মঙ্গলবার দিবাগত ভোররাতে পরিচালিত এক অভিযানে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের ১০ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য চট্টগ্রামের গভীর সাগরে একটি ট্রলারে পাওয়া যায়। ট্রলারের মালিকসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ট্রলারটি পাওয়া যায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে গভীর সমুদ্রে। খবরের সূত্রমতে এটি মাদকদ্রব্য ইয়াবার এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় চালান। হেরোইন, মারিজুয়ানা, আফিম, ফেন্সিডিল, গাঁজা প্রভৃতি মাদকদ্রব্যের চেয়ে ইয়াবা যেমন সহজে বিপুল পরিমাণ বহন করা যায়, তেমনই এর মূল্যমানও অনেক। কয়েক মিলিগ্রামের একটি গোলাপী রঙের ইয়াবা ট্যাবের দাম নাকি দুই থেকে তিন মার্কিন ডলার, ব্যাংলাদেশী টাকায় প্রায় আড়াই থেকে তিনশয়ে বেচাকেনা হয়। যারা ইয়াবায় আসক্ত তাদের দিনে দুই থেকে তিনটি ট্যাব প্রয়োজন বলে জানা যায়। এটি সেবন করলে নাকি মানুষের বিশেষ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। তবে ধীরে ধীরে ইয়াবা সেবনকারীর জীবনীশক্তি হারিয়ে যায়। কার্যক্ষমতা থাকে না।
প্রকৃত অর্থে সভ্যতার শুরু থেকেই মাদকের জন্ম। একশ্রেণির মানুষ বদঅভ্যাসের কারণে নেশাজাতীয় দ্রব্যগ্রহণ করে মগ্ন হয়ে থাকতে ভালোবাসে। সংসার জীবনের ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তির সন্ধান করে। কিন্তু ঘটে তার বিপরীত। মানসিক শান্তি খুঁজতে গিয়ে নিজের অলক্ষ্যেই যেন বিনাশি জীবনধারায় জড়িয়ে পড়ে নেশাগ্রস্ত মানুষ। বিশেষত সমাজের একশ্রেণির তরুণ। এতে তারা নিজের জীবন তো বিপন্ন করেই, এমনকি পরিবারকেও সর্বস্বান্তের পথে বসিয়ে ছাড়ে। একটি পরিবারে একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে পুরো পরিবারটিই যেন প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আর্থিক, সামাজিক এমনকি পারিবারিকভাবেও বিপন্ন হয়ে পড়তে বাধ্য হয় পরিবারের সব সদস্য। এজন্যই ইসলামী জীবনাদর্শে মাদকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানেও মাদক ও মাদকসেবীদের খুব ভালো চোখে দেখা হয় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানও মাদকের ব্যবহার অনুমোদন করে না কিছু কিছু বিশেষ চিকিৎসার ক্ষেত্র ব্যতীত। আসলে মাদক ব্যবহারের শুরুটা হয় বিড়ি-সিগারেট থেকে। যারা এসবে অভ্যস্ত তারাই মারাত্মক মাদকসেবনের দিকে যায়। যারা বিড়ি-সিগারেট টানে না, তাদেরতো ইয়াবা, মারিজুয়ানা, গাঁজা ইত্যাদি গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। তামাক যে একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য তা অনেকেই স্বীকার করতে চান না। গ্রামে-গঞ্জে এমন পরিবার এখনও রয়েছে যেখানে বাবা-সন্তান একই সঙ্গে তামাক সেবন করে। হুঁকো টানে। এমনকি মজলিসে বসেও তামাকসেবন তথা সৌখিন হুঁকোতে দম দেবার প্রথাকে সামাজিক মর্যাদার প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তামাক হচ্ছে মানবদেহের অনেক অসুখের জনক। আজকাল একশ্রেণির নারীও বিড়ি-সিগারেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। অবশ্য গ্রামাঞ্চলে অনেক আগে থেকেই একশ্রেণির নারীর মধ্যে তামাকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া, সাদাপাতা, জর্দা, গুল সবই তামাক। বরং ধূমপানতো আগুনে তামাক পুড়িয়ে তার ধোঁয়াসেবন করা বোঝায়। কিন্তু সাদাপাতা, জর্দা বা গুল হলো সরাসরি তামাকই সেবন। তবে এসব যারা ব্যবহার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু ধূমপানে আশপাশে থাকা মানুষেরও ক্ষতি হয়। এমনকি এই পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য আরও মারাত্মক বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত।
ধূমপান থেকে জাতিকে মুক্ত করবার জন্য অনেক উদ্যোগ আয়োজন নেয়া হয়েছে বহুবার। এজন্য ঢাক-ঢোলও পেটানো হয় বেশ জোরেশোরে। কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয় না। বিশেষত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক তামাক-বণিকদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে বার বার তামাকবিরোধী কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আর তামাকমুক্ত আন্দোলন বা কর্মসূচি কার্যকর না হওয়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা আরও তৎপর হয়ে উঠেছে দিনকে দিন। ফলে ইয়াবার মতো মারণ নেশার ব্যবসা বার বার জাতির ভবিষ্যৎকে আত্মঘাতী পথে ঠেলে দিতে দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কাজেই মাদক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক্ষুণি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে জাতিকে ভয়াবহ খেশারত দিতে হতে পারে।
প্রকৃত অর্থে সভ্যতার শুরু থেকেই মাদকের জন্ম। একশ্রেণির মানুষ বদঅভ্যাসের কারণে নেশাজাতীয় দ্রব্যগ্রহণ করে মগ্ন হয়ে থাকতে ভালোবাসে। সংসার জীবনের ঝামেলা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তির সন্ধান করে। কিন্তু ঘটে তার বিপরীত। মানসিক শান্তি খুঁজতে গিয়ে নিজের অলক্ষ্যেই যেন বিনাশি জীবনধারায় জড়িয়ে পড়ে নেশাগ্রস্ত মানুষ। বিশেষত সমাজের একশ্রেণির তরুণ। এতে তারা নিজের জীবন তো বিপন্ন করেই, এমনকি পরিবারকেও সর্বস্বান্তের পথে বসিয়ে ছাড়ে। একটি পরিবারে একজন মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়লে পুরো পরিবারটিই যেন প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। আর্থিক, সামাজিক এমনকি পারিবারিকভাবেও বিপন্ন হয়ে পড়তে বাধ্য হয় পরিবারের সব সদস্য। এজন্যই ইসলামী জীবনাদর্শে মাদকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে বিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হয়েছে। আধুনিক সমাজবিজ্ঞানেও মাদক ও মাদকসেবীদের খুব ভালো চোখে দেখা হয় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানও মাদকের ব্যবহার অনুমোদন করে না কিছু কিছু বিশেষ চিকিৎসার ক্ষেত্র ব্যতীত। আসলে মাদক ব্যবহারের শুরুটা হয় বিড়ি-সিগারেট থেকে। যারা এসবে অভ্যস্ত তারাই মারাত্মক মাদকসেবনের দিকে যায়। যারা বিড়ি-সিগারেট টানে না, তাদেরতো ইয়াবা, মারিজুয়ানা, গাঁজা ইত্যাদি গ্রহণের প্রশ্নই ওঠে না। তামাক যে একটি নেশা জাতীয় দ্রব্য তা অনেকেই স্বীকার করতে চান না। গ্রামে-গঞ্জে এমন পরিবার এখনও রয়েছে যেখানে বাবা-সন্তান একই সঙ্গে তামাক সেবন করে। হুঁকো টানে। এমনকি মজলিসে বসেও তামাকসেবন তথা সৌখিন হুঁকোতে দম দেবার প্রথাকে সামাজিক মর্যাদার প্রতীক বলে গণ্য করা হয়। অথচ চিকিৎসাবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে তামাক হচ্ছে মানবদেহের অনেক অসুখের জনক। আজকাল একশ্রেণির নারীও বিড়ি-সিগারেটে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। অবশ্য গ্রামাঞ্চলে অনেক আগে থেকেই একশ্রেণির নারীর মধ্যে তামাকের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া, সাদাপাতা, জর্দা, গুল সবই তামাক। বরং ধূমপানতো আগুনে তামাক পুড়িয়ে তার ধোঁয়াসেবন করা বোঝায়। কিন্তু সাদাপাতা, জর্দা বা গুল হলো সরাসরি তামাকই সেবন। তবে এসব যারা ব্যবহার করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু ধূমপানে আশপাশে থাকা মানুষেরও ক্ষতি হয়। এমনকি এই পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য আরও মারাত্মক বলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত।
ধূমপান থেকে জাতিকে মুক্ত করবার জন্য অনেক উদ্যোগ আয়োজন নেয়া হয়েছে বহুবার। এজন্য ঢাক-ঢোলও পেটানো হয় বেশ জোরেশোরে। কিন্তু কাজের কাজ তেমন হয় না। বিশেষত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক তামাক-বণিকদের স্বার্থরক্ষা করতে গিয়ে বার বার তামাকবিরোধী কার্যক্রম স্তিমিত হয়ে পড়েছে। আর তামাকমুক্ত আন্দোলন বা কর্মসূচি কার্যকর না হওয়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা আরও তৎপর হয়ে উঠেছে দিনকে দিন। ফলে ইয়াবার মতো মারণ নেশার ব্যবসা বার বার জাতির ভবিষ্যৎকে আত্মঘাতী পথে ঠেলে দিতে দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কাজেই মাদক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এক্ষুণি কার্যকর পদক্ষেপ নিতে না পারলে জাতিকে ভয়াবহ খেশারত দিতে হতে পারে।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন