সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৫

শোক দিবসের চাঁদাবাজি ও নেতৃত্ব মূল্যায়নের পন্থা


গত ১৫ আগস্ট দেশব্যাপী স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু দিবসকে কেন্দ্র করে জাতীয় শোক দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৯৭৫ সালের এই দিনে তিনি একদল উচ্ছৃঙ্খল সেনা কর্মকর্তার হাতে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন। তার সাথে তার স্ত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মা, শিশুপুত্র রাসেল ও সস্ত্রীক অপর দুই পুত্র এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন মিলে মোট ১৮ ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই বিয়োগান্ত ঘটনার স্মরণে এই দিবসটি পালন করে আসা হচ্ছে।
এই দিবস পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রীয়ভাবে বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে এবং দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ও তার অংগ সংগঠনসমূহ এতে অংশগ্রহণ করেছে। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবরানুযায়ী এ বছর ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা শোক দিবস উপলক্ষে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে বেশকিছু অঘটনও ঘটিয়েছে। তারা চাঁদা ভাগাভাগি করতে গিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েও পড়েছিল এবং এই সংঘর্ষে মোট ৭ ব্যক্তি নিহত হয়েছে। ফলে জাতীয় শোকের সাথে স্থানীয় শোক মিশে গিয়ে অবস্থার আরো অবনতি ঘটিয়েছে। ঘটনার এখানেই সমাপ্তি ঘটেনি। চাঁদপুরের কচুয়ায় ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীরা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে স্কুলের উপবৃত্তির তহবিল থেকে শোক দিবসের চাঁদা দাবি করেছিল। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তারা উক্ত শিক্ষককে মারধর করে। বিষয়টি জানাজানি হবার পর স্কুলের অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী পরদিন প্রতিবাদ মিছিল বের করে। ঐ মিছিলের উপর যুবলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করে। এতে ৪০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হয় এবং ২৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আহতদের মধ্যে ১৩ জনই ছাত্রী। বিষয়টি সর্বত্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। অনেকে চাঁদা তুলে টাকার ভাগাভাগির সাথে শোক দিবসের সম্পর্ক এবং জবরদস্তি চাঁদাবাজির যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না।
শোক দিবস পালন নতুন কিছু নয়। এই দিবসে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাফল্য ব্যর্থতার মূল্যায়ন ও বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা আমাদের সংস্কৃতির অংগ। এর জন্য চাঁদার দরকার হয় না। আবার চাঁদাবাজি করে মানুষের মনও পাওয়া যায় না। চাঁদাবাজি ও শিক্ষক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে যে মিছিলটি চাঁদপুরে বের করা হয়েছে তা থেকে ক্ষমতাসীন দলের অনেক কিছুই শিক্ষার আছে বলে আমার মনে হয়। আরেকটি খবর এর মধ্যে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। পৌরসভার একজন সচিব শোক দিবসে কোনও কর্মসূচি পালন না করায় তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিষয়টি অনেকের কাছেই অদ্ভুত ঠেকেছে।
শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্থপতি। তিনি নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন। হত্যাকারীরা তার স্ত্রী-পুত্রসহ পরিবার সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি। একজন দলীয় নেতা, সংগঠক ও শাসক হিসেবে তার জীবনে সাফল্যের সাথে ব্যর্থতা থাকাও অস্বাভাবিক নয়। মানুষ হিসেবে তিনি ভুলভ্রান্তির ঊর্ধ্বে নন। যারা তাকে দেবত্বের পর্যায়ে উন্নীত করেন অথবা তাকে অবমূল্যায়ন করেন আমি তাদের কারুরই দলে নই। আমি মনে করি একজন মানুষ বিশেষ করে একজন নেতার মূল্যায়ন কারুর ব্যক্তিগত অথবা দলীয় ইচ্ছা-অনিচ্ছা অথবা পছন্দ-অপছন্দের ভিত্তিতে নয় বরং নৈর্ব্যক্তিক মানের ভিত্তিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ প্রেক্ষিতে আমার সীমিত অধ্যয়নে আমি তিনজন বিশ্লেষককে পছন্দ করি অথবা তাদের বিশ্লেষণের ক্রাইটেরিয়াগুলো আমার ভাল লাগে। এদের একজন হচ্ছেন উইলিয়াম মেকনীল। তিনি একজন ইতিহাসবিদ, শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তিনি নেতৃত্বকে মূল্যায়ন করেছেন ইমপ্যাক্ট বা ফলাফলের ভিত্তিতে। দ্বিতীয় ব্যক্তি হচ্ছেন জেমস গেবিন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল। তিনিও গুণাবলী ও প্রভাবের ভিত্তিতে নেতৃত্বের মূল্যায়ন করেছেন। কিন্তু শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেকজন অধ্যাপক এবং যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা মনস্তত্ত্ব বিশ্লেষক জুলেস ম্যাসারম্যান শ্রেষ্ঠ নেতা নির্বাচনে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেছেন। এই তিনজন খ্যাতনামা বিশ্লেষকের যথাক্রমে “Who were History’s Great Leaders?” “What makes a great Leader?” Ges “Throughout History who qualifies?” পুস্তকসমূহ পাঠক-পাঠিকারা অধ্যয়ন করে দেখতে পারেন। জুলেস ম্যাসারম্যান-এর ভাষায়, "Leaders must fulfil three functions :
1. The leader must provide for the well-being of the led.
2. The leader must provide a social organisation in which people feel relatively secure.
3. The leader must provide his people with one set of beliefs.
বাংলাদেশের স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল নেতার মূল্যায়নের জন্য ম্যাসারম্যানের উপরোক্ত তিনটি মানদ-কে আমি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। এখানে একটি কথা বলা দরকার যে, শেখ মুজিবুর রহমান বলতে আমি একাত্তর-উত্তর শেখ মুজিবুর রহমানকেই বুঝি। পূর্ব পাকিস্তান সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী, কিংবা দুর্নীতি দমন মন্ত্রী হিসেবে তার মূল্যায়ন এখানে অবান্তর অথবা তার দল আওয়ামী লীগ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার গঠন করে কি করেছিল অথবা ১৯৫৮ সালে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের ডেপুটি স্পীকারকে হত্যা করে ঐ দলটির কিছু নেতা কিভাবে সামরিক শাসন জারিকে সহায়তা করেছিল এখানে তা প্রতিপাদ্য নয়।
ব্যক্তি জীবনে শেখ মুজিব বন্ধুবৎসল ও সদালাপি ছিলেন। অনেকে মনে করেন সামষ্টিক জীবনে তার মধ্যে আবেগের আধিক্য ছিল অনেক বেশি। তার শাসন আমল কেমন ছিল বাংলাদেশের মানুষ তা জানেন। সোসাইটি ফর ন্যাশনাল স্টাডিজ কর্তৃক প্রকাশিত এক খতিয়ান অনুযায়ী স্বাধীনতা-উত্তর আওয়ামী লীগ শাসনের সাড়ে তিন বছরে ১০ লাখ লোক দুর্ভিক্ষে, ২ লাখ লোক পুষ্টিহীনতায়, এক লাখ লোক বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছে। এছাড়াও ঐ সময়ে ৯ হাজার লোক জেলখানায় অমানুষিক অত্যাচারে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আওয়ামী বাকশালী সন্ত্রাসী ও রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে ২৭ হাজার লোক এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ১৯ হাজার লোক অকাল মৃত্যুর শিকার হয়েছে। আওয়ামী গু-া এবং রক্ষীবাহিনীর নির্যাতনে পঙ্গু হয়েছে ৩৩ হাজার লোক এবং গুম-খুন হয়েছে লক্ষাধিক লোক।
তৎকালীন সরকার মানুষের জীবন ও সম্মানের নিরাপত্তা যেমনি দিতে পারেনি, তেমনি ঐ আমলে অন্ন-বস্ত্রের নিশ্চয়তাও ছিল না। ১৯৭৫ সালের ৬ জানুয়ারি লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকার সংবাদদাতা পিটার গিলি লিখেছেন, “আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম ১৯৭৪ সালের শেষার্ধে ২৯৩৪টি লাশ কুড়িয়েছে। সব লাশই বেওয়ারিশ। এগুলোর মধ্যে দেড় হাজারের বেশি রাস্তা থেকে কুড়ানো। ডিসেম্বরে মৃতের সংখ্যা জুলাইয়ের সাতগুণ এবং অক্টোবরের ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের সময় কুড়ানো সংখ্যার প্রায় দ্বিগুণ। গ্রাম-বাংলার হতাশ মানুষরা আজ ঢাকার পেশাদার ভিখারীদের স্থান দখল করেছে। পিতা শিশুদের নিয়ে রাস্তার চত্বরে নির্জীবের মতো বসে আছে আর ফুঁফিয়ে কাঁদছে।” পত্রিকাটি আরও লিখেছে, “স্পষ্টতঃ বাংলাদেশে পরাজয়ের সংগ্রাম চলছে।” দিনে দিনে বাংলাদেশ আরও গরীব হচ্ছে। কল্পনা করা শক্ত কিন্তু বাস্তব এটাই যে, আজকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাধীনতার সময়কালের অবস্থা থেকে অনেক বেশি শোচনীয়!” ১৯৭৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কোলকাতা থেকে প্রকাশিত ‘ফ্রন্টিয়ার’ পত্রিকা লিখেছে, “বাংলাদেশের শাসক ও নব্য শাসকরা অধিকতর অযোগ্য, দুর্নীতিপরায়ণ ও লোভী- এরা রাতারাতি বড় হতে চায়। ধুরন্ধর ব্যক্তিরা উচ্চাশার টোপ ফেলেছিল যে স্বাধীন বাংলাদেশ অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাবে এবং সরল মানুষরা তা বিশ্বাস করেছিল। কিন্তু ভারতীয় হস্তক্ষেপের ফলে যারা বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসীন হলো তাদের মতো স্বার্থপর নেতৃত্ব কোনও দেশে সত্যিকার জাতীয় মুক্তি আন্দোলনের পর আর দেখা যায়নি। দেশটি যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাবে তা অবশ্যম্ভাবী।”
প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মোহাইমেন “বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ” শীর্ষক পুস্তকে তৎকালীন সময়ে দেশব্যাপী আওয়ামী লীগের চাঁদাবাজি ও লুটপাট সম্পর্কে যে বর্ণনা দিয়েছেন তা লোমহর্ষক ও হৃদয়বিদারক। অবাঙালিদের পরিত্যক্ত বাড়ি-ঘর, শিল্পকারখানার তৈরি মালামাল ও যন্ত্রপাতি এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কোটি কোটি টাকার মালামাল লুটের বিস্তারিত বর্ণনা তার পুস্তকে পাওয়া যায়। ১৯৭৪ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ এ দেশের মানুষ দেখেছে তার নজির কোথাও নেই। ডেইলি মেইল, ফারইস্টার্ন ইকোনমিক রিভিউ  পত্রিকা, টাইম ম্যাগাজিন প্রভৃতি পত্রিকার ঐ সসময়কার রিপোর্ট তো বটেই, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, খাদ্য ও কৃষি সংস্থা প্রভৃতি আন্তর্জাতিক সংস্থার ঐ সময়কার রিপোর্টসমূহও ছিল আওয়ামী লীগের ব্যর্থতা, দুর্নীতি ও লুটপাটের কাহিনীতে ভরপুর। মানুষের কল্যাণ চিন্তা শাসক দলের অভিধান থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল। দলটি সাধারণ মানুষের জন্য আতংকে পরিণত হয়েছিল। কারুরই জীবন, সম্পত্তি ও সম্মানের নিরাপত্তা ছিল না। স্বয়ং শেখ মুজিব এই অবস্থায় সন্তুষ্ট থাকতে পারেননি। তিনি তার চারদিকে দুর্নীতিবাজ ও চোরদের উপস্থিতি টের পেলেও তাদের শাস্তি প্রদান অথবা দলকে দুর্নীতিবাজ/সন্ত্রাসীমুক্ত করার ফলপ্রসূ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেননি। দেশ এবং জাতিকে তিনি কোনও আদর্শ বা নীতি-বিশ্বাস উপহার দিতে পেরেছেন বলে জানা যায় না।
উপরোক্ত অবস্থার আলোকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব ম্যাসারম্যানের তিনটি মানদণ্ডের কোনটিতেই উত্তীর্ণ হতে পারেন বলে মনে হয় না। তারা এমন কোনও সমাজ ব্যবস্থা বা সামাজিক সংগঠন জাতিকে উপহার দিতে পারেননি যার ছায়াতলে মানুষ নিজেদের অপেক্ষাকৃত নিরাপদ মনে করতে পারে। বরং আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগ এবং তাদের গঠিত বিভিন্ন বাহিনী মানুষের কাছে ফ্যাসিবাদ, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, লুটপাট ও সন্ত্রাসের প্রতিভু হিসাবে পরিচিত হয়ে পড়েছে। আমাদের সমাজে বড়দের সম্মান ও ছোটদের স্নেহ করার রীতি পরিত্যক্ত হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় চরম ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। নকলপ্রবণতার বিস্তৃতি শিক্ষার মানকে চরমভাবে অবনমিত করেছে। শিক্ষা, সিভিল প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সর্বত্র দলীয় রাজনীতির অনুপ্রবেশ জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙ্গে দিয়েছে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের চর্চা এবং মৌলিক মানবাধিকার থেকে মানুষ এখন বঞ্চিত।
নোভাক বাংলাদেশের উপর লিখিত তার সর্বশেষ পুস্তকে (Bangladesh: Reflection on water) বাংগালীদের সম্পর্কে লর্ড মেকলের একটি উদ্ধৃতি সংযোজন করেছেন, উদ্ধৃতিটি হচ্ছে “মহিষের যথা শৃঙ্গ, মৌমাছির যথা হুল, ব্যাঘ্রের যথা থাবা, নারীর যথা সৌন্দর্য বাংগালীর তদ্রƒপ প্রবঞ্চনা; বড় বড় প্রতিজ্ঞা তথা প্রতিশ্রুতি, মোলায়েম অজুহাত অবস্থাগত মিথ্যা প্রমাণাদির বিশদ উপস্থাপনা, ছলচাতুরী, মিথ্যা শপথ, মিথ্যা সাক্ষ্য দান, জালিয়াতি- এইগুলো হচ্ছে নি¤œ গাঙ্গেয় উপত্যকার বাসিন্দাদের আত্মরক্ষা এবং আক্রমণের চিরন্তন অস্ত্র।”
লর্ড মেকলের উপরোক্ত উপলব্ধির আলোকে পাঠকরা আমাদের চরিত্র যাচাই করে দেখতে পারেন। আমাদের কারুর না কারুর চরিত্রের সাথে উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য অবশ্যই মিলে যাবে বলে আমি মনে করি।
ড. মোঃ নূরুল আমিন

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads