সোমবার, ২৫ জুন, ২০১২

মন্ত্রীদের আতঙ্ক ধরা পড়ে গেছে




আগেও লিখেছি দু-একবার। নিশুতি রাতের আঁধারে জনহীন পথে একা চলতে সবারই গা ছমছম করে। নিজেকে সাহস দেয়ার আশায় পথিক তখন শিষ দিতে কিংবা হেঁড়ে গলায় বেসুরো গান গাইতে শুরু করে। ইংরেজিতে বলে ‘হুইসলিং ইন দ্য ডার্ক’।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রীদের হয়েছে সে হাল। সামনে তারা অন্ধকার দেখছেন। মনে হচ্ছে উন্মাদ ছাড়া বাংলাদেশে আর কেউ তাদের ভোট দেবে না। সরকার আওয়ামী লীগ মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের জন্য দুর্নীতির ‘ওজিএল’ (ওপেন জেনারেল লাইসেন্স) খুলে দিয়েছে। দুর্নীতি করে তারা কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা মওজুদ করছেন। ওয়াডরোবে কিংবা ডিপ ফ্রিজারে মওজুদ করে রেখেছেন কি না কে জানে। তবে তারা আশা করছেন সে টাকার জোরে ভোট কিনে আগামী নির্বাচনে জয়ী হবেন তারা। তা ছাড়া নীলনকশার সাজানো নির্বাচনের ‘সেফটি নেট’ তো আছেই। যে কথাটা তারা ভুলে যাচ্ছেন সেটা এই যেÑ বাংলাদেশের মানুষ জানে টাকা নিলেও দুর্নীতিবাজকে ভোট দেয়া তাদের নৈতিক কর্তব্য নয়।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা সেটা বোঝেন। তবু চেষ্টা করে দেখতে দোষ কী? ডুবন্ত মানুষ কি খড়কুটো ধরেও বাঁচতে চায় না? নিজেদের সাহস দিতে গিয়ে যেসব কথা তারা বলছেন সেগুলো অন্ধকারে শিষ দেয়ার মতোই করুণ শোনায়। কথাগুলো এতই অসত্য, বানোয়াট আর বাস্তববিমুখ যে শিশুতেও তা বোঝে। বিজ্ঞরা মনে করেন ‘বিধাতা যাকে ধ্বংস করতে চান তাকে আগে পাগল করে দেন’। আর সাধারণ লোক? তাদের রায় হচ্ছে ‘পাগলে কী না বলে, ছাগলে কী না খায়’?
প্রভুর পদলেহন আর বিরোধী দলের প্রতি সন্ত্রাসীসুলভ হুমকির জন্য পদোন্নতিপ্রাপ্ত দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, শেখ হাসিনাকে আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় আনা জরুরি। পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেছেন, বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানের সাংবাদিকেরা অনেক বেশি স্বাধীন। সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে চলে যেতে হবে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ বলেছেন, নির্বাচনের আগে যত প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি পালন করেছেন। 
প্রধানমন্ত্রী আর-আর মানুষের মতো নন। তার জগৎ কল্পনার রাজ্যে। কল্পনার বুদ্বুদ সৃষ্টি করে তার ভেতর বাস করেন তিনি। মনে মনে তার কল্পনার অর্জন সীমাহীন। বলা হয়ে থাকে যে ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’। অর্জনগুলোও আছে তার কল্পনায়। সাধারণ মানুষ সাদা চোখে তার প্রমাণ পায় না।
সারা বাংলাদেশের মানুষের মনে আছে ১০ টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে। পত্রপত্রিকায় সে প্রতিশ্রুতির ভূরি ভূরি বিবরণ ছাপা হয়েছিল। গদি পেয়ে সাফ অস্বীকার করেছেন যে সেসব কথা তিনি বলেননি।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের প্রতিশ্রুতিগুলোও কি অস্বীকার করছেন? সে ইশতেহারে দ্রব্যমূল্য সামালের মধ্যে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল যে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান করা হবে, কৃষককে বিনামূল্যে সার দেয়া হবে, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা হবে ইত্যাদি। সরকারপ্রধান কি তার দলের নির্বাচনী ইশতেহার খুলে দফাওয়ারি চিহ্নিত করবেন কোন কোন প্রতিশ্রুতি তিনি পালন করতে পেরেছেন?
তথ্য-উপাত্ত এখনো নষ্ট হয়নি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতা লাভের সময় চাল-ডাল-তেল-নুনের কী দাম ছিল এবং দাম এখন কী হয়েছে একবার খতিয়ে দেখবেন প্রধানমন্ত্রী? আর-আর নিত্যব্যবহার্য পণ্যের দাম? বাংলাদেশের সব মানুষ এখন জানে দফায় দফায় মূল্য বাড়িয়ে সিন্ডিকেটগুলো দেশের মানুষের সব কিছু শুষে নিয়েছে। সব সিন্ডিকেটই সরকারের ঘনিষ্ঠ মহলগুলোর নিয়ন্ত্রণে, কোনো কোনোটি আবার ক্ষমতাধরদের নিকটাত্মীয়দের নিয়ন্ত্রণে বলে শোনা যায়।
রাতারাতি বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশকে’ উদ্ভাসিত করে দেয়ার আশায় রাষ্ট্রীয় কোষাগারের কুলুপ খুলে দিয়েছিল। বিনা টেন্ডারে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ দেয়া হয়েছে গুটিকয় পারিবারিক বাণিজ্যিক গোষ্ঠীকে। এই গোষ্ঠীগুলোও সরকারের ঘনিষ্ঠ বলে তখন জানা গিয়েছিল। বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির পরিবর্তে তার অবনতিই হচ্ছে। ৪০-৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস গরমেও মানুষ ফ্যান ব্যবহার করতে পারছে না। ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার জন্য বিজলি বাতি ব্যবহার করতে পারছে না। কলকারখানা প্রায়ই অচল পড়ে থাকছে। উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দ্বিগুণ-তিন গুণ দামে বিদ্যুৎ বিক্রির প্রস্তাব দিয়ে সরকার উল্টো তাদের অপমান করছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে পর্বতপ্রমাণ দুর্নীতি সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন সাংবাদিক দম্পতি মেহেরুন রুনি আর সাগর সরওয়ার। তাদের ল্যাপটপ কম্পিউটারে সঞ্চিত ছিল সেসব বিবরণ। রাতের বেলায় শোবার ঘরে পাঁচ বছরের ছেলেটির সামনে জঘন্যভাবে তাদের খুন করা হলো। তাদের ল্যাপটপটি খোয়া গেল, আর কোনো জিনিস নয়। অমার্জিত বক্তব্য দিতে অভ্যস্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খুনিদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দিলেন। তারপর সে দায়িত্ব নিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তদন্তের দায়িত্ব প্রথমে ছিল পুলিশের ওপর। হাইকোর্টের নির্দেশে সে দায়িত্ব হস্তান্তরিত হলো র‌্যাবের কাছে। পাঁচ মাস বিগত হলেও তদন্তে এখনো নাকি কোনো কু পাওয়া যায়নি।
আপনাদের কারো বিশ্বাস হয় সে কথা? বাংলাদেশের কোন ঘরে কী হচ্ছে, সরকারের বিরুদ্ধে কে কী বলছে, পুলিশ, র‌্যাব সব কিছু জানতে পারছে, সরকারের হাজার হাজার বিরোধী আর সমালোচককে ধরে ধরে তারা জেলে পুরছে, গুম করে ফেলছে কাউকে কাউকে। অথচ সে পুলিশ আর র‌্যাব নাকি এমন জঘন্য হত্যার কোনো ‘কু’ও আবিষ্কার করতে পারছে নাÑ কেউ বিশ্বাস করবে সে কথা? এখন আর কারো জানতে বাকি নেই যে সরকার ও শাসক দলের ঘনিষ্ঠদের দুর্নীতি-অপরাধের বেলায় পুলিশ আর র‌্যাব সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে যায়।

মন্ত্রীদের গুণপনার স্যাম্পল
প্রধানমন্ত্রী তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন। এত বিদ্যুৎ তিনি উৎপাদন করছেন কিন্তু সে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কোথায়? কানে কানে প্রধানমন্ত্রীকে রহস্যটা বলে দিতে পারি। তার সরকারের প্রথম দুই বছরে সিন্ডিকেটগুলো যেমনÑ চাল-ডাল-ভোজ্যতেল ইত্যাদি মজুদ করে রেখে দাম বাড়াতো, সেভাবে দাম বাড়ানোর জন্য তারাই হয়তো প্রধানমন্ত্রীর উৎপাদিত বিদ্যুৎ গুদামঘরে মজুদ করে রাখছে।
বাংলাদেশের সব মানুষ জানে বর্তমান সরকার কারো পরামর্শ শোনেন না (পাশের দেশের পৃষ্ঠপোষকদের ছাড়া)। এমন কাউকে মন্ত্রিসভায় দেখি না যারা সরকার প্রধানকে পরামর্শ দেয়ার যোগ্যতা কিংবা সাহস রাখে। মনে হয় যেন মন্ত্রী হওয়ার এক নম্বর যোগ্যতা পদলেহন। সুতরাং বিচিত্র নয় যে মন্ত্রীরা মুখ খুললেই তাদের জ্ঞানবুদ্ধি এবং সুরুচির অভাব ফাঁস হয়ে যায়। 
একটা ‘স্যাম্পল’ হলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ। কর্মজীবন শেষ হলে ঘোড়াকে অবসর দিয়ে মাঠে ঘাস খেতে ছেড়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও সে রকম প্রায়-অবসরেই আছেন। কাজকর্ম চালাচ্ছেন এবং হুমকি-হুঙ্কার দিচ্ছেন এখন যুগ্ম সম্পাদক হানিফ। তিনি বলেছেন শেখ হাসিনাকে আরো দুই টার্ম ক্ষমতায় আনা জরুরি। কিন্তু দেশের মানুষ তো সে অভিলাষ পোষণ করে না। তাদের কথা কি একবারও হানিফের মনে হয়? তারা কেন ভোট দিয়ে আবার তাদের নির্বাচিত করবে? একটা গ্রহণযোগ্য কারণও কি হানিফ দেখাতে পারেন?
আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও সে গাছে কদলি ফলে না। সাম্প্রতিক কালে মিডিয়ার খবর অনুসারে পাটমন্ত্রীর সম্পদের অনেক স্ফীতি ঘটেছে। তিনি বলেছেন, ‘বিগত দিনের চেয়ে বর্তমানের সাংবাদিকেরা অনেক বেশি স্বাধীন’। আর কোনো দেশে অবশ্যই হতে পারে, কিন্তু বাংলাদেশে মোটেই নয়। রুনি আর সাগর সাংবাদিক দম্পতির মর্মান্তিক খুনের কথা আগেই বলা হলো। গত এপ্রিল পর্যন্ত বর্তমান সরকারের ৪০ মাসে ১৪ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন পেশাগত কারণে। এ সময়ের মধ্যে মূলত শাসকদলের গুণ্ডা-পাণ্ডারা ৬২১ জন সাংবাদিকের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে, তাদের মধ্যে আহত হয়েছেন ৪২৩ জন। এ সময়ের মধ্যে ৫২ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তার পরও আরো নিপীড়নের অনেক ঘটনা ঘটেছে। গত সপ্তাহে যশোরে সাংবাদিক জামাল উদ্দিন খুন হয়েছেন। আমার দেশ পত্রিকা, সে পত্রিকার সাংবাদিক ও বিশেষ করে সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের ওপর সরকারের আক্রোশ তীব্রতম। চলতি সপ্তাহের শুরুতে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আরো একটি মানহানির অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, বিলেতে প্র্যাকটিসরত ২০ জন বাংলাদেশী আইনজীবীকেও তলব করা হয়েছে একই অভিযোগে। বাংলাদেশের এক শ্রেণীর পেশাজীবীর কথায় কথায় মানহানি ঘটে। অর্থাৎ তাদের সম্মানবোধ এতই ভঙ্গুর যে আদৌ আছে কি না সন্দেহ হতে পারে। 

দেশ বিক্রির মাস জুন
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে তাদের পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে। রোগটা এখন ছোঁয়াচে হয়ে গেছে বলেই মনে হয়। শেখ হাসিনার পুরনো কথার ধুয়া ধরে সাজেদা চৌধুরীও এখন খালেদা জিয়াকে পাকিস্তানে চলে যেতে বলেছেন। কিন্তু পাকিস্তানে যাবেন কেন খালেদা জিয়া?Ñ যিনি দেশের মানুষের ভোটে তিনবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন এবং যিনি বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা? তার চেয়ে আওয়ামী লীগের নেতানেত্রীরা ভারতে চলে গেলেই বেশি ভালো হয় না কি? একাত্তরে তারা পাশের দেশের রাষ্ট্রীয় অতিথি হয়েছিলেন, তারা কথা বলেন এক চোখের দৃষ্টি ভারতের দিকে নিবদ্ধ রেখে। তারা সে দেশে চলে গেলে দেশের মানুষের হাড় জুড়ায়।
এখন জুন মাস। এ মাসটা বাংলার মানুষের জন্য অশুভ। বিশেষ করে এ মাসের ২৩ তারিখ। ১৭৫৭ সালের এ তারিখে মীরজাফর গং বাংলার স্বাধীনতা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল। ১৯২ বছর পর এই তারিখটাকেই বেছে নেয়া হয়েছিল আওয়ামী লীগের পূর্বসূরি আওয়ামী মুসলিম লীগের পত্তনের জন্য। সে দলের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে দিল্লিতে গিয়ে কিছু গোপন চুক্তি করে এসেছিলেন। সেসব চুক্তির বিবরণ আমরা জানতে পারিনি কিন্তু তার প্রতিফল এখন উন্মুক্ত হচ্ছে পরতে পরতে। 
প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে যে বাংলাদেশের ভূমি, এ দেশের সড়ক, রেলপথ, নদীপথ আর সমুদ্রবন্দরগুলোর অবাধ ব্যবহার ভারতকে দান করে ছিলেন বর্তমান সরকার ২০১০ সালে। এখন সেসব উপহার ভারত ‘ক্যাশ-ইন’ করতে যাচ্ছে। মাত্র কিছু দিন আগে আওয়ামী লীগ ‘সমুদ্র বিজয়’ উদযাপন করেছে। এখন জানা যাচ্ছে যে বঙ্গোপসাগরের একটা উল্লেখযোগ্য এলাকা বরং বাংলাদেশের হাতছাড়া হয়ে গেছে। মাহবুব-উল-আলম হানিফের মনোবাঞ্ছা যদি পূর্ণ হয়, তারা যদি আরো দুই মেয়াদে ক্ষমতাসীন হন, বাংলাদেশের মানুষের লুঙ্গি-গামছাও আর অবশিষ্ট থাকবে না।
দেশের মানুষ সেটা ভালো করেই জানে। সরকারও জানে যে মানুষ আর আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে না। সে জন্যই তারা হাজারে হাজারে, লাখে লাখে খালেদা জিয়ার কণ্ঠে গণতন্ত্রের কথা শুনতে ছুটে আসে। তাতে সরকার ও মন্ত্রীদের আতঙ্ক হচ্ছে, হৃদকম্পন শুরু হয়েছে। তাতেই বিরোধী দলকে তাদের বক্তব্য বলার জন্য সভা-সমাবেশের স্থান দেয়া হচ্ছে না, দেয়া হচ্ছে না মাইক্রোফোন ব্যবহারের অনুমতি। বিরোধী দলের মিছিলের ওপর র‌্যাব-পুলিশ আর গুণ্ডা বাহিনীকে লেলিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার ভেবে নিয়েছিল সড়কে বাস আর নদীতে লঞ্চ চলা বন্ধ করে দিলে খালেদা জিয়ার সভায় মানুষ হবে না। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উল্টো ব্যাপার। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রীদের হৃদকম্পনের এই হচ্ছে কারণ। সে জন্যই তারা আবোল-তাবোল বকছেন। 
লন্ডন, ২০.০৬.১২
serajurrahman34@gmail.com

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads