বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

রাজনীতিতে কি মানবিকতার কোনো পাঠ নেই


বর্তমান সময়ে দেশে যে পরিস্থিতি বিরাজ করছে, তাতে জনগণ সন্তুষ্ট নয়। তবে বর্তমানের অস্বস্তিকেও জনগণ মেনে নিতে পারতো, যদি উজ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু বর্তমানে দেশের শাসন প্রশাসন যেভাবে চলছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেভাবে বেড়ে উঠছে, তাতে আশাবাদের তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। নতুন প্রজন্মকে আদর্শবান ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য যে ধরনের উদাহরণ সৃষ্টির প্রয়োজন ছিল, আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা করতে সমর্থ হননি। এর ফলাফল যা হবার তাইতো হচ্ছে। বক্তৃতা-বিবৃতিতে মগ্ন আমাদের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও কর্তৃত্ববাদী শাসকরা এই বিষয়টি কী উপলব্ধি করতে পারছেন না? জাতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছুটা চিন্তা করেন- এমন নাগরিকরা এখন মোটেও স্বস্তিতে নেই। কিন্তু যারা চিন্তা করলে দেশের ভাগ্য দ্রুত পরিবর্তন হতে পারে, নতুন প্রজন্ম সুন্দরভাবে গড়ে উঠতে পারে, তাদের মধ্যে তো তেমন কোনো উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিষয়টিকে জাতীয় ট্র্যাজেডি হিসেবেই বিবেচনা করতে হয়।
বলছিলাম নতুন প্রজন্মের কথা- যাদের সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার ওপর জাতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। দুঃখের বিষয় হলো, তারা সঠিকভাবে গড়ে উঠছে না। যে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ নতুন প্রজন্মকে পথের দিশা দেখাবেন, তারা বরং এখন নতুন প্রজন্মকে নিজেদের স্বার্থে ভুল পথে ঠেলে দিচ্ছেন। ওরা অবক্ষয় ও বিভ্রান্তির পথে যেভাবে ধাবিত হচ্ছে, তাতে অভিভাবক হিসেবে আমরা শঙ্কিত! প্রথম আলোর ২ সেপ্টেম্বর সংখ্যায় মুদ্রিত একটি খবরের শিরোনাম ‘নিজেদের নেতাকে ট্রেন থেকে ফেলে মারলো ছাত্রলীগ।’ খবরটিতে বলা হয়, ঢাকায় সমাবেশে যোগ দিতে ট্রেনের টিকিটের জন্য গত বুধবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ভাংচুর চালিয়েছিলো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আর সেই সমাবেশ শেষে গত রোববার ফেরার পথে তারা ঘটালো আরেকটি দুঃখজনক ঘটনা। চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করলো নিজ সংগঠনের এক নেতাকে। ট্রেনের আসনে বসা নিয়ে সাতকানিয়া উপজেলার ছাত্রলীগের কিছু সদস্য লোহাগাড়া উপজেলার ছাত্রলীগের নেতা তৌকির ইসলামকে (২২) হত্যা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভয়ে ট্রেন থেকে লাফিয়ে আহত হয় লোহাগাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের আরো দুই কর্মী। গত রোববার গাজীপুরের নিমতলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত তৌকির চট্টগ্রামের লোহাগাড়া বারো আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলো। এ বছর সে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। ভাবতে অবাক লাগে, সম্ভাবনাময় একজন ছাত্রের জীবন কী করে এভাবে শেষ হয়ে গেল! কোনো সন্ত্রাসী কিংবা প্রতিপক্ষের হাতে তার জীবন যায়নি। নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীরাই তাকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করলো। তারা তো একসাথে তারুণ্যের আবেগ ও চাঞ্চল্য নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গিয়েছিলো। ঢাকায় সোহরাওয়ার্ধী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে উপস্থিত হয়ে তারা নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনেছে, শুনেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাও। এমন সমাবেশ থেকে তাদের তো আলো নেয়ার কথা ছিল। হিংসা-বিদ্বেষ ও ক্ষুদ্র স্বার্থ ভুলে ঐক্যচেনতায় নতুন যাত্রা শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সমাবেশ থেকে ফেরার পথে বক্তৃতার রেশ কাটতে না কাটতেই ছাত্রলীগের ওইসব নেতাকর্মী হত্যাকাণ্ডের মতো এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়ে ফেললো! কিন্তু কেন? আসন নিয়ে ঝগড়ার কারণে কী কাউকে ট্রেন থেকে ফেলে হত্যা করা যায়? সভা-সমাবেশ ও রাজনীতিতে কি মানবিকতার কোনো পাঠ নেই?
ছাত্র-ছাত্রীদের মূল কাজ কোনটি- লেখাপড়া, না রাজনীতি? প্রশ্নটি তো এমন হওয়ার কথা ছিল না। কিন্তু জনমনে এমন প্রশ্নই সৃষ্টি হয়েছে এবং তার কারণও আছে। আজকাল দেখা যায়, যেসব ছাত্র সরকারি দলের রাজনীতি করে তাদের দাপটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই অস্থির। শিক্ষক, ছাত্র, অধ্যক্ষ, ভিসি- সবাইকে ছাত্র নেতাদের সাথে আপস করে চলতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে নির্দেশ মেনে চলতে হয়। এইসব ছাত্রনেতার অনেকেরই চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেশ আগ্রহ, তবে লেখাপড়ায় তেমন রুচি নেই। আরো মারাত্মক বিষয় হলো, দরিদ্র ঘরের যেসব সন্তান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করতে এসেছিল, তারাও ওইসব ছাত্রনেতার ভয়ে রাজনীতি করতে বাধ্য হচ্ছে। রাজনীতিপ্রবণ এইসব ছাত্রনেতার কারণে অনেক সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবেশ নষ্ট হয়, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে। কিন্তু অনাকাক্সিক্ষত এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসন কিংবা শিক্ষকরা কাক্সিক্ষত ভূমিকা পালন করতে পারেন না। ছাত্রনেতাদের দাপট সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে সরকার কিংবা সরকারি দলকে যৌক্তিক ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়নি। তারা কি তাদের কর্তব্য নির্ধারণ করতে পারছেন না, নাকি প্রশ্রয় প্রদানকেই কতর্বব্য বলে বিবেচনা করছেন? পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, ছাত্রলীগ নেত্রীর গালাগালির কারণে শিক্ষিকাকে পদত্যাগপত্র দাখিল করতে হচ্ছে। দৈনিক আমাদের সময়ের ২৮ আগস্ট সংখ্যায় মুদ্রিত খবরে বলা হয়, রাজধানীর সরকারি গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এক শিক্ষিকা। জানা যায়, মাসুমা আক্তার পলি নামের ওই নেত্রী অকথ্য ভাষায় শিক্ষিকাকে গালাগাল ও অপমান করে এবং অধ্যক্ষসহ কয়েকজন শিক্ষকের সামনে তার গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হয়। এ সময় কলেজের প্রিন্সিপালসহ অনেক শিক্ষক উপস্থিত থাকলেও কেউ প্রতিবাদ করেননি। এ ঘটনায় বিচার না পেয়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। আরও ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, সরকারদলীয় ছাত্রনেতাদের দৌরাত্ম্য ও সন্ত্রাস এখন আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসে সীমাবদ্ধ থাকছে না। তেমনই এক চিত্র লক্ষ্য করা গেল চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে। আমাদের সময়ের ২৮ আগস্ট সংখ্যায় মুদ্রিত খবরে বলা হয়, ঢাকায় সমাবেশে যেতে টিকিট না পেয়ে গত বুধবার সন্ধ্যার পর রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। একপর্যায়ে তাদের সাথে সংঘর্ষ বেধে যায় রেলকর্মীদের। এ সময়ে স্টেশনে ভাংচুর করা হয়। তখন যাত্রীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে রেলওযের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সেখানে যান। তাদের দেখে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মোটেও শান্ত হয়নি; বরং ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবির মুখে তারা রেলওয়ের ৫ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করতে বাধ্য হন। এই হলো আমাদের এখনকার ছাত্র রাজনীতির চিত্র।
এভাবে যদি ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা ও কর্মীদের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয়া হয় এবং শিক্ষক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হেনস্থা হতে হয়, তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে কেমন করে? আমরা মনে করি, রাষ্ট্রের সব নাগরিকেরই আইন ও শৃঙ্খলার মধ্যে বসবাস করা উচিত। সরকারি ঘরানার লোকজনও এর বাইরে থাকতে পারে না। ক্ষুদ্রদলীয় রাজনীতি কিংবা সাময়িক স্বার্থের নীতি গ্রহণ করা হলে ছাত্রছাত্রী নির্বিশেষে সব অঙ্গনের দলীয় নেতাকর্মীদের বিপথে ঠেলে দেয়া হবে। আখেরে এতে শুধু দেশের নয়, দলেরও ক্ষতি হতে পারে। এ বিষয়টি তো সরকারের নীতিনির্ধারকদের না বোঝার কথা নয়। তার পরও যারা অন্যায় করে চলেছেন, তাদের ন্যায়ের পথে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ তো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তাহলে আমাদের দেশের রাজনীতি কী আদর্শ ও নৈতিকতার গুরুত্ব ভুলতে বসেছে? এই প্রশ্নের জবাব সরকারি দলের লোকজন কীভাবে দেন, সেটাই দেখার বিষয়।
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ভোগ নয়, ত্যাগের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্র সমাবেশে তিনি আরও বলেন, যারা সম্পদের লোভে রাজনীতি করে তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। দেশের সব রাজনৈতিক অবদানে ছাত্রলীগের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। ছাত্রসমাজের অবদানের কথা মাথায় রেখে নিজেদের আগামী দিনের আওয়ামী লীগের রাজনীতির জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
শোকের মাস উপলক্ষে আয়োজিত উক্ত ছাত্র সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা বর্তমান সময়ের প্রেক্ষাপটে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়েছে আমাদের কাছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপিত হয়ে আসছে। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, ক্যাম্পাসে অস্ত্রবাজি, এমনকি নিজ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হত্যা করতে পর্যন্ত তারা কুণ্ঠিত হয়নি। ছাত্রলীগের বেপরোয়া নেতা-কর্মীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণ কিংবা শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকসহ যারাই চেষ্টা করছেন, তারাই তাদের হাতে হয়েছেন নাজেহাল। এমন অবস্থায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জনগণের কাছে আতঙ্কের বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ভোগের রাজনীতি ছেড়ে ত্যাগের রাজনীতি করার যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা আমাদের কাছে খুবই সঙ্গত বলে মনে হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তার আহ্বানে কতটা সাড়া দেবে?
ছাত্রলীগের বর্তমান নেতা-কর্মীরা যে আদর্শ কিংবা নীতিনৈতিকতার পথে চলতে তেমন আগ্রহী নয়; তার প্রমাণ সেদিনের সমাবেশেও লক্ষ্য করা গেছে। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেন, নেত্রী আমরা আর আপনার নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করবো না। জাতীয় শোক দিবসে যারা কেক কাটবে তাদের বাড়ি গিয়ে তাদের ঘরের ইট খুলে আনবে বাংলার ছাত্রসমাজ। কোনো ছাত্রনেতার কণ্ঠে এমন বক্তব্য কতটা শোভনীয়? এমন বক্তব্যে তো সন্ত্রাসের প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। নেত্রীর নির্দেশের জন্যও তারা অপেক্ষা করতে চাইছে না। কিন্তু এতটা অধৈর্য ও উত্তেজনার কারণ কী? এমন আচরণের মাধ্যমে কি কোনো কিছু অর্জন করা যায়? ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপলব্ধি করতে হবে যে, সত্য প্রতিষ্ঠা কিংবা সমাজের উন্নয়নে আদর্শ, ন্যায় ও শৃঙ্খলার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এক্ষেত্রে উদাহরণ সৃষ্টি করতে সক্ষম হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, উক্ত সমাবেশে আসার আগে তাদের আচরণের কথাও উল্লেখ করা যায়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সমাবেশে যেতে না চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব হলে শনিবার গভীর রাতে কয়েকজন ছাত্রীর কক্ষে ছাত্রলীগ নেত্রীরা তালা লাগিয়ে দেয়। আরেক অভিযোগে বলা হয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পরিবহনের বাস ছাত্রলীগের সমাবেশের কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব আচরণ আদর্শনিষ্ঠ মেধাবী ছাত্রদের আচরণ হতে পারে না। আমরা আশা করবো, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য উপলব্ধির চেষ্টা করবে। ছাত্রলীগের উজ্জ্বল ইতিহাসের প্রতি মনোনিবেশ করলেও বর্তমান সময়ের ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে পরিবর্তন আসতে পারে। আমরা চাইবো, বর্তমানের ছাত্রলীগ অতীতের ছাত্রলীগের উজ্জ্বল পতাকাকে উড্ডীন রেখে এগিয়ে যাক। তবে এক্ষেত্রে ছাত্রলীগের মুরুব্বীদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর সরকার যদি অনুরাগ ও বিরাগের ভূমিকা পরিহার করে ন্যায়নিষ্ঠ আচরণ করে, তবে তা-ও হবে ছাত্রলীগের জন্য কল্যাণকর।

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads