজনীতির জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ তা কতটা ধারণ করতে পারছে? আওয়ামী লীগ যদি এমন আত্মসমালোচনায় সক্ষম হয়, তাহলে আমাদের রাজনীতি ও প্রশাসনের সঙ্কট অনেকটাই কেটে যেতে পারে। বিষয়টি তারা উপলব্ধি করলে মঙ্গল।

1 টি মন্তব্য:

Ads