দেশ ও জনগণের স্বার্থেই উন্নয়ন প্রয়োজন। আর কাক্সিক্ষত উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রহণ করতে হয় প্রকল্প। তাই উন্নয়ন প্রকল্পের কথা শুনলে দেশের জনগণ খুশী হয়। কিন্তু পত্রিকার শিরোনামে যখন দেখা যায়, ‘প্রকল্পের নামে হরিলুট’ তখন থমকে যেতে হয়। ২ আগস্ট বাংলাদেশ প্রতিদিনে মুদ্রিত উক্ত শিরোনামের খবরটিতে বলা হয় : নাটোরে কাজ শেষ না করেই এলজিইডির ১৭টি প্রকল্পের পুরো টাকাই তুলে নেয়া হয়েছে। কাজ শেষ না করলেও অর্থবছর শেষ হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করা হয়ে গেছে। এছাড়া লক্ষ্মীপুরে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, ভিজিএফ কর্মসৃজন প্রকল্পের ১০ ভাগও বাস্তবায়ন হয়নি। এসব প্রকল্প সম্পর্কে সাধারণ মানুষ কিছুই জানেন না। এদিকে হবিগঞ্জে নামে- বেনামে ভুয়া প্রকল্প দিয়ে বরাদ্দের টাকা তুলে নেয়া হয়েছে। বাছ-বিচার না করেই লুটে নেয়া হয় রাস্তাঘাট ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে বরাদ্দের অর্থ। নাটোর, লক্ষ্মীপুর আর হবিগঞ্জের উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুটের এ চিত্র এখন সারাদেশের বলে উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে।
বিভিন্ন নামের নানা প্রকল্পের অর্থ হরিলুটের যে চিত্র পাওয়া গেল তা খুবই দুঃখজনক। রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে বলা হয়েছে, প্রকল্প হয়, সে প্রকল্পের নামে অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়, কিন্তু প্রকল্প আর বাস্তবায়ন হয় না। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ লুটপাটের মহোৎসব শুরু হয় জেলায় জেলায়। জানা গেছে, কোনো কোনো জেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে পুরো টাকাই উত্তোলন করে নেয়ার নজিরবিহীন ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিল উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন পিআইও অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন প্রকল্পের মোট অংশের ২০ শতাংশ কমিশন। কোনো জেলায় প্রকল্পের ৩০ ভাগ, কোথাও ৭০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। আবার কোনো জেলার মানুষ জানেই না এসব প্রকল্পের খবর। গোপনে লুটপাট করে নেয়া হচ্ছে বরাদ্দের বিপুল অংকের অর্থ। একইভাবে হতদরিদ্রদের জন্য ‘কর্মসৃজন’ কর্মসূচির আওতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখিয়ে টাকা লোপাট করা হয়েছে। একই পরিস্থিতি এলজিইডি প্রকল্পে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলজিইডিতে ৬০ শতাংশ অর্থের কাজ হয়। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যায় ঘুষে। অভিযোগে জানা যায়, প্রকল্পের অর্থের অর্ধেক গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পকেটে। কাবিখার চাল, গমও দেদার বিক্রি হয়েছে কালোবাজারে। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বেরও সৃষ্টি হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ এবং চাল-গম লুটপাটের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। তবে এ ধরনের দুর্নীতি কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। বিভিন্ন সময় আমাদের নেতা-নেত্রীরা যখন ক্ষমতায় এসেছেন, তখন তারা এমন লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, ওই সব আশাপ্রদ কথাবার্তার বাস্তবায়ন তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। বর্তমান সরকারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এখন সেই প্রত্যয় ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তেছে। আমরা মনে করি, পত্র-পত্রিকায় উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের যে সব খবর মুদ্রিত হচ্ছে, তা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বের সাথে তদারক, বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। কেবল তাহলেই দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হতে পারে এবং দেশমুক্ত হতে পারে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে কি ভূমিকা পালন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
বিভিন্ন নামের নানা প্রকল্পের অর্থ হরিলুটের যে চিত্র পাওয়া গেল তা খুবই দুঃখজনক। রিপোর্টে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সূত্রে বলা হয়েছে, প্রকল্প হয়, সে প্রকল্পের নামে অর্থ ও খাদ্যশস্য বরাদ্দ হয়, কিন্তু প্রকল্প আর বাস্তবায়ন হয় না। তবে উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ লুটপাটের মহোৎসব শুরু হয় জেলায় জেলায়। জানা গেছে, কোনো কোনো জেলায় প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে পুরো টাকাই উত্তোলন করে নেয়ার নজিরবিহীন ঘটনাও ঘটেছে। এসব বিল উত্তোলনে সহযোগিতা করছেন পিআইও অফিসের অসাধু কর্মকর্তারা। বিনিময়ে তারা পেয়েছেন প্রকল্পের মোট অংশের ২০ শতাংশ কমিশন। কোনো জেলায় প্রকল্পের ৩০ ভাগ, কোথাও ৭০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে। আবার কোনো জেলার মানুষ জানেই না এসব প্রকল্পের খবর। গোপনে লুটপাট করে নেয়া হচ্ছে বরাদ্দের বিপুল অংকের অর্থ। একইভাবে হতদরিদ্রদের জন্য ‘কর্মসৃজন’ কর্মসূচির আওতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাগজে-কলমে প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখিয়ে টাকা লোপাট করা হয়েছে। একই পরিস্থিতি এলজিইডি প্রকল্পে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলজিইডিতে ৬০ শতাংশ অর্থের কাজ হয়। বাকি ৪০ শতাংশ চলে যায় ঘুষে। অভিযোগে জানা যায়, প্রকল্পের অর্থের অর্ধেক গেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের পকেটে। কাবিখার চাল, গমও দেদার বিক্রি হয়েছে কালোবাজারে। অনেক ক্ষেত্রে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বেরও সৃষ্টি হয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ এবং চাল-গম লুটপাটের ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়। তবে এ ধরনের দুর্নীতি কোনো স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশে চলতে পারে না। বিভিন্ন সময় আমাদের নেতা-নেত্রীরা যখন ক্ষমতায় এসেছেন, তখন তারা এমন লুটপাট ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, ওই সব আশাপ্রদ কথাবার্তার বাস্তবায়ন তেমন লক্ষ্য করা যায়নি। বর্তমান সরকারও দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এখন সেই প্রত্যয় ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের দায়িত্ব তাদের ওপর বর্তেছে। আমরা মনে করি, পত্র-পত্রিকায় উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুটপাটের যে সব খবর মুদ্রিত হচ্ছে, তা সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বের সাথে তদারক, বিশ্লেষণ এবং ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন। কেবল তাহলেই দেশ ও জনগণের স্বার্থ রক্ষিত হতে পারে এবং দেশমুক্ত হতে পারে দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে। সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে কি ভূমিকা পালন করে সেটাই এখন দেখার বিষয়।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন