বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বড় ছেলে মাওলানা রাফীক বিন সাঈদী (৪৭) গতকাল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ...রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি মা-বাবা, স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার এই আকস্মিক ইন্তেকালে সর্বমহলে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আজ বিকাল ৫টায় রাজধানীর মতিঝিল সরকারি হাইস্কুল মাঠে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে উপস্থিতির জন্য তার বাবা মাওলানা সাঈদীর প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগের মামলায় আটক বাবা মাওলানা সাঈদীর শুনানির সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে রাফীক বিন সাঈদী উপস্থিত ছিলেন। শুনানির আগে বাবার সঙ্গে কিছু সময় কথাও বলেন তিনি। শুনানির বিরতিকালে তিনি এজলাস কক্ষে হঠাত্ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাইরে নিয়ে গাড়িতে বসানো হয়। গাড়িতে বসা অবস্থাতেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তার ভাই মাসুদ বিন সাঈদী দ্রুত তাকে বারডেম হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিত্সকরা দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারেননি। পৌঁনে তিনটার দিকে চিকিত্সকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাওলানা সাঈদীর বিচার চলাকালে তার ৪ ছেলের সবাই আদালতে হাজির থাকেন। গতকালও যথারীতি অপর তিন ভাইয়ের সঙ্গে আদালতে হাজির ছিলেন রাফীক। বাবার মামলা নিয়ে তিনি সব সময় চিন্তিত থাকতেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের সেফ হোমের কর্মকর্তাদের তথ্য জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি মামলার রায় স্থগিত হওয়ায় তিনি খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েন। বাবার মতো রাফীক বিন সাঈদীও এরই মধ্যে দেশে-বিদেশে তাফসির ও ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে সুবক্তা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দিগন্ত টেলিভিশনে ‘সরল পথ’ নামের একটি ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। মাস খানেক আগে তিনি আমেরিকায় সফরে যাওয়ার সময় সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাধা দেয়া হয়। পরে তিনি আদালতের নির্দেশে সে দেশ সফর করে আসেন।
মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর আকস্মিক মৃত্যুর খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, আইনজীবী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বারডেম হাসপাতালে ভিড় জমান। প্রিয়জনকে হারিয়ে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লে সেখানে একা হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তার লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বারডেম থেকে শাহজাহানপুরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার গাড়ির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমদ, মহানগর নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি ও মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনেকেই শাহজাহানপুরের বাসায় ভিড় করেন মরহুমের লাশ দেখার জন্য।
আজ জানাজা : পরিবারের এক সদস্য জানান, আজ বিকালে বাদ আসর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাফীক বিন সাঈদীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বর্তমানে কারাগারে থাকায় তার প্যারোলে মুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য গতকালই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্যারোলে মুক্তির পর বাবার ইমামতিতেই জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতেও জানাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথায় দাফন করা হবে তা মাওলানা সাঈদীর সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর মাওলানা সাঈদীর মা মারা যান। সে সময়ও তিনি ২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় ইমামতি করেন।
বিভিন্ন মহলের শোক : মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল। পৃথক শোকবার্তায় তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলা হয়, তার ইন্তেকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তিনি আজীবন ইসলামের জন্য কাজ করে গেছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, নায়েবে আমির অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ ও মাওলানা আবদুস সুবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক যৌথ শোকবাণীতে বলেন, রাফীক বিন সাঈদীর আকস্মিক ইন্তেকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তিনি ছিলেন আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন আলেমে দ্বীন। তিনি ইসলাম প্রচার ও আল্লাহর এ জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কারাগার থেকে মুক্ত করার কঠিন সংগ্রামে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। আর এ অবস্থায়ই তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। তার জীবনের সব নেক আমল কবুল করে আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। তারা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারপরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং শোক সহ্য করার তাওফিক প্রদান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। সেই সঙ্গে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দ্রুত মুক্তি প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া মরহুমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে আরও বাণী দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান আল-মাদানী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার, সুশীল ফোরামের সভাপতি মো. জাহিদ প্রমুখ।
মাওলানা সাঈদীর বিচার চলাকালে তার ৪ ছেলের সবাই আদালতে হাজির থাকেন। গতকালও যথারীতি অপর তিন ভাইয়ের সঙ্গে আদালতে হাজির ছিলেন রাফীক। বাবার মামলা নিয়ে তিনি সব সময় চিন্তিত থাকতেন। বিশেষ করে সম্প্রতি ট্রাইব্যুনালের সেফ হোমের কর্মকর্তাদের তথ্য জালিয়াতি সংক্রান্ত একটি মামলার রায় স্থগিত হওয়ায় তিনি খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েন। বাবার মতো রাফীক বিন সাঈদীও এরই মধ্যে দেশে-বিদেশে তাফসির ও ইসলামী ওয়াজ মাহফিলে সুবক্তা হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দিগন্ত টেলিভিশনে ‘সরল পথ’ নামের একটি ইসলামী অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করে বেশ জনপ্রিয় হয়েছিলেন। মাস খানেক আগে তিনি আমেরিকায় সফরে যাওয়ার সময় সরকারের পক্ষ থেকে তাকে বাধা দেয়া হয়। পরে তিনি আদালতের নির্দেশে সে দেশ সফর করে আসেন।
মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর আকস্মিক মৃত্যুর খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। খবর পেয়ে তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, আইনজীবী এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা বারডেম হাসপাতালে ভিড় জমান। প্রিয়জনকে হারিয়ে সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লে সেখানে একা হৃদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বিকাল সোয়া ৫টার দিকে তার লাশ একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে বারডেম থেকে শাহজাহানপুরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় তার গাড়ির সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক ও মিয়া গোলাম পরওয়ার, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মাওলানা রফিউদ্দিন আহমদ, মহানগর নায়েবে আমির হামিদুর রহমান আযাদ এমপি ও মাওলানা আবদুল হালিম, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পরে অনেকেই শাহজাহানপুরের বাসায় ভিড় করেন মরহুমের লাশ দেখার জন্য।
আজ জানাজা : পরিবারের এক সদস্য জানান, আজ বিকালে বাদ আসর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে রাফীক বিন সাঈদীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বর্তমানে কারাগারে থাকায় তার প্যারোলে মুক্তির চেষ্টা করা হচ্ছে। এজন্য গতকালই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করা হয়েছে। প্যারোলে মুক্তির পর বাবার ইমামতিতেই জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া পিরোজপুরে তার গ্রামের বাড়িতেও জানাজা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কোথায় দাফন করা হবে তা মাওলানা সাঈদীর সঙ্গে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, গত বছর মাওলানা সাঈদীর মা মারা যান। সে সময়ও তিনি ২ ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় ইমামতি করেন।
বিভিন্ন মহলের শোক : মাওলানা রাফীক বিন সাঈদীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মহল। পৃথক শোকবার্তায় তার আত্মার মাগফিরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলা হয়, তার ইন্তেকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তিনি আজীবন ইসলামের জন্য কাজ করে গেছেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবুল কালাম মুহাম্মদ ইউসুফ, নায়েবে আমির অধ্যাপক একেএম নাজির আহমাদ ও মাওলানা আবদুস সুবহান এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান এক যৌথ শোকবাণীতে বলেন, রাফীক বিন সাঈদীর আকস্মিক ইন্তেকালে জাতি একজন খ্যাতিমান আলেমে দ্বীনকে হারাল। তিনি ছিলেন আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিবেদিত প্রাণ একজন আলেমে দ্বীন। তিনি ইসলাম প্রচার ও আল্লাহর এ জমিনে আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের কারাগার থেকে মুক্ত করার কঠিন সংগ্রামে তিনি নিয়োজিত ছিলেন। আর এ অবস্থায়ই তিনি দুনিয়া থেকে চলে গেছেন। তার জীবনের সব নেক আমল কবুল করে আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। তারা মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারপরিজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং শোক সহ্য করার তাওফিক প্রদান করার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। সেই সঙ্গে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে দ্রুত মুক্তি প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়া মরহুমের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে আরও বাণী দিয়েছেন জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম বুলবুল, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহিউদ্দিন খান ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মসজিদ মিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. মাওলানা খলিলুর রহমান আল-মাদানী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল জব্বার, সুশীল ফোরামের সভাপতি মো. জাহিদ প্রমুখ।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন