বিশদলীয় জোটনেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার অফিসে ইট নিক্ষেপকারী ব্যক্তিকে পাগল উল্লেখ করে পুলিশ সম্প্রতি তাকে ছেড়ে দিয়েছে। এর কয়েকদিন আগে আরেক ব্যক্তি পিস্তল হাতে বেগম জিয়াকে হত্যা করতে গেলেও তার বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। পত্রপত্রিকার খবর অনুযায়ী বেগম জিয়ার অফিসে ইট নিক্ষেপকারী যুবক ও পিস্তল উঁচিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে খুঁজে বেড়ানো ব্যক্তি উভয়েই ক্ষমতাসীন দলটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই সঙ্গত কারণেই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বা নিতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এ ধরনের ঘটনা বা আরও বড় কিছু ঘটানো হতে পারে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন থেকে তাকে সরাতে না পেরে এবং আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হয়ে হটকারী ধরনের যা কিছু করা হচ্ছে, এটা তারই অংশ। তার অফিসে ইট নিক্ষেপ ও পিস্তল নিয়ে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে খোঁজাখুঁজি এবং ক্ষমতাসীনদের বেসামাল কথাবার্তার মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান বলে আমরা আশঙ্কা প্রকাশ করছি। বিশদলীয় নেতৃবৃন্দও একইভাবে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছেন।
আমাদের রাজনীতি কতটা নীতিবিচ্যুত হতে পারে, বেগম জিয়ার অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিযোগাযোগ, টিভি’র ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবার ঘটনা তার একটা প্রমাণ। এমনকি তার অফিসের স্টাফ ও সহযোগীদের খাবার সরবরাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দেবার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে সরকারের পুলিশ বাহিনীর একটি অংশ। ক্ষমতাসীনদের অজ্ঞাতসারে কিংবা নির্দেশ ছাড়া এসব হচ্ছে তা কারুর কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এছাড়া হরতাল-অবরোধের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার দায়ভার বেগম জিয়াসহ বিশদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপানো হচ্ছে। অথচ বিশদলীয় জোটের তরফ থেকে এমন ঘৃণ্য ও অমানবিক কর্মকা-ের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে বার বার করে বলা হচ্ছে। যথাযোগ্য তদন্ত ছাড়া এর দায় বিশদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচিত হতে পারে। অভিযুক্ত বোমাবাজদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টাও নাকি ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে চালানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই কারা এবং কী উদ্দেশ্যে বোমাবাজি করে বিশদলীয় জোটের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায় তা নিশ্চয়ই সচেতন সকল মানুষের কাছে পরিষ্কার বলে আমরা মনে করতে চাই। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা ছাড়াই বিশদলীয় আন্দোলনের নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। দুঃখজনক হলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক শ্রেণির সদস্যরাও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীর ন্যায় আচরণ করতে শুরু করেছে। এমনকি বিশদলীয় জোটের নেতা-কর্র্মীদের ‘দানব’ আখ্যা দেয়ার মতো হাস্যকর কথাও শোনা যাচ্ছে।
এসব বেসামাল কথাবার্তা ও আচরণের ফলে দেশবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সুশীল সমাজ সম্পর্কেও অশোভন কথা বলে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে অহরহ। এভাবে নিশ্চয়ই কোনও গণতান্ত্রিক দেশ চলা উচিত নয়। দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সকল পক্ষকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে আমরা আশা করছি।
আমাদের রাজনীতি কতটা নীতিবিচ্যুত হতে পারে, বেগম জিয়ার অফিসে বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিযোগাযোগ, টিভি’র ডিশ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেবার ঘটনা তার একটা প্রমাণ। এমনকি তার অফিসের স্টাফ ও সহযোগীদের খাবার সরবরাহ পর্যন্ত বন্ধ করে দেবার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্ম দিয়েছে সরকারের পুলিশ বাহিনীর একটি অংশ। ক্ষমতাসীনদের অজ্ঞাতসারে কিংবা নির্দেশ ছাড়া এসব হচ্ছে তা কারুর কাছে বিশ্বাসযোগ্য নয়। এছাড়া হরতাল-অবরোধের সময় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে মানুষ হত্যার দায়ভার বেগম জিয়াসহ বিশদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর চাপানো হচ্ছে। অথচ বিশদলীয় জোটের তরফ থেকে এমন ঘৃণ্য ও অমানবিক কর্মকা-ের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে বার বার করে বলা হচ্ছে। যথাযোগ্য তদন্ত ছাড়া এর দায় বিশদলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর চাপিয়ে দেয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিবেচিত হতে পারে। অভিযুক্ত বোমাবাজদের আদালত থেকে ছাড়িয়ে নেবার চেষ্টাও নাকি ক্ষমতাসীনদের তরফ থেকে চালানো হচ্ছে বলে বিভিন্ন মিডিয়াতে খবর প্রকাশিত হয়েছে। কাজেই কারা এবং কী উদ্দেশ্যে বোমাবাজি করে বিশদলীয় জোটের অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি সম্পর্কে বিভ্রান্তি ছড়াতে চায় তা নিশ্চয়ই সচেতন সকল মানুষের কাছে পরিষ্কার বলে আমরা মনে করতে চাই। তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করা ছাড়াই বিশদলীয় আন্দোলনের নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে মিথ্যে ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। দুঃখজনক হলো, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এক শ্রেণির সদস্যরাও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীর ন্যায় আচরণ করতে শুরু করেছে। এমনকি বিশদলীয় জোটের নেতা-কর্র্মীদের ‘দানব’ আখ্যা দেয়ার মতো হাস্যকর কথাও শোনা যাচ্ছে।
এসব বেসামাল কথাবার্তা ও আচরণের ফলে দেশবাসীর মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সুশীল সমাজ সম্পর্কেও অশোভন কথা বলে হুমকি-ধমকি দেয়া হচ্ছে অহরহ। এভাবে নিশ্চয়ই কোনও গণতান্ত্রিক দেশ চলা উচিত নয়। দেশের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে সকল পক্ষকেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে বলে আমরা আশা করছি।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন