আজ থেকে ৩৬ বছর আগে ঐতিহাসিক প্রয়োজনে ও
অনিবার্য বাস্তবতায় সেনাবাহিনী থেকে রাজনীতিতে আসা জিয়াউর রহমান মহান আল্লাহর
প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও সামাজিক ন্যায়বিচারকে মূল নীতি করে এবং ১৯ দফা
কর্মসূচিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। সেই
থেকে বিএনপি জনপ্রিয় ও গণমানুষের একটি রাজনৈতিক দল। নেতাকর্মী-সমর্থক ও
শুভানুধ্যায়ীদের শ্রম, মেধা আর ভালোবাসায় দলটি তার সংগ্রাম
অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপির নেতৃত্বে পাঁচবার সরকার গঠিত হয়েছে।
বিএনপি বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে; সেই
সুযোগে সুবৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগও রাজনীতি করার অধিকার পেয়েছে। বিএনপি
সংবাদপত্রের স্বাধীনতা দিয়েছে। পরবর্তীকালে বিএনপি বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র
প্রতিষ্ঠা করেছে। পপাতহীন ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বিধান করেছে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক
সরকারব্যবস্থার।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি এক অসাধারণ ভূমিকা পালনকারী রাজনৈতিক দল, যা দিয়েছে অনন্য নেতৃত্ব। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের কিছু ক্রান্তিলগ্ন বিএনপিকে পার হতে হয়েছে এবং সেটি করেছেও সফলতার সাথে। যুগোপযোগী অর্থনৈতিক নীতি ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের মর্যাদা, ভূখণ্ডকেন্দ্রিক জাতীয় পরিচয় ও জাতীয়তাবাদের দর্শন সমুন্নতকরণের মাধ্যমে বিএনপি রাজনীতিতে একটি বলয় বা প্লাটফর্ম সৃষ্টিতে সম হয়, যা আমাদের জাতীয় জীবনে আনে গুণগত পরিবর্তন।
বিএনপির রাজনীতির মূল স্পিরিট ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। নৃতাত্ত্বিক ও আদর্শিক চেতনামিশ্রিত স্বতন্ত্র রূপ ও পরিচয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে জিয়া প্রবর্তন করেন ‘বাংলাদেশী জতীয়তাবাদ’। এর ভিত্তি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইতিহাসবোধ, অনুভূতি ও বিশ্বাস।
বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ নানা ধর্মের মানুষ বাস করে। চাকমা, মারমা, উর্দুভাষীসহ অনেক ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বাস করে। সেই অর্থে তারা সবাই বাংলাদেশী। এখানেই সবার জাতীয় পরিচয় ও জাতীয় স্বার্থ নিহিত। এর মাধ্যমে আমাদের জাতিসত্তার একটা সুস্পষ্ট কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশকে নিয়ে জিয়ার সুস্পষ্ট ভিশন ও পরিকল্পনা ছিল। এ ল্েয তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। আর এ তিনটি খাত হলো কৃষি, জনশক্তি ও তৈরী পোশাক শিল্প। জনশক্তি কাজে লাগাতে ও শিল্প বিকাশে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করার উদ্যোগ নেন জিয়া। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত পররাষ্ট্রনীতি এবং ভিশন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়। শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি প্রেরণ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় তৈরী পোশাক রফতানি। এর ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তৈরী পোশাক শিল্প ও জনশক্তি রফতানি। ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক উন্নত না করলে এটি সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশই আসে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে।
১৯৭৮ সালে সৌদি আরবে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের জনশক্তির বাজার সম্প্রসারণ হতে থাকে। প্রায় এক কোটির মতো বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে কর্মরত। বিএনপি মতায় না থাকলে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। বন্ধ হয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক প্রেরণ। বর্তমানেও তা দেখা যাচ্ছে।
স্বনির্ভর দেশ গড়তে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে জিয়া ঘোষণা করেন ১৯ দফা কর্মসূচি। এটি বিএনপির রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ। জিয়া বিএনপির মাধ্যমে এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মাঠে-ঘাটে ও পথে-প্রান্তরে। আমাদের কৃষিভিত্তিক সভ্যতা ও অর্থনীতির স্বকীয় রূপ ফুটে উঠেছিল ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে। জিয়া গ্রামের পর গ্রাম, মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন। নিজের হাতে কোদাল তুলে নিয়েছেন, খনন করেছেন খাল; তার দুই হাতের ছোঁয়ায় ফসলে ফসলে মাঠ ভরপুর হয়ে উঠেছিল, ঘটেছিল কৃষি বিপ্লব। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ পাওয়া দেশ পরিণত হয়েছিল ফুল, ফল ও ফসলে ভরপুর এক জনপদে। স্বনির্ভর গ্রাম ও স্বনির্ভর দেশ গড়তে জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অপরিহার্য দিকনির্দেশনা হয়ে আছে।
জিয়াউর রহমান রেখে গেছেন এক স্বর্ণোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার আদর্শ, সততা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তাচেতনা অনিঃশেষ প্রেরণা হয়ে আছে আমাদের জাতীয় জীবনে। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন বড় কিছু করতে। তার চিন্তাভাবনা ছিল সুদূরপ্রসারী। জিয়ার আদর্শ ও দিগ-দর্শন বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতেকলমে শিা নিতে ও দিতে হবে। তিনি চেয়েছিলেন বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি রাজনৈতিক শিালয়ও হবে। শুধু মতায় যাওয়ার জন্য জিয়া এই দলের জন্ম দেননি; এর আলোকে জাতি গঠন, ত্যাগী, কর্মঠ ও দ মানুষ গড়ে তোলাও তার ল্য ছিল।
পৃথিবীতে এক সময় শিল্পে যারা এগিয়েছিল, তারাই আজ বিশ্ব শাসন করছে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিতে যারা এগিয়ে থাকবে, আগামীতে তারাই বিশ্ব শাসন করবে। বিএনপিকে এটা মনে রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। চৌকস সংগঠকদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। বিএনপির প্রেস উইংকে করতে হবে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী। দেশ গড়তে সফল হলেও, নিজ দলের প্রতি বিএনপি থেকেছে উদাসীন। একটি দক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তোলার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পেয়েও বিএনপি তা কাজে লাগাতে সমর্থ হয়নি।
বিএনপি জিয়ার এক অনন্য সৃষ্টি। সব বিঘেœর প্রাচীর চূর্ণ করে বিএনপি পৌঁছে গিয়েছিল সাফল্যের শীর্ষতম বিন্দুতে। বিএনপি ও জিয়া পরিণত হয়েছিলেন অভিন্ন সত্তায়। জনপ্রিয়তার সাথে সাথে সৃষ্টিশীলতার সংমিশ্রণ জিয়ার প্রধানতম কৃতিত্ব। ইতিহাস জিয়া ও বিএনপিকে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছে, জিয়াও তেমনিভাবে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। দারিদ্র্য, রাজনৈতিক সঙ্কট, আর্থসামাজিক ঝড় পেরিয়ে জিয়া যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন, সেটা বিশ্বজয়ের চেয়ে কম কৃতিত্বের নয়। দর্শনচিন্তা, সাংগঠনিক চিন্তা, রাজনৈতিক চিন্তা, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির মাধ্যমে জিয়া জানিয়ে গেছেন তার বহুমাত্রিক প্রতিভা ও কৃতিত্বের জগৎ সম্পর্কে। তাই জিয়ার জন্ম দেয়া বিএনপি স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের সোনালি পাতায়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বিএনপি এক অসাধারণ ভূমিকা পালনকারী রাজনৈতিক দল, যা দিয়েছে অনন্য নেতৃত্ব। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের কিছু ক্রান্তিলগ্ন বিএনপিকে পার হতে হয়েছে এবং সেটি করেছেও সফলতার সাথে। যুগোপযোগী অর্থনৈতিক নীতি ও স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় মূল্যবোধের মর্যাদা, ভূখণ্ডকেন্দ্রিক জাতীয় পরিচয় ও জাতীয়তাবাদের দর্শন সমুন্নতকরণের মাধ্যমে বিএনপি রাজনীতিতে একটি বলয় বা প্লাটফর্ম সৃষ্টিতে সম হয়, যা আমাদের জাতীয় জীবনে আনে গুণগত পরিবর্তন।
বিএনপির রাজনীতির মূল স্পিরিট ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’। নৃতাত্ত্বিক ও আদর্শিক চেতনামিশ্রিত স্বতন্ত্র রূপ ও পরিচয় রাষ্ট্রীয়ভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে জিয়া প্রবর্তন করেন ‘বাংলাদেশী জতীয়তাবাদ’। এর ভিত্তি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ইতিহাসবোধ, অনুভূতি ও বিশ্বাস।
বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানসহ নানা ধর্মের মানুষ বাস করে। চাকমা, মারমা, উর্দুভাষীসহ অনেক ভাষা ও নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের জাতি-গোষ্ঠীর মানুষ বাংলাদেশ ভূখণ্ডে বাস করে। সেই অর্থে তারা সবাই বাংলাদেশী। এখানেই সবার জাতীয় পরিচয় ও জাতীয় স্বার্থ নিহিত। এর মাধ্যমে আমাদের জাতিসত্তার একটা সুস্পষ্ট কাঠামো প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশকে নিয়ে জিয়ার সুস্পষ্ট ভিশন ও পরিকল্পনা ছিল। এ ল্েয তিনটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন তিনি। আর এ তিনটি খাত হলো কৃষি, জনশক্তি ও তৈরী পোশাক শিল্প। জনশক্তি কাজে লাগাতে ও শিল্প বিকাশে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নত করার উদ্যোগ নেন জিয়া। তার রাষ্ট্রনায়কোচিত পররাষ্ট্রনীতি এবং ভিশন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ-আমেরিকার সাথে বাংলাদেশের ব্যবসাবাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত হয়। শুরু হয় মধ্যপ্রাচ্যে জনশক্তি প্রেরণ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় তৈরী পোশাক রফতানি। এর ধারাবাহিকতায় আজ বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে তৈরী পোশাক শিল্প ও জনশক্তি রফতানি। ইউরোপ-আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের সাথে সম্পর্ক উন্নত না করলে এটি সম্ভব হতো না। বাংলাদেশের রফতানি আয়ের ৯০ শতাংশই আসে আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে।
১৯৭৮ সালে সৌদি আরবে জনশক্তি রফতানির মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ব শ্রমবাজারে প্রবেশ করে। এরপর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ এবং ইউরোপ-আমেরিকায় বাংলাদেশের জনশক্তির বাজার সম্প্রসারণ হতে থাকে। প্রায় এক কোটির মতো বাংলাদেশী বিভিন্ন দেশে কর্মরত। বিএনপি মতায় না থাকলে বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। বন্ধ হয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক প্রেরণ। বর্তমানেও তা দেখা যাচ্ছে।
স্বনির্ভর দেশ গড়তে এবং অর্থনৈতিক মুক্তি আনতে জিয়া ঘোষণা করেন ১৯ দফা কর্মসূচি। এটি বিএনপির রাজনীতির অন্যতম স্তম্ভ। জিয়া বিএনপির মাধ্যমে এই কর্মসূচিকে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন মাঠে-ঘাটে ও পথে-প্রান্তরে। আমাদের কৃষিভিত্তিক সভ্যতা ও অর্থনীতির স্বকীয় রূপ ফুটে উঠেছিল ১৯ দফা কর্মসূচির মাধ্যমে। জিয়া গ্রামের পর গ্রাম, মাইলের পর মাইল হেঁটেছেন। নিজের হাতে কোদাল তুলে নিয়েছেন, খনন করেছেন খাল; তার দুই হাতের ছোঁয়ায় ফসলে ফসলে মাঠ ভরপুর হয়ে উঠেছিল, ঘটেছিল কৃষি বিপ্লব। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ পাওয়া দেশ পরিণত হয়েছিল ফুল, ফল ও ফসলে ভরপুর এক জনপদে। স্বনির্ভর গ্রাম ও স্বনির্ভর দেশ গড়তে জিয়ার ১৯ দফা কর্মসূচি বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে অপরিহার্য দিকনির্দেশনা হয়ে আছে।
জিয়াউর রহমান রেখে গেছেন এক স্বর্ণোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তার আদর্শ, সততা, কর্মোদ্যোগ ও চিন্তাচেতনা অনিঃশেষ প্রেরণা হয়ে আছে আমাদের জাতীয় জীবনে। তিনি মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছেন বড় কিছু করতে। তার চিন্তাভাবনা ছিল সুদূরপ্রসারী। জিয়ার আদর্শ ও দিগ-দর্শন বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতেকলমে শিা নিতে ও দিতে হবে। তিনি চেয়েছিলেন বিএনপি শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়, এটি রাজনৈতিক শিালয়ও হবে। শুধু মতায় যাওয়ার জন্য জিয়া এই দলের জন্ম দেননি; এর আলোকে জাতি গঠন, ত্যাগী, কর্মঠ ও দ মানুষ গড়ে তোলাও তার ল্য ছিল।
পৃথিবীতে এক সময় শিল্পে যারা এগিয়েছিল, তারাই আজ বিশ্ব শাসন করছে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তিতে যারা এগিয়ে থাকবে, আগামীতে তারাই বিশ্ব শাসন করবে। বিএনপিকে এটা মনে রেখেই পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। চৌকস সংগঠকদের কাজ করার সুযোগ করে দিতে হবে। বিএনপির প্রেস উইংকে করতে হবে যুগোপযোগী ও শক্তিশালী। দেশ গড়তে সফল হলেও, নিজ দলের প্রতি বিএনপি থেকেছে উদাসীন। একটি দক্ষ রাজনৈতিক দল হিসেবে গড়ে তোলার যথেষ্ট সময় ও সুযোগ পেয়েও বিএনপি তা কাজে লাগাতে সমর্থ হয়নি।
বিএনপি জিয়ার এক অনন্য সৃষ্টি। সব বিঘেœর প্রাচীর চূর্ণ করে বিএনপি পৌঁছে গিয়েছিল সাফল্যের শীর্ষতম বিন্দুতে। বিএনপি ও জিয়া পরিণত হয়েছিলেন অভিন্ন সত্তায়। জনপ্রিয়তার সাথে সাথে সৃষ্টিশীলতার সংমিশ্রণ জিয়ার প্রধানতম কৃতিত্ব। ইতিহাস জিয়া ও বিএনপিকে যেভাবে কাছে টেনে নিয়েছে, জিয়াও তেমনিভাবে সৃষ্টি করেছেন ইতিহাস। দারিদ্র্য, রাজনৈতিক সঙ্কট, আর্থসামাজিক ঝড় পেরিয়ে জিয়া যে জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছেন, সেটা বিশ্বজয়ের চেয়ে কম কৃতিত্বের নয়। দর্শনচিন্তা, সাংগঠনিক চিন্তা, রাজনৈতিক চিন্তা, কৃষি, শিল্প, সাহিত্য-সংস্কৃতির মাধ্যমে জিয়া জানিয়ে গেছেন তার বহুমাত্রিক প্রতিভা ও কৃতিত্বের জগৎ সম্পর্কে। তাই জিয়ার জন্ম দেয়া বিএনপি স্থান করে নিয়েছে ইতিহাসের সোনালি পাতায়।
মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন