মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১৬

এসআই মাসুদ এগিয়ে চলো ॥ রাষ্ট্র আছে তোমার সাথে


আমি একটা মিছিলের জন্য এখন প্রতিদিন অপেক্ষা করছি। আমি যেখানে থাকি, সেটা আওয়ামী লীগের মিছিল জোন। নির্বিঘ্নে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মাইক বাজানোর জোন। এখানে প্রায় প্রতিদিন মঞ্চ-প্যান্ডেল সাজানো হয়। কখনও সকালে এক মঞ্চওয়ালারা আসেন। গোটা এলাকা কাঁপিয়ে হাবিজাবি বক্তৃতার প্র্যাকটিস করেন। সেখানে কিছু টোকাই যোগাড় করা হয়। এদের কাউকে রাজনৈতিক কর্মী বলে তো মনেই হয় না, বরং ভাড়াকরা দিনমজুর মনে হয়। তথাকথিত জনসমাবেশে আগতদের বেশিরভাগই থাকে চঞ্চল শিশু। কোনো কোনো পার্টি আগতদের জন্য অর্থের অতিরিক্ত আকর্ষণ হিসেবে দুপুরে তেহারির আয়োজন করে। সেটার বণ্টন নিয়ে মাঝে মধ্যে কিলাকিলি হয়। আবার মাইকে এলাকা কাঁপিয়ে সবাইকে সুশৃঙ্খলভাবে খাবার সংগ্রহের আহ্বান জানানো হয়। এর মধ্যে এক আধজন চেনাজানা আওয়ামী নেতা আসেন। তারা জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে গালিগালাজ করে তাদের বক্তৃতা শেষ করেন।
দুপুরের মধ্যে এরা প্যান্ডেল ফ্যান্ডেল গুটিয়ে চলে গেলে নতুন পার্টি এসে জায়গা দখল করেন। তখন ‘যেমন খুশি গাও’ ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সময় থাকলে প্যান্ডেল সাজানো হয়। না হলে খোলা মঞ্চ সাজানো হয়। আওয়ামী সমর্থকরা নানা ধরনের গানের প্র্যাকটিস করে। শিশুদেরও নিয়ে আসা হয়, তাদের সঙ্গীত প্রতিভা এলাকার মানুষদের শোনানোর জন্য। তারা বেগম খালেদা জিয়া, জিয়াউর রহমান, তারেক রহমানকে নিয়ে নানা অশ্লীল গান গায়। এই শব্দদূষণ থেকে বাঁচার জন্য এলাকার সকল মানুষকে শীত-গ্রীষ্ম সবসময় বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে হয়। তাতে আর শব্দ কতটা রোখা যায়। শুক্রাবাদ, তল্লাবাগ, ধানমন্ডি, কলাবাগান এলাকার  বাসিন্দারা কী ভাষায় অশালীন শোরগোলকে স্বাগত জানায়, সেটা জানা-বোঝার চোখ-কান বা ক্ষমতা ক্ষমতাসীনদের নেই। উপরন্তু ধানমন্ডি ৩২ নম্বর রোড কোন এখতিয়ারে কোন কারণে বছরের পর বছর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রাখা হবে? কেনো এই পথ দিয়ে যান চলাচল করতে পারবে না, তার জবাব কেউ দেয় না। ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের মুখে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে বলে, ওপরের নির্দেশ। কিন্তু এই রাস্তা বন্ধ রাখার ফলে ৩২ নম্বরের উত্তরে মেট্রো শপিং মলের পাশ দিয়ে যে রাস্তা চলে গেছে, সেটি পেরিয়ে আবার ৩২ নম্বরে উঠতে তীব্র যানজটের মুখোমুখি হতে হয় হাজার হাজার মানুষকে। অথচ ৩২ নম্বর খোলা থাকলে এই অসহনীয় যানজটের মুখোমুখি হতে হতো না। একি তবে কোনো সামন্ত যুগের জমিদার বাড়ি? এর সামনে দিয়ে কোনো সাধারণ মানুষ যানবাহন নিয়ে ঢুকতে পারবে না।
এ এলাকার বাসিন্দারা হামেশাই ৩২ নম্বরে লেকের সামনে এমন মিছিলের আয়োজন দেখেন। টোকাই সভার আয়োজন দেখেন। বক্তৃতার প্র্যাকটিসের আয়োজন দেখেন, শোনেন। অশ্রাব্য গান শোনেন। বলা ভালো, শুনতে বাধ্য হন। সামন্ত জমিদারবাড়ির মতো ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে দিয়ে গাড়ি চালাতে পারেন না। ফলে শুক্রাবাদের মেট্রো শপিং মলের উত্তর পাশ দিয়ে যে রাস্তা গেছে সে রাস্তায় এবং কলাবাগান থেকে শুক্রাবাদ পর্যন্ত রাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মেট্রোর উত্তর পাশের রাস্তার পেছনে আছে একাধিক স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানে এমনিতেই ডজন ডজন গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। অপরদিকে মানিক মিয়া এভিনিউ দিয়ে এসে এসব গাড়ি ধানমন্ডির ভেতরে ঢুকতে চায় তাদেরও রাস্তা প্রধানত ওটিই। আবার কলাবাগানের দিক থেকে যেসব গাড়ি ধানমন্ডির ভেতরে ঢুকতে চায় তাদেরও পথ ৩২ নম্বর ও তার উত্তরের রাস্তা। ফলে মেট্রোর পাশে দু’দিক থেকেই যানবাহন ঢুকে এবং একদিক দিয়ে বেরিয়ে আসে। দুঃসহ ও অকল্পনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। কিন্তু ৩২ নম্বরের রাস্তা যদি যান চলাচলের জন্য খোলা থাকতো তাহলে এই অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। কিন্তু এদিকে কারো মনোযোগ আছে বলে মনে হয় না।
তবে এখানে আমি একটি মিছিলের অপেক্ষা করি। সে মিছিলের সামনে বহুসংখ্যক গাঁদাফুলের মালা গলায় দিয়ে থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে নির্যাতনকারী মোহাম্মদপুর থানার এসআই মাসুদ সিকদার। তার পেছনে প্রথম সারিতে থাকবেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তার পেছনে থাকবেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ মন্ত্রী-এমপিরা। আরো পেছনে থাকবেন লুঙ্গি পরা ভাড়াটে জয়বাংলা পার্টি। তার পেছনে লাফাতে লাফাতে আসবে অর্ধনগ্ন হাড্ডিসার শিশুরা। তাদের মুখের স্লোগান থাকবে ‘এসআই মাসুদ এগিয়ে চলো, রাষ্ট্র আছে তোমার সাথে।’ এখনো সে রকম মিছিল দেখিনি, কিন্তু হতে বোধকরি বেশি দেরি নেই।
গত ৯ জানুয়ারি রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের ওই কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী একটি এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে বেরিয়ে আসছিলেন। তখন সেখানে ছিল মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের একটি টহল দল। তাদের একজন গোলাম রাব্বীকে কলার চেপে ধরে এসআই মাসুদের কাছে নিয়ে যায়। এসআই মাসুদ বলেন, তোর কাছে ইয়াবা আছে, সার্চ করতে হবে। গোলাম রাব্বী বার বার বলতে থাকেন যে, তার কাছে কোনো ইয়াবা নেই এবং তিনি তাকে সার্চ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন তাকে টেনে-হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তুলে নেয়া হয়। এর পর রাব্বী তার পরিচয় দেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের আইডি কার্ড দেখান। ছাত্রলীগ সভাপতি ও বিসিএস কর্মকর্তাদের পরিচয় দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আরেফিন সিদ্দিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউরের সঙ্গে তাদের কথা বলতে বলেন কিংবা কথা বলার সুযোগ দিতে বলেন। তার বদলে তাকে অবিরাম লাঠিপেটা শুরু করে পুলিশ। এর মধ্যে পথে যাকে পায় প্রায় তাকেই আটক করে পুলিশ টাকা আদায় করে। টাকা না থাকলে থানায় নিয়ে যায়। এর সব দৃশ্যই দেখেছেন রাব্বি। তার পর এসআই মাসুদ রাব্বীর কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। নইলে ক্রসফায়ারে দিয়ে তার লাশ বেড়িবাঁধে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিতে থাকেন। ইতোমধ্যে তিন-চার ঘণ্টা চলে গেছে। রাব্বী তার ছাত্রলীগ বন্ধুদের ফোন করার সুযোগ পান এই বলে যে, তারা টাকা নিয়ে আসবে। এ খবর পেয়ে তার ছাত্রলীগের ১০-১২ জন বন্ধু পুলিশ ভ্যানের কাছে এসে হাজির হয়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে এসআই মাসুদ তাকে ছেড়ে দেন।
পরদিন রাব্বী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে আতঙ্কে তিনি প্রলাপ বকতে থাকেন। ঘুম নেই, বন্ধুরা সান্ত্বনা দেবার চেষ্টা করেন। সে রাতের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে দিতে আঁৎকে উঠতে থাকেন রাব্বী। পরদিন পুলিশ প্রধানের কাছে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর এসআই রাব্বীর শাস্তি চেয়ে একটি চিঠি দেন। ঘটনার  বিবিরণে জানা যায়, রাব্বীর অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করতে অস্বীকার করে মোহাম্মদপুর থানা। তখন মামলাটি গ্রহণের জন্য রাব্বী হাইকোর্টে যান। হাইকোর্ট এসআই মাসুদকে একজন ‘ক্রিমিনাল’ হিসেবে অভিহিত করে মামলাটি গ্রহণের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। তখন এক তাক লাগানো কথা বলে বসেন পুলিশ বাহিনীর প্রধান। তিনি বলেন, রাব্বী পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে এবং অসহযোগিতা করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। পুলিশের কি কাজে বাধা দিলেন রাব্বী? তিনি পুলিশকে তার পকেটে ইয়াবা ঢোকাতে বাধা দিয়েছেন। এত সাংঘাতিক অপরাধ! পুলিশকে তার পকেটে হাত ঢোকাতে দেননি। হাত দিতে পারলেই ইয়াবা ঢুকিয়ে দেয়া যেত। এটি পুলিশের জন্য একটি সাধারণ ঘটনা। আগে তো ঘটেছেই। এরপর চট্টগ্রামে তিন এসআইয়ের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ করেছে পুলিশ নিজেই। কারণ তারা তিনজন এসএ পরিবহন কাউন্টারে রাখা সাউন্ড বক্সে চারটি ইয়াবা রেখে ওই প্রতিষ্ঠানকে ফাঁসানোর জন্য চেষ্টা করেছিল গত ২২ অক্টোবর। সেটি প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এসএ পরিবহন প্রভাবশালী মালিকের প্রতিষ্ঠান। তাদের ফাঁসানো সহজ হয়নি। কিন্তু রাব্বী একজন সাধারণ নাগরিক। তাকে ফাঁসানো সহজ কাজ ছিল। অথচ পুলিশ প্রধান একেই বললেন পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছে ও অসহযোগিতা করেছে।
হাইকোর্টের মামলা নেয়ার ওই আদেশের আগেই প্রাথমিকভাবে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এসআই রাব্বীকে প্রথমে ‘ক্লোজড’ ও পরে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। কিন্তু এই অভিযুক্ত পুলিশ এসআই মাসুদ সিকদারের পক্ষে দাঁড়িয়ে গেল গোটা রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে ছুটে গেলেন চেম্বার আদালতে। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা নেয়ার যে আদেশ হাইকোর্ট দিয়েছিলেন, তা স্থগিত করে দেন চেম্বার আদালত। আর সে কারণেই আমি ওরকম একটি মিছিলের অপেক্ষা করছি। যার সামনে গলায় ফুলের মালা নিয়ে গর্বিতভাবে হেঁটে যাচ্ছেন এসআই মাসুদ। আর তার পেছনে বজ্র মুষ্ঠি তুলে চিৎকার করে স্লোগান দিচ্ছেন এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ‘এস আই মাসুদ এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’।
কিন্তু রাষ্ট্র কার পক্ষে দাঁড়াবে? একজন বিপন্ন নাগরিকের পক্ষে, নাকি একজন অভিযুক্ত সম্ভাব্য অপরাধীর পক্ষে? রাষ্ট্র অভিযুক্তের পক্ষেই দাঁড়ালো। আর দেশের কোটি কোটি মানুষকে এক আতঙ্কের মধ্যে ত্রাসের মধ্যে নিক্ষেপ করলো। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্ব মহলে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান রাষ্ট্র অভিযুক্তের পক্ষ নেয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন ‘রিট আবেদন পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে হয়নি, হয়েছে পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে এক সরকারি কর্মচারীকে নির্যাতনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই রাষ্ট্র যখন তার পক্ষে গিয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটাকে ঠিক আইনের শাসন বলা যায় না। রাষ্ট্রের একজন নাগরিককে নির্যাতন করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা স্পষ্টত ফৌজাদারি অপরাধ করেছেন এ জন্য তার বিরুদ্ধে দ-বিধি ও ফৌজদারি কার্যবিধির নির্দিষ্ট ধারায় মামলা হওয়া অবশ্যই উচিত’। এ বিষয়ে রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্রের পক্ষে আপিল আবেদনে আইন সচিব স্বাক্ষর করেছেন। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার ওসি ও বরখাস্তকৃত মাসুদ সিকদার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিতের আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন। রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্তের পক্ষে না গিয়ে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রথামিকবাবে প্রমাণিত হয়েছে তার পক্ষে দাঁড়ানোর ঘটনায় আইন বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত হয়েছেন। এ বিষয়ে সিনিয়র আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ইদানীং হাইকোর্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আদেশ দিলেই সরকার আপিল বিভাগে যাচ্ছে। সব আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সরকার হাইকোর্টের গুরুত্ব ক্ষুণ্ন করেছে। তিনি বলেন, পুলিশের নির্যাতনের ঘটনায় রাব্বীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করতে সংশ্লিষ্ট থানাকে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আর সে আদেশ স্থগিত করতে রাষ্ট্র চলে আপিল বিভাগে। সাধারণ নাগরিক যেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করতে পারে না, তাদেরকে আদালতে আশ্রয় নিতে হয়, সেখানে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে যাওয়া মানে পুলিশকে জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে রাখতে চাচ্ছে সরকার। এর ফলে কোনো সাধারণ নাগরিক ভবিষ্যতে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনতে পারবে না, যার পরিণতি হবে ভয়াবহ। আর রাষ্ট্রের এই ধরনের আইনী পদক্ষেপে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। এমনি অভিমত ব্যক্ত করেছেন অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীও।
আমরা শুধু লক্ষ্য করছি, কীভাবে একটি অনির্বাচিত সরকার অত্যন্ত নগ্নভাবে ক্রমেই জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আর চিন্তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী অস্ত্রধারী বাহিনী দিয়ে তারা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত থাকবে। এমন চিন্তা ফ্যাসিবাদী হিটলারও করেছিল। হিটলারের শেষ রক্ষা হয়নি। অপর কোনো ফ্যাসিবাদী সরকারেরও শেষ রক্ষা হবে- এমন মনে করার কারণ নেই।
ড. রেজোয়ান সিদ্দিকী 

0 comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Ads