স্তম্ভিত হবার মতো একটি খবর ছেপেছে গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিন। ডাবল লাইনে ৪ কলামব্যাপী হেডিং। শিরোনাম ‘জামিনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রত্যয়নপত্র : বোমাবাজরা সৎ ও মেধাবী’। প্রত্যয়নপত্রের একটি ফটোকপিও ছেপেছে পত্রিকাটি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ২০ দলীয় জোটের লাগাতার আন্দোলন সম্পর্কে দেশ-বিদেশের কোটি কোটি মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পেট্রলবোমা ও ককটেল হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষ হত্যার দায় আন্দোলনরত বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপিয়ে তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে মামলায় জড়ানো হয়েছে। এমনকি বাড়িঘরে, মেসে, ছাত্রাবাসে হামলা চালিয়ে ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে গুম ও হত্যা করবার মতো ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হয়েছে। ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী শুধু নন, তাদের সাধারণ সমর্থকরাও রেহাই পাচ্ছেন না পুলিশী নির্যাতনের হাত থেকে। শুধু পুলিশ কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একশ্রেণির অতিউৎসাহী সদস্যই নয়, দলীয় ক্যাডাররাও অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ২০ দলীয় জোট নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বাড়িঘর, দোকান-পাট এবং মেস বা ছাত্রাবাসে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি তাদের গোলার ধান, ক্ষেতের ফসল, পুকুরের মাছ ও গোয়ালের গরু-ছাগলও লুটে নেয়া হচ্ছে অথবা আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেবার মতো ভয়ঙ্কর অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হবার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, দেশের জনগণ যেন ক্ষমতাসীনদের প্রতিপক্ষ। একটি গণতান্ত্রিক দেশে ক্ষমতাসীনদের বিপক্ষে যায় এমন ভিন্নমত পোষণকারী থাকতেই পারেন। কিন্তু সেটা যদি নির্মূল করে ফেলবার পর্যায়ে চলে যায়, তাহলে দেশে গৃহযুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এমন অনাকাক্সিক্ষত পরিণতি দেশ ও জাতির জন্য কখনই কল্যাণকর হতে পারে না।
দেশে যাতে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেন ফিরে আসে, দেশের মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই সুদিনের অপেক্ষা সবাই করছেন। বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ এমনকি বিদেশী পর্যবেক্ষকমহলও ক্ষমতাসীনদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু কোন কিছুই এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। এর ফলে সরকারের জনভিত্তি যে আরও দ্রুত নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে চাচ্ছেন না। পক্ষান্তরে জনগণের ওপর পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর ও ঘৃণ্য হামলার দায়ভার ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দেবার চক্রান্ত করা হচ্ছে। অথচ প্রকাশিত খবরে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। আলোচ্য চাঞ্চল্যকর ওই সংবাদটিতে থলের বেড়াল মুখ ব্যাদান করে বেরিয়ে পড়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর হামলার মামলায় যাদের পুলিশ এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে, তাদের জামিনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকেই সুপারিশ করা হয়েছে। আলোচ্য খবরটিতে এ পর্যন্ত এমন ৫০০টির মতো সুপারিশনামা দাখিল হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে বহু আসামী জামিনও পেয়েছে। ফলে অভিযুক্তদের আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে ভয়ংকর সব সন্ত্রাসী হামলা বা পুড়িয়ে মানুষ হত্যার সঙ্গে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য। বোমা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম জিয়াও। দেশের মানুষ এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। সকলেই স্বস্তি চায়। এর একমাত্র উপায় হচ্ছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে এ পরিস্থিতির উত্তরণ না ঘটালে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
দেশে যাতে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, গণতান্ত্রিক পরিবেশ যেন ফিরে আসে, দেশের মানুষ যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারেন এমন প্রত্যাশা নিয়েই সুদিনের অপেক্ষা সবাই করছেন। বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজ এমনকি বিদেশী পর্যবেক্ষকমহলও ক্ষমতাসীনদের পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু কোন কিছুই এখনও ফলপ্রসূ হয়নি। এর ফলে সরকারের জনভিত্তি যে আরও দ্রুত নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে, সেদিকে নজর দিতে চাচ্ছেন না। পক্ষান্তরে জনগণের ওপর পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর ও ঘৃণ্য হামলার দায়ভার ২০ দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপিয়ে তাদের রাজনীতির ময়দান থেকে সরিয়ে দেবার চক্রান্ত করা হচ্ছে। অথচ প্রকাশিত খবরে ভিন্ন চিত্র দেখা যাচ্ছে। আলোচ্য চাঞ্চল্যকর ওই সংবাদটিতে থলের বেড়াল মুখ ব্যাদান করে বেরিয়ে পড়েছে। এতে বলা হয়েছে, পেট্রলবোমার মতো ভয়ঙ্কর হামলার মামলায় যাদের পুলিশ এ পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে, তাদের জামিনের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকেই সুপারিশ করা হয়েছে। আলোচ্য খবরটিতে এ পর্যন্ত এমন ৫০০টির মতো সুপারিশনামা দাখিল হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে বহু আসামী জামিনও পেয়েছে। ফলে অভিযুক্তদের আটকে রাখা সম্ভব হচ্ছে না বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।
২০ দলীয় জোটের তরফ থেকে বার বার বলা হচ্ছে ভয়ংকর সব সন্ত্রাসী হামলা বা পুড়িয়ে মানুষ হত্যার সঙ্গে তাদের কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। তাদের আন্দোলন গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য। বোমা হামলাকারীদের চিহ্নিত করে ন্যায়বিচারের মাধ্যমে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন ২০ দলীয় জোটনেত্রী বেগম জিয়াও। দেশের মানুষ এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি চায়। সকলেই স্বস্তি চায়। এর একমাত্র উপায় হচ্ছে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা। সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে এ পরিস্থিতির উত্তরণ না ঘটালে অবস্থার আরও অবনতি হতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন