নাশরাত চৌধুরী: সরকারি প্লট নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এখন আলোচনায়। মহাজোটের রাজনৈতিক শরিক হওয়ার সুবাদে এ সরকারের আমলে তিনি দু’টি প্লটের মালিক হয়েছেন। এর একটি সরকারি শিল্প প্লট। অন্যটি রাজউকের পূর্বাচলের আবাসিক প্লট। মেননের পূর্বাচলের প্লট নিয়ে কথা না উঠলেও ইতিমধ্যে তার শিল্প প্লট নিয়ে কথা উঠেছে এবং বেআইনিভাবেই ওই প্লট পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে একটি রিটের প্রেক্ষিতে বেআইনিভাবে শিল্প প্লট নেয়া ব্যক্তিদের আদালত তলব করেছে। ওই তালিকায় ২৬ জনকে ডাকা হয়েছে। বাদ পড়েছে তার নাম। হাইকোর্টের বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বেঞ্চ বেআইনিভাবে শিল্প প্লট পাওয়া ব্যক্তিদের তলব করেন। মন্ত্রণালয় থেকে বেআইনিভাবে প্লট পাওয়া ব্যক্তিদের তালিকায় রাশেদ খান মেননেরও নাম ছিল। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের ওই তালিকা থেকে পরে তার নাম বাদ দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে আলোচিত এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, রাশেদ খান মেনন হাতিরঝিল এলাকায় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে প্লট নিয়েছেন। তিনি সেখানে প্লট পেতে পারেন না। আমি তার প্লট পাওয়ার বিষয়টি জাতির সামনে তুলে এনেছি বলে তিনি আমাকে দেখতে পারছেন না। কিন্তু তাতে কি, তিনি প্লট নিয়েছেন- এটাই সত্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাশেদ খান মেননসহ মোট চারজন শিল্প প্লট পেয়েছেন ২০১০-১১ সালে। এই তালিকায় আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদেরকে প্লট দেয়ার জন্য নতুন করে চারটি প্লট বানানো হয়েছে। প্লট নম্বর হচ্ছে ১৩৩/১/ক, ১৩৩/১/খ, ১৯০/এ/১, ১৯০/এ/২। এ চারটি প্লটের প্রথমটির মালিক রাশেদ খান মেনন। এটি তিনি নিয়েছেন সুদীপ্ত প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে। এছাড়াও ১৩৩/১/খ প্লটটি পেয়েছেন নীলা কম্পিউটারের নামে, ১৯০/এ/১ প্লটের মালিক মাদার ক্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ও ১৯০/এ/২ প্লটের মালিক এশিয়া মার্শেল নামের একটি কোম্পানি। এ চারটি প্লট ওই এলাকায় নতুন করে তাদেরকে দেয়া হয়েছে। এই জন্য আশ্রয় নেয়া হয়েছে অনেক পেছনের ঘটনার। সূত্র জানায়, রাশেদ খান ও নীলা কম্পিউটারকে প্লট বরাদ্দ দিতে গিয়ে দেখানো হয়েছে তারা ১৭ বছর আগে টাকা জমা দিয়ে রেখেছেন। সেই হিসাবে তারা প্লট পেয়েছেন। ওই ১৭ বছর আগের দামেই তাদেরকে প্লট দেয়া হয়েছে। এ জন্য নতুন করে কোন টাকা নেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, বিএনপি সরকারের আমলে ৩০ লাখ টাকা করে বিঘা নিয়ে শিল্প প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও নতুন প্লটের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় দেড় যুগ আগের দাম হিসাবে। পানির দরেই তিনি প্লট পেয়েছেন।
সূত্র জানায়, ১৭ বছর আগে রাশেদ খান মেনন একটি শিল্প প্লট নেন তেজগাঁও লিঙ্ক রোডে। দখলও পেয়েছিলেন। ওই জমি তিনি দখলে রেখে ব্যবহারও করেছেন। ভোগদখল করা অবস্থায় ওই জমি তার বেহাত হয়ে গেছে। তার দাবি, বিএনপি সরকার আসার পর মির্জা আব্বাস গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হয়ে তার প্লটের বরাদ্দ বাতিল করেন। সূত্র জানায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মূল মালিক তার জায়গা দখল মুক্ত করে নিজের দখলে নেন। রাশেদ খান মেনন ১৭ বছর আগে যে শিল্প প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন তার মালিকানা দাবি করে কোর্টে মামলা করেছিলেন ওই মালিক। সেই মামলায় তিনি রায় পান। তবে জায়গা দখল নিতে পারেননি। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জায়গাটি ফিরিয়ে নেন। সূত্র জানায়, যখন ওই প্লট নিয়ে ঝামেলা চলছিল তখনই রাশেদ খান মেনন চিন্তা করেন এই প্লটটি হাতছাড়া হয়ে গেলেও যেন নতুন করে একটি প্লট পান। এই জন্য তিনি বিএনপি সরকারের আমলেও একটি শিল্প প্লট পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। মির্জা আব্বাস তার প্লট বাতিল করার পরও তিনি খুব চেষ্টা করেন একটি প্লট পাওয়ার জন্য। তবে ওই আমলে আর প্লট পাননি। এরপর তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও চেষ্টা করেন প্লট পাওয়ার জন্য, কিন্তু ব্যর্থ হন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি প্লট পাওয়ার জন্য আবার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা সূত্রে তিনি সরকারের কাছ থেকে দেড় যুগের আগের দামে শিল্প প্লট পান। নতুন পাওয়া ওই জমিতে তিনি এখন ভোগদখল করে আছেন তথাপি তার প্লট পাওয়ার বিষয়টি বেআইনি বলে দাবি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, বেআইনিভাবে পাওয়া প্লট তিনি রাখতে পারেন না।
হাতিরঝিল এলাকায় ওই প্লটটি পাওয়ায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ এ প্রকল্পে কাউকেই কোন প্লট দেয়ার কথা নয়। এক শিল্প প্লটের মালিক বলেন, নতুন করে যে চারটি শিল্প প্লট তৈরি করে দেয়া হয়েছে সেখানে হাতিরঝিল প্রকল্পের জায়গা থাকলেও থাকতে পারে। এটা কাগজ কলম দেখলেই বের করা সম্ভব। এডভোকেট মনজিল মোরসেদ অবশ্য রাশেদ খান মেননের প্লট হাতিরঝিলে বলেই দাবি করেন। তবে রাশেদ খান মেনন তার প্লট হাতিরঝিল প্রকল্পে নয় বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এটা পেয়েছি শিল্প প্লট হিসাবে। সেখানে হাতিরঝিলের কোন জায়গা নেই। আমার প্লট হাতিরঝিল প্রকল্প থেকে দূরেই আছে। তিনি বলেন, আমি নতুন করে কোন টাকা দেইনি। ১৭ বছর আগের প্লটের বদলি প্লট পেয়েছি। এই কারণে আমাকে নতুন প্লটের বরাদ্দপ্রাপ্ত ধরলে হবে না। আমি অনেক আগেরই প্লটের মালিক। এখন কেবল প্লট বদলি করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আরও একজন পেয়েছেন। তিনিও একইভাবে পেয়েছেন। অন্যরা পেলো ৩০ লাখ টাকা করে বিঘা আর আপনি পেলেন ১৭ বছরের আগের দামে- এটা কি ঠিক হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো বদলি পেয়েছি। তাই দামও বদলাবে না। তবে সাবেক এক এমপি, মন্ত্রী ও শিল্প প্লটের মালিক বলেন, আমরা যেখানে প্রতি বিঘা ৩০ লাখ টাকা ধরে প্লট পেয়েছি- সেখানে তিনি আমাদের পরে প্লট কি করে কম দামে পান? তিনি বদলি প্লটের কথা বলছেন, এটা কি হয় নাকি? কারণ তিনি তো প্লটটি নতুন করেই বরাদ্দ পেয়েছেন। সেখানে তার বদলি প্লটের হিসাব আসবে কেন। তার তো আগের বরাদ্দ বাতিল হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে তিনি অত কম দামে জমি পেতে পারেন না। তাহলে অন্য মালিকদের দোষ কোথায়? তার বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অনিয়ম হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারও করা হয়েছে।
রাশেদ খান মেননের নামে সাড়ে ছয় বিঘার প্লট পাওয়ার কথা উঠলে তিনি দাবি করেছেন, বিঘার মাপে নয়- কাঠার মাপে প্লট পেয়েছেন। তারটি ছয় থেকে সাড়ে ছয় কাঠার প্লট হবে। বিঘা নয়। তিনি অবশ্য তার প্লটের কোন নম্বর বলতে পারেননি।
এদিকে রাশেদ খান মেনন এখন কেবল একটি শিল্প প্লটের মালিক নন, তিনি একটি আবাসিক প্লটেরও মালিক। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পেও একটি প্লট পেয়েছেন তিনি। সেই প্লটের আয়তন দশ কাঠা। তিনি ওই প্লট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হন, তবে ওই প্লট পাওয়ার পর এখনও সব টাকা পরিশোধ করেননি বলে জানান। তিনি সংসদ সদস্য কোটাতেই প্লট পেয়েছেন। সূত্র জানায়, বেআইনিভাবে শিল্প প্লট যারা পেয়েছিলেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল- ওই তালিকায় রাশেদ খান মেননসহ নতুন বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লটের মালিকদের নাম থাকলেও পরে ওই নামগুলো বিশেষ কায়দা করে বাদ দেয়া হয়। এখন ওই তালিকায় এ সরকারের আমলে নতুন করে যারা প্লটের বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের নাম নেই। বিএনপি সরকারের আমলে যারা পেয়েছেন তাদের নামই রয়েছে। রাশেদ খান মেনন প্রভাব খাটিয়েই তা করাতে সক্ষম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, আমি কোন প্রভাব খাটাইনি। এবং বেআইনিভাবে প্লটও নেইনি। আমার বদলি প্লট আমি বুঝে পেরেছি। এ নিয়ে এত কথার কি আছে?
তিনি বলেন, আমার আর অন্য কোথাও কোন শিল্প প্লট নেই। তাই একটি প্লট তো পেতেই পারি। তবে একটি আবাসিক প্লট আমি রাজউকে থেকে নিয়েছি। যদিও দু’টি জমির ধরন ও প্রাপ্তির ধরন ভিন্ন। শিল্প প্লটের সঙ্গে পূর্বাচলের প্লটের কোন সম্পর্ক নেই।
এ প্রসঙ্গে আলোচিত এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, রাশেদ খান মেনন হাতিরঝিল এলাকায় সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেআইনিভাবে প্লট নিয়েছেন। তিনি সেখানে প্লট পেতে পারেন না। আমি তার প্লট পাওয়ার বিষয়টি জাতির সামনে তুলে এনেছি বলে তিনি আমাকে দেখতে পারছেন না। কিন্তু তাতে কি, তিনি প্লট নিয়েছেন- এটাই সত্য।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাশেদ খান মেননসহ মোট চারজন শিল্প প্লট পেয়েছেন ২০১০-১১ সালে। এই তালিকায় আরও তিনটি প্রতিষ্ঠানের নাম রয়েছে। তাদেরকে প্লট দেয়ার জন্য নতুন করে চারটি প্লট বানানো হয়েছে। প্লট নম্বর হচ্ছে ১৩৩/১/ক, ১৩৩/১/খ, ১৯০/এ/১, ১৯০/এ/২। এ চারটি প্লটের প্রথমটির মালিক রাশেদ খান মেনন। এটি তিনি নিয়েছেন সুদীপ্ত প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের নামে। এছাড়াও ১৩৩/১/খ প্লটটি পেয়েছেন নীলা কম্পিউটারের নামে, ১৯০/এ/১ প্লটের মালিক মাদার ক্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ও ১৯০/এ/২ প্লটের মালিক এশিয়া মার্শেল নামের একটি কোম্পানি। এ চারটি প্লট ওই এলাকায় নতুন করে তাদেরকে দেয়া হয়েছে। এই জন্য আশ্রয় নেয়া হয়েছে অনেক পেছনের ঘটনার। সূত্র জানায়, রাশেদ খান ও নীলা কম্পিউটারকে প্লট বরাদ্দ দিতে গিয়ে দেখানো হয়েছে তারা ১৭ বছর আগে টাকা জমা দিয়ে রেখেছেন। সেই হিসাবে তারা প্লট পেয়েছেন। ওই ১৭ বছর আগের দামেই তাদেরকে প্লট দেয়া হয়েছে। এ জন্য নতুন করে কোন টাকা নেয়া হয়নি। সূত্র জানায়, বিএনপি সরকারের আমলে ৩০ লাখ টাকা করে বিঘা নিয়ে শিল্প প্লট বরাদ্দ দেয়া হলেও নতুন প্লটের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে প্রায় দেড় যুগ আগের দাম হিসাবে। পানির দরেই তিনি প্লট পেয়েছেন।
সূত্র জানায়, ১৭ বছর আগে রাশেদ খান মেনন একটি শিল্প প্লট নেন তেজগাঁও লিঙ্ক রোডে। দখলও পেয়েছিলেন। ওই জমি তিনি দখলে রেখে ব্যবহারও করেছেন। ভোগদখল করা অবস্থায় ওই জমি তার বেহাত হয়ে গেছে। তার দাবি, বিএনপি সরকার আসার পর মির্জা আব্বাস গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী হয়ে তার প্লটের বরাদ্দ বাতিল করেন। সূত্র জানায়, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে মূল মালিক তার জায়গা দখল মুক্ত করে নিজের দখলে নেন। রাশেদ খান মেনন ১৭ বছর আগে যে শিল্প প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন তার মালিকানা দাবি করে কোর্টে মামলা করেছিলেন ওই মালিক। সেই মামলায় তিনি রায় পান। তবে জায়গা দখল নিতে পারেননি। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জায়গাটি ফিরিয়ে নেন। সূত্র জানায়, যখন ওই প্লট নিয়ে ঝামেলা চলছিল তখনই রাশেদ খান মেনন চিন্তা করেন এই প্লটটি হাতছাড়া হয়ে গেলেও যেন নতুন করে একটি প্লট পান। এই জন্য তিনি বিএনপি সরকারের আমলেও একটি শিল্প প্লট পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। মির্জা আব্বাস তার প্লট বাতিল করার পরও তিনি খুব চেষ্টা করেন একটি প্লট পাওয়ার জন্য। তবে ওই আমলে আর প্লট পাননি। এরপর তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও চেষ্টা করেন প্লট পাওয়ার জন্য, কিন্তু ব্যর্থ হন। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি প্লট পাওয়ার জন্য আবার চেষ্টা করেন। সেই চেষ্টা সূত্রে তিনি সরকারের কাছ থেকে দেড় যুগের আগের দামে শিল্প প্লট পান। নতুন পাওয়া ওই জমিতে তিনি এখন ভোগদখল করে আছেন তথাপি তার প্লট পাওয়ার বিষয়টি বেআইনি বলে দাবি করেন এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, বেআইনিভাবে পাওয়া প্লট তিনি রাখতে পারেন না।
হাতিরঝিল এলাকায় ওই প্লটটি পাওয়ায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ এ প্রকল্পে কাউকেই কোন প্লট দেয়ার কথা নয়। এক শিল্প প্লটের মালিক বলেন, নতুন করে যে চারটি শিল্প প্লট তৈরি করে দেয়া হয়েছে সেখানে হাতিরঝিল প্রকল্পের জায়গা থাকলেও থাকতে পারে। এটা কাগজ কলম দেখলেই বের করা সম্ভব। এডভোকেট মনজিল মোরসেদ অবশ্য রাশেদ খান মেননের প্লট হাতিরঝিলে বলেই দাবি করেন। তবে রাশেদ খান মেনন তার প্লট হাতিরঝিল প্রকল্পে নয় বলে জানান। তিনি বলেন, আমি এটা পেয়েছি শিল্প প্লট হিসাবে। সেখানে হাতিরঝিলের কোন জায়গা নেই। আমার প্লট হাতিরঝিল প্রকল্প থেকে দূরেই আছে। তিনি বলেন, আমি নতুন করে কোন টাকা দেইনি। ১৭ বছর আগের প্লটের বদলি প্লট পেয়েছি। এই কারণে আমাকে নতুন প্লটের বরাদ্দপ্রাপ্ত ধরলে হবে না। আমি অনেক আগেরই প্লটের মালিক। এখন কেবল প্লট বদলি করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমার সঙ্গে আরও একজন পেয়েছেন। তিনিও একইভাবে পেয়েছেন। অন্যরা পেলো ৩০ লাখ টাকা করে বিঘা আর আপনি পেলেন ১৭ বছরের আগের দামে- এটা কি ঠিক হলো? এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি তো বদলি পেয়েছি। তাই দামও বদলাবে না। তবে সাবেক এক এমপি, মন্ত্রী ও শিল্প প্লটের মালিক বলেন, আমরা যেখানে প্রতি বিঘা ৩০ লাখ টাকা ধরে প্লট পেয়েছি- সেখানে তিনি আমাদের পরে প্লট কি করে কম দামে পান? তিনি বদলি প্লটের কথা বলছেন, এটা কি হয় নাকি? কারণ তিনি তো প্লটটি নতুন করেই বরাদ্দ পেয়েছেন। সেখানে তার বদলি প্লটের হিসাব আসবে কেন। তার তো আগের বরাদ্দ বাতিল হয়ে গেছে। সম্পূর্ণ নতুন করে প্লট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সেখানে তিনি অত কম দামে জমি পেতে পারেন না। তাহলে অন্য মালিকদের দোষ কোথায়? তার বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক বড় অনিয়ম হয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহারও করা হয়েছে।
রাশেদ খান মেননের নামে সাড়ে ছয় বিঘার প্লট পাওয়ার কথা উঠলে তিনি দাবি করেছেন, বিঘার মাপে নয়- কাঠার মাপে প্লট পেয়েছেন। তারটি ছয় থেকে সাড়ে ছয় কাঠার প্লট হবে। বিঘা নয়। তিনি অবশ্য তার প্লটের কোন নম্বর বলতে পারেননি।
এদিকে রাশেদ খান মেনন এখন কেবল একটি শিল্প প্লটের মালিক নন, তিনি একটি আবাসিক প্লটেরও মালিক। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পেও একটি প্লট পেয়েছেন তিনি। সেই প্লটের আয়তন দশ কাঠা। তিনি ওই প্লট বরাদ্দ পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হন, তবে ওই প্লট পাওয়ার পর এখনও সব টাকা পরিশোধ করেননি বলে জানান। তিনি সংসদ সদস্য কোটাতেই প্লট পেয়েছেন। সূত্র জানায়, বেআইনিভাবে শিল্প প্লট যারা পেয়েছিলেন বলে মন্ত্রণালয় থেকে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছিল- ওই তালিকায় রাশেদ খান মেননসহ নতুন বরাদ্দপ্রাপ্ত প্লটের মালিকদের নাম থাকলেও পরে ওই নামগুলো বিশেষ কায়দা করে বাদ দেয়া হয়। এখন ওই তালিকায় এ সরকারের আমলে নতুন করে যারা প্লটের বরাদ্দ পেয়েছেন তাদের নাম নেই। বিএনপি সরকারের আমলে যারা পেয়েছেন তাদের নামই রয়েছে। রাশেদ খান মেনন প্রভাব খাটিয়েই তা করাতে সক্ষম হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, আমি কোন প্রভাব খাটাইনি। এবং বেআইনিভাবে প্লটও নেইনি। আমার বদলি প্লট আমি বুঝে পেরেছি। এ নিয়ে এত কথার কি আছে?
তিনি বলেন, আমার আর অন্য কোথাও কোন শিল্প প্লট নেই। তাই একটি প্লট তো পেতেই পারি। তবে একটি আবাসিক প্লট আমি রাজউকে থেকে নিয়েছি। যদিও দু’টি জমির ধরন ও প্রাপ্তির ধরন ভিন্ন। শিল্প প্লটের সঙ্গে পূর্বাচলের প্লটের কোন সম্পর্ক নেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন