উচ্চ আদালত আর সংসদ মুখোমুখি অবস্থান নেয়ার ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেটাকে ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা’ সেম্লাগান দিয়ে গণজাগরণের ফল বলে চিহ্নিত করা যায় না; আবার ব্যাপারটাকে রাষ্ট্রের দুই স্তম্ভের ‘ঘরোয়া বিসম্বাদ’ বলে এড়িয়ে যাওয়ারও সুযোগ নেই। সড়ক ভবন নিয়ে উচ্চ আদালতের একটি রায়কে কেন্দ্র করে ২৯ মে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আলোচনাকালে স্পিকার ‘জনগণ ক্ষুব্ধ হলে আদালতের প্রতি রুখে দাঁড়াতে পারে’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। তার এই মন্তব্য সম্পর্কে মঙ্গলবার বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ওই বেঞ্চ মন্তব্য করেন যে, স্পিকারের বক্তব্য রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। আদালত বলেছেন, স্পিকার তার পদের মর্যাদা রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। ওই পদে থাকার অধিকার তার নেই। আদালত স্পিকারকে অজ্ঞ বলেও মন্তব্য করেছেন। এ সময় উপস্থিত কয়েকজন আইনজীবীও স্পিকার সম্পর্কে কটু মন্তব্য করেন। এর প্রতিক্রিয়ায় ওই দিনই সংসদ অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ক্ষমতাসীন মহাজোটের সিনিয়র সংসদ সদস্যরা সংবিধান লঙ্ঘন করে জাতীয় সংসদের স্পিকার সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে তিন দিনের মধ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠন করে হাইকোর্টের বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের অপসারণ দাবি করেছেন। এর অন্যথা হলে সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনবর্হাল করে জাতীয় সংসদ তাকে ইমপিচ করবে বলে হুশিয়ারি দেয়া হয়েছে। সংসদ সদস্যরা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত’ ও স্যাডিস্ট বলে মন্তব্য করেছেন।
জাতীয় সংসদ এবং আদালতের এ ধরনের মুখোমুখি অবস্থান আমাদের দেশে অভূতপূর্ব। বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর বাড়াবাড়ি রকমের ঔদ্ধত্য, সীমা লঙ্ঘনের কালচার এবং হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার প্রতিফলন ঘটেছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। তাদের মধ্যে আত্মম্ভরিতাজনিত বিরোধ অন্তঃসলিলা ফল্গু নদীর মতো আগেও ছিল। এখন অভ্যন্তরীণ চাপে তা বিস্ফোরিত হয়েছে মাত্র। আমরা বিচারপতি নই, সংসদ সদস্যও নই। তাই এসব নিয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে দায়মুক্তির রক্ষাকবচ নিয়ে যারা মন্তব্য করার ক্ষমতা রাখেন তারা জাতিকে জানাচ্ছেন, জাতীয় সংসদ পরিচালিত হচ্ছে একজন ‘অজ্ঞ রাষ্ট্রদ্রোহী’ স্পিকার দ্বারা এবং বিচার ব্যবস্থা পড়েছে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত স্যাডিস্ট’ বিচারপতির খপ্পরে। তাদের বলা কথাগুলো সত্য হলে এদেশের মানুষ যে মহাবিপদের মধ্যে আছে তা প্রমাণ করার জন্য আর সাক্ষীসাবুদ লাগে না। বর্তমান সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত এই তুঘলকি বিপদ থেকে মুক্তির
উপায় নেই।
জাতীয় সংসদ এবং আদালতের এ ধরনের মুখোমুখি অবস্থান আমাদের দেশে অভূতপূর্ব। বর্তমান শাসক গোষ্ঠীর বাড়াবাড়ি রকমের ঔদ্ধত্য, সীমা লঙ্ঘনের কালচার এবং হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলার প্রতিফলন ঘটেছে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে। তাদের মধ্যে আত্মম্ভরিতাজনিত বিরোধ অন্তঃসলিলা ফল্গু নদীর মতো আগেও ছিল। এখন অভ্যন্তরীণ চাপে তা বিস্ফোরিত হয়েছে মাত্র। আমরা বিচারপতি নই, সংসদ সদস্যও নই। তাই এসব নিয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমাদের নেই। তবে দায়মুক্তির রক্ষাকবচ নিয়ে যারা মন্তব্য করার ক্ষমতা রাখেন তারা জাতিকে জানাচ্ছেন, জাতীয় সংসদ পরিচালিত হচ্ছে একজন ‘অজ্ঞ রাষ্ট্রদ্রোহী’ স্পিকার দ্বারা এবং বিচার ব্যবস্থা পড়েছে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত স্যাডিস্ট’ বিচারপতির খপ্পরে। তাদের বলা কথাগুলো সত্য হলে এদেশের মানুষ যে মহাবিপদের মধ্যে আছে তা প্রমাণ করার জন্য আর সাক্ষীসাবুদ লাগে না। বর্তমান সরকার বিদায় না হওয়া পর্যন্ত এই তুঘলকি বিপদ থেকে মুক্তির
উপায় নেই।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন